অ্যাক্রোস দ্য ওয়ে
অ্যাক্রোস দ্য ওয়ে | |
---|---|
মূল শিরোনাম | The Writing on the Wall |
প্রযোজক | প্রিন্সেস (থানহাউসার কোম্পানি) |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১ রীল |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | নির্বাক ইংরেজি পরিভাষা |
অ্যাক্রোস দ্য ওয়ে (ইংরেজি: Across the Way, অনুবাদ 'রাস্তার অপর ধারে') ১৯১৫ সালের একটি নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এটি থানহাউসার কোম্পানির অধীনে প্রিন্সেস ব্র্যান্ড প্রযোজিত হাস্যরসাত্মক-নাট্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে স্পারক্স নামে এক ব্যক্তি তার বন্ধুর প্রকৃতিস্থতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি বাস্তবিক কৌতুকের আয়োজন করে, যেথায় স্পারক্সের প্রেমিকাকে একজন আততায়ী আক্রমণ করে। তামাশা সফল হয়, কিন্তু এঘটনার কয়েকদিন পর তার প্রেমিকাকে একজন সিঁধেল চোর আক্রমণ করে। বন্ধুটি পরে তাকে বাঁচায়। পরে স্পারক্সের প্রেমিকা তার বদলে তার বন্ধুকে বিয়ে করে। চলচ্চিত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির পর যুক্তরাজ্যেও মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রিন্সেসের চলচ্চিত্রটি দর্শকরা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। এটির ব্যার্থতার কিছুদিন বাদেই চলচ্চিত্রটির প্রযোজক এডউইন থানহাউসার নিউ রোশেল স্টুডিওতে প্রযোজনায় ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখান, কদিন বাদে প্রিন্সেস ব্র্যান্ডের কার্যক্রম বন্ধ করে ফলস্টাফ ব্র্যান্ড শুরু করা হয়। ধারণা করা হয় যে চলচ্চিত্রটি হারিয়ে গেছে।
কাহিনিসংক্ষেপ
[সম্পাদনা]রীল লাইফ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত কাহিনিসংক্ষেপে বলা হয়: "স্পারক্স তার বাগদত্তা চিত্রকলার ছাত্রীর বিয়াঙ্কার সাথে দেখা করতে গিয়ে জানতে পারে যে,তার বন্ধু লেখক টম ব্রাউন কোর্টের পাশে বসবাস করে। সে দেখে বিয়াঙ্কা ও ব্রাউন পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট, সে তখন ব্রাউনের সঙ্গে একটি বাস্তবিক কৌতুক করার সিদ্ধান্ত নেয়, যেন ব্রাউন নিজের মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে সন্দিহান হয়। স্পার্ক্স বিয়াঙ্কাকে তার সাথে জানালার ঢাকা পর্দার সামনে একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে প্ররোচিত করে যেটিতে বিয়াঙ্কাকে পিস্তল হাতে একজন লোক আক্রমণ করে এবং বিয়াঙ্কা আত্মরক্ষার্থে একটি ড্যাগার দিয়ে আততায়ীকে হত্যা করে। ব্রাউন পর্দার আড়াল থেকে সম্পূর্ণ দৃশ্য অবলোকন করে বিয়াঙ্কার সাহায্যার্থে ছুটে যায় এবং দেখে বিয়াঙ্কা শান্তিপুর্ণভাবে বই পড়ছে, ব্রাউনকে বলা হয়, এটি নিশ্চয় তার মস্তিষ্কজাত কল্পনা। কয়েকদিন পরে এক সন্ধ্যায় বিয়াঙ্কা সত্যিই একজন চোর দ্বারা আক্রান্ত হয়। ব্রাউন এখন জানে যে,আগের ঘটনাটি তার বন্ধু স্পারক্সের সাজানো, প্রথমে ভাবে এটিও হয়তো স্পারক্সের আরেকটি "কৌতুক"। পরে সে চুপিসারে ঘটনা তদন্তে যায় এবং ঠিক সময়ের মেয়েটিকে বাঁচায়, ফলে সে(বিয়াঙ্কা) স্পারক্সের সাথে বিয়ের বাগদান বাতিল করে ব্রাউনকে বিয়ে করে।"[১]
অভিনয়ে
[সম্পাদনা]- বয়েড মার্শাল - টম ব্রাউন[১]
- জন রেইনহার্ড - স্পারক্স[১]
- রেনে ফারিংটন - বিয়াঙ্কা[১]
- কেনেথ ক্ল্যারেনডন - কেয়ারটেকার[১]
- মিঃ ইয়র্ক (জে সি. ইয়র্ক)[২] - চোর[১]
প্রযোজনা
[সম্পাদনা]থানহাউসার কোম্পানির প্রিন্সেস প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্ট শুরু হয় ১৯১৩ সালে। এটি থেকে প্রতি শুক্রবার একটি করে চলচ্চিত্র মুক্তি পেত। প্রিন্সেসের শুরুর দিকের প্রযোজনাগুলোর বেশিরভাগ কৌতুকপ্রধান চলচ্চিত্র ভাল ফলাফল দেখালেও নাট্যচিত্র গুলো ছিল অসন্তোষজনক। শুরুর দিকের প্রিন্সেস প্রযোজনাগুলো যুক্তিহীনভাবে লেখা দুর্বল দৃশ্যপট অথবা অচিত্তাকর্ষক বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরী হত।[৩] প্রিন্সেস ১৯১৩ থেকে ১৯১৫ পর্যন্ত নিউ রোশেল স্টুডিওতে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করে।[৪] এডউইন থানহাউজার ফিরে এসে নিউ রোশেল স্টুডিওতে প্রযোজনার মান বাড়ানোর জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেওয়ার আগে এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা ও মুক্তি ঘটে।[৫] এর কিছুদিন পরেই থানহাউসার কোম্পানি তাদের প্রিন্সেস ব্র্যান্ড বিলুপ্ত করে নতুন ফলস্টাফ ব্র্যান্ডের কার্যক্রম শুরু করে।[৬]
মুক্তি ও অভ্যর্থনা
