আফগানিস্তানে টেলিভিশন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আফগানিস্তানে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৭৮ সালের আগস্টে,[১] যা বেড়ে উঠলো ১৯৯০ দশকের পর্যন্ত, যখন দেশের রাজধানী কাবুলে যুদ্ধবিগ্রহ সম্প্রচারের অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান সরকার টেলিভিশনকে অবৈধ ঘোষণা করে, কিন্তু তালেবানের শাসনের বাহিরের এলাকায় কিছু কেন্দ্র সম্প্রচার করতে থাকে। তাদের অপসারণের পর সরকারি আফগানিস্তান জাতীয় টেলিভিশন নিয়ে দেশব্যাপী টেলিভিশন সম্প্রচার আবার শুরু হয়। এটি রিপোর্ট করা হয় যে আফগানিস্তানে ২০০ এর বেশি স্থানীয় এবং বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করে, এর মধ্যে ৯৬টি কাবুলে এবং ১০৭টি দেশের অন্যান্য প্রদেশে।[২] ২০১৪ সালে দেশটি অ্যানালগ সম্প্রচার ছেড়ে ডিজিটাল টেলিভিশন সম্প্রচারে আসা শুরু করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কোহে আসামাই (ডান দিকে), জনপ্রিয়ভাবে টিভি পাহার ডাকনামে পরিচিত, যেখানে কাবুলের ট্রান্সমিটারসমূহ অবস্থিত

আফগানিস্তানে টেলিভিশনের ধারণাগত সংস্থাপন এসলাহ জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ড. হাফিক সাহার দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয় নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে উনার ১৯৬৭ সালের অনুসন্ধানমূলক একাডেমিক কাজে।[৩][৪] তিনি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বাধ্যতামূলক যুক্তি উপস্থাপন করেন এবং আফগানিস্তানে টেলিভিশন আনার প্রাথমিক প্রযুক্তিগত সমস্যার বাস্তব সমাধানের পাশাপাশি শিক্ষার হাতিয়ার হিসেবে টেলিভিশনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন, যেমন “কাবুল চমৎকার প্রাকৃতিক সম্প্রচার টাওয়ার বানানোর দুটি উচ্চ পাহাড় দ্বারা আধিপত্য, তাই কভারেজের সমস্যা সহজ করে।"

১৯৭৬ সালে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) দ্বারা প্রদান করা কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা শুরু করে স্টুডিও এবং ট্রান্সমিটার ভবনগুলোর নির্মাণের কাজ।[৫] নির্মাণের কাজ শেষ হয় ১৯৭৮ সালের আগস্ট মাসে। সরকারি রেডিও টেলিভিশন আফগানিস্তান (আরটিএ, পুর্বে শুধু রেডিও আফগানিস্তান) আফগানিস্তান জাতীয় টেলিভিশন নামের দেশের প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল উদ্বোধন করে, যা প্রথমে দিনে দুই ঘণ্টার জন্য সম্প্রচার করতো। ১৯৮০ দশকের সময় শিশুতোষ ধারাবাহিক নু পোগোদি! সহ চ্যানেলটিতে অনেক সোভিয়েত অনুষ্ঠান সম্প্রচার হতো। মিউজিক ভিডিও রিকর্ড করার জন্য সঙ্গীতজ্ঞরা আরটিএ এর স্টুডিও প্রায়ই ব্যবহার করতো।

১৯৯২ সাল থেকে টেলিভিশন পতন হতে শুরু হয় কাবুলে যুদ্ধের ফলে, যা অবকাঠামো ধ্বংস করলো। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান সরকারের সময় টেলিভিশন অবৈধ করা হয়—বিশেষভাবে ১৯৯৮ সালের ৮ জুলাই এর পর—এবং টেলিভিশন সেট, স্যাটেলাইট ডিশ, ভিডিওক্যাসেট রিকর্ডার, এবং একরকমের অন্যান্য প্রযুক্তি বিক্রি করার দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যায়।[৬] যারা টেলিভিশন দেখে বা একটি সেটের মালিক হয়ে থাকে তাদের শাস্তি দেওয়া হতো। জাতীয় টেলিভিশন সম্প্রচারকটি বন্ধ করা হয়, এবং এর সাথে বেসরকারি সম্প্রচারকদের স্টুডিও এবং ভবনগুলো শাসনের পুলিশরা ভেঙে ফেলেন।[৭] উত্তর জোট দ্বারা শাসন করা দেশের উত্তর-পূর্ব বাদাখশন প্রদেশের মধ্যে একটি ছোট্ট এলাকায় উত্তর জোট দ্বারা অর্থায়ন করা একটি টেলিভিশন কেন্দ্র ছিল যা একটি দুর্বল সিগন্যাল নিয়ে ফায়জাবাদ শহরের ৫,০০০ লোকদের কাছে সংবাদ এবং চলচ্চিত্র সম্প্রচার করতো। সম্প্রচার করার জন্য কেন্দ্রের কাছে ভিএইচএস এবং বেটাম্যাক্সে চলচ্চিত্র এবং তথ্যচিত্রের একটি বড় সংগ্রহ ছিল, এবং দর্শকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল মার্কিন চলচ্চিত্র ফার্স্ট ব্লাড। তা সত্ত্বেও, কেন্দ্রে তখনও কিছু স্তরের বিবাচন ছিল। চলচ্চিত্র যেগুলোতে সুইমসুটে অথবা গান গেওয়া এবং নাচা নারীরা আছে সেগুলো অবৈধ করা হয় (উত্তর জোটের মৌলবাদীদের চাপে), কিন্তু রক্তাক্ত এবং হিংস্র দৃশ্যগুলো রেখে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের কাছে বেশিরভাগ চলচ্চিত্র সম্প্রচার করার বেটাম্যাক্স প্লেয়ারটি পরে নষ্ট হয়ে যায়।[৮]

