আর্খিপ কুইন্ডজি
আর্খিপ কুইন্ডজি | |
---|---|
Архи́п Ива́нович Куи́нджи | |
![]() ১৮৬৯ সালে ভিক্টর ভাসনেটসভ অঙ্কিত কুইন্ডজির প্রতিকৃতি | |
জন্ম | আর্খিপ ইভানোভিচ কুইন্ডজি ২৭ জানুয়ারি ১৮৪২ |
মৃত্যু | ২৪ জুলাই ১৯১০ | (বয়স ৬৮)
স্মৃতিস্তম্ভ | দেখুন |
জাতীয়তা | রুশ |
শিক্ষা | একাডেমি অব আর্টসের পূর্ণ সদস্য (১৮৯৩) |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইম্পেরিয়াল একাডেমি অব আর্টস (১৮৬৮) |
পেশা |
|
কর্মজীবন | –১৯১০ |
উল্লেখযোগ্য কর্ম |
|
আন্দোলন | বাস্তবতাবাদ |
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার | ব্রোঞ্জ পদক (লন্ডন, ১৮৭৪) |
স্বাক্ষর | |
![]() |
আর্খিপ ইভানোভিচ কুইন্ডজি (বা কুইঞ্জি; রুশ: Архи́п Ива́нович Куи́нджи উচ্চারিত [ɐrˈxʲip kʊˈindʐɨ]; গ্রিক: Αρχίπ Κουίντζι; ২৭ জানুয়ারি ১৮৪২ – ২৪ জুলাই ১৯১০) ছিলেন গ্রিক বংশোদ্ভূত একজন রুশ ভূদৃশ্য চিত্রশিল্পী ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
আর্খিপ ইভানোভিচ কুইন্ডজি ১৮৪২ সালের ২৭ জানুয়ারি তৎকালীন রুশ সাম্রাজ্যের মারিওপোলে জন্ম নেন। তিনি তাগানরোগ শহরে ছেলেবেলা কাটান। তার খ্রিস্টান নাম গ্রিক, Ἄρχιππος, (আর্চিপোস, ἄρχος (আর্কোস) "মালিক" এবং ἱππος (হিপ্পোস) "ঘোড়া": "ঘোড়ার মালিক"; তুলনা. Colossians ৪:১৭;) থেকে রুশ অনুবাদ, এবং তার পদবিটি তার দাদার ভোকেশনাল ডাক নামের একটি রুশ উপস্থাপনা যার অর্থ তাতার ভাষায় 'স্বর্ণকার' (তুলনা. তুর্ক, কুয়ুমকু)।[১] তার পিতা ইভান খ্রিস্টোফোরিভিচ কুইন্ডজি ছিলেন পন্টিক গ্রিক জুতো প্রস্তুতকারক। কুইন্ডজি একটি দরিদ্র পরিবারে বড় হয়েছেন। ছয় বছর বয়সে কুইন্ডজির পিতা-মাতা মারা যান। তাই তাকে গৃহপালিত পশু চারণ এবং গির্জার ভবনে ও ভুট্টার বণিকের দোকানে কাজ করাতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি পরিবারের একজন গ্রিক শিক্ষক বন্ধুর নিকট তিনি প্রাথমিক পাঠ নেন এবং পরে স্থানীয় বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।
শিক্ষা ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]
১৮৫৫ সালে, ১৩-১৪ বছর বয়সে ইভান আইভাজভস্কির অধীনে শিল্প অধ্যয়নের জন্য কুইন্ডজি ফিডোসিয়া সফর করেছিলেন। তবে তিনি কেবল রঙ মিশ্রিত করার কাজেই নিযুক্ত ছিলেন।[২] পরিবর্তে আইভাজভস্কির ছাত্র অ্যাডল্ফ ফ্যাসলারের সাথে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি।[৩] ১৯০৩ সালের একটি বিশ্বকোষীয় নিবন্ধে বলা হয়েছিল: "যদিও কুইন্ডজিকে আইভাজভস্কির ছাত্র বলা যায় না, তবে পরবর্তীকালে সন্দেহাতীতভাবেই তিনি চিত্রাঙ্কনের পদ্ধতিতে আইভাজভস্কির কাছ থেকে অনেক ধার করেছিলেন।"[৪] ব্রিটিশ শিল্প ইতিহাসবিদ জন ই. বোল্ট লিখেছেন যে "আইভাজভস্কির সূর্যাস্ত, ঝড় এবং মহাসাগরগুলির সাথে জড়িত আলো ও রূপের প্রাথমিক জ্ঞানটি যুবক কুইন্ডজিকে স্থায়ীভাবে প্রভাবিত করেছিল।"[২]
১৮৬০ থেকে ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত এই পাঁচ বছর, কুইন্ডজি তাগানরোগে সিমিয়ন ইসাকোভিচের আলোকচিত্রশিল্প স্টুডিওতে রিটাচার হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি নিজের আলোকচিত্রশিল্প স্টুডিওটি খোলার চেষ্টা করেছিলেন, তবে ব্যর্থ হন। এরপরে কুইন্ডজি সেন্ট পিটার্সবার্গের উদ্দেশ্যে তাগানরোগ ত্যাগ করেন।
তিনি মূলত স্বাধীনভাবে চিত্রকর্ম অধ্যয়ন করেছেন। পরে ১৮৬৮ থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ একাডেমি অব আর্টসে অধ্যয়ন করেন এবং ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত একজন পূর্ণ সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলে ন। তিনি ভ্রমণ শিল্প প্রদর্শনী পেরেদভিজনকির সহ-অংশীদার ছিলেন। এটি একশ্রেণীর রুশ বাস্তববাদী শিল্পী গোষ্ঠি যারা একাডেমিক বিধিনিষেধের প্রতিবাদে একটি শিল্পী সমবায় গঠন করেছিলেন যা ১৮৭০ সালে ভ্রমণ শিল্প প্রদর্শনী সমাজে রূপান্তরিত হয়েছিল।
