আরিয়ালুর জেলা

স্থানাঙ্ক: ১১°০৮′১৩″ উত্তর ৭৯°০৪′৩৩″ পূর্ব / ১১.১৩৭০৪° উত্তর ৭৯.০৭৫৮২১° পূর্ব / 11.13704; 79.075821
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আরিয়ালুর জেলা
அரியலூர் மாவட்டம்
তামিলনাড়ুর জেলা
গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে অবস্থিত খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর চোল নিদর্শন
গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে অবস্থিত খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর চোল নিদর্শন
তামিলনাড়ুতে আলিয়ালুর জেলার অবস্থান
তামিলনাড়ুতে আলিয়ালুর জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১১°০৮′১৩″ উত্তর ৭৯°০৪′৩৩″ পূর্ব / ১১.১৩৭০৪° উত্তর ৭৯.০৭৫৮২১° পূর্ব / 11.13704; 79.075821
রাষ্ট্র ভারত
রাজ্য তামিলনাড়ু
প্রতিষ্ঠাতাকরুণানিধি মুথুবেল
সদরআরিয়ালুর
তালুকআরিয়ালুর,
সেন্দুরাই,
উদয়ারপালয়ম,
আণ্ডিমড়ম
সরকার
 • জেলা সমাহর্তাশ্রীমতি ডি. রত্না, আই এ এস[১]
 • পুলিশ সুপারশ্রী ভি.আর. শ্রীনিবাসন, আই পি এস
আয়তন
 • মোট১,৯৪০ বর্গকিমি (৭৫০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[২]
 • মোট৭,৫৪,৮৯৪
 • জনঘনত্ব৩৯০/বর্গকিমি (১,০০০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • দাপ্তরিকতামিল
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
যানবাহন নিবন্ধনটিএন ৬১ (TN 61)
ওয়েবসাইটwww.ariyalur.tn.nic.in

আরিয়ালুর জেলা দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত তামিলনাড়ু রাজ্যের ৩৮ জেলার একটি‌। জেলাটির সদর এবং প্রশাসনিক দপ্তর আরিয়ালুর শহরে অবস্থিত। জেলাটি ১৯৪০ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত।

চোল সাম্রাজ্যের রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল কর্তৃক নির্মিত গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম মন্দিরটি এই জেলায় অবস্থিত একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রাপ্ত জীবাশ্মের জন্য এই জেলাটি ঐতিহাসিকদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। জেলাটিতে বহু বৃহদাকার কম্বোজ প্রাণীর জীবাশ্ম অন্তত পক্ষে একটা জীবাশ্মকৃত ডাইনোসরের ডিম, সাউরোপোডা এবং থেরোপোডা ডাইনোসরের দেহের বিভিন্ন অংশের পৃথক পৃথক জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে।[৩][৪][৫] প্রাপ্ত এই জীবাশ্মগুলি সংরক্ষণ করার জন্য উৎখনন স্থলের নিকটে কীলপাড়ুরে একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে।[৬] আরিয়ালুর সিমেন্ট শিল্প এবং জয়ঙ্কোণ্ডম লিগনাইট আকরিকের খনির জন্য বিখ্যাত৷[৭]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০০১ খ্রিস্টাব্দের ১লা জানুয়ারি তারিখে পেরম্বালুর জেলা থেকে আরিয়ালুর জেলা পৃথক করা হলেও প্রশাসনিক কারণে ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে মার্চ জেলা দুটিকে একত্রিত করা হয়৷ পুনরায় ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে নভেম্বর তারিখে পেরম্বালুর জেলা থেকে আরিয়ালুর জেলা গঠন করা হয়৷ জেলাটির উত্তর ও উত্তর-পূর্বে রয়েছে কডলুর জেলা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে তাঞ্জাবুর জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে তিরুচিরাপল্লী জেলা এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে পেরম্বালুর জেলা৷

গুরুত্বপূর্ণ স্থান[সম্পাদনা]

বৃহদীশ্বর মন্দির, গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম[সম্পাদনা]

দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর জয়ঙ্কোণ্ডমের গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম অবস্থিত বৃহদীশ্বর মন্দিরটি শিবের নামে উৎসর্গীকৃত একটি হিন্দু মন্দির৷ ১০৩৫ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ প্রথম রাজেন্দ্র চোল দ্বারা নির্মিত এই মন্দিরটি তার নতুন রাজধানীর একটি সৌন্দর্য৷ চোল সাম্রাজ্যের সময়কালে নির্মিত এই মন্দিরটি একাদশ শতাব্দীতে নির্মিত জয়ঙ্কোণ্ডম থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে তাঞ্জোরের বৃহদীশ্বর মন্দিরের অনুরূপ ও একই নামবিশিষ্ট৷ গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে অবস্থিত মন্দিরটি তাঞ্জাবুরের বৃহদীশ্বর মন্দিরের থেকে আকৃতিতে ছোট হলেও সূক্ষ্ম ও পরিশীলিত৷ উভয়ই দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বৃহত্তর শিবমন্দিরগুলির মধ্যে গণ্য৷

জনতত্ত্ব[সম্পাদনা]

২০১১ খ্রিস্টাব্দের ভারতের জনগণনা অনুসারে আরিয়ালুর জেলার জনসংখ্যা ছিল ৭,৫৪,৮৯৪ জন,[৯] যা মোটামুটি ভাবে গায়ানা রাষ্ট্রের[১০] বা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা রাজ্যের জনসংখ্যার সমতুল্য।[১১] জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতের ৬৪০ টি জেলার মধ্যে ৪৯১তম স্থান অধিকার করেছে।[৯] জেলাটির জনঘনত্ব ৩৮৯ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,০১০ জন/বর্গমাইল)।[৯] ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৫৪ শতাংশ।[৯] প্রতি হাজার পুরুষে এই জেলায় নারী সংখ্যা ১০১৫ জন।[৯] জেলাটির মোট সাক্ষরতার হার ৭১.৩৪ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৮১.২৩ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৬১.৭৪ শতাংশ।[৯] মোট জনসংখ্যার ১০.৭৪ শতাংশ ৬ বৎসর অনূর্ধ্ব শিশু। জনসংখ্যা অনুযায়ী তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতির শতকরা ভাগ যথাক্রমে ২৩.৩ ও ১.৪। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে তামিলনাড়ুর তৎকালীন ৩২ টি জেলার মধ্যে এটি তৃতীয় ন্যূনতম জনসংখ্যা বিশিষ্ট জেলা।[৯] জেলার সর্বাধিক জনবহুল শহর হল জয়ঙ্কোণ্ডম

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.ব.প্র. ±%
১৯০১২,৭১,৫০১—    
১৯১১২,৯৪,৬২১+০.৮২%
১৯২১৩,০৬,৭৬৪+০.৪%
১৯৩১৩,০৮,৮৩৭+০.০৭%
১৯৪১৩,৪৮,৩৮১+১.২১%
১৯৫১৩,৯৮,২৩১+১.৩৫%
১৯৬১৪,৩৭,৬৯২+০.৯৫%
১৯৭১৫,১৩,৭০৪+১.৬১%
১৯৮১৫,৭২,৪৯৮+১.০৯%
১৯৯১৬,৩৬,৩৮১+১.০৬%
২০০১৬,৯৫,৫২৪+০.৮৯%
২০১১৭,৫৪,৮৯৪+০.৮২%
উৎস:[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "New Collector takes charge in Ariyalur"। ১৩ জুলাই ২০১৭ – www.thehindu.com-এর মাধ্যমে। 
  2. "2011 Census of India" (Excel)। Indian government। ১৬ এপ্রিল ২০১১। 
  3. Nainar, Nahla (২০১৯-০৩-২৯)। "A trip through the fossil-rich grounds of Ariyalur in Tamil Nadu"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৮ 
  4. Goswami, A.; Prasad, G. V. R.; Verma, O.; Flynn, J. J.; Benson, R. B. J. (১৬ এপ্রিল ২০১৩)। "A troodontid dinosaur from the latest Cretaceous of India"। Nature Communications (ইংরেজি ভাষায়)। 4 (1): 1703। আইএসএসএন 2041-1723ডিওআই:10.1038/ncomms2716অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 23591870 
  5. "From the lost world"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০২-২৪। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-০৬ 
  6. "With rare collection of fossils, Ariyalur museum in Tamil Nadu nearing completion"। ২০১৮-০২-০৫। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. https://ariyalur.nic.in
  8. "Places of Interest | Ariyalur District, Government of Tamil Nadu | Land of Cements" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৮ 
  9. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  10. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Guyana 744,768 
  11. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১৩-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০Alaska 710,231 
  12. Decadal Variation In Population Since 1901