আবু গারিব কারাগার

স্থানাঙ্ক: ৩৩°১৭′৩৩″ উত্তর ৪৪°০৩′৫৪″ পূর্ব / ৩৩.২৯২৫° উত্তর ৪৪.০৬৫০° পূর্ব / 33.2925; 44.0650
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবু গারিব কারাগার
মানচিত্র
অবস্থানআবু গারিব, ইরাক
স্থানাঙ্ক৩৩°১৭′৩৩″ উত্তর ৪৪°০৩′৫৪″ পূর্ব / ৩৩.২৯২৫° উত্তর ৪৪.০৬৫০° পূর্ব / 33.2925; 44.0650
অবস্থাবন্ধ
খোলা হয়১৯৫০
বন্ধকরণ২০১৪

আবু গারিব কারাগার ( আরবি: سجن أبو غريب, সিজন আবু ঘুরাইব) হলো ইরাকের আবু গারিবে অবস্থিত একটি কারাগার কমপ্লেক্স, যা বাগদাদের ৩২ কিলোমিটার (২০ মা) পশ্চিমে অবস্থিত। কারাগারটি ১৯৫০-এর দশকে এর কার্যক্রম শুরু করেছিল। এটি তৎকালীন ইরাকে নির্যাতন, সাপ্তাহিক মৃত্যুদণ্ড এবং অসহায় জীবনযাত্রার সাথে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগার ছিল। ১৯৮০ এর দশক থেকে কারাগারটি সাদ্দাম হোসেন কর্তৃক এবং পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক বন্দীদের রাখার জন্য ব্যবহার করত। অমানুষিক নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের জন্য কারাগারটি কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। ২০১৪ সালে কারাগারটি বন্ধ হয়ে যায়।

২০০৩-এর ইরাক আক্রমণের পর, আবু গারিব কারাগার আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন দখলদার বাহিনী দ্বারা পরিচালিত কারাগার কমপ্লেক্সের অংশে রক্ষীদের দ্বারা নির্যাতন ও নির্যাতনের সাথে জড়িত একটি কেলেঙ্কারী প্রকাশ পায়। ইসরায়েলি জিজ্ঞাসাবাদকারীরা জোটের পাশাপাশি ইরাকে ছিলেন, কারণ তারা আরবিতে কথা বলতেন। [১] [২]

২০০৬ সালে, যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের ফেডারেল সরকারের কাছে আবু গারিবের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে। ২০০৯ সালে বাগদাদ কেন্দ্রীয় কারাগার ( আরবি : سجن بغداد المركزي সিজন বাইদাদ আল-মারকিজা) নামে কারাগারটি পুনরায় চালু করা হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে ইরাকে গৃহযুদ্ধের চলাকালীন নিরাপত্তাহীনতার কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। কারাগার কমপ্লেক্সটি বর্তমানে খালি রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কারাগারটিতে সাদ্দাম-যুগের অনেক গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কারাগারটি ব্রিটিশ ঠিকাদাররা ১৯৫০ -এর দশকে তৈরি করেছিল। ২০০১ সালে কারাগারে প্রায় ১৫০০০ বন্দী ছিল। [৩] ২০০২ সালে, সাদ্দাম হোসেনের সরকার কারাগারে ছয়টি নতুন সেলব্লক যুক্ত করার জন্য একটি সম্প্রসারণ প্রকল্প শুরু করে। [৪] ২০০২ সালের অক্টোবরে তিনি ইরাকের অধিকাংশ বন্দীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। [৫] বন্দীদের মুক্ত করার পর এবং কারাগারটি খালি রাখার পর তা ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বন্দীদের সম্পর্কিত প্রায় সমস্ত নথিপত্র কারাগার অফিস এবং কোষের ভিতরে স্তূপ করা হয়েছিল এবং পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। যার ফলে ব্যাপক কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছিল।

