বিষয়বস্তুতে চলুন

ইখটিওস্টেগা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইখটিওস্টেগা
সময়গত পরিসীমা: ডেভোনিয়ান পর্যায়ের শেষভাগ, ৩৬.৫–৩৬.০কোটি
কোপেনহেগেন ভূতাত্ত্বিক মিউজিয়ামে রক্ষিত ইখটিওস্টেগার পুনর্নিমিত খুলি
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
উপপর্ব: ভার্টিব্রাটা
অধোপর্ব: নেইটোস্টোমাটা
মহাশ্রেণী: টেট্রাপডা
আদর্শ প্রজাতি
ইখটিওস্টেগা স্টেনসিওয়েই
সেভে-স্যোডেরবের্গ, ১৯৩২[]
অন্যান্য প্রজাতি
  • ইখটিওস্টেগা এইগিলি সেভে-স্যোডেরবের্গ, ১৯৩২
  • ইখটিওস্টেগা কোচি সেভে-স্যোডেরবের্গ, ১৯৩২
  • ইখটিওস্টেগা ওয়াটসনি সেভে-স্যোডেরবের্গ, ১৯৩২

ইখটিওস্টেগা (রোমান লিপি - Ichtyostega; গ্রিক - ichthys "মাছ" এবং stega "ছাদ" বা "খুলি") হল একধরনের অধুনাবিলুপ্ত প্রাগৈতিহাসিক চতুষ্পদ উভচর মেরুদণ্ডী প্রাণী। যেসব প্রাচীনতম চতুষ্পদ প্রাণীর জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে, এরা তাদের মধ্যে অন্যতম। আজ থেকে ৩৬ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে ৩৬ কোটি বছর আগে ডেভোনিয়ান পর্যায়ের শেষদিকে এদের দেখা পাওয়া যেত। যেসব চতুষ্পদ প্রাণী প্রথম জল ছেড়ে ডাঙায় উঠে আসে তাদের মধ্যে এরা ছিল অন্যতম। সাধারণভাবে এদেরকে অধিশ্রেণিগতভাবে "চতুষ্পদ" প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হলেও এদের দেহের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য, যেমন - লেজ ও দাঁতের গঠন বা মাথার খুলি, প্রভৃতি থেকে সিলাকান্থ বর্গের (Quastenflosser Ordnung বা Coelacanthiformes Order) মাছের সাথে এদের যথেষ্ট দৈহিক কাঠামোগত মিল দেখতে পাওয়া যায়।[] সেই কারণে অনেকসময়ে এদের অধিশ্রেণিগতভাবে একটি পৃথক অধিশ্রেণি "স্টেগোসেফালিয়া" বা আদি চতুষ্পদ (stem tetrapod)-এর অন্তর্ভুক্ত হিসবেও অনেকে গণ্য করে থাকেন। সম্ভবত এরা ছিল মূলত অগভীর জলের বাসিন্দা। তবে এদের দেহে ফুসফুস এবং চার পায়ের অস্তিত্ব থেকে বোঝা যায়, বেশ কিছু সময় এরা ডাঙায় অতিবাহিত করতেও সক্ষম ছিল। সাধারণভাবে মনে করা হয় এদের পায়ে সাতটি করে আঙুলের অস্তিত্ব ছিল। তবে এ' নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Haaramo, Mikko. "Taxonomic history of the genus †Ichthyostega Säve-Söderbergh, 1932". Mikko's Phylogeny Archive. Blom, 2005. সংগৃহীত ০১ মার্চ, ২০২০।
  2. Heberer, Gerhard. "Die Herkunft der Menschheit". Propyläen Weltgeschichte. Band 1. Ed. Golo Mann und Alfred Heuss. Berlin, 1986. S. 87 - 153. ISBN 3549057318