ইসলামের দৃষ্টিতে ত্রিত্ব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

খ্রিস্টধর্মের ত্রিত্ব অনুযায়ী, ঈশ্বর হলেন একজন একক সত্ত্বা যিনি স্থায়ীভাবে ও সহ-অনন্তভাবে তিনটি স্বতন্ত্র অস্তিত্বের ("ব্যক্তি") সমন্বয়রূপে বিদ্যমান: পিতা, পুত্রপবিত্র আত্মা। ইসলামের দৃষ্টিতে, আল্লাহর মাঝে যেকোনো প্রকার "বহুত্বের" ধারণাকে একত্ববাদের (তাওহীদ) পরিপন্থী এবং কুরআনে প্রাপ্ত দৈববাণীর সঙ্গে অসঙ্গত বলে মনে করা হয়। আল্লাহর অংশীদার সাব্যস্তকরণকে (শিরক) ইসলাম অবিশ্বাসের (কুফর) একটি অংশ বলে বিবেচিত হয়–তা সে পুত্র, কন্যা বা অন্যান্য অংশীদারই হোক না কেন। কুরআনে বারবার ও দৃঢ়ভাবে আল্লাহর পরম একত্বের কথা বলা হয়েছে, ফলে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব বা ক্ষমতার উপর অংশীদারিত্ব স্থাপনের সম্ভাবনা ইসলামে নেই।[১] ইসলামে পবিত্র আত্মাকে ফেরেশতা জিবরাঈল বলে মনে করা হয়।[২] মুসলিমরা শুরু থেকেই খ্রিস্টান ত্রিত্ব স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।[১][৩]

কুরআনে[সম্পাদনা]

কুরআনের তিনটি আয়াতে সরাসরি ত্রিত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, ৪:১৭১, ৫:৭৩ এবং ৫:১১৬[১]

হে আহলে কিতাবগণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর শানে নিতান্ত সঙ্গত বিষয় ছাড়া কোনো কথা বলো না। নিঃসন্দেহে মরিয়ম পুত্র মসীহ ঈসা আল্লাহর রাসুল এবং তাঁর বাণী যা তিনি প্রেরণ করেছেন মরিয়মের নিকট এবং রূহ তাঁরই কাছ থেকে আগত। অতএব, তোমরা আল্লাহকে এবং তাঁর রাসুলগণকে মান্য করো। আর একথা বলো না যে, আল্লাহ তিনের এক, একথা পরিহার করো; তোমাদের মঙ্গল হবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য। সন্তান-সন্ততি হওয়াটা তাঁর যোগ্য বিষয় নয়। যা কিছু আসমানসমূহ ও জমিনে রয়েছে সবই তাঁর। আর কর্মবিধানে আল্লাহই যথেষ্ট।

৫:৭২ তাঁরা কাফির, যাঁরা বলে যে, মরিময় তনয় মসীহই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বনি ইসরাঈল, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, যিনি আমার পালনকর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তাঁর জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তাঁর বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোনো সাহায্যকারী নেই।
৫:৭৩ নিশ্চয়ই তাঁরা কাফির, যাঁরা বলে আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। যদি তাঁরা স্বীয় উক্তি থেকে নিবৃত্ত না হয়, তবে তাঁদের মধ্যে যাঁরা কুফরে অটল থাকবে, তাঁদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পতিত হবে।
৫:৭৪ তাঁরা আল্লাহর কাছে তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু।
৫:৭৫ মরিয়ম তনয় মসীহ রাসুল ছাড়া আর কিছু নন। তাঁর পূর্বে অনেক রাসুল অতিক্রান্ত হয়েছেন আর তাঁর জননী একজন ওলী। তাঁরা উভয়েই খাদ্য ভক্ষণ করতেন। দেখুন, আমি তাঁদের জন্যে কীরূপ যুক্তি-প্রমাণ বর্ননা করি, আবার দেখুন, তাঁরা উল্টা কোন দিকে যাচ্ছে।

৫:১১৬ যখন আল্লাহ বললেন, “হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত করো?” ঈসা বলবেন, “আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোনো অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথাও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয়ই আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত।
৫:১১৭ আমি তো তাঁদেরকে কিছুই বলিনি, শুধু সে কথাই বলেছি যা আপনি বলতে আদেশ করেছিলেন যে, তোমরা আল্লাহর দাসত্ব অবলম্বন করো যিনি আমার ও তোমাদের পালনকর্তা আমি তাঁদের সম্পর্কে অবগত ছিলাম যতদিন তাঁদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে লোকান্তরিত করলেন, তখন থেকে আপনিই তাঁদের সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আপনি সর্ববিষয়ে পূর্ণ পরিজ্ঞাত।
৫:১১৮ যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তাঁরা আপনার দাস এবং যদি আপনি তাঁদেরকে ক্ষমা করেন, তবে আপনিই পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞ।”

এর পাশাপাশি, ১৯:৮৮–৯৩, ২৩:৯১ এবং ১১২:১–৪ নং আয়াতগুলোও ত্রিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত:

১৯:৮৮ তাঁরা বলে দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।
১৯:৮৯ নিশ্চয় তোমরা তো এক অদ্ভুত কাণ্ড করেছো।
১৯:৯০ হয় তো এর কারণেই এখনই নভোমন্ডল ফেটে পড়বে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচুর্ণ হবে।
১৯:৯১ এ কারণে যে, তাঁরা দয়াময় আল্লাহর জন্যে সন্তান আহবান করে।
১৯:৯২ অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়।
১৯:৯৩ নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে কেউ নেই যে, দয়াময় আল্লাহর কাছে দাস হয়ে উপস্থিত হবে না।

আল্লাহ কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে কোনো মাবুদ নেই। থাকলে প্রত্যেক মাবুদ নিজ নিজ সৃষ্টি নিয়ে চলে যেত এবং একজন অন্যজনের উপর প্রবল হয়ে যেত। তাঁরা যা বলে, তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।

বলুন, “তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।”

আলোচনা[সম্পাদনা]

আধুনিক পণ্ডিতরা এই আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা ভিন্ন ভিন্নভাবে দিয়েছেন।[১][৩] যদিও শেষোক্ত আয়াতগুলোকে সাধারণত মূলধারার খ্রিস্টান দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ঈসা (আ)-কে (যিশু) আল্লাহর পুত্র হিসেবে প্রত্যাখ্যান করার জন্য ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে, উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট যুক্তি দিয়েছেন যে এই আয়াতগুলো বিশেষভাবে "শারীরিক পুত্রত্ব" এর একটি অসনাতন ধারণাকে খণ্ডন করে।[৪][৩]:৪৭

৫:৭৩ নং আয়াতটিকে প্রাচীন সিরীয় খ্রিস্টান সাহিত্যের সম্ভাব্য সমালোচনা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়, যেখানে যিশুকে "তিনজনের মধ্যে তৃতীয়" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছেএবং এভাবেই আয়াতটি যিশু খ্রিস্টকে ঈশ্বর হিসেবে মান্য করার দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেছে।[৫] তাই ৫:৭২-৭৫ নং আয়াতগুলোকে কেবলমাত্র এই ধারণার সমালোচনা করতে ব্যবহার করা হয়, যে যিশু ও ঈশ্বর (আল্লাহ) একই।[৫] বিকল্পভাবে, ইসলামের দৃঢ় একেশ্বরবাদী অবস্থান থেকে দেখলে আয়তসমূহে সম্ভবত যিশু খ্রিস্টের মনুষ্যত্ব ও ঐশ্বরিকতা সংক্রান্ত খ্রিস্টানদের বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসের একটি উদ্দেশ্যমূলক সমাধান করা হয়েছে যাতে করে ত্রিত্ববাদের সম্ভাব্য দুর্বলতা প্রকাশ পায়।[১][৩]:৪৭

একইভাবে, ৪:১৭১ নং আয়াতে যিশুর ঐশ্বরিকতার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। লক্ষণীয় যে, এই আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রাথমিক যুগের মুসলিম কুরআন ভাষ্যকারগণ উল্লেখ করেছেন যে, "খ্রিস্টানদের ত্রিত্ব ঈশ্বরের একটি অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য... যা [পৌত্তলিকদের মতো] ঈশ্বরের পাশাপাশি একাধিক বাহ্যিক সত্ত্বাকে স্থাপনের থেকে ভিন্ন।[১]

কিছু মুসলিম ভাষ্যকার বিশ্বাস করেন যে ৫:১১৬ আয়াতে খ্রিস্টান ত্রিত্বের অংশ হিসেবে মরিয়মকে উল্লেখ করা হয়েছে।[n ১] কুরআনের সমালোচকরা এটিকে ব্যবহার করে যুক্তি দেখান যে কুরআনের লেখক খ্রিস্টান সনাতনি বিশ্বাস সম্পর্কে ভুল করেছিলেন, যেখানে মেরি একজন মানুষ এবং ত্রিত্বের তৃতীয় অংশ হলো পবিত্র আত্মা।

অন্যদিকে, মুসলিমরা যুক্তি দেখান যে অতীতে কলিরিডীয় খ্রিস্টানরা স্পষ্টভাবে মেরিকে ঐশ্বরিক সত্ত্বা বলে বিশ্বাস করতো[৭][৮][৬] যদিও কিছু ইতিহাসবিদ, যেমন এভরিল ক্যামেরন, কলিরিডীয়দের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে কেবল সাধু এপিফানিয়াসের রচনাই এই গোষ্ঠীর সম্পর্কে জানার একমাত্র উৎস এবং পরবর্তীকালের লেখকেরা কেবল তাঁর পাঠ্যটিকেই উল্লেখ করেছেন।[৯] এই ধরনের কোনো সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব ছিল বলে আর কোনো প্রমাণ নেই এবং ৭ম শতাব্দীতে তাঁদের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। অন্যরা যুক্তি দেন যে ৫:১১৬ নং আয়াতে প্রকৃতপক্ষে ত্রিত্বের প্রতি ইঙ্গিত করা হয় নি যেহেতু শব্দটিকে আয়াতে উল্লেখ করা হয়নি এবং যেখানে ত্রিত্বকে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে (৪:১৭১ এবং ৫:৭৩ নং আয়াতে), সেখানে মেরির কথিত ঐশ্বরিক মর্যাদার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।[৬] কিছু সাম্প্রতিক পশ্চিমা বিদ্যাবত্তা ৫:১১৬ নং আয়াতে কুরআন কর্তৃক অভিযুক্ত মেরির ঐশ্বরিকতা দাবির একটি আলঙ্কারিক উপলব্ধিকে সমর্থন করে;[৩]:৪৭[n ২][১০] তাঁদের মতে আয়াতটিতে সাধারণত শিরকের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে এবং এই সম্পর্কে উপদেশ দেওয়া হয়েছে।[১][n ৩]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. মুসলিম সমর্থকেরা যুক্তি দেন যে ভাষ্যকাররা কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করছেন, সবাইকে নয়।[৬]
  2. সিররি লিখেছেন: "হাউটিং, সিডনি গ্রিফিথ ও গ্যাব্রিয়েল রেনল্ডসের কাজ দ্বারা উপস্থাপিত কুরআনের সাম্প্রতিক বিদ্যাবত্তায়, 'ধর্মদ্রোহী ব্যাখ্যা' থেকে কুরআনের আলঙ্কারিক ভাষার উপর জোর দেওয়ার প্রতি উপর জোর দেওয়া হয়েছে। .. গ্রিফিথ বলেছেন, 'আলঙ্কারিকভাবে বলতে গেলে, কুরআনের আপাতদৃষ্টিতে প্রতীয়মান ভুল বিবৃতিকে ভুল বলে মনে করা উচিত নয়, বরং এটি একটি ... ব্যঙ্গচিত্র, যার উদ্দেশ্য হলো ইসলামি পরিভাষায় অযৌক্তিকতাকে তুলে ধরা এবং তাই ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে খ্রিস্টান বিশ্বাসের ভুল তুলে ধরা।' ... রেনল্ডস প্ররোচিতভাবে যুক্তি দেন যে 'কুরআনের খ্রিস্টধর্ম সংক্রান্ত অনুচ্ছেদগুলোতে আমাদের কুরআনের আলঙ্কারিকতার সৃজনশীল ব্যবহারকে অনুসন্ধান করা উচিত, খ্রিস্টান ধর্মদ্রোহিতার প্রভাবকে নয়।'"
