বিষয়বস্তুতে চলুন

ইফতার কামান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মিদফা আল ইফতার (আরবি: مدفع الافطار; আক্ষরিক অর্থে ইফতারের কামান) হচ্ছে একটি প্রাচীন ঐতিহ্য, যা মিশরে উদ্ভূত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী আরব দেশেগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। রমজান মাসে প্রতিদিন মাগরিবের আজানের কয়েক মিনিট পূর্বে মানুষকে ইফতারের সময় অবহিত করতে কামানের গোলা চালানো হতো। সাধারণত রমজান মাসে মুসলিমরা সূর্য ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে মাগরিবের সময় দীর্ঘ রোজা ভঙ্গ করে থাকেন।[]

উৎপত্তি

[সম্পাদনা]

প্রথমে আরব দেশগুলোতে পবিত্র রমজান মাসের সূচনা কামানের গোলা চালানোর মাধ্যমে শুরুর প্রচলন ছিল, প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজের আজানের সময় কামানের গোলা চালানোর মাধ্যমে রোজা ভঙ্গের ঘোষণা দেওয়া হতো। ঘড়ি, টিভি বা সেলফোনের আবিষ্কারের পূর্বে ইফতারের সময় হলে পুরো শহরকে কামানের এই বিস্ফোরণের শব্দে অবহিত করা হতো। এই পদ্ধতি বিষয়ে কায়রো নগরী কেন্দ্রিক দুটি গল্প রয়েছে। কিছু ঐতিহাসিকের মতে প্রথাটি দশম শতাব্দীতে মিশরে চালু হয়, যখন ফাতিমি খলিফাদের একজন কায়রোর মুকাতাম পার্বত্য অঞ্চলে একটি কামান স্থাপনের নির্দেশ দিলেন, যাতে সমস্ত মুসলমান তাদের রোজা ভঙ্গের সংকেত শুনতে পান। অপর একটি সূত্র মতে এটি প্রায় দুই শতাব্দী পূর্বে মামলুক শাসক খোশ কদমের শাসনকালে শুরু হয়েছিল। কথিত আছে যে একদা সুলতানকে একটি কামান দেওয়া হয়েছিল, তিনি সেটি পরীক্ষার করার জন্য তাঁর সৈন্যদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেন, কাকতালীয়ভাবে তখন রমজান মাস ছিল এবং সময়টা ছিল সূর্যাস্তের মুহূর্ত। এ শব্দকে কায়রোর জনগণ ইফতারের সংকেত মনে করেছিল। এই পদ্ধতি মিশরের জনগনের কাছে এতটাই পছন্দনীয় যে তারা সুলতানকে অভিবাদন জানাতে প্রাসাদে জমা হয়েছিল। পিতার প্রতি জনগণের এরুপ ভালোবাসা দেখে সুলতানের মেয়ে হাজজা ফাতিমাহ সুলতানকে প্রতিদিন ইফতারির জন্য কামান চালানোর অনুরোধ জানান। সুলতান এতে সম্মত হন, এভাবেই মিদফা আল ইফতারের প্রচলন শুরু হয়, স্থানীয়ভাবে এটি হাজজা ফাতিমাহের নামানুসারেও পরিচিত। আজ পর্যন্ত, ইফতার ঘোষণার জন্য মুকাতামের মালভূমিতে একটি কামান স্থাপিত রয়েছে।

অন্যান্য দেশসমূহে ইফতার কামান

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. [১]
  2. [২]