আগর উদ্ভিদ
আগর উদ্ভিদ Aquilaria malaccensis | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Malvales |
পরিবার: | Thymelaeaceae |
গণ: | Aquilaria |
প্রজাতি: | A. malaccensis |
দ্বিপদী নাম | |
Aquilaria malaccensis Lamk. | |
প্রতিশব্দ | |
A. agallocha[১][২], |
আগর উদ্ভিদ, (বৈজ্ঞানিক নাম: Aquilaria malaccensis) এক প্রকারের সুগন্ধি প্রদায়ক উদ্ভিদ। এটি Thymelaeaceae পরিবারের অন্তর্গত। অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে Aloe wood, Eagle wood, Aguruh, Krsnaguruh উল্লেখযোগ্য। এটি দক্ষিণ পূর্ব-এশীয় প্রজাতি। পৃথিবীতে আগর আতর পণ্যের প্রায় ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি বাজার রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আগর উড চিপস ও আতরের চাহিদা প্রচুর।
বিবরণ
[সম্পাদনা]এটি একটি মাঝারি ধরনের চিরসবুজ বৃক্ষ। উচ্চতা সাধারণত ৬০ থেকে ৮০ ফুট হয়ে থাকে। ০.৬-২.৫ মিটার ব্যাসের হয়ে থাকে। পাতা পাতলা ও চর্ম, উজ্জ্বল সবুজ। বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামে বিক্ষিপ্তভাবে দেখা যায়। এই গাছের ফুল সাদা রংয়ের। তিন বছরের কাছাকাছি সময়ে গাছে ফুল আসে। ফুল খুব ছোট, কাক্ষিক ছত্রাকার মঞ্জরিতে ঘ্নবদ্ধ। ফল ৪-৫ সেমি লম্বা, ডিম্বাকার।[৩]
বিস্তার
[সম্পাদনা]বাংলাদেশে সিলেটের পাহাড়ে জন্মে। ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাওয়া যায়।
চাষাবাদ
[সম্পাদনা]আগর গাছ সাধারণত ঘন অর্ধ-চিরসবুজ বনের বৃক্ষ। এই গাছের বংশ বিস্তার হয় বীজ থেকে। গাছে জুন মাসে ফুল এবং আগস্ট মাসে ফল হয়। এই গাছ সিলেট এলাকার বন বিভাগ মাঝে মাঝে চাষ করে থাকে। বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার পাশে, পতিত জমি, টিলা-টেঙ্গর এমনকি পরিত্যক্ত জমিতে আগর গাছ লাগানোর পর ফলন পাওয়া যায়।
গুনাগুণ
[সম্পাদনা]আগরের সুগন্ধি প্রশান্তিদায়ক এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধিকারী বলে কেউ কেউ মনে করে থাকেন। মালয় ও চাইনিজদের আদি চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগ নিরাময়ের ঔষধ প্রস্তুতির গুরূত্বপূর্ন উপাদান হিসাবে আগর কাঠ ব্যবহার হয়ে আসছে। অ্যারোমাথেরাপিতেও এর ব্যবহার আছে। এছাড়া মূত্রবর্ধক, কামোদ্দীপক, কোষ্ঠ্য পরিষ্কারক হিসাবে এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন ত্বকের রোগ, ব্রংকাইটিস, হাঁপানী ও বাত রোগে এর ব্যবহার হয়ে থাকে। আগর উড থেকে আহরিত তেল বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সুগন্ধি। এই সুগন্ধির বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এটি একটি এ্যলকোহলমুক্ত সুগন্ধি। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক আয়োজনে এ সুগন্ধির আকাশ ছোঁয়া চাহিদা বিশ্বজুড়ে। আগর উড থেকে তৈরি কাঠের টুকরা বা আগর তেল বা আগর আতর উভয়ই সুগন্ধি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আগর তেল ছাড়া কাঠ বা পাউডারজাত সামগ্রী থেকে ধূপের ন্যায় প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে আগরের সুবাস নেয়া হয়। আগর উডের নির্যাশ সুগন্ধি সাবান, স্যাম্পুসহ অন্যান্য প্রসাধণ সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Broad, S. (1995) "Agarwood harvesting in Vietnam" TRAFFIC Bulletin 15:96
- ↑ ক খ গ ঘ Anonymous (November 2003) "Annex 2: Review of Significant Trade: Aquilaria malaccensis" Significant trade in plants: Implementation of Resolution Conf. 12.8: Progress with the Implementation of Species Reviews (CITES PC14 Doc.9.2.2) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে Fourteenth meeting of the Plants Committee, Convention on International Trade in Endangered Species of Wild Fauna and Flora, Windhoek, Namibia
- ↑ দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে ১৯৮৮; পৃষ্ঠা- ১৪, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