গজঃমদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গজঃমদ
ꦓꦗꦃꦩꦢ
মহাপতিঃ মজপহিৎ সাম্রাজ্য-র
কাজের মেয়াদ
১৩৩১ (1331)[১] – টেমপ্লেট:শেষ তারিখ
সার্বভৌম শাসকজয়নগর রাজা
ত্রিভুবন বিজয়তুঙ্গদেবী
হয়ম্বুরুক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মপ্রায় ১২৯০
মৃত্যুপ্রায় ১৩৬৪
ধর্মশিব-বৌদ্ধধর্ম[২][Note ১]
সামরিক পরিষেবা
যুদ্ধসাদেং বিদ্রোহ
রা কুটি বিদ্রোহ
বেদাহুলু যুদ্ধ
বুবাতের যুদ্ধ
পাডম্পো[Note ২]

গজঃমদ (প্রায় ১২৯০ – প্রায় ১৩৬৪), বা জীর্ণোদ্ধার নামেও পরিচিত[৩], পুরানো জাভানীয় পাণ্ডুলিপি, কবিতা এবং শিলালিপি অনুসারে, ১৪ শতকের মজপহিতের জাভানীয় সাম্রাজ্যের একজন শক্তিশালী সামরিক নেতা এবং মহাপতি (একজন আধুনিক প্রধানমন্ত্রীর আনুমানিক সমতুল্য) ছিলেন। মজপহিৎ সাম্রাজ্যকে গৌরবের শিখরে নিয়ে আসার কৃতিত্ব তাঁর।[৪]

তিনি সুম্পাহ পালাপা নামে একটি শপথ প্রদান করেন, যেখানে তিনি মাজাপাহিতের জন্য নূসান্তরের সমস্ত দক্ষিণ- পূর্ব এশীয় দ্বীপপুঞ্জ জয় না করা পর্যন্ত একটি তপস্বী জীবনধারা (মশলাযুক্ত খাবার গ্রহণ না করে) বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।[৫] তার শাসনামলে, রামায়ণ এবং মহাভারত সহ হিন্দু মহাকাব্যগুলি জাভানীয় সংস্কৃতি এবং বিশ্বদর্শনে ওয়েয়াঙ্ কুলিৎ ("চামড়ার পুতুল") শিল্পকলা প্রদর্শন করার মাধ্যমে নিবিষ্ট হয়ে ওঠে।[৬] আধুনিক ইন্দোনেশিয়ায় তাকে একজন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বীর হিসেবে বিবেচনা করা হয়,[৭] সেইসাথে তিনি দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যেরও প্রতীক। তার জীবন, রাজনৈতিক কর্মজীবন, এবং প্রশাসনের ঐতিহাসিক বিবরণ বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া হয়েছে, প্রধানত পররাতন ("রাজাদের পুস্তক"), নগরকৃতাগম (একটি জাভাই-ভাষার প্রশংসামূলক রচনা), এবং ১৪ শতকের মাঝামাঝি থেকে একটি শিলালিপি থেকে।

টীকা[সম্পাদনা]

  1. গজঃমদকে ব্রজনাথ এবং বীম হিসাবে দেবতাকরণ নির্দেশ করে যে তিনি শিবভক্ত, কিন্তু মজপহিৎ-এর ধর্ম স্বয়ং হিন্দু-বৌদ্ধ মিশ্রণ (সমন্বয়), যা শিব-বৌদ্ধ নামেও পরিচিত।
  2. এটা খুবই সম্ভব যে বুবট ঘটনার পরেও গজঃমদ মজপহিৎ-এ একটি ভূমিকা পালন করেছিলেন। মুনান্দার ব্যাখ্যা করেছেন যে তিনি সেনাপতি বীরমণ্ডলীকা এম্পু নলার সাথে ডোম্পোতে আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পদোম্পোতে গজঃমদর ভূমিকার ব্যাখ্যাটি বিমার সালতানাতের সাহিত্য সংকলনে দেখা যায় যার শিরোনাম রয়েছে সেরিতা আসাল বাংসা জ্বীন দ্যান সেগালা দেবা-দেবা'। (জ্বীন এবং সমস্ত দেবদের উৎপত্তির গল্প), কেবলমাত্র গজঃমদর নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি কিন্তু বৌমার সাথে তুলনা করা হয়েছে। গল্পের বর্ণনাটি বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী, কিংবদন্তি, রূপকথার পাশাপাশি সমসাময়িক ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি দিয়েও আচ্ছাদিত করা হয়েছে যখন পাণ্ডুলিপিটি ১৭ এবং ১৯ শতকে প্রথম রচিত হয়েছিল। দেখুন মুনান্ডার, 2010: 99-100।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Pigeaud, 1960: 83
  2. Munandar, 2010: 127
  3. Munandar, 2010: 77
  4. Cœdès, George (১৯৬৮)। The Indianized states of Southeast Asia। University of Hawaii Press। আইএসবিএন 9780824803681 
  5. Pradipta, Budya (২০০৪)। "Sumpah Palapa Cikal Bakal Gagasan NKRI" (পিডিএফ) (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Perpustakaan Nasional Republik Indonesia। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. Mark Juergensmeyer and Wade Clark Roof, 2012, Encyclopedia of Global Religion, Volume 1, Page 557.
  7. "Majapahit Story : The History of Gajah Mada"Memory of Majapahit। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৭