আবু গরিব সম্পর্কিত পরিচিত গণ-কবরগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বাগদাদের পশ্চিমে অবস্থিত খান ধারী - বাগদাদের আবু গারিব কারাগার থেকে রাজনৈতিক বন্দীদের লাশ নিয়ে গঠিত গণকবর। এখানে ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ১৫ জন বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় এবং কারা কর্তৃপক্ষ অন্ধকারের আড়ালে নিহতদের সমাহিত করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
  • বাগদাদের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত আল-জাহেদি - একটি বেসামরিক কবরস্থানের কাছে গোপন কবরে প্রায় ১,০০০ রাজনৈতিক বন্দীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, আবু গারিব কারাগার থেকে ঐ স্থানে একসাথে ১০ থেকে ১৫ টি লাশ এসে পৌঁছায় এবং স্থানীয় বেসামরিক নাগরিকরা তাদের কবর দেয়। ১৯৯৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আবু গারিবে এক দিনে ১০১ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। ২০০০ সালের ৯ মার্চ এক সাথে ৫৮ জন বন্দীর মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর হয়। সর্বশেষ মৃতদেহটি ছিল ৯৯৩ নম্বর।[৬]

২০০৩-২০০৬[সম্পাদনা]

আবু গারিব কারাগারের মানচিত্র
মার্কিন মিলিটারি অফিসার একজন বন্দীকে নির্যাতন করছেন এবং অন্য একজন সৈনিক বন্দীকে ধরে রেখেছে

২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত, আবু গারিব কারাগার ইরাক দখলকৃত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট এবং ইরাক সরকার উভয়ের দ্বারাই বন্দীদের আটক করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতো। ইরাক সরকার "দ্য হার্ড সাইট" নামে পরিচিত সুবিধাটির এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছিলো। কারাগারটি শুধুমাত্র দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের থাকার জন্য ব্যবহৃত হত। সন্দেহভাজন অপরাধী, বিদ্রোহী বা গ্রেফতারকৃত এবং বিচারের অপেক্ষায় থাকা অপরাধীদের অন্যান্য কারাগারে রাখা হয়েছিল। যা সাধারণত মার্কিন সামরিক ভাষায় "ক্যাম্প" নামে পরিচিত। তৎকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সমস্ত বন্দীদের "ক্যাম্প রিডেম্পশন" এ রেখেছিল। যা পাঁচটি নিরাপত্তা স্তরে বিভক্ত ছিল। ২০০৪ সালের গ্রীষ্মে নির্মিত এই শিবিরটি ক্যাম্প গানসি, ক্যাম্প ভিজিল্যান্ট এবং আবু গরিবের টিয়ার ১ এর তিন স্তরের সেটআপ প্রতিস্থাপন করে। সুবিধাটির বাকি অংশ মার্কিন সামরিক বাহিনীর দখলে ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আবু গারিব কারাগার একটি এফওবি (ফরওয়ার্ড অপারেটিং বেস) এবং একটি ডিটেনশন সুবিধা উভয় হিসাবে কাজ করছিলো। ২০০৪ সালের মার্চ মাসে যখন মার্কিন সামরিক বাহিনী আবু গরিব কারাগারকে একটি ডিটেনশন সুবিধা হিসেবে ব্যবহার করছিল, তখন সেখানে প্রায় ৭৪৯০ জন বন্দী ছিল। [৭] বন্দিদের জনসংখ্যা পরবর্তীতে অনেক কমে গিয়েছিল। কারণ ক্যাম্প গ্যানসি ছিল অনেক কম ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এবং অনেক বন্দীদের আবু গারিব থেকে ক্যাম্প বুক্কাতে পাঠানো হয়েছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রাথমিকভাবে ক্যাম্প রিডেম্পশনে সকল "সন্দেহজনক ব্যক্তিকে" ধরে রেখেছিল। যাদের মধ্যে ছিলো কিছু সন্দেহভাজন বিদ্রোহী, এবং কিছু সন্দেহভাজন অপরাধী। ইরাকি আদালতে বিচারের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ইরাক পরিচালিত হার্ড সাইটে স্থানান্তরিত করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আলি শাল্লাল আল-কাইসির ছবি, আবু গারিবে মার্কিন রক্ষীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার বন্দীদের মধ্যে একজন

