আলাপ:আম্রপালি (আম)

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

১৯৭৮ সালে ভারতের আম গবেষকরা দশহোরি ও নিলাম-এই দুটি আমের মধ্যে সংকরায়ণের মাধ্যমে আম্রপালি আমের জাত উদ্ভাবন করেন। এই জাতের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত আমাদের দেশের আবহাওয়ার কারণে উন্নত জাতের আম এক গাছে এক বছর ফলে পরের বছর ফলে না। কিন্তু আম্রপালি প্রতিবছর ফলে। এর মিষ্টতার পরিমাণ ল্যাংড়া বা হিমসাগরের চেয়ে বেশি।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭৮ সালে ভারতের আম গবেষকরা দশহোরি ও নিলাম-এই দুটি আমের মধ্যে সংকরায়ণের মাধ্যমে আম্রপালি আমের জাত উদ্ভাবন করেন। এই জাতের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত আমাদের দেশের আবহাওয়ার কারণে উন্নত জাতের আম এক গাছে এক বছর ফলে পরের বছর ফলে না। কিন্তু আম্রপালি প্রতিবছর ফলে। এর মিষ্টতার পরিমাণ ল্যাংড়া বা হিমসাগরের চেয়ে বেশি।

বিস্তারিত[সম্পাদনা]

আম্রপালি, আমরুপালী না কী রুপালী? কোন নামটি সঠিক তা নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছেই। আমের মৌসুমে এই নাম বিভ্রাট আপনার কানেও পৌছেছে নিশ্চয়। অনেকে রীতিমত তর্কে জড়িয়ে পড়েন। আম্রপালি সঠিক আবার অপরপক্ষ শতভাগ নিশ্চিত এই আমের নাম আমরুপালী। কারণ অনেক আমের দোকানে রীতিমত লেখাই থাকে। ইদানিং সংক্ষেপে এই আমের নাম দিয়েছেন রুপালী। তাই রীতিমত বিভ্রাট এবং বিভ্রান্তি বাড়ছে সর্বত্র।


এই বিভ্রান্তি ভেঙ্গে দিয়ে জার্ম প্লাজম সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফল বিজ্ঞানী ড. আব্দুর রহিম বলেন, এই আমের জাতটির প্রকৃত নাম আম্রপালি। কৃষি প্রতিদিনকে ড. রহিম বলেন, কথায় কথায় জাতটির নামের বিকৃতি হচ্ছে ঠিক তবে সেটি উদ্দেশ্যমূলক নয় বলেই মেন হয়।


তিনি জানান, ভারতীয় আমের এ জাতটি বাংলাদেশে আসে ১৯৮৪ সালে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ এনামুল হক এবং চুয়াডাঙ্গার আজাদ হাইব্রিড নার্সারির কর্ণধার আবুল কালাম আজাদের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে আমদানি করা হয় আম্রপালি জাত।

হাইব্রিড এ জাতটি উদ্ভাবন হয় ১৯৭১ সালে। ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ড. পিযুষ কান্তি মজুমদার 'দশেরী' এবং 'নিলম' জাতের দুটি আমের সংকরায়নের মাধ্যমে নতুন এ জাতটি উদ্ভাবন করেন। যার নাম দেয়া হয় আম্রপালি।