১৮৭২ সালে একাডেমি ত্যাগ করে তিনি মুক্তপেশাজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ভালাম দ্বীপে (১৮৭৩) চিত্রকর্মটি ছিল প্রথম শিল্পকর্ম যা পাভেল ট্রেটিয়াকভ তার আর্ট গ্যালারির জন্য অধিকৃত হয়ছিলেন। ১৮৭৩ সালে লন্ডনে আন্তর্জাতিক শিল্প প্রদর্শনীতে তুষার চিত্রকর্মের জন্য তিনি ব্রোঞ্জ মেডেল লাভ করেন। ১৮৭০-এর দশকের মাঝামাঝি তিনি বেশকয়েকটি চিত্রকর্ম তৈরি করেছিলেন, যাতে পেরেডভিজনিকির চেতনায় কংক্রিট সামাজিক সংস্থার জন্য ভূদৃশ্য মোটিফ করা হয়েছিল। যার মধ্যে বিস্মৃত গ্রাম (১৮৭৪), চুমাটস্কি পথ (১৮৭৫), দুটো চিত্রকর্মই ট্র্যাটিয়াকভ গ্যালারিতে সংরক্ষিত রয়েছে।
কাজের চুরি[সম্পাদনা]
২০১৯ সালে ১৯ জানুয়ারি, মস্কোর ট্র্যাটিয়াকভ গ্যালারি থেকে দিবালোকে তার শির্পকর্ম আই-পেট্রি. ক্রিমিয়া চুরি গিয়েছিল, পরবর্তীতে আবার তা উদ্ধার করা হয়।[৫]
কাজ[সম্পাদনা]
নিপারে সকাল (১৮৮১)
নিপারে জোৎস্নারাত (১৮৮০), ট্র্যাটিয়াকভ গ্যালারি
এলব্রুস (১৮৯০–১৮৯৫), ট্র্যাটিয়াকভ গ্যালারি
ইউক্রেনে সন্ধ্যা (১৮৭৮–১৯০১)
নিপারে লাল সূর্যাস্ত (১৯০৫)
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Arkhip Ivanovich Kuinji (1842-1910)" (ইংরেজি ভাষায়)। artroots.com। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ বোল্ট, জন এলিস (১৯৭৫)। "A Russian Luminist School? Arkhip Kuindzhi's "Red Sunset on the Dnepr""। মেট্রোপলিটান মিউজিয়াম জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। মেট্রোপলিটান মিউজিয়াম অব আর্ট। ১০: ১২৩–২৫। জেস্টোর 1512704। ডিওআই:10.2307/1512704।
- ↑ মানিন ২০০০, পৃ. ৬।
- ↑ Иванович ১৯০৩।
- ↑ "Painting by Russian artist Arkhip Kuindzhi stolen from Moscow's Tretyakov Gallery" (ইংরেজি ভাষায়)। মস্কো: tass.com। ২৭ জানুয়ারি ২০১৯। ১৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০।
উৎস[সম্পাদনা]
- মানিন, ভাইটালি (২০০০)। Архип Куинджи (রুশ ভাষায়)। মস্কো: Belyĭ gorod। আইএসবিএন 978-5-7793-0219-7। ওএল 12586517M। ওসিএলসি 45622342।
в Феодосию к знаменитому Айвазовскому. Куинджи прибыл в тихую Феодосию, по-видимому, летом 1855 года. ... Устройством Куинджи занялся Адольф Фесслер, ученик и копиист Айвазовского. Жил Архип во дворе под навесом в ...
- Иванович, Куинджи Архип (১৯০৩)। Russian Biographical Dictionary (রুশ ভাষায়)। সেন্ট পিটার্সবার্গ: Imperial Russian Historical Society।
Хотя Куинджи и нельзя назвать учеником Айвазовского, но последний имел на него, несомненно, некоторое влияние в первый период его деятельности; от него он заимствовал многое в манере писать, в выборе тем, в любви к широким пространствам.
|সূত্র=harv}}
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইম্পেরিয়াল একাডেমি অব আর্টসের পূর্ণ সদস্য
- ইম্পেরিয়াল একাডেমি অব আর্টসের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ১৮৪১-এ জন্ম
- ১৯১০-এ মৃত্যু
- ১৯শ শতাব্দীর রুশ চিত্রশিল্পী
- ২০শ শতাব্দীর রুশ চিত্রশিল্পী
- ১৯শ শতাব্দীর চিত্রশিল্পী
- মারিওপোলের ব্যক্তি
- গ্রিক বংশোদ্ভূত রুশ ব্যক্তি
- রুশ পুরুষ চিত্রশিল্পী
- রুশ ভূদৃশ্য চিত্রশিল্পী
- ভূদৃশ্য চিত্রশিল্পী
- পেরেদভিজনিকী
- ইয়েকাটারিনোস্লাভের গভর্নরেটের ব্যক্তি