হেরমান হেস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হেরমান হেস
১৯২৭ সালে হেরমান হেস
১৯২৭ সালে হেরমান হেস
জন্মহেরমান কার্ল হেস
(১৮৭৭-০৭-০২)২ জুলাই ১৮৭৭
কাল্ভ, ভুর্টেমবার্গ, জার্মান সাম্রাজ্য
মৃত্যু৯ আগস্ট ১৯৬২(1962-08-09) (বয়স ৮৫)
মন্টাগনলা, টিসিনো, সুইজারল্যান্ড
পেশাঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি
জাতীয়তাজার্মান, সুইস
সময়কাল১৯০৪–১৯৫৩
ধরনউপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, কবিতা
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিস্টেপেনউলফ, সিদ্ধার্থ, দ্য গ্লাস বিড গেম, ডেমিয়ান
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার

স্বাক্ষর

হেরমান হেস (২ জুলাই, ১৮৭৭ - ৯ আগস্ট, ১৯৬২) জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন কবি এবং চিত্রকর, যিনি পরবর্তিতে সুইজারল্যান্ডীয় নাগরিক হন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলির মধ্যে রয়েছে: স্টেপেনউলফ, সিদ্ধার্থ, এবং দ্য গ্লাস বিড গেম (যেটি ম্যাজিস্টার লুডি নামেও পরিচিত)। তিনি ১৯৪৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১]

জীবনী[সম্পাদনা]

পারিবারিক পরিচিতি[সম্পাদনা]

হেসের জন্মস্থান, ২০০৭

হারমান কার্ল হেস ১৮৭৭ সালের ২ জুলাই জার্মান সাম্রাজ্যের ভুর্টেমবার্গের কাল্ভের ব্ল্যাক ফরেস্ট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামহরা ভারতে বেসেল মিশন নামে একটি প্রটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান মিশনারি সমাজের অধীনে একটি মিশনে কাজ করেছিল। তার মাতামহ হেরমান গুন্ডার্ট মালয়ালম ভাষার বর্তমান ব্যাকরণ রচনা করেন, মালয়ালম -ইংরেজি অভিধান সংকলন করে এবং মালয়ালম ভাষায় বাইবেল অনুবাদে অবদান রাখেন।[২] হেসের মা মারি গুন্ডার্ট ১৮৪২ সালে ভারতে এমন একটি মিশনে জন্মগ্রহণ করেন। তার নিজের শৈশব বর্ণনা করে তিনি বলেন, " আমি একজন সুখী শিশু ছিলাম না ...", যা সেই সময়ে মিশনারিদের মধ্যে স্বাভাবিক ছিল, চার বছর বয়সে তার বাবা তাকে ইউরোপে রেখে ভারতে ফিরে আসেন।[৩]

হেসের বাবা ইয়োহানেস হেস ছিলেন একজন ডাক্তারের পুত্র। তিনি ১৮৪৭ সালে এস্তোনিয়ান শহরে পায়েডে (উইসেনস্টাইন) জন্মগ্রহণ করেন। ইয়োহানেস হেস রাশিয়ান শাসিত বাল্টিক অঞ্চলে জার্মান সংখ্যালঘু ছিলেন। ফলে তার পুত্র হেরমান জার্মান এবং রুশ উভয় সাম্রাজ্যের নাগরিক হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] হেরমানের পাঁচজন ভাইবোন ছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে দুজনই শৈশবে মারা গিয়েছিল। ১৮৭৩ সালে, হেসের পরিবার ক্যালভে চলে আসে, যেখানে ইয়োহানেস কাল্ভার ভের্লাগসভেরিনে জন্য কাজ করতেন। ভের্লাগসভেরিন ছিল ধর্মভিত্তিক রচনা এবং স্কুল-বইয়ের প্রকাশনী। মারির বাবা, হেরমান গুন্ডার্ট (এছাড়াও তার নাতির নাম), সেই সময়ে এই প্রকাশনী পরিচালনা করতেন এবং ১৮৯৩ সালে ইয়োহানেস হেস এর উত্তরাধিকারী হন।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

