ইন্দোনেশিয়া–পানামা সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইন্দোনেশিয়া-পানামা সম্পর্ক
মানচিত্র Indonesia এবং Panama অবস্থান নির্দেশ করছে

ইন্দোনেশিয়া

পানামা

ইন্দোনেশিয়া-পানামা সম্পর্ক ইন্দোনেশিয়া এবং পানামা এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৭৯ সালে এই দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সম্পর্কের শুরু থেকেই এই দুই দেশই অপরপক্ষের কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণালাভ করতে পেরেছে। ইন্দোনেশিয়ার জন্য কৌশলগত এবং ভৌগোলিকভাবে পানামা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধি এবং ওই অঞ্চলে অবস্থান সুগঠিত করার জন্য পানামার ভৌগোলিক অবস্থান সুবিধাজনক। অপরদিকে পানামার জন্য আসিয়ান অঞ্চলে অবস্থান সুগঠিত করার জন্য ইন্দোনেশিয়া কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।[১] পানামার রাজধানী পানামা সিটিতে, ইন্দোনেশিয়ার স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। একইভাবে, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পানামার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।

বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ[সম্পাদনা]

পানামায় ইন্দোনেশিয়ার পণ্যের ভাল চাহিদা রয়েছে এবং ভবিষ্যৎ রয়েছে। তাই পানামার বাজারের ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়া আগ্রহী। বর্তমানে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, এবং চিলির পর লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে পানামা ইন্দোনেশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার।পানামার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে এই ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরা পানামার অভ্যন্তরে কোলন ফ্রি জোন (সিএফজেড) -এ অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পাবে।[১]

২০১১ সালে, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২১৮.৭ মিলিয়ন (২১.৮৭ কোটি) মার্কিন ডলারের, যা পূর্বের ২০১০ সালের ১৫০.৭ মিলিয়ন (১৫.০৭ কোটি) মার্কিন ডলার এর তুলনায় ৪৫.১ শতাংশ বেশি ছিল। এছাড়াও ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এই দুই দেশের বাণিজ্যের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৩.৭ শতাংশ। পানামায় ইন্দোনেশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য হল, জুতা, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল এবং যানবাহনের টায়ার। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ায় পানামার প্রধান রপ্তানিখাত হল জাহাজ শিল্পে।[১]

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

পানামাতে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস কতিপয় অনুষ্ঠানে, পানামার কাছে ইন্দোনেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরেছে.। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট এরকম এক কূটনৈতিক পর্যায়ের অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশীয় দূতাবাস নিজেদের সংস্কৃতি তুলে ধরে। এর মধ্যে ছিল বালির বিয়ের কনের পোশাক, ছবি এবং সাজসজ্জা। এর সাথে ছিল বালির ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত, ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের ছবি এবং ইন্দোনেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।[২] এছাড়াও আটলাপা কনভেনশন সেন্টার এ অনুষ্ঠিত এক ফ্যাশন সপ্তাহে, ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক, বাটিক, ইকাট এর প্রদর্শনী হয়। পানামায় অনুষ্ঠিত কোন অনুষ্ঠানে এটিই ছিল, ইন্দোনেশীয় কোন পোশাকের প্রথম প্রদর্শনী।সেই অনুষ্ঠানে পানামার ফ্যাশন ডিজাইনার ইজাবেল কাচিন বাটিক এবং ইকাট কে তার কাজের মধ্যে ব্যবহার করেন এবং এরকম ১৫ টি পোশাক প্রদর্শন করেন।[৩] পানামাতে ইন্দোনেশিয়াকে পরিচিত করার এসকল প্রচেষ্টা, ইন্দোনেশিয়া এবং পানামা এর সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. অদিতীয়া মারুলি (সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১২)। "Indonesia - Panama menuju kerja sama ekonomi yang strategis" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। অন্তরা নিউজ। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩০, ২০১৪ 
  2. "Diplomatic Receptions Between Indonesia and Panama"। দ্যা প্রেসিডেন্ট পোস্ট। সেপ্টেম্বর ২, ২০১৩। ২ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩০, ২০১৪ 
  3. "Batik dan Tenun Ikat Indonesia hadir pada Fashion Week Panama" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস, পানামা। অক্টোবর ১৮, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩০, ২০১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]