ইলকাল শাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইলকাল শাড়ি বুনন
ইলকাল শাড়ি পরিহিতা ভারতীয় মহিলা ফল বিক্রেতা

ইলকাল শাড়ি একটি ঐতিহ্যবাহী শাড়ি যা সাধারণত ভারতীয় নারীরা পরিধান করে থাকেন। ইলকাল শাড়ি নামটি এসেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বাগলকোট জেলার ইলকাল শহরের নাম থেকে। ইলকাল শাড়ির মূল অংশটির বুনন এবং নকশার জন্য সুতির টানা দেওয়া হয় এবং পাড় ও আঁচলের নকশা ও বুননের জন্য আর্ট রেশম ব্যবহার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে আর্ট রেশমের পরিবর্তে খাঁটি রেশমও ব্যবহৃত হয়। ইলকাল শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশকের (জিআই) তকমা দেওয়া হয়েছে। [১] এর জিআই ক্রমিক নম্বর ৭৬। [২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইলকাল ছিল একটি প্রাচীন তাঁত কেন্দ্র যেখানে সম্ভবত ৮ম শতাব্দীর দিকে বয়নের কাজ শুরু হয়েছিল। [৩] এই শাড়ির বিকাশে বেল্লারী শহর এবং শহরের আশেপাশের স্থানীয় পৃষ্ঠপোষকদের অবদান রয়েছে। স্থানীয় কাঁচামালগুলোর সহজলভ্যতা এই শাড়ির বিকাশে সহায়তা করেছিল। [৪] ইলকাল শহরে প্রায় ২,০০০ তাঁতি ইলকাল শাড়ি বুননের কাজ করেন। [৫]

উৎপাদন[সম্পাদনা]

ইলকাল শাড়ির বুনন বেশিরভাগই অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ। এটি মূলত মহিলা সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক একটি গৃহস্থালী উদ্যোগ। তাঁতের সাহায্যে একটি শাড়ি বুনতে প্রায় ৭ দিন সময় লাগে। তবে যন্ত্রচালিত তাঁতের সাহায্যে এটি বুনতে আরো কম সময় লাগে।

বুনন পদ্ধতি[সম্পাদনা]

ইলকালের ঐতিহ্যবাহী শাড়িগুলো মূলত রেশম x রেশম, রেশম x সুতি, আর্ট রেশম x রেশম নামের তিন ধরনের বিভিন্ন সুতার সংমিশ্রণে পিট তাঁতে উৎপাদিত হয়। আগে বর্ণিত সুতার সংমিশ্রণের সাথে মোট চারটি ঐতিহ্যবাহী নকশা তৈরি করা হয়, সেগুলো হল-

  • চিক্কি পরশ
  • গোমি
  • জরি
  • সম্প্রতি পরিবর্তিত ঐতিহ্যবাহী নকশার গায়ত্রী

টীকা[সম্পাদনা]

  1. Rakesh Prakash (১১ এপ্রিল ২০০৮)। "K'taka gets highest number of GI tags" 
  2. List of Geographical Indications in India
  3. Brief history of Ilkal saris is provided by Kamala Ramakrishnan। "Southern legacy"Online edition of the Hindu, dated 1999-06-20। 1999, The Hindu। ১ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২২ 
  4. "Ilkal saree's story"Online edition of the Economic Times, dated 2002-12-12। © 2007 Times Internet Limited। ২০০২-১২-১২। ২৮ আগস্ট ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২২ 
  5. The history of Indian saris is discussed by SUBBALAKSHMI B M। "Between the folds"Online edition of the Deccan Herald, dated 2003-11-23। 1999 The Printers (Mysore) Private Ltd.। ২০০৭-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২২