  3. আঙ্গেলিকা নয়ভির্থ,[১০] ডেভিড থমাস,[১] সিডনি এইচ. গ্রিফিথ, গ্যাব্রিয়েল রেনল্ডস ও মুনিম সিররি এই আলঙ্কারিক ব্যাখ্যার উপর জোর দিয়েছেন।[৩]:৪৭ এডওয়ার্ড হাল্‌ম্‌স লিখেছেন: "প্রচলিত ত্রিত্ববাদী মতবাদ সম্পর্কে কুরআনে প্রদত্ত ব্যাখ্যা অনুযায়ী পিতা, পুত্র ও কুমারী মেরিতে বিশ্বাসের ধারণাটি সম্ভবত নূতন নিয়মের ভুল বোঝাবুঝির চেয়ে স্থানীয় খ্রিস্টানদের দ্বারা মেরিকে মা হিসেবে বিশেষ অর্থে প্রদত্ত চরিত্রের স্বীকৃতি থেকে আসতে পারে।"[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. David Thomas, Trinity, Encyclopedia of the Qur'an
  2. Khan, Muhammad Muhsin; Al-Hilali, Muhammad Taqi-ud-Din (২০২০-০৬-১৬)। Interpretation of the Meaning of the Qur'an (ইংরেজি ভাষায়)। Amazon Digital Services LLC – KDP Print US। আইএসবিএন 979-8-6539-5952-3 
  3. Sirry, Mun'im (২০১৪-০৫-০১)। Scriptural Polemics: The Qur'an and Other Religions (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-935937-0 
  4. Watt, William Montgomery (১৯৫৬)। Muhammad at Medina। Oxford at the Clarendon Press। পৃষ্ঠা 318 
  5. Griffith, Sidney H."Christians and Christianity"Encyclopaedia of the Qurʾān (ইংরেজি ভাষায়)। Brill। 
  6. Karim, Kaleef K. (২০১৩-০৮-১৫)। "Trinity: Mary Worshipped As A God?"Discover The Truth (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৪ 
  7. Neuwirth, Angelika; Sells, Michael A. (২০১৬-০৪-১৪)। Qur'ānic Studies Today (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 301। আইএসবিএন 978-1-317-29566-2The Collyridians, an arabian female sect of the fourth century, offered Mary cakes of bread, as they had done to their great earth mother in pagan times. Epiphanius who opposed this heresy, said that the trinity must be worshipped but Mary must not be worshipped. 
  8. "Mary, A Part Of Trinity?"Islamic Awareness। ১৯৯৯-০৯-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৪ 
  9. Cameron, Averil (২০০৪), "The Cult of the Virgin in Late Antiquity: Religious Development and Myth-Making", Studies in Church History, 39: 1–21, এসটুসিআইডি 163960138, ডিওআই:10.1017/S0424208400014959 , at 6–7.
  10. Neuwirth, Angelika; Sells, Michael A. (২০১৬-০৪-১৪)। Qur'ānic Studies Today (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 302। আইএসবিএন 978-1-317-29566-2can be argued that ... the qur'anic accusations that Christians claim Mary as God can be understood as a rhetorical statement... 
  11. Edward Hulmes: Qur'an and the Bible, The; entry in the Oxford Companion to the Bible.