২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন হামিদ কারজাই শাসনে আসে আফগানিস্তানের সবচেয়ে প্রাচীন টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে ফিরে আসে। আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের পর আসামাই এর শিখরে সম্প্রচারের স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাই পুনঃউদ্বোধন করা কাবুলে টেলিভিশন ২০০ ওয়াট সেটের থেকে সম্প্রচার করছিল। ১৯৭০ দশকে প্রথমে আফগানিস্তানে টেলিভিশন নির্মাণ করতে সাহায্য করার জাইকাকে ট্রান্সমিটারগুলো আবার বিকাশ করার জন্য পরামর্শ করা হয়েছে।[৯] এর পর ত্বোলো' এবং শামশাদ টিভি উদ্বোধন হয় আফগানিস্তানের প্রথম বেসরকারি চ্যানেলগুলোর মধ্যে দুই এবং অনুষ্ঠানগুলোর একটি বড় সংগ্রহ প্রদান করে একটি অ্যাক্সেসযোগ্য গণমাধ্যম আউটলেটের ভিত্তি স্থাপন করেছে।[১০]

২০১৪ সালে আফগানিস্তান একটি উপগ্রহের জন্য ইউটেলস্যাটের সাথে চুক্তি সই করে, এবং সেই সালে আফগানস্যাট ১ উৎক্ষেপণ করা হয়, যা টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ প্রেরণ করে।[১১] ২০১৯ সাল হিসেবে আফগানিস্তানে ২০০ এর বেশি স্থানীয় এবং বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করে, এর মধ্যে ৯৬টি কাবুলে এবং ১০৭টি দেশের অন্যান্য প্রদেশে।[২]

২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবান শাসনে আসার পর গণমাধ্যমের উপর কিছু সীমাবদ্ধতা আবেদন করা হয় যা আফগানিস্তানের টেলিভিশনকে প্রভাবিত করেছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে রিপোর্ট করা হয় যে নারীদেরকে টেলিভিশন নাটকে প্রদর্শিত হওয়ার থেকে বাদ করা হল।[১২] ২০২২ সালের মার্চে তালেবান টেলিভিশন কেন্দ্রেদেরকে বিবিসি এবং ভিওএর থেকে স্থানীয়করণ পাশতু এবং দারি ভাষার কোনো অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে অবৈধ করে।[১৩] কোনো চ্যানেল বন্ধ করার আদেশ না থাকলেও অনিশ্চয়তা বা হঠাৎ তহবিলের অভাবের কারণে কিছু চ্যানেলগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলো, এগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার দেশের একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল থ্রিস্পোর্ট এবং সাধারণ বিনোদন চ্যানেল আয়না টিভি[১৪][১৫] ২০২২ সালের মে মাসে টেলিভিশনে নারী উপস্থাপকদের মুখ ঢাকার আদেশ দেওয়া হয়।[১৬]

টেলিভিশন মালিকানা এবং দর্শকসংখ্যা[সম্পাদনা]

দ্য এশিয়া ফাউনডেশনের প্রতিবেদন "২০১৬ সালে আফগান মানুষের জরিপ" অনুযায়ী টেলিভিশন মালিকানা শহুরে এলাকাগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীভূত, যেখানে বিদ্যুৎ নির্ভরযোগ্য এবং বৃদ্ধি গৃহের আয়র সাথে মিলে। সবচেয়ে বেশি টেলিভিশন মালিকানা হচ্ছে কেন্দ্রীয় এলাকার মধ্যে (কাবুল), যেখানে ৫৩.৩ শতাংশ গৃহের কাছে একটি টেলিভিশন সেট আছে, পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল দ্বারা ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ। রিপোর্ট করা হয়েছে যে আফগানদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশর কাছাকাছি (৬৪.৫ শতাংশ) টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখেন। তাও রিপোর্ট করা হয়েছে যে সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন নেটওয়ার্ক হল ত্বোলো', এর পরে আসে আরিয়ানা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক, শামশাদ টিভি, এবং লেমার[১৭]

