পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির
পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | বৌদ্ধ |
জেলা | খাগড়াছড়ি |
অঞ্চল | পার্বত্য এলাকা |
অবস্থান | |
অবস্থান | পানছড়ি |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | |
স্থাপত্য | |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৯৯৯ |
পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির
চাক্মা 𑄛𑄚𑄴𑄍𑄪𑄢𑄨𑄨 𑄥𑄚𑄴𑄖𑄨𑄛𑄪𑄢𑄴 𑄃𑄧𑄢𑄧𑄚𑄴𑄳𑄠𑄬 𑄇𑄪𑄑𑄨𑄢𑄴)
বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত পানছড়ি উপজেলার একটি বৌদ্ধবিহার ও পর্যটন স্থান। [১][২] বিশাল এলাকাজুড়ে অরণ্যে আবৃত বলেই এর নামকরণ হয়েছে অরণ্য কুটির। নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে ধ্যান সাধনার জন্য ভিক্ষুরা এই কুটিরটি ব্যবহার করেন বলে জনশ্রুতি আছে।
এটি মূলতঃ বৌদ্ধ মন্দির। এই মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ হল এখানেই বাংলাদেশের তথা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তিটি রয়েছে। শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে সাড়ে ৪৮ফুট উচ্চতার গৌতম বুদ্ধের মূর্তি, লাভীশ্রেষ্ঠ সিবলী মহাস্থবিরের মন্দিরসহ মূর্তি, মারবিজয়ী উপগুপ্ত মহাস্থবিরের মূর্তি, অধ্যক্ষ মহোদয়ের আবাসস্থল ‘‘মৈত্রী ভবন’’, ১০০ হাত দৈর্ঘ্যের ভিক্ষুশালা, ৬০ হাত দৈর্ঘ্যের দেশনাঘর, ৮০ হাত দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট ভোজনশালা এবং বড় বুদ্ধ মূর্তির ছাদ।[৩]
অবস্থান
[সম্পাদনা]পানছড়ি উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে উল্টাছড়ি ইউনিয়নে শান্তিপুর নামক গভীর অরণ্যবেষ্টিত বনভূমিতে ৬৫ একর জায়গার ওপর অবস্থিত।[৪]
প্রাচীন ইতিহাস
[সম্পাদনা]অরণ্য কুটিরে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বুদ্ধ মূর্তি। ১৯৯৯ সালে [৫] নির্মিত ৫০ ফুট উচ্চতার এ বুদ্ধ মূর্তি তৈরিতে সময় লেগেছে ৩-৪ বছর।
রাঙ্গামাটি রাজ বনবিহারের অধ্যক্ষ শ্রাবক বুদ্ধ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের অন্যতম শিষ্য শ্রীমত্ শাসন রক্ষিত মহাস্থবির সূর্য্যবান চাকমা ১৯৬৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সুবল চন্দ্র চাকমা, মায়ের নাম খাজাবি চাকমা। এইচএসসি পাস করার কয়েক মাস পর বৈরাগ্যভাব উদয় হলে সূর্য্যবান চাকমা বাবা-মায়ের অনুমতিক্রমে রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রাবক বুদ্ধ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের কাছে উপসম্পদা গ্রহণ করেন। তিনি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছাড়াও সব সম্প্রদায়ের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র, বৌদ্ধ ভিক্ষু, পরম পূজ্য সাধকপ্রবর মহাপ্রজ্ঞালাভী হিসেবে পরিচিত।
তিনি ১৯৯৮ সালে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ‘শান্তিপুর’ নামক জনমানবহীন স্থানে গভীর ধ্যান-সাধনা করেন। প্রতিদিন ভোরে শান্তিপুর এলাকায় পিণ্ডচরণ (ভাত-তরকারি) গ্রহণ করে খেয়ে না খেয়ে জনমানবহীন এ স্থানে গভীর তপস্যা করেন। এ খবর শান্তিপুর এলাকায় চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন শান্তিপুরবাসী ভান্তের ধ্যান গ্রহণ স্থানে প্রথমে পলিথিন দিয়ে একটি ছাউনি তৈরি করে দেন। ৩-৪ মাস পর এলাকাবাসী বড় বাঁশ দিয়ে একটু উঁচু করে একটি মাচাং ঘর করে দেন।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য ও সেবা বাতায়ন"। bangladesh.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Times, The Dhaka (২০২০-০৩-০৫)। "ভ্রমণ: ঘুরে আসুন পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুঠির"। The Dhaka Times। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৩।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। "শান্তিপুর অরণ্য কুটির"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩০ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "ঘুরে আসতে পারেন খাগড়াছড়ির দর্শণীয় স্থানগুলো"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "শান্তিপুর অরণ্য কুটির"। ভ্রমণবন্ধু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ঘুরে আসতে পারেন খাগড়াছড়ির দর্শণীয় স্থানগুলো"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]