অপর্ণা জৈন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অপর্ণা জৈন
জন্ম (1970-02-08) ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০ (বয়স ৫৪)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশালেখক
আত্মীয়অর্জুন জৈন (ভাই)

অপর্ণা জৈন হলেন একজন প্রশংসাপত্রপ্রাপ্ত ইন্টিগ্রাল মাস্টার কোচ, বিপণন পরামর্শক এবং লেখিকা। তিনি গত ২৩ বছর যাবত বিভিন্ন শিল্প জুড়ে তাঁর কর্মকাণ্ড করে চলছেন। তিনি ভারতের ব্যবসা উন্নয়ন থেকে মার্কেটিং পর্যন্ত সকল স্তরে কাজ করেছেন। অপর্ণা দুটি বইও রচনা করেছেন: একটি হচ্ছে দ্য সুদ ফ্যামিলি কুকবুক নামে একটি পারিবারিক প্রকল্প এবং অন্যটি হচ্ছে ওউন ইট: লিডারশিপ লেসন্স ফ্রম উইমেন হু ডু, যা ২০১৬ সালে টাটা লিট লাইভ ফেস্টিভালের "বিজনেস বুক অফ দ্য ইয়ার" বিভাগের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল।[১]

অপর্ণা কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য সমান অধিকারের পক্ষে এবং তিনি এই সমস্যা নিয়ে বহু প্রকাশনায় পর্যায়ক্রমিক অবদান রেখেছেন।[২][৩][৪][৫] তিনি কর্পোরেট ভারতের বরিষ্ঠ নেতাদের সাথে কাজ করে থাকেন। অপর্ণা মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করেন, তিনি মহিলা উদ্যোক্তাদের তাদের ব্যবসা শুরু করতে এবং অর্থায়নের ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। অপর্ণা তাঁর নিজস্ব পরামর্শক সংস্থা, জেব্রা ওয়ার্কস পরিচালনা করেন।[৬]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

অপর্ণা নতুন দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেছেন, তবে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে তিনি তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তিনি বেঙ্গালুরুর সোফিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং অন্ধ্র প্রদেশের মদনাপল্লির ঋষি ভ্যালি স্কুল সহ বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারপরে অপর্ণা সুইজারল্যান্ডে চলে যান, যেখানে তিনি অ্যালপিনা স্কুল অফ হোটেল ম্যানেজমেন্টে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৯৩ সালে 'বিক্রয় ও বিপণন' এবং 'খাদ্য ও পানীয়' এই দুই বিভাগে দ্বৈত বিশেষজ্ঞতার সাথে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। তিনি নতুন দিল্লির ওবেরয় স্কুল অফ হোটেল ম্যানেজমেন্টে আতিথেয়তায় পোস্ট-গ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণের জন্য ভারতে ফিরে এসেছিলেন। অপর্ণা কানাডার ইন্টিগ্রাল কোচিং দ্বারা ইন্টিগ্রাল মাস্টার কোচ হিসাবেও শংসাপত্র প্রাপ্ত।[৭]

পেশা[সম্পাদনা]

অপর্ণা বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে কাজ করেছেন; যার মধ্যে একটি বেঙ্গালুরুর সাসকেন, যেটি পূর্বের সিলিকন ভ্যালির ইউনিমোবাইল। তারপর ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের হয়ে কাজ করেছেন, যেখানে তিনি বিপণন প্রধান ছিলেন। তিনি তেহলকার সাথেও কাজ করেছিলেন এবং ২০১১ ও ২০১২ সালে তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠান থিঙ্ক ফেস্টের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। তিনি হার্পার কলিনস লিমিটেডের সাথে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন এবং ভারতের পেঙ্গুইন র‍্যান্ডম হাউস, পার্টরিজ-এর স্ব-প্রকাশনা বিভাগের পরামর্শক প্রধান ছিলেন।

২০১১ সালে, অপর্ণা জেব্রা ওয়ার্কস নামে একটি বুটিক ইন্টিগ্রাল লিডারশিপ কোচিংয়ের প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি পরামর্শ সংস্থা প্রতিষ্ঠান, যা ইন্টিগ্রাল কোচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রয়োজনমত নেতৃত্বের শিক্ষা সরবরাহ করে থাকে।[৮] তিনি সংবাদপত্র এবং অনলাইন মিডিয়ার কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের উপর অতিথি কলাম লেখেন। মাঝে মধ্যে তিনি পত্রিকা এবং ব্রাউন পেপার ব্যাগ পত্রিকার জন্য রেস্তোঁরা পর্যালোচনা নামে একটি কলাম লিখে থাকেন।[৯][১০][১১]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

২০১৫-১৬

  • প্রকৃত তথ্যভিত্তিক সাহিত্য বিভাগের অধীনে 'ওউন ইট'-এর জন্য জুরি প্রশংসাপত্র
  • লিঙ্গ সংবেদনশীলতা ২০১৫-১৬ সালের জন্য দক্ষিণ-এশিয়া লাডলি মিডিয়া পুরস্কার[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://www.tata.com/article/inside/tata-literature-live-book-awards-2016
  2. http://www.hindustantimes.com/art-and-culture/words-that-capture-the-dreams-and-thoughts-of-women/story-eNOEJRlqAO3GbugaGU6hQP.html
  3. http://timesofindia.indiatimes.com/home/sunday-times/all-that-matters/Backing-Pachauri-is-like-saying-womens-safety-doesnt-matter-Aparna-Jain/articleshow/50978330.cms
  4. http://www.huffingtonpost.in/bloggers/aparna-jain/
  5. http://www.firstpost.com/living/pachaurihatao-for-everyone-who-asks-why-women-delay-harassment-complaints-remember-the-teri-case-2619448.html
  6. http://economictimes.indiatimes.com/jobs/a-look-into-what-can-be-done-to-bridge-india-incs-gender-gap/articleshow/57225312.cms
  7. https://www.integralcoachingcanada.com/icc_coaches?location=All&field_language=All&keywords=aparna+
  8. https://www.sportskeeda.com/golf/golfer-rashid-aims-for-more-asian-tour-titles
  9. http://www.livemint.com/Leisure/QHWAwvki0GX88iiJw2KNCJ/Lounge-review-Pluck-New-Delhi.html
  10. http://www.livemint.com/Search/Link/Author/Aparna%20Jain
  11. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২১ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২০ 
  12. "Laadli Media Awards honours media campaigns for excellence in gender portrayal"। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৭