আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী
নীতিবাক্য | (আসুন পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ি) |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৮১ |
অধ্যক্ষ | ড. নূরুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) |
শিক্ষার্থী | ৩০০০+ |
ঠিকানা | , , ২৪°২৪′৩৩″ উত্তর ৮৮°৩৬′৩৫″ পূর্ব / ২৪.৪০৯২° উত্তর ৮৮.৬০৯৬° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
ওয়েবসাইট | https://amis.edu.bd/ |
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী মহানগরীতে অবস্থিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[১] মাদ্রাসাটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ও হাদীছ ফাউণ্ডেশন শিক্ষা বোর্ডের সমন্বিত কারিকুলাম অনুযায়ী পরিচালিত। আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।[২][৩][৪][৫]
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]অত্র প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া আমচত্বরে অবস্থিত। রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় সাড়ে দশ বিঘা জমির উপর অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির বালক শাখায় চার তলা ও তিন তলা বিশিষ্ট দু’টি বিরাটাকার ভবন রয়েছে। যার একটি ছাত্রাবাস ও অপরটি একাডেমিক ভবন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে গ্রন্থাগার, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও মিলনায়তন। অদূরে অবস্থিত বালিকা শাখাটি সুউচ্চ প্রাচীর ঘেরা দশ বিঘা ভূখণ্ডের উপর ২টি পাঁচ তলা সুরম্য ভবনসহ অস্থায়ী অবকাঠামোসমূহে পরিচালিত হচ্ছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠদের উদ্যোগে এখানে একটি হিফয মাদরাসার কার্যক্রম শুরু হয়। অত:পর ১৯৯১ সালে মাদরাসাটি "আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী" নামকরণ করা হয় এবং আধুনিক অবকাঠামোতে পুনর্নির্মিত হয়। বর্তমানে এখানে একটি হিফজখানা, এতিমখানাসহ প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। এছাড়া সর্বোচ্চ স্তরে 'দাওরায়ে হাদীছ' ও 'তাখাছছুছ' বিভাগ বিভাগ চালু রয়েছে। এখানকার শিক্ষা কারিকুলাম বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অনুসরণে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময় বিদেশী অতিথি শিক্ষকগণ ও দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের পদচারণায় ধন্য হয়েছে। ১৯৯৯ সালে এখানে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী কর্তৃক মাসব্যাপী একটি কোর্স পরিচালিত হয়, যেখানে ড. মুহাম্মাদ ইউসুফ আফীফীর নেতৃত্বে ড. মুহাম্মাদ রবী আল-মাদখালী, ড. হামূদ আওয আস-সাহলী, আব্দুর রহমান আশ-শিবল প্রমুখ দারস প্রদান করেন।
১৯৯১ সাল থেকে এই মারকাযকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর আহলেহাদীছদের সবচেয়ে বড় বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। স্মর্তব্য যে, ১৯৪৯ সালে সর্বপ্রথম প্রখ্যাত আহলেহাদীছ বিদ্বান ও সংগঠক আল্লামা আব্দুল্লাহেল কাফী আল-কোরায়শী নওদাপাড়ায় জাতীয় সম্মেলন করেন । রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র খায়রুজ জামান লিটনের দাদা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুছ ছামাদ ছাহেব আজীবন এই ইজতেমায় উপস্থিত থাকতেন। এই ইজতেমায় উপস্থিত থেকেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আহলেহাদীছ বিদ্বানগণ। যেমন পাকিস্তানের শায়খ আব্দুল্লাহ নাছের রহমানী, ড. ইদরীস যুবায়ের, ভারতের আব্দুল মতীন সালাফী, আব্দুল ওয়াহাব খিলজী, আব্দুল্লাহ সালাফী, নেপালের আব্দুর রঊফ ঝাণ্ডানগরী, আব্দুল্লাহ মাদানী প্রমুখ।
প্রশাসন
[সম্পাদনা]আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে 'হাদীছ ফাউণ্ডেশন শিক্ষা বোর্ড' কর্তৃক এটি পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশিষ্ট আলেমগণ এই মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। যথা :
- শায়খ আব্দুস সামাদ সালাফী (১৯৯১-২০০৯)[৬]
- শায়খ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ (২০০৯-২০১৪)[৭][৮][৯]
- শায়খ আব্দুল খালেক সালাফী (২০১৪-২০২১)
- ড. নূরুল ইসলাম (২০২১-বর্তমান), ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ছাত্র
[সম্পাদনা]বর্তমানে মাদরাসার ছাত্র ও ছাত্রী শাখায় আবাসিক-অনাবাসিক প্রায় ৩০০০+ শিক্ষার্থী রয়েছে। আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর কয়েক জন মেধাবী ছাত্র বিশেষ চুক্তির অধীনে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পায়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী"। ১৬ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।
- ↑ "BANGLADESH'S AHLE HADITH QAWMI MADRASAS: FEW AND SEPARATE | Wikileaks : May 12, 2009"। মে ৯, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৫, ২০১৩।
- ↑ "http://www.thedailystar.net"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।
|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৩।
- ↑ "http://www.thedailystar.net"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।
|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "দৈনিক সোনার দেশ । অনলাইন সংস্করণ"। ১৬ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।
- ↑ "বুধহাটায় আহলে হাদীছ আন্দোলনের সম্মেলন আজ | দৈনিক পত্রদূত"। ১৬ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।
- ↑ "আল্লাহর অহির আলোকে সমাজ ও দেশ গড়ে তুলতে হবে -মাও. রাযযাক বিন ইউসুফ"। দৈনিক মাথাভাঙ্গা। ২০১৩-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১৫।
- ↑ "আহলেহাদীছ আন্দোলন সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি"। দৈনিক সংগ্রাম। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩।