আলাপ:বাংলাদেশী পাসপোর্ট

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দৃষ্টি আকষর্ণ প্রসঙ্গে ।[সম্পাদনা]

জনাব, আমি বিগত এক বছর যাবত এশিয়ার অন্যতম আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র ‌‌‌"কাতার"-এ অবস্থান করছি । এখানে একটি লাইব্রেরীতে টাইপরাইটার হিসেবে কর্মরত আছি । এ দেশে কোন শ্রমিক বা ভিজিটরের আসা থেকে যাওয়া পযর্ন্ত বিভিন্ন ধরনের সরকারি ফরম পূরণ করতে হয় । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ভিসা আবেদন, মেডিকেল ফরম, ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করন, ছুটিতে যাওয়ার ফরম, ক্যানসেল ফরম সহ শতাধিক ফরম রয়েছে । আর এ ফরম পূরণের জন্য যেতে হয় এক জন টাইপরাইটারের কাছে । কাতারের বিভিন্ন স্থানে বহুসংখ্যক টাইপরাইটার এ কাজ গুলো করে থাকে । আমি তাদের মধ্যে এক জন । আমার এই স্বল্প সময়ে আন্তত ৩০টি দেশের পাসপোর্ট -এর সাথে পরিচিতি লাভ করেছি । এই সামান্য অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের দেশের পাসপোর্ট সম্বন্ধে একটু আলোচনা করতে চাই । হাতে-লেখা পুরনো পাসপোর্ট -এর পরিবর্তে বতর্মান 'মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট' সত্যিকার অর্থেই অগ্রযাত্রার পথিকৃত । যা বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়াবার একটি মাধ্যম । যে দেশের পাসপোর্ট যত আধুনিক ও উন্নত বহিবির্শ্বের কাছে সে দেশ ততো আধুনিক ও উন্নত বলে বিবেচ্য হয় । বাতর্মানে আমাদের দেশের পাসপোর্ট আধুনিকতার ছোঁয়া পেলেও এর ভিতরে রয়েগেছে অপরিচ্ছন্নতা ও অতিরঞ্জিত চাকচিক্য, যা শুধু হীনমন্যতাই প্রকাশ করে না বরং এ কারণে মানুষকে যথারীতি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে । প্রথমত, পাসপোর্টে ছবি অস্পষ্ট ও অন্ধকার । অথচ এই পাসপোর্ট বহিবির্শ্বে এক জন মানুষের পরিচয় পত্র । যর মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ব্যক্তির ছবি । দ্বিতীয়ত, জলছাপা ও ডিজাইনের ব্যপকতা । পাসপোর্টের বিবৃতি পাতায় অত্যধিক আর্ট ও ডিজাইনের ফলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে । বতর্মান আধুনিক এই যুগে অতিরিক্ত হিজিবিজি ডিজাইনের কোন মূল্য আছে বলে আমি মনে করি না । যদি একান্তই ডিজাইন করতে হয় পাসপোর্টের অন্যান্য পাতায় কারা যেতে পারে । কেননা প্রথমে ভিসা আবেদন করার জন্য পাসপোর্টের ফটোকপি প্রয়োজন হয় । যা আমাদের দেশ থেকে ই-মেইল, ফ্যাক্স অথবা কারো মাধ্যমে সরাসরি পাঠানো হয় । আমাদের দেশের পাসপোর্ট যদি স্বাভাবিক ভাবে ফটোকপি করা হয় তা অত্যধিক কালো হয়ে যায় । আর যদি ব্রাইটনেস বাড়িয়ে ফটোকপি করা হয় তবে অনেকাংশের লেখা হারিয়ে যায় । বিশেষ করে ব্যক্তির ছবি ও বিবৃতির মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত গোলাকৃতির চকচকে একটি লোগো যা কখনো কখনো মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে । তৃতীয়ত, INFORMATION OF THE BEARER পাতায় ব্যক্তির যে বৃত্তান্ত ছাপানো হয়েছে তা অস্পষ্ট, অপরিচ্ছন্ন ও খুদ্রাকৃতির । তাছাড়া এক শব্দ থেকে অপর শব্দের মাঝে স্পেস কম হওয়ার কারনে পুরো লাইনটি-ই একটি শব্দ বলে মনে হয়। ব্যক্তির Father's Name, Mother's Name, Spouse's Name, Permanent Address -এ চারটি অপশন একই সীমারেখায়, অথচ প্রথমে Name এবং Emergency Contract -এর অপশন গুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে । যা সত্যিকার অর্থেই দৃষ্টিকটু । আর লেখার ফন্ট গুলো Times New Roman এর পরিবর্তে Arial ক্যটাগরির ফন্ট দিয়ে লেখা হলে লেখা গুলো স্পষ্ট ও দৃষ্টিনন্দন হবে বলে আমি মনে করি । চতুথর্ত, বতর্মান পাসপোর্টের কভার-পেইজ খুবই নমার্ল কোয়ালীটির । যা দেখলে দারিদ্রতারই আভাস পাওয়া যায় । বরং এর চেয়ে পুরনো পাসপোর্টের কভার-পেইজ মজবুত ও মানসম্পন্ন ছিল । আমি যত গুলো দেশের পাসপোর্ট দেখেছি তার মধ্যে আমাদের দেশের পাসপোর্টেরই কভার-পেইজ নিম্ন মানের মনে হয় ।

যাই হোক, আমাদের দেশের পাসপোর্টের সমালোচনা করা আমার উদ্দেশ্য নয় । এ কথা অবশ্যই সত্য যে, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের পাসপোর্ট একেবারে মন্দ নয় । কিন্তু আমি চাচ্ছি আমর সোনার বাংলার পাসপোর্ট হোক আরো উন্নত, হোক সমৃদ্ধ । মাথা উঁচু করে দাড়াক বিশ্বের বুকে।

আমার দেখা মতে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত-এর পাসপোর্ট আমার কাছে সুন্দর বলে মনে হয় । এটি একটি মধ্য-মানের পাসপোর্ট । সাদা-সিদে ডিজাইনের ভিতরে এর ছবি ও লেখায় যথেষ্ট স্বচ্ছতা রয়েছে । এর কভার-পেইজ ও ভিতরের কগজ মানসম্মত । সব কিছু মিলিয়ে এটিকে আধুনিক পাসপোর্ট বলা যেতে পারে ।


আমার আলোচিত বিষয়টি সুদৃষ্টিতে বিবেচনা করাবেন এই আশা ব্যক্ত করে আমার লেখা এখানেই ইতি টানলাম ।


মোঃ ইলিয়াস আহমেদ । প্রবাসী বাঙালি, দোহা - কাতার ।

আমাার পাাসপোর্ট হাারিয়ে গেছে এখন আমি কী করব[সম্পাদনা]

কী করব Mainuddin421 (আলাপ) ২৩:০৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]