১৮৮১ সালে হেসের যখন চার বছর বয়স, তার পরিবার সুইজারল্যান্ডের বাসেলের বাড়িতে ছয় বছর বসবাস করে এবং তারপর আবার কাল্ভে ফিরে আসেন। গ্যোপিঙেনের ল্যাটিন স্কুলে পড়াশুনা করার পর হেসে ১৮৯১ সালে মলব্রোন অ্যাবের ইভাঞ্জেলিকাল থিওলজিকাল সেমিনারিতে ভর্তি হন। জার্মানির সবচেয়ে সুন্দর এবং সুপ্রতিষ্ঠিত স্কুল অ্যাবেতে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহব্যাপী ৪১ ঘণ্টা ক্লাস করত। যদিও প্রথম মাসগুলোতে হেসে ভাল করেছিলেন। এক চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন যে তিনি বিশেষ করে প্রবন্ধ লেখা এবং ধ্রুপদী গ্রীক পদ্যসমূহ জার্মান ভাষায় অনুবাদ করতে পছন্দ করতেন। পরে মলব্রোনে তিনি কিছু সংকট পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান।[৫] ১৮৯২ সালের মার্চ মাসে হেসে বিপ্লবী হয়ে ওঠেন। তিনি সেমিনারি থেকে পালিয়ে যায় এবং পরের দিন এক খেতে তাকে পাওয়া যায়। হেসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুলে যেতে শুরু করেন এবং তার বাবা-মায়ের সাথে তীব্র দ্বন্দ্বের সম্মুখীন হন। মে মাসে আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর তিনি ধর্মতত্ত্ববিদ এবং মন্ত্রী ক্রিস্টফ ফ্রিডরিখ ব্লুমহার্টের অধীনে ব্যাড বোলের একটি প্রতিষ্ঠানে কিছু সময় কাটান। পরে তাকে স্ট্যাটেন আইম রেমস্টাল মানসিক হাসপাতালে এবং তারপর বাসেলের একটি ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়। ১৮৯২ সালের শেষের দিকে তিনি কান্সটাটের (বর্তমান স্টুটগার্টের অংশ) একটি জিমনেসিয়ামে যোগদান করেন। ১৮৯৩ সালে তিনি এক বছরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং এই পরীক্ষার মাধ্যমে তার স্কুল জীবনের সমাপ্তি ঘটে। একই বছর তিনি তার থেকে বড় সঙ্গীদের সাথে সময় কাটান এবং মধ্যপান ও ধূমপান শুরু করেন।[৬]

লেখক হওয়ার পথে[সম্পাদনা]

কনস্ট্যান্স হ্রদ থেকে ভারত[সম্পাদনা]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ[সম্পাদনা]

কাসা কামুজ্জি[সম্পাদনা]

দ্য গ্লাস বিড গেইম[সম্পাদনা]

সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]

  • ১৯০০ - হেরমান লস্কার
  • ১৯০৬ - বিনিথ দ্য হুইল (দ্য প্রডিজি নামে প্রকাশিত)
  • ১৯১০ - গার্টুড
  • ১৯১৪ - ইন দি ওল্ড সান
  • ১৯১৯ - স্ট্রেঞ্জ নিউজ ফ্রম অ্যানাদার স্টার
  • ১৯১৯ - ডেমিয়ান (এমিল সিনক্লেয়ার ছদ্মনামে প্রকাশিত)
  • ১৯২২ - সিদ্ধার্থ
  • ১৯২৭ - স্টেপেনউলফ
  • ১৯৩২ - জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট
  • ১৯৪৩ - দ্য গ্লাস বিড গেম (ম্যাজিস্টার লুডি নামে প্রকাশিত)

পুরস্কার[সম্পাদনা]

  • ১৯০৬ - বুয়ের্নফেল্ড-প্রেইস
  • ১৯২৮ - ভিয়েনার দ্য স্কিলার ফাউন্ডেশনের মাজস্ট্রিক-প্রেইস
  • ১৯৩৬ - গটফ্রিড-কেলার-প্রেইস
  • ১৯৪৬ - গ্যোটে পুরস্কার
  • ১৯৪৬ - সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার
  • ১৯৪৭ - বার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট
  • ১৯৫০ - ভিলহেল্ম রাব সাহিত্য পুরস্কার
  • ১৯৫৪ - পুর লে মেরিত
  • ১৯৫৫ - জার্মান বুক ট্রেডের শান্তি পুরস্কার

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Hermann Hesse autobiography"Nobelprize.org। ৬ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৭ 
  2. A Malayalam and English Dictionary by von Hermann Gundert
  3. Gundert, Adele, "Marie Hesse: Ein Lebensbild in Briefen und Tagebuchern," as quoted in Freedman (1978) pp. 18–19.
  4. Weltbürger – Hermann Hesses übernationales und multikulturelles Denken und Wirken. An exhibition of the Hermann-Hesse-Museum of the City of Calw from 2. July 2009 to 7. February 2010
  5. Zeller, pp. 26–30
  6. Freedman (1978) p. 53

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]