আল-আহসা গভর্নরেট

স্থানাঙ্ক: ২৫°২৩′ উত্তর ৪৯°৩৬′ পূর্ব / ২৫.৩৮৩° উত্তর ৪৯.৬০০° পূর্ব / 25.383; 49.600
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(আল-আহসা গভর্নোরেট থেকে পুনর্নির্দেশিত)
আল আহসা
ٱلْأَحْسَاء
আরবি: ٱلْحَسَاء, প্রতিবর্ণীকৃত: Al-Ḥasāʾ
আল আহসা সৌদি আরব-এ অবস্থিত
আল আহসা
আল আহসা
স্থানাঙ্ক: ২৫°২৩′ উত্তর ৪৯°৩৬′ পূর্ব / ২৫.৩৮৩° উত্তর ৪৯.৬০০° পূর্ব / 25.383; 49.600
Country সৌদি আরব
সরকার
 • গভর্নরবদর বিন মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ বিন জালাভি আল সৌদ
আয়তন
 • মোট৫,৩৪,০০০ বর্গকিমি (২,০৬,০০০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১০)
 • মোট১০,৬৩,১১২
 • জনঘনত্ব২.০/বর্গকিমি (৫.২/বর্গমাইল)

আল আহসা (আরবি: ٱلْأَحْسَاء, রোমান: Al-Aḥsā, স্থানীয়ভাবে উচ্চারিত আল-হাসা (আরবি: الحَسا)) আল-আহসা মরুদ্যানের নামে নামকরণকৃত সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বৃহত্তম গভর্নোরেট। আল-আহসা নামটি গভর্নোরেটের বৃহত্তম শহর হফুফকেও দেওয়া হয়েছে। ধ্রুপদী আরবি ভাষায় 'আহসা' শব্দের অর্থ ভূগর্ভস্থ পানির শব্দ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম মরুদ্যান এবং এর সাথে বিশ্বের বিখ্যাত খেজুরের নাম জড়িত  রয়েছে এবং এক লেখকের মতে আল-হাসা এবং আল আইন (ওমানের সীমান্তবর্তী সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত) আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মরুদ্যান।[১] মরূদ্যানটি পারস্য উপসাগর থেকে প্রায় ৬০ মাইল (৯৭ কিমি) অভ্যন্তরে অবস্থিত। সকল শহরাঞ্চলসমূহ আল-হাসার ঐতিহ্যবাহী মরুদ্যানগুলিতে অবস্থিত। মরুদ্যান ছাড়াও দৈত্যাকৃতি খালি এলাকা মরুভূমিও কাউন্টিটির অন্তর্ভুক্ত, এটি অঞ্চল হিসাবে সৌদি আরবের বৃহত্তম প্রশাসনিক অঞ্চল। খালি এলাকায় বিশ্বের বৃহত্তম তেল ক্ষেত্রটি অবস্থিত এবং এটি সৌদি আরবকে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানের সাথে সংযুক্ত করেছে। গভর্নোরেটের জনসংখ্যা ১১,০০,০০০ (২০১০ সালের প্রাক্কলন) এরও বেশি। আল-আহসা অতীতে কাতিফ এবং বর্তমান বাহরাইন দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে বাহরাইন নামে পরিচিত ঐতিহাসিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সৌদি আরবের বড় বিশ্ববিদ্যালসমূহের একটি বাদশাহ ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাম্পাস আল-আহসায় অবস্থিত, ১৯৭৫ সালে ক্যাম্পাসটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এখানে কৃষি, প্রাণি চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং প্রাণী সম্পদ অনুষদ আছে। হফুফ ক্যাম্পাসে সৌদি মেয়েদের চিকিৎসা, দন্তচিকিৎসা এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে পড়ার সুবিধাও রয়েছে। বেসরকারী আরব উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বৃহৎ শাখাও আল-আহসায় অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আল-আহসায় প্রচুর পরিমাণে পানি পাওয়া যাওয়ায় প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই এখানে বসতি গড়ে উঠেছে।

৬২৭ খ্রিস্টাব্দ: মুহাম্মদ আল-তারাফায় বনু তালাবায় তৃতীয় অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এটি এখন আল-আহসা গভর্নোরেটের অন্তর্ভুক্ত।

৮৯৯: আল-আহসায় কারমাতিয় নেতা আবু সা'দ জান্নবির নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বাগদাদের আব্বাসীয়দের কাছ থেকে স্বাধীন ঘোষণা করে। এর রাজধানী ছিল আল-মুমিনিয়া (বর্তমান সময়ের হফুফের নিকটবর্তী ছিল)।

১০০০: আল-আহসা ১১০,০০০ অধিবাসী নিয়ে পৃথিবীর ১০ টি বৃহত্তম শহরের মধ্যে একটি ছিল।

১০৭৭: কারমতিয় রাষ্ট্র আল-আহসাকে ইয়ুনিদরা উৎখাত করে।

১২৩৮: আসফুরিয় রাজবংশ আল-আহসা এবং আল-কাতিফ অঞ্চল দখল করে।

১৩৮৩: জারওয়ানিয়রা আসফুরিয়দেরকে উৎখাত করে।

১৪৪০: জাবরীয়রা আল-আহসা, কাতিফ, বাহরাইন এবং কিশ দ্বীপ দখল করে এবং পূর্ব নজদে তাদের প্রভাব বিস্তার করে।

১৫২১: জাবরীয় রাজ্যটি দক্ষিণ ইরাকের মুনতাফিক উপজাতিদের দখলে চলে যায়, তারা উসমানীয় সাম্রাজ্যের পক্ষে আল-আহসা শাসন করেন। উসমানীয়রা এ অঞ্চলে তাদের গ্যারিসন স্টেশন করে।

১৬৭০: বনু খালিদ উপজাতিরা উসমানীয়দের বিতাড়িত করে, তারা আল-মুবাররাজে তাদের রাজধানী স্থাপন করে।

১৭৯৫: প্রথম সৌদি রাষ্ট্র গঠনের সময় সৌদি সৈন্যদল এটি জয় করে নেয়।

১৮১৮: উসমানীয় সাম্রাজ্যের উসমানীয়দের মিশরীয় বাহিনী পুনরায় বিজয় লাভ করে এবং প্রথম সৌদি রাষ্ট্রকে উৎখাত করে এবং বনু খালিদের স্থানীয় গোত্রকে স্ব-শাসন মঞ্জুর করে।

১৮৩০: দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আসে।

১৮৭১: দ্বিতীয় সৌদি রাজবংশের নিকট থেকে অঞ্চলটিকে আবার উসমানীয় সাম্রাজ্য অধিকার করে নেয়; তবে এবার বনু খালিদ গোষ্ঠীর অধীনে স্ব-শাসনের পরিবর্তে বাগদাদ থেকে সরাসরি শাসন করা হয়, যা অতীতে উসমানীয়দের অধিনে থাকার সময়ে ঘটেছিল।

১৯১৩: বাদশাহ আব্দুল আজিজ আল সৌদ আল-আহসা মরুদ্যান জয় করেন এবং এটিকে তাঁর নজদ রাজ্যের সাথে যুক্ত করেন। (এটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্যান্য সরকারী বিভক্তিকরণের মতো ১৯২০ সালে স্বাক্ষরিত সেভ্রেস চুক্তিতে স্বীকৃতি লাভ করে। )

১৯৩২: আল-আহসা বাদশাহ আবদুল আজিজের অধীনে সৌদি আরব রাজ্যের অংশ হয়ে যায়। ।

১৯৩০ এর দশক: দাম্মামের কাছে বিশাল পেট্রোলিয়াম খনির সন্ধান পাওয়া যায়, ফলে এই অঞ্চলে দ্রুত আধুনিকীকরণ হয়।

ক্বারা পর্বত, এটি হফুফ শহরের ১৬ কিমি (৯.৯ মাইল) পূর্বে অবস্থিত

১৯৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে: আল-আহসায় তেল ক্ষেত্রগুলিতে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ব্যারেল তল উৎপাদন হতে থাকে।

জনসংখ্যা এবং অর্থনীতি[সম্পাদনা]

২০০৫ সালের হিসাব অনুসারে, আল-আহসায় ৯০৮,০০০ জনেরও বেশি অধিবাসী রয়েছে। তাদের সকলেই মুসলমান। কয়েক শতাব্দী ধরে বাস করা মরুদ্যানের বাসিন্দারা বনু আবদুল কায়েস, বনু উকায়িল এবং বনি খালিদ গোষ্ঠির অন্তর্ভুক্ত।

তেল উৎপাদন এবং কৃষি আল আহসার প্রধান দুটি অর্থনৈতিক কার্যক্রম। বিশ্বের কয়েকটি বৃহৎ তেল ক্ষেত্র আল-আহসায় অবস্থিত।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক মিঠা পানির ঝর্ণা হাজার হাজার বছর ধরে প্রবাহিত হচ্ছে যা মানব বসতি এবং কৃষিকাজকে (বিশেষ করে খেজুর চাষকে) উৎসাহিত করেছে। সৌদি কৃষি মন্ত্রণালয় প্রতিদিন পাঁচ টন উৎপাদনক্ষম উন্নতমানের খেজুর প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একটি কারখানা স্থাপন করেছে। অন্যান্য কৃষিদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে চাল, ভুট্টা, লেবুজাতীয় ফল এবং অন্যান্য ফল। এছাড়াও হাজার হাজার ভেড়া, ছাগল, গবাদিপশু এবং উট পালন করা হয় এবং ১৫ টিরও বেশি বৃহৎ হাঁস-মুরগীর খামারে বছরে ১০ কোটিরও বেশি ডিম উৎপাদিত হয়, যা আল-আহসাকে রাজ্যের অন্যতম প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী হিসাবে পরিণত করেছে।

ঐতিহ্যবাহী ছোট-ছোট কুটির শিল্পের ধরনের (যেমন, ঐতিহ্যবাহী মিসলা আঙরাখা এবং মৃৎশিল্প) এবং সিমেন্ট এবং প্লাস্টিকের মতো বৃহৎ শিল্পকারখান  উভয় ধরনের উৎপাদনকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

যোগাযোগ[সম্পাদনা]

বিমানবন্দর[সম্পাদনা]

আল-আহসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আইএটিএ: এইচওএফ) শহরের প্রধান বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি শহরের কেন্দ্র থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং জেদ্দা, আল-মদিনায় সাপ্তাহিক স্থানীয় ফ্লাইট এবং দুবাইতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে।

সড়ক পথ[সম্পাদনা]

শহরটি একটি আধুনিক প্রধান মহাসড়ক ব্যবস্থা দ্বারা সংযুক্ত হয়েছে; আল-আহসা / রিয়াদ মহাসড়ক; যা শহরটিকে সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করেছে।

আল-আহসা / দাম্মাম মহাসড়ক; যা শহরটিকে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের বাকী অংশের সাথে এবং কুয়েতের সাথে সংযুক্ত করেছে।

আল-আহসা / আবুধাবি মহাসড়ক; যা শহরটিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানের সাথে সংযুক্ত করেছে।

রেলপথ[সম্পাদনা]

শহরটিতে একটি রেল স্টেশন রয়েছে যার মাধ্যমে পশ্চিমে রাজধানী রিয়াদ এবং উত্তরে দাম্মামের সাথে শহরটি যুক্ত হয়েছে।

বাস[সম্পাদনা]

সৌদি গণপরিবহন সংস্থা (স্যাপটকো) নামে পরিচিত রাজ্যের প্রধান বাস সংস্থা রাজ্যের অভ্যন্তরে এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে বাস চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি[সম্পাদনা]

  • এটি কারুশিল্প এবং লোকশিল্পের জন্য ইউনেস্কোর ক্রিয়েটিভ সিটিস নেটওয়ার্কের অধীনে তালিকাভুক্ত পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে প্রথম শহর।
  • এটি ইউনেস্কো কর্তৃক ২০১৮ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবেও মনোনীত হয়।
  • ২০১৯ সালে আল-আহসাকে আরব পর্যটন রাজধানী হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল।[২]

খেজুর গাছ[সম্পাদনা]

আল-আহসা অঞ্চলটি তিন কোটিরও বেশি খেজুর গাছ নিয়ে গর্বিত। প্রতিদিন পাঁচ টন উৎপাদনক্ষম উন্নতমানের খেজুর প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় একটি কারখানা স্থাপন করেছে।

প্রধান শহর[সম্পাদনা]

  • আল-হফুফ আল-আহসাহ প্রদেশের রাজধানী শহর এবং এখানে প্রচুর ঐতিহ্যবাহী বাজার রয়েছে।
  • আল-মুবারাজ, আরবিতে المبرز, গভর্নোরেটের দুটি প্রধান শহরের মধ্যে একটি।
  • আল-ওয়ুন (আল-ইউয়ুন বা আল-ওউন বানানেও লেখা হয়)
  • আল-ওমরান (আল-উমরান বানানেও লেখা হয়), আরবিতে العمران, এর আয়তন ৬ বর্গকিরোমিটার (২.৩ বর্গমাইল) এরও বেশি এবং জনসংখ্যা ৪৯,০০০ এরও বেশি (১৯৯৭ সালে)। এটি আল-হুতাহ, আল-রুমাইলা, উত্তর আল-ওমরান, দক্ষিণ আল-ওমরান, ঘোমসি, আল-উলায়িয়াহ, আবু আল-হাসা, আবু তুর, আল-সায়ায়রাহ, আল-সুভিদ্রাহ, আল-আরমিয়া, ফারিক আল-রামল, ওয়াসিত, আল-শুওয়াইকিয়াহ, আল-সাবায়খ এবং আল-নাখিল সহ প্রায় ১৭ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। আল-সোয়াব ক্লাবটি আল-ওমরানে অবস্থিত।
  • শায়বাহ ( খালি কোয়ার্টারে অবস্থিত তেল শহর)

গ্রাম[সম্পাদনা]

আল-আহসা একটি বিশাল অঞ্চল যেখানে প্রচুর গ্রাম এবং ছোট ছোট শহর অবস্থিত। মরুদ্যানের সাথে তাদের সম্পর্কিত অবস্থান অনুসারে গ্রামগুলিকে সাধারণত দুটি প্রধান গ্রুপে ভাগ করা হয়। যদিও গ্রামগুলিতে বড় বাজার এবং/বা হাসপাতালের অভাব রয়েছে, তবে কয়েকটি ভাল পলিক্লিনিক এবং ছোট বাজার রয়েছে। অনেক গ্রামে ছোট ব্যাংক শাখা এবং স্বয়ংক্রিয় টেলার মেশিন আছে। সম্প্রতি গ্রাম ও শহরগুলির মধ্যে কয়েকটি প্রধান রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ এবং পুনর্নির্মাণের ফলে প্রভূত উন্নতি হয়েছে।

আল-আহসায় প্রায় ৫০ টি গ্রাম রয়েছে, তাদের অবস্থান অনুসারে কয়েকটির তালিকা নীচে দেওয়া হলো:

পূর্বাঞ্চলীয় গ্রামসমূহ[সম্পাদনা]

এখানে একটি অসম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া হয়েছে (১৯৯৭ সালের হিসাব অনুসারে জনসংখ্যা):