২০১৫ সালে গ্যালাপ দ্বারা নীত আর একটি প্রতিবেদন দেখায় যে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ত্বোলো', এবং পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল আফগান জাতীয় টেলিভিশন। সাপ্তাহিক টেলিভিশন দর্শকসংখ্যা দেশের উত্তরে সবচেয়ে বেশি, এবং পশ্চিমে সবচেয়ে কম।[১৮]

সম্প্রচার[সম্পাদনা]

আফগানিস্তানে (বেশিরভাগ গৃহমধ্যে) অ্যান্টেনা ব্যবহার করে ঐতিহ্যগত অ্যানালগ টেরেস্ট্রিয়াল সিগন্যালের মাধ্যমে প্রচুর লোকজন টেলিভিশন দেখে। শহুরে এলাকায় বেশিরভাগ এইভাবে টেলিভিশন দেখা যায়। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেলিভিশন দেখা শহুরে এলাকার চেয়ে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে আরও সাধারণ। উভয় শহুরে এবং গ্রামীণ এলাকাগুলোতে কেবল টেলিভিশনের হার কম।[১৮]

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে আফগানিস্তানের যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় টেলিভিশন সম্প্রচারকদের সাথে অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল টেলিভিশন সম্প্রচার পদ্ধতি ব্যবহারে আসার পরিকল্পনার উপর একটি বৈঠক করেছে। আফগানিস্তান ডিভিবি-টি২ ধরণটি গ্রহণ করে এবং কাবুলে পরিবর্তনটি শুরু হবে।[১৯]

২০১৪ সালের ৩১ আগস্টে কাবুলের সেরিনা হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে দেশের দ্বিতীয় উপরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ করিম খালিলি এবং যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আমির্জাই সাঙ্গিন দ্বারা ওক্বাব নামের আফগানিস্তানের ডিজিটাল টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন সিস্টেমের উদ্বোধন করা হয়।[২০]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "National Radio and Television of Afghanistan (RTA) – ABU" (২২ জুন ২০২৩ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  2. "Suspects Sentenced To Death For Killing Journalist In Kandahar"ত্বোলো'নিউজ। ১৬ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  3. সাহার, হাফিক (২০২১)। Television in Afghanistan: A Comparative Study of Educational Television in Selected Developing Countries and Its Relevance to the Similar Use Television in Afghanistanআইএসবিএন 978-1737020707 
  4. সাহার, হাফিক (১৯৬৭)। A Comparative Study of Educational Television in Selected Developing Countries and Its Relevance to the Similar Use of Television in Afghanistan (পিডিএফ) (গবেষণাপত্র)। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়। 
  5. "The Current State and Challenges of Broadcasting Stations in Afghanistan - 24th JAMCO Online International Symposium"জ্যামকো। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  6. Country Reports on Human Rights Practices: Report Submitted to the Committee on Foreign Affairs, U.S. House of Representatives and Committee on Foreign Relations, U.S. Senate by the Department of State in Accordance with Sections 116(d) and 502B(b) of the Foreign Assistance Act of 1961, as Amended (ইংরেজি ভাষায়)। মার্কিন সরকার প্রিন্টিং অফিস। ১৯৯৯। আইএসবিএন 978-0-16-060670-0 
  7. "Afghanistan Press, Media, TV, Radio, Newspapers - television, circulation, stations, papers, number, print, freedom"প্রেস রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  8. স্টিফেন, ক্রিস (১২ এপ্রিল ২০১২)। "Afghan newsreader left in the dark"ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  9. The Project for Improvement of TV Broadcasting Equipment in Kabul (পিডিএফ)জাইকা (প্রতিবেদন)। ডিসেম্বর ২০১৩। ১৭ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  10. "Kabul blast that killed Tolo TV staff was a tragedy too close to home"বিবিসি (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  11. "Satellite To Be Moved, Renamed Afghansat 1 under Eutelsat-Afghan Pact"স্পেসনিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  12. "Afghanistan: Taliban unveil new rules banning women in TV dramas"বিবিসি নিউজ। ২১ নভেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  13. "Taliban Ban VOA, BBC News Shows in Afghanistan"। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  14. "Sole sports channel in Afghanistan shuts down amid Taliban restrictions"। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  15. "شبکه تلویزیونی خصوصی آیینه فعالیت‌هایش را متوقف کرد"রেডিও আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  16. "Taliban orders female Afghan TV presenters to cover faces on air"দ্য গার্ডিয়ান। ১৯ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  17. উইলিয়ামস, নিকোলা। "Afghanistan in 2016: A Survey of the Afghan People"দ্য এশিয়া ফাউনডেশন। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২৩ 
  18. "Afghanistan at a Glance: Findings from the World Poll" (পিডিএফ)। গ্যালাপ। ২০১৫। 
  19. "Afghanistan discusses digital switchover"টেলিকমপেপার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২৩ 
  20. "Afghanistan officially launches digital TV broadcasting"ডিজিটাল টিভি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২৩