আবু গারিব কারাগারে নির্যাতন কেলেঙ্কারিতে, মার্কিন সেনাবাহিনীর ৩২৭ তম সামরিক পুলিশ ব্যাটালিয়নের রিজার্ভ সৈন্যদের বিরুদ্ধে অভিন্ন সামরিক বিচারবিধির আওতায় বন্দি নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ১৪ জানুয়ারি মার্কিন সেনাবাহিনীর অপরাধ তদন্ত বিভাগ এ তদন্ত শুরু করে। ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে, মার্কিন টেলিভিশন নিউজ-ম্যাগাজিন ৬০ মিনিট, দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন করে। যাতে মার্কিন সৈন্যদের দ্বারা ইরাকি বেসামরিক বন্দীদের অমানবিক নির্যাতন ও নিপীড়নের বর্ণনা দেয়া হয়। কাহিনীতে বন্দীদের সাথে দুর্ব্যবহারের ছবি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হবার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য জোটভুক্ত দেশগুলির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি সৃষ্টি হয়।

২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল, বিদ্রোহীরা কারাগারে ৪০ টি মর্টার রাউন্ড নিক্ষেপ করে। এতে ৪০ জন বন্দী নিহত হয় এবং ৯২ জন আহত হয়। মন্তব্যকারীরা মনে করেন এই হামলা, দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার প্রচেষ্টা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দীদের সহযোগিতার জন্য প্রতিশোধ। [৮] ২০০৪ সালের মে মাসে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট, বন্দীদের মুক্তির নীতি গ্রহণ করে যাতে সংখ্যা কমিয়ে ২ হাজারেরও কম করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাক সরকারের অনুরোধে ২০০৫ সালের ২ আগস্ট সপ্তাহে প্রায় এক হাজার বন্দীকে কারাগারে ছেড়ে দেয়। [৯] ২০০৪ সালের ২৪ মে ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ঘোষণা করেন যে কারাগারটি ভেঙে ফেলা হবে। কিন্তু ১লা জুন ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি গাজী মাশাল আজিল আল-ইয়াওয়ার বলেন যে তিনি বুশের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ; ২১ জুন মার্কিন সামরিক বিচারক কর্নেল জেমস পোহল রায় দেন যে কারাগারটি একটি অপরাধের দৃশ্য এবং তদন্ত এবং বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এটি ধ্বংস করা যাবে না। [১০]

২০০৫ সালের ২রা এপ্রিল, [১১] আবু গারিব যুদ্ধ নামে পরিচিত একটি ছোটোখাটো বিদ্রোহে ৬০ জনেরও বেশি বিদ্রোহী কারাগারে আক্রমণ করে। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর মতে হামলাকারীরা কমপক্ষে ৫০ জন হতাহত হয়েছে। এই হামলায় মার্কিন সামরিক কর্মী, বেসামরিক ব্যক্তি এবং বন্দি সহ কারাগারে বা এর মধ্যে ছত্রিশ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা অস্ত্র হিসেবে ছোট অস্ত্র, রকেট এবং আরপিজি ব্যবহার করে এবং দেয়ালের উপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সামরিক বাহিনী গুলি চালানোর পর সামনের দেয়ালের ঠিক বাইরে একটি আত্মঘাতী ভিবিআইইডি বিস্ফোরিত হয়। কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে কার বোমাটি কারাগারের দেয়াল ভাঙার উদ্দেশ্যে ছিল, যাতে বন্দীদের জন্য হামলা এবং/অথবা ব্যাপকভাবে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। বিদ্রোহীরা শক্তিবৃদ্ধির জন্য কারাগারে যাওয়ার পথে হাইওয়েতে আশেপাশের সামরিক বাহিনীকে আক্রমণ করে এবং রাস্তার পাশে অ্যাম্বুশ ব্যবহার করে। এই হামলায় ইরাকের আল কায়েদা দায় স্বীকার করেছে। [১২]

২০০৬-২০১৪[সম্পাদনা]

