কাঁকড়াজিরিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কাঁকড়াজিরিয়া
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Charadriiformes
পরিবার: Dromadidae
জর্জ রবার্ট গ্রে, ১৮৪০
গণ: Dromas
Paykull, 1805
প্রজাতি: D. ardeola
দ্বিপদী নাম
Dromas ardeola
Paykull, 1805

কাঁকড়াজিরিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Dromas ardeola) বা কাঁকড়াভোজী বাটান Dromadidae (ড্রোমাডিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Dromas (ড্রোমাস) গণের অন্তর্ভুক্ত একমাত্র প্রজাতি[২][৩] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকাদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে দেখা যায়। কাঁকড়াজিরিয়ার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ধাবমান ছোট বগা (গ্রিক: dromas = ধাবমান, লাতিন: ardeola = ছোট বগা)।[৩] সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[৪] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[১] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[৩]

কাঁকড়াজিরিয়া পানিকাটা পাখিদের নিকট আত্মীয়। তবে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে একে আলাদা গোত্রে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং এরা এ গোত্রের একমাত্র সদস্য। কারাড্রিফর্মিস বর্গের সাথে প্রজাতিটির সম্পর্ক পরিষ্কার নয় বলে অনেকে একে মোটাহাঁটুবাবুবাটানের নিকট আত্মীয় বলে মনে করেন। আবার অনেকের মতে এরা অকগাঙচিলের সাথে সম্পর্কিত। পানিকাটা পাখিদের মধ্যে একমাত্র কাঁকড়াজিরিয়াই ডিম ফোটাবার জন্য মাটির উষ্ণতা ব্যবহার করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Dromas ardeola"The IUCN Red List of Threatened Species। ১১ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৩ 
  2. রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ৭৫। আইএসবিএন 9840746901 
  3. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২১০। 
  4. "Crab Plover,Dromas ardeola"BirdLife International। ২০১২-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-২৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]