  • আল-তারাফ (+২৭,০০০) তার চারটি পাহাড় এবং এর ছোট চিড়িয়াখানার জন্য বিখ্যাত। আল-রুমাইলা (সম্ভবত +১২,০২০) এটি সুপরিচিত কারণ মুহাম্মাদের সময়ে আল-রোমাইলা বিদ্যমান ছিল।
  • আল-হোলাইলা (+২১,০০০)
  • আল-বাত্তালিয়া (+২০,০০০)
  • আল-শু'বা (+১৭,০০০)
  • আল-ওমরান (+৪৯,০০০) একটি সুপরিচিত গ্রাম এবং এর নিজস্ব পৌরসভা রয়েছে
  • আল মুনাইজলাহ (+১৭,০০০)
  • আল-গারাহ (+১৩,০০০) তার পাহাড় জাবাল আল-গারাহ এর জন্য সুপরিচিত
  • আল-জাফর (+১৩,০০০) নিজস্ব থানা এবং অন্যান্য সরকারী দফতরের জন্য সুপরিচিত
  • আল-কিলাবিয়াহ (+১২,০০০) আল-হফুফ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটাব (৬.২ মাইল) এর মধ্যে অবস্থিত
  • আল-মনসুরাহ (+১০,০০০)
  • আল-তোয়াইথির (+৮০০০)
  • আল-ফুদুল (+৮০০০)
  • আল-মারকাজ (+৯০০০) ( আরবি: ٱلْمَرْكَز, আরবি: قَرْيَة ٱلْمَرْكَز, প্রতিবর্ণীকৃত: Qaryat Al-Markaz, এছাড়াও আল-মার্কেজ বানানে লেখা হয়)। আল-হফুফ থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটাব (৯.৩ মাইল) এর মধ্যে অবস্থিত।
  • আল-হোতাহ (সম্ভবত +৭০০০)
  • বনি মা'আন (আরবি: بَنِي مَعن), প্রাচীনতম গ্রামগুলির মধ্যে একটি। অতীতে এটি আরও বড় ছিল বলে মনে করা হয়।
  • আল-দালওয়া
  • আল-সাহারিন
  • আল-সাবাত
  • আবু থর
  • আল-তুরাইবিল
  • আল-তুহাইমিয়াহ
  • আল-মাজাবি
  • আল-যিশাহ (+২৯,০০০)
  • আল-জুবাইল (+১০,০০০)

উত্তরাঞ্চলীয় গ্রামসমূহ[সম্পাদনা]

এখানে অসম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া হয়েছে:

  • আল-ঘেরিয়া
  • আল-মুতাইরফি (+২৯,০০০) এটি প্রাকৃতিক ঝরণার জন্য সুপরিচিত
  • আল-জুলাইজলাহ
  • আল-মারাহ
  • আল-গার্ন
  • আল-শিগাইগ
  • আল-ওয়াযিয়াহ ।

সম্মিলিত ছোট ছোট গ্রামসমূহ[সম্পাদনা]

এখানে অসম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া হয়েছে:

  • আল হাফায়ের
  • ইয়াব্রিন

জলবায়ু[সম্পাদনা]

আল-আহসায় শুকনো, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু বিদ্যমান, পাঁচ মাস গ্রীষ্মকাল এবং তুলনামূলকভাবে শীতকালীন আবহাওয়া বিরাজ করে। এখানে প্রচুর পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ আছে যা এই অঞ্চলকে তার কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নের সুযোগ করে দিয়েছে। এরপরও আল-আহসাকে প্রচুর পরিমাণে বালুর মোকাবেলা করতে হয় যা বাতাসে বহন করে এবং জমির উপর জমা হয়। এই সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য রাজ্য বায়ুবাহিত বালু দ্বারা জনবসতি ও কৃষিক্ষেত্রকে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে গাছের বিশাল বাধা রোপণ করেছে।

ঐতিহাসিক এবং বিনোদন স্থান[সম্পাদনা]

