আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড
সংক্ষেপেএএফসিসিএল
গঠিত১৯৭৩
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
অবস্থান
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
ওয়েবসাইটআশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড

আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড বা এএফসিসিএল হলো বাংলাদেশ সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি সার উৎপাদন কোম্পানি। এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের আওতাধীন।[১] আশুগঞ্জ সার কারখানা কলেজ এই কোম্পানির নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭৩ সালে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৯৮১ সালে এর কার্যক্রম শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যার পর সার কারখানার নাম করা হয় আশুগঞ্জ জিয়া সার কারখানা। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠান থেকে জিয়ার নাম সরিয়ে "আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড" নামে পুনর্নামকরণ করে। এই উপলক্ষে আওয়ামী লীগ উদ্‌যাপন করলেও জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর সমালোচনা করে।[৩]

২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শীতলীকরণ টাওয়ারের ত্রুটির কারণে কারখানা সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়।[৪] কারখানায় একটি বিশেষায়িত তরল বর্জ্য শোধনাগার রয়েছে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল কর্পোরেশনের অধীনে থাকা ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র চারটির নিজস্ব তরল বর্জ্য শোধনাগার রয়েছে। এর মধ্যে আশুগঞ্জ সার কারখানা অন্যতম।[৫]

সময়ের সাথে রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকীকরণের অভাবে আশুগঞ্জ সার কারখানার দৈনিক উৎপাদন ১৬ শত টন থেকে দৈনিক ১১ শত টনে নেমে এসেছে।[৬] ২০১০ সালে কারখানায় অনুপযুক্ত পরিবেশে সংরক্ষণের জন্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন টাকার ইউরিয়া সার নষ্ট হয়ে যায়। কর্মীদের মতে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় বা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যায়।[৭]

দুর্নীতি[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে কারখানা থেকে ২৫৭ হাজার পলিথিন ব্যাগ চুরির ঘটনা সামনে এলে ঐ বছর ৬ জুন সরকার ঘটনা তদন্তের জন্য সিবিএ কর্মকর্তা নিয়োগ করে। এ ঘটনায় সরকার কারখানার দুই কর্মকর্তাকে অবনমন করায়।[৮]

২০১৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন কারখানায় নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে আরও তদন্ত শুরু করে।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "অধিকাংশ যন্ত্রপাতি পুরনো কমেছে উৎপাদন"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  2. "ASHUGANJ SAR KARKHANA COLLEGE"askcollege.edu.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  3. "জিয়া সার কারখানার নাম পরিবর্তন"bangla.bdnews24.com। ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  4. "Ashuganj fertilizer factory begins production" [আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন শুরু]। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১ সেপ্টেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  5. "7 govt factories run without ETP" [ইটিপি ছাড়াই ৭টি সরকারি কারখানা চলছে]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  6. "আশুগঞ্জ সার কারখানা: বেড়েছে বয়স, কমেছে উৎপাদন"tbsnews.net। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  7. "Urea getting damaged for lack of proper storage" [যথাযথ সঞ্চয়ের অভাবে ইউরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  8. "Zia Fertiliser at Ashuganj"archive.thedailystar.net (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  9. "আশুগঞ্জ সার কারখানায় নিয়োগ বাণিজ্য"দৈনিক সংগ্রাম। ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০