২০০৬ সালের মার্চ মাসে মার্কিন সামরিক বাহিনী ৫০০ বন্দিকে অন্য কারাগারে নিয়ে যায় এবং আবু গারিব কারাগারের নিয়ন্ত্রণ ইরাকি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। [১৩] কারাগারটি ২০০৬ সালের আগস্টে বন্দী শূন্য করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। [১৪] তবে কারাগারটির আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর ২০০৬ সালের ২রা সেপ্টেম্বর করা হয়েছিল। ১৩৪ টাস্কফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল জ্যাক গার্ডনার এবং ইরাকি বিচার মন্ত্রণালয় এবং ইরাকি সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর করা হয়েছিল। [১৫]

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ইরাক, "বাগদাদ কেন্দ্রীয় কারাগার" নামে আবু গারিব পুনরায় চালু করে। এটি ৩৫০০ বন্দীদের থাকার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। সরকার জানিয়েছে, বছরের শেষ নাগাদ তাদের সংখ্যা ১৫,০০০ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। [১৬]

২০১৩ সালের ২১ জুলাই কারাগার থেকে একটি বড় আকারের বন্দী পালানোর ঘটনা ঘটেছিল এবং সংবাদমাধ্যমগুলো আবু গারিব কারাগারের বন্দীদের একটি বড় ব্রেকআউট রিপোর্ট করেছিল। কমপক্ষে ৫০০ বন্দী পালিয়েছে বলে জানা গেছে। পার্লামেন্টে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য বন্দীদের বর্ণনা করেন, যারা বেশিরভাগই "আল-কায়েদার সিনিয়র সদস্য এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি"। [১৭] [১৮] একই সময়ে বাগদাদ থেকে প্রায় ১২ মাইল উত্তরে তাজির নামক স্থানে আরেকটি কারাগারে একযোগে হামলা হয়। যেখানে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর ১৬ জন সদস্য এবং ছয় জঙ্গি নিহত হয়। [১৮] ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল) একটি জিহাদি ফোরামে একটি বিবৃতি জারি করে দাবি করে যে, তারা কারাগারে আক্রমণের জন্য দায়ী ছিল; যার প্রস্তুতির জন্য তাদের কয়েক মাস সময় লেগেছিল। [১৭]

বন্ধ[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল, ইরাকের বিচার মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে যে, কারাগারটি আইএসআইএল কর্তৃক দখল করা হতে পারে। তাই কারাগারটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ২৪০০ বন্দির সবাইকে দেশের অন্যান্য উচ্চ-সুরক্ষা সুবিধাসম্বলিত কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তবে কারাগারটি কি সাময়িক নাকি স্থায়ী বন্ধ তা স্পষ্ট করা হয়নি। [১৯]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য বন্দি[সম্পাদনা]

কুখ্যাত মার্কিন সেনাসদস্য[সম্পাদনা]

  • লিনডি ইংল্যান্ড
  • সাবরিনা হারম্যান
  • চার্লস গ্রেনার
  • আইভান ফ্রেডরিক
  • জেরেমি সিভিটস্
  • রোমান ক্রল
  • আরমিন ক্রুজ
  • জাভাল ডেভিস