জাওয়াথা মসজিদ

ইসলামের প্রাচীনতম মসজিদগুলির একটি বিখ্যাত জাওয়থা মসজিদও এখানে অবস্থিত, একইসাথে উসমানীয় তুর্কি বৈশিষ্টমন্ডিত ক্বছর ইব্রাহিম এবং ক্বছর সাহুদের মতো ভবনসহ কয়েকটি ঐতিহাসিক ভবনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। ডাচ অনুসন্ধানকারী ও ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত নুড হলমবো (১৯০২-১৯৩১) তাঁর মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণের সময় পুরাতন আল-আহসা এবং পূর্ব প্রদেশের অনেকগুলি ছবি  তোলেছিলেন।

এখানে কয়েকটি ঐতিহাসিক এবং বিনোদনমূলক স্থানের তালিকা রয়েছে:

  • জাওয়থা মসজিদ
  • উকাইর : সমুদ্র বন্দর পূর্ব আল-আহসায় পারস্য উপসাগরে তীরে অবস্থিত। এটি একটি মৎস-শিকার এবং পরিবহন স্থান হিসাবে তার মূল ভূমিকাটি হারিয়ে ফেলেছে এবং বর্তমানে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে একটি ভ্রমণ স্থানে পরিনত হয়েছে।
  • ক্বছর ইব্রাহিম ( আরবি: قَصْر إِبْرَاهِيْم) উসমানীয় শাসনামলের সময় নির্মিত একটি দুর্গ। এটি আল-হফুফ শহরে বিশিষ্টভাবে অবস্থিত।
  • উম্মে সাবার মতো প্রাকৃতিক ঝরণা অবিচলিত হারে আরোগ্যদায়ক খনিজ পানি সরবরাহ করে।
  • জাবাল আল-গারাহ হলো আল-গারাহতে অবস্থিত একটি পাহাড় (স্থানীয়ভাবে একটি পর্বত নামে পরিচিত) একই নামের একটি গ্রাম গরমের মাসগুলিতে শীতল বায়ু সরবরাহ করে।
  • ক্বছর সাহুদ (আরবি: قصر صاهود) আল-মুবাররাজ শহরে উসমানীয় শাসনামলের সময় নির্মিত একটি প্রাসাদ।
  • সালওয়া সমুদ্র সৈকত (আরবি: شاطىء سلوى) আল-হফুফ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দূবে অবস্থিত বালুকাময় সৈকত।
  • আল-শু'বাহ পর্বত (আরবি: جبل الشعبة)।
  • জাবল আল-আরবাʿ (আরবি: جبل الأربع) কাতারের পথে আল-হফুফ থেকে প্রায় ২১ কিমি (১৩ মাইল) দূরে বেলে পাহাড়।
  • আল-আহসা জাতীয় যাদুঘর।
  • আল-আহসান জাতীয় উদ্যান, এটি আল-ওমরান শহরে অবস্থিত।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • পূর্ব প্রদেশ, সৌদি আরব
  • পৃথিবীর বৃহত্তম তেলক্ষেত্র ঘওয়ার তেলক্ষেত্র সৌদি তেলের অর্ধেকেরও বেশি তেল উৎপাদন হয়

উদ্ধৃতিসমূহ[সম্পাদনা]

  1. Cavendish, Marshall (২০০৭)। "Geography and climate"। World and Its Peoples। Cavendish Square Publishing। পৃষ্ঠা 8–19। আইএসবিএন 978-0-7614-7571-2 
  2. "Al-Ahsa: Home to the most prominent archaeological and historical sites in Saudi Arabia"Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৬-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০১ 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ^ রিয়াদ সংবাদপত্র
  2. ^ Recreation Utilities in Al-Ahsa by Abdullah Al-Shayeb

উৎস[সম্পাদনা]

  • আল-আহসা একটি ভৌগোলিক গবেষণা - আবদুল্লাহ আল-তাহের
  • আবদুল্লাহ আল-শায়েব রচিত আল-আহসায় বিনোদন উপযোগিতা

বাহিঃ সংযোগ[সম্পাদনা]