[সম্পাদনা]১ রিলের চলচ্চিত্রটি ১৯১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়।[১] পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে চলচ্চিত্রটি ৫ জুলাই ১৯১৫ তে মুক্তি পায়।[৭] শিকাগো, ইলিনয়[৮] ক্যান্সাস,[৯] এবং ওহাইও সহ সারাদেশে চলচ্চিত্রটির বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়।[১০]
দ্য মুভিং পিকচার ওয়ার্ল্ড এর একটি সমালোচনায় বলা হয় কমেডি চলচ্চিত্রটি আনন্দদায়ক ও উদ্দীপনায় ভরপুর।[২] যদিও শেষের দিকে প্রিন্সেসের চলচ্চিত্রগুলোর মান দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়নি।[১১] প্রিন্সেসের শেষ চলচ্চিত্র, জাস্ট কিডস এপ্রিল মাসের ৯ তারিখে মুক্তি পায়।[১১] ধারণা করা হয় চলচ্চিত্রটি হারিয়ে গেছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "Reel Life (Sep 1914-Mar 1915)" ['রিল লাইফ' (সেপ্টেম্বর ১৯১৪ - মার্চ ১৯১৫)] (ইংরেজি ভাষায়)। মিউচুয়াল ফিল্ম কর্পোরেশন। ১৯১৫। পৃষ্ঠা ৭১০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ বোয়ার্স, কুয়েন্টিন ডেভিড (১৯৯৫)। "Thanhouser Films: An Encyclopedia and History - Across the Way" [থানহাউসার ফিল্মস: বিশ্বকোষ ও ইতিহাস - এক্রোস দ্য ওয়ে]। থানহাউজার কোম্পানি ফিল্ম প্রিজার্ভেশন, ইনক। ২৪ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ বোয়ার্স, কুয়েন্টিন ডেভিড (১৯৯৫)। "Volume 1 - Narrative History - Chapter 6: 1913 Princess" [খন্ড ১: আখ্যান ইতিহাস - অধ্যায় ৬: ১৯১৩ প্রিন্সেস]। থানহাউসার ফিল্মস: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া অ্যান্ড হিস্টোরি (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ কুয়েন্টিন ডেভিড বোয়ার্স (১৯৯৫)। "Volume 1: Narrative History - Chapter 8: 1915 Falstaff Films" [খন্ড ১: আখ্যান ইতিহাস - অধ্যায় ৮: ১৯১৫ ফলস্টাফ ফিল্মস]। থানহাউসার ফিল্মস: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া অ্যান্ড হিস্টোরি (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ বোয়ার্স, কুয়েন্টিন ডেভিড (১৯৯৫)। "Volume 1: Narrative History - Chapter 8: 1915 Corporate Changes" [খন্ড ১: আখ্যান ইতিহাস - অধ্যায় ৮:১৯১৫ কর্পোরেট পরিবর্তন]। থানহাউসার ফিল্মস: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া অ্যান্ড হিস্টোরি (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ বোয়ার্স, কুয়েন্টিন ডেভিড (১৯৯৫)। "Volume 1: Narrative History - Chapter 8 1915: Edwin Thanhouser Returns, New Ventures" [খন্ড ১: আখ্যান ইতিহাস - অধ্যায় ৮: এডউইন থানহাউজারের প্রত্যাবর্তন, নতুন উদ্যোগ]। থানহাউসার ফিল্মস: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া অ্যান্ড হিস্টোরি (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ কুয়েন্টিন ডেভিড বোয়ার্স (১৯৯৫)। "Thanhouser Films - British Releases Thanhouser-Princess-Falstaff" [থানহাউজার ফিল্মস - যুক্তরাজ্য মুক্তি (থানহাউজার-প্রিন্সেস-ফলস্টাফ)]। থানহাউসার ফিল্মস: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া অ্যান্ড হিস্টোরি (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "ই এ আর থিয়েটার" (ইংরেজি ভাষায়)। সাবআরবানাইট ইকোনমিস্ট (শিকাগো, ইলিনয়)। ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯১৫। পৃষ্ঠা ৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫ – নিউজপেপার.কম-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Majestic" [রাজকীয়] (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ওয়েলিংটন ডেইলি নিউজ (ওয়েলিংটন, ক্যানসাস)। ১৮ মার্চ ১৯১৫। পৃষ্ঠা ১। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫ – নিউজপেপার.কম-এর মাধ্যমে।
- ↑ "(Majestic Advertisement)" [(রাজকীয় বিজ্ঞাপন)] (ইংরেজি ভাষায়)। ল্যানকাস্টার ঈগল-গ্যাজেট (ল্যানকাস্টার, ওহাইও)। ১৮ মার্চ ১৯১৫। পৃষ্ঠা ৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫ – নিউজপেপার.কম-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ বোয়ার্স, কুয়েন্টিন ডেভিড (১৯৯৫)। "Volume 1: Narrative History - Chapter 8: 1915 Films From the Backlog" [খন্ড ১: আখ্যান ইতিহাস - অধ্যায় ৮: ১৯১৫-এর জমে থাকা চলচ্চিত্র]। থানহাউসার ফিল্মস: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া অ্যান্ড হিস্টোরি (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]