অস্ট্রিয়ার রাজ্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অস্ট্রিয়া একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র যা নয়টি রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত। জার্মান ভাষায় রাজ্যকে বলে লেন্ডার (Länder, একবচন Land লান্ড)। তবে যেহেতু লান্ড (Land) বলতে জার্মান ভাষায় "দেশ"-ও বোঝায়, তাই রাজ্যকে সুনির্দিষ্টভাবে বুন্ডেসলেন্ডার (Bundesländer, একবচন Bundesland বুন্ডেসলান্ড) বলা হয়। অস্ট্রিয়ার সংবিধানে অবশ্য দুইটি শব্দই ব্যবহৃত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং রাজ্যসমূহের দায়িত্ব[সম্পাদনা]

প্রত্যেকটি রাজ্যের নিজস্ব নির্বাচিত আইনসভা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে একজন করে গভর্নর। প্রত্যেক পাঁচ বছরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্য সংবিধান নির্ধারণ করে কোন রাজ্যের আইনসভার কতটি আসন কোন রাজনৈটিক দল পাবে। গভর্নরকে আইনসভা নির্ধারণ করে। তবে রাজধানী ভিয়েনা একই সাথে শহর এবং রাজ্য। তাই ভিয়েনার মেয়র রাজ্যটির গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে। এবং ভিয়েনার সিটি কাউন্সিল আইনসভার দায়িত্ব পালন করে।

অস্ট্রিয়ায় রাজ্যসমূহ খুব কম স্বায়ত্বশাসন ভোগ করে। যদিও দেশটির সংবিধান রাজ্যসমুহকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে, তবে বাস্তবে তার খুব কমই রাজ্যগুলো পেয়ে থাকে। যেসব ক্ষেত্রে রাজ্যসমূহে স্বাধীনতা পায় সেগুলো হল- রাজ্যের অধীন এলাকার পরিকল্পনা এবং জোনিং, পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষা, শিকার এবং চাষাবাদ, যুব সম্প্রদ্বায়ের উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু বিষয় এবং কিছু নির্দিষ্ট কর আরোপের কর্তৃত্ব।

অন্যান্য সব বিষয় যেমন- অপরাধ আইন, বেসামরিক আইন, বাণিজ্য আইন, অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা আইন, শিক্ষাগত বিষয়, টেলিকমিউনিকেশন এবং স্বাস্থ্য খাতের অধিকাংশ বিষয়ই রাষ্ট্রীয় আইনসভা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। রাজ্যসমূহের নিজস্ব কোন বিচারব্যবস্থা নেই। সংবিধান বিচার ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই এক কেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার সূচনা ঘটেছিল অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যের সময়, যখন পুরো দেশকেই রাজধানী ভিয়েনা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো।

রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যাপারের দায়িত্বে থাকে রাজ্য গভর্নর। একারণে গভর্নরের পদটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদ।

রাজ্যসমূহের তালিকা[সম্পাদনা]

অস্ট্রিয়ার নয়টি রাজ্যের অফিশিয়াল জার্মান নাম বর্ণানুক্রমে নিম্নরূপ:

রাজ্যের মর্যাদাবাহী নকশা রাজ্য (Bundesland) রাজধানী শাসনভার
ইংরেজি নাম জার্মান নাম জার্মান বর্তমান গভর্নর (Landeshauptmann)
বুর্গেনল্যান্ড আইজেনস্টাট হান্স নিজেল
ক্যারিন্থিয়া কেয়ার্নএন ক্লাগেনফুর্ট পিটার কায়সার
লোয়ার অস্ট্রিয়া নিডাঅস্টেরাইখ সাঙ্কস্ট পোল্টন এরভিন প্রল
আপার অস্ট্রিয়া ওবেরঅস্টেরাইখ লিনৎস জোসেফ পুরিঙ্গার
সলজবুর্গ সলজবুর্গ ভিলফ্রেড হাসলাউয়ার
স্টিরিয়া স্টাইয়ারমার্ক গায়াটজ ফ্রাঞ্জ ভোভেজ
টিরোল টিরোল ইন্সব্রুক গুন্থার প্লাটার
ফোয়ালবার্গ ব্রেগেন্স মারকুস ভালনার
ভিয়েনা ভিন মাইকেল হাউপল

রাজ্যসমূহের জনসংখ্যা ও রাজধানী[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার রাজ্যসমূহের জনপরিসংখ্যান ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলি নিম্নরূপ:[১]

Pop. rank রাজ্য রাজধানী জনসংখ্যা আয়তন (বর্গ কি.মি) জনসংখ্যার ঘনত্ব শহর মফস্বল
ভিয়েনা ১,৭৯৪,৭৭০ ৪৪৭.৮৭ ৪,৩২৬.১
লোয়ার অস্ট্রিয়া সাঙ্কস্ট পোল্টন ১,৬৩৬,২৮৭ ১৯,১৭৮ ৮৫.৩ ৭৬ ৪৯৭
আপার অস্ট্রিয়া লিনৎস ১,৪৩৬,৭৯১ ১১,৯৮২ ১১৯.৯ ৩২ ৪১০
স্টিরিয়া গায়াটজ ১,২২১,০১৪ ১৬,৪০১ ৭৪.৪ ৩৫ ২৫২
টিরোল ইন্সব্রুক ৭২৮,৫৩৭ ১২,৬৪৮ ৫৭.৬ ১১ ২৬৮
ক্যারিন্থিয়া ক্লাগেনফুর্ট ৫৫৭,৩৭১ ৯,৫৩৬ ৫৮.৪ ১৭ ১১৫
সলজবুর্গ সলজবুর্গ ৫৩৮,২৫৮ 7,১৫৪ ৭৫.২ ১১ ১০৮
ফোয়ালবার্গ ব্রেগেন্স ৩৭৮,৪৯০ 2,৬০১ ১৪৫.৫ ৯১
বুর্গেনল্যান্ড আইজেনস্টাট ২৮৮,২২৯ ৩,৯৬৫ ৭২.৭ ১৩ ১৫৮

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. STATISTIK AUSTRIA - Bundesländer. Statistik.at. Retrieved on 2015-05-02.