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://news.bbc.co.uk/2/hi/middle_east/3863235.stm
  2. https://www.democracynow.org/2016/4/7/ex_abu_ghraib_interrogator_israelis_trained
  3. Asser, Martin (মে ২৫, ২০০৪)। "Abu Ghraib: Dark stain on Iraq's past"BBC News। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৬, ২০১৮ 
  4. "Abu Ghurayb Prison"globalsecurity.org। Global Security। ২০০৫। ৮ মার্চ ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৩-১১ 
  5. "Saddam sets free political prisoners"the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০২-১০-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৪ 
  6. "afhr.org - afhr Resources and Information." (পিডিএফ)। ২০০৯-০৩-২৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৫-৩০ 
  7. General (Dept. of the Army), Inspector (২০০৪)। Detainee Operations Inspection। DIANE Publishing। পৃষ্ঠা 23–24। আইএসবিএন 1-4289-1031-X 
  8. "22 killed in Baghdad mortar attack"। USA Today। এপ্রিল ২০, ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৩-১১ 
  9. "Nearly 1,000 Abu Ghraib detainees released"। CNN.com। ২০০৫। ২ মার্চ ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৩-১১ 
  10. Moore, John (জুন ২১, ২০০৪)। "Judge declares Abu Ghraib a crime scene; forbids razing the prison"। USA Today। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০১৭ – The Associated Press-এর মাধ্যমে। 
  11. 114th Army Liaison Team, Base Operation FOB Abu Ghraib Prison 2004-2005
  12. Defend America (২০০৫-০৪-১৩)। "Marines Relate Events of Abu Ghraib Attack"Defend America। ২০০৭-০৭-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  13. "US to transfer Abu Ghraib prisoners"। Fairfax Digital। ২০০৬-০৩-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-৩০Abu Ghraib prison[...]'s 4,500 inmates will be transferred to a new facility at the nearby Baghdad airport military base and other camps. [...] Abu Ghraib, where US soldiers abused Iraqi detainees, will be handed over to Iraqi authorities once the prisoner transfer to Camp Cropper and other US military prisons in the country is finished. 
  14. Nancy A. Youssef, "Abu Ghraib no longer houses any prisoners, Iraqi officials say", McClatchy Newspapers, 26 Aug 2006
  15. "Inmates transferred out of Abu Ghraib as coalition hands off control"The Boston Globe। Associated Press। ২০০৬-০৯-০৩। 
  16. Associated Press (২০০৯-০১-২৫)। "Abu Ghraib set to reopen as Baghdad Central Prison"International Herald Tribune 
  17. "Abu Ghraib Prison Break:Al Qaeda in Iraq Claims Responsibility for Raid"The Huffington Post। ২০১৩-০৭-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৩ 
  18. "Iraq:hundreds escape from Abu Ghraib jail"। London: Guardian.co.uk। ২০১৩-০৭-২২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৩ 
  19. Adnan, Duraid; Arango, Tim (এপ্রিল ১৫, ২০১৫)। "Iraq shuts down the Abu Ghraib prison, citing security concerns"New York Times। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৫, ২০১৬ 
  20. Eaton, Joshua (২৫ আগস্ট ২০১৭)। "U.S. Military Now Says ISIS Leader Was Held in Notorious Abu Ghraib Prison"। The Intercept_। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  21. Leader (১৮ মার্চ ১৯৯০)। "Farzad Bazoft"The Observer। London। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  22. Tucker, Michael (২০০৭-০২-২০)। "My Prisoner, My Brother"। Vanity Fair। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-১১ 
  23. Risling, Greg (মে ৭, ২০০৮)। "Iraqi alleges Abu Ghraib torture, sues US contractors"The Seattle Times। ২০১১-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-১১ 
  24. Hettena, Seth (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। "Reports detail Abu Ghraib prison death; was it torture?"। Associated Press। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০০৯ 
  25. "Source: al Qaeda leader urged affiliate to 'do something'"CNN। ৫ আগস্ট ২০১৩। ২২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৪ 
  26. "2 U.S. Wives Quitting Iraq"। ১১ মে ১৯৯৫ – NYTimes.com-এর মাধ্যমে। 
  27. "Detainees Abused?"। CNN। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৪ 
  28. "Gulf War ex-POW: Abuse claims horrifying"CNN। ৩ মে ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  29. Bunden, Mark (১০ নভেম্বর ২০১৭)। "I don't bear my Iraqi captors ill will, says Gulf War RAF hero"Evening Standard। London। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  30. Nichol, John (২ মে ২০০৪)। "I was left bloody and bruised. Now we've become the torturers"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  • দ্য প্রিজনার বা: হাউ আই প্ল্যানড টু কিল টু টনি ব্লেয়ার , একজন ইরাকি সাংবাদিক ইউনিস খাতায়ার আব্বাস এবং তার দুই ভাইকে আবু গারিব কারাগারে বন্দি ও নির্যাতনের একটি তথ্যচিত্র।
  • স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (ফিল্ম)