আকসারায় প্রাসাদ

স্থানাঙ্ক: ৩৯°০৩′৩৯″ উত্তর ৬৬°৪৯′৪৫″ পূর্ব / ৩৯.০৬০৮৩° উত্তর ৬৬.৮২৯১৭° পূর্ব / 39.06083; 66.82917
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আকসারায় প্রাসাদ
আকসারায় প্রাসাদ উজবেকিস্তান-এ অবস্থিত
আকসারায় প্রাসাদ
উজবেকিস্তানে অবস্থান
সাধারণ তথ্য
স্থাপত্য রীতিস্থাপত্য
শহরশহরিসবজ
দেশউজবেকিস্তান
স্থানাঙ্ক৩৯°০৩′৩৯″ উত্তর ৬৬°৪৯′৪৫″ পূর্ব / ৩৯.০৬০৮৩° উত্তর ৬৬.৮২৯১৭° পূর্ব / 39.06083; 66.82917
নির্মাণকাজের আরম্ভ১৩৮০
নির্মাণকাজের সমাপ্তি১৪০৪

আকসারায় প্রাসাদ হলো উজবেকিস্তানের শহরিসবজে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাসাদ। তৈমুরের শাসনামলের শুরুতে ১৩৮০ থেকে ১৪০৪ সালের [১] মধ্যে প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়। ২০০০ সালে প্রাসাদটিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

তৈমুর কেশের নিকটে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যেমনটি তখন শহরিসবজ নামে পরিচিত ছিল এবং তিনি সমরকন্দের পরিবর্তে এই শহরটিকে তার সাম্রাজ্যের রাজধানী করতে চেয়েছিল। তাই তিনি এখানে একটি শক্তিশালী প্রাসাদ তৈরি করেন। ১৩৮০ সালে দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২৪ বছর পর ১৪০৪ সালে তৈমুরের মৃত্যুর ঠিক আগে নির্মাণকাজ শেষ হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে, শহরিসবজ এবং আকসারায় দুর্গকে বুখারার খান দ্বিতীয় আবদুল্লাহ খানের বাহিনী ধ্বংস করে ফেলে। উজবেকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর, ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে সংরক্ষণের কাজ করে। প্রাসাদের মূল স্থানে উঁচু পাদদেশে, তৈমুরের একটি বিশাল মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল।

স্থাপত্যশৈলী[সম্পাদনা]

আকসারায় প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ শহরিসবজের ঐতিহাসিক কেন্দ্রের উত্তরে শহরের দেয়ালের দরজার কাছে একটি পার্কে অবস্থিত। ধ্বংসপ্রাপ্ত সাইটের খননগুলি প্রাসাদের পরিকল্পনা প্রকাশ করার জন্য যথেষ্ট ছিল না; প্রাসাদের অন্যান্য অংশের তুলনায় অবশিষ্ট ইওয়ান কোথায় ছিল তা স্পষ্ট নয়।[২] ক্লাভিজোর-এর বর্ণনা থেকে আই প্রাসাদ সম্পর্কে অনেককিছু জানা যায়। ক্লাভিজোর ব্যাখ্যা করে যে, আকসারায় প্রাসাদের স্মারকলিপিতে প্রমাণ করে, যেটিতে বেশ কয়েকটি উঠান, গ্যালারি এবং কক্ষ ছিল। সর্বোপরি, পূর্ববর্তী দরজার ৩৮ মিটার (১২৫ ফুট) উচ্চ তোরণের অবশিষ্টাংশ, যার ভল্টের ২২ মিটার (৭২ ফুট) দৈর্ঘ্যের ছিল।[৩] প্রাসাদের সম্মুখভাগটি গেরুয়া রঙের বড় নকশা এবং গাঢ় নীল ও হালকা নীল চকচকে ইট দিয়ে সজ্জিত। একটি পুরানো শিলালিপিতে লিখা রয়েছে যে "ঈশ্বর, সুলতানের দিনগুলিকে দীর্ঘ করুন।"[৩] একটি জলের বেসিন সহ প্রাসাদের প্রধান প্রাঙ্গণটি ছিল ১২০-১২৫ মিটার (৩৯৪-৪১০ ফুট) প্রশস্ত এবং ২৪০-২৫০ মিটার (৭৯০-৮২০ ফুট) দীর্ঘ।[৪] এটি ছয় তলা উঁচু ভবন দ্বারা বেষ্টিত ছিল বলে জানা যায়। ১৬শ শতকে ধ্বংসের কারণে অন্যান্য ভবনের সংখ্যা এবং আকার নির্ধারণ করা যায়নি।[৪]

বড় জ্যামিতিক নকশায় বর্গাকার কুফিক হরফে নাম দিয়ে গঠিত আরেকটি শিলালিপি, টাওয়ারের উপরের দিকে এবং ইওয়ানের ভল্টে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। একটি প্রশস্ত ফ্রিজ খিলান থেকে প্রাচীরকে আলাদা করে। ছাদের কারুকাজে কুফিক শিলালিপি দুটি পদ্ধতি উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, কুফিকের এই শৈলীটি সাধারণত কুরআনের অনুচ্ছেদের জন্য ব্যবহৃত হয়, কিন্তু অবশিষ্টাংশগুলি নির্দেশ করে যে শিলালিপিটি আসলে একটি কবিতার অংশ ছিল।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. নির্মাণ কাজ শেষ হবার তারিখ ১৪০৪, যা প্রাসাদের দরজার উপরের ফলকে উল্লেখ আছে। এছাড়া ১৪০৪ সালে স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত Ruy González de Clavijo উল্লেখ করেন যে প্রাসাদের কাজ সম্পন্ন হয়নি তখনও।
  2. "আকসারায় প্রাসাদ"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৩ 
  3. Pander: Zentralasien, ২০০৪, S. ২৩৬
  4. "The architectural masterpieces of the emerald city"San'at magazine (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০২-০১-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৪ 
  5. "আকসারায় প্রাসাদ"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২৩