বিষয়বস্তুতে চলুন

কটকটি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কটকটি বা মহাস্থানগড়ের কটকটি[] চারকোনা বিস্কুট আকৃতির কটকটি শুকনো মিষ্টান্নজাতীয় খাবার। বগুড়া শহর থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম পাশে বাংলার প্রাচীন রাজধানী পুণ্ড্রবর্ধন বা মহাস্থানগড় এটি বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য জন্য তৈরি একটি খাবার।[]

খাবারটির নাম কেন কটকটি রাখা হলো এর ইতিহাস জানা যায়নি। কটকটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন এবং এই অঞ্চলের কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির মতে, খাওয়ার সময় কটকট শব্দ হওয়ার কারণেই এই খাবার কটকটি নামেই পরিচিতি পেয়ে যায়।[]

প্রস্তুত প্রণালী

[সম্পাদনা]
মহাস্থানগড়ের কটকটি

কটকটি তৈরির মূল উপাদান হলো চিনিখাবার সোডা। প্রথমে কড়াইয়ে চিনি নিয়ে একে মৃদু আঁচে গলানো হয়। হালকা লাল বর্ণ ধারণ করলে আঁচ বন্ধ করে এতে খাবার সোডা মেশানো হয়। এরপর চূড়ান্ত ধাপে একে ঠাণ্ডা করা হয়।[]

স্বাদ

[সম্পাদনা]

এর স্বাদ খাবার সোডার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে: সোডার পরিমাণ বেশি হলে নোনতা ভাব বেশি হয়। চিনির সিরাপটি তৈরির সময় একে অতিরিক্ত লালচে করলে তিক্ত স্বাদের হয়। এতে কেবল চিনি ও খাবার সোডা থাকায় স্বাদে খুব একটা বৈচিত্র্য থাকে না।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

প্রসার

[সম্পাদনা]
মহাস্থানগড়ের কটকটি

পণ্যটি মূলত গ্রামীণ শিশুদের লক্ষ্য করে বানানো হতো। বিক্রেতা মূলত স্থানীয় হকারেরা। আধুনিকায়নের পথে গ্রামীণ সমাজের যাত্রার ফলে এবং অন্যান্য শিশুতোষ খাদ্যপণ্যের সহজলভ্যতা ও সহজপ্রাপ্যতার কারণে কটকটির প্রতি আগ্রহ কমে এসেছে। এর উপাদান, প্রস্তুত-প্রণালী ও স্বাদে বৈচিত্র্য ও বাহুল্য না থাকায় আনুষ্ঠানিক খাদ্যতালিকায় এর ঠাই হয়নি। তবে উৎসাহী কেউ কেউ নস্টালজিয়াহেতু নতুন করে এটা নিয়ে চর্চা শুরু করেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মহাস্থানগড়ের 'কটকটি'"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "মহাস্থানের কটকটি | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। ২০১৬-১০-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০১ 
  3. "কটকটি তৈরির রেসিপি"। www.dhakapost.com। ১১ নভেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২২ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]