সোহাবল রাজ্য
সোহাবল রাজ্য सोहावल | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৫৪২–১৯৫০ | |||||||
পতাকা | |||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত সোহাবল রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯০১ | ৫৫২ বর্গকিলোমিটার (২১৩ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯০১ | ৩২,২১৬ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৫৪২ | ||||||
১৯৫০ | |||||||
| |||||||
বর্তমানে যার অংশ | মধ্যপ্রদেশ, ভারত |
সোহাবল রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ মধ্য ভারত এজেন্সির বাঘেলখণ্ড এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে এটি ছিল একটি অ-তোপ সেলামী সম্মানপ্রাপ্ত আশ্রিত রাজ্য।[১] এটি তুলনামূলক ক্ষুদ্র ৫৫২ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত সনদ রাজ্য ছিল। রাজ্যটির রাজধানী ছিল সোহাবল শহরে যা বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সাতনা জেলায় অবস্থিত। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যটির জনসংখ্যা ছিল ৩২,২১৬ জন স্থায়ী বাসিন্দা। ঐবছরই রাজ্যটির রাজধানীর জনসংখ্যা ছিল ২১০৮ জন।
দেশীয় রাজ্যটি দুটি খণ্ডে বিভক্ত ছিল এবং খণ্ডদুটির মাঝে ছিল কোঠী রাজ্যের সামান্য অংশ। উত্তর দিকে অবস্থিত খন্ডটির সাথে পার্শ্ববর্তী পান্না রাজ্যের একাধিক ছিটমহল বা ক্ষেত্র বহির্ভূত ভূমি ছিল। [২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ফতে সিং নামে এক যোদ্ধা সোহাবল রাজ্যের পত্তন ঘটান। রাজ্যটি পত্তনকালে বৃহত্তর অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল তবে রাজ্য স্থাপনের প্রথম শতাব্দীর মধ্যেই বিভিন্ন কারণে এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ এই রাজ্যের আয়তন ক্রমশ কমতে থাকে এবং এর অধিকাংশ অঞ্চলই হাতছাড়া হয়ে যায়। [২]
প্রাথমিকভাবে পান্না রাজ্যের সহকারী সামন্ত রাজ্য হিসেবে এটি ব্রিটিশ করদ রাজ্যে পরিণত হয়। তবে ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার এই রাজ্যটির জন্য একটি পৃথক সনদ বের করেন এবং রাজ্যের "রায়" আমন সিংকে তা প্রেরণ করলে একটি পৃথক দেশীয় রাজ্যের মর্যাদা পায়। ১৮৩০ থেকে ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাজ্যটির রাজপদ শূন্য হলে ব্রিটিশ সরকার স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে রাজ্যটিকে আত্মসাৎ করে ব্রিটিশ শাসনের অন্তর্ভুক্ত করে। [৩]
সোহাবলের শেষ রাজা পয়লা জানুয়ারি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ভারতে অধিরাজ্যে যোগদানের সম্মতিপত্র স্বাক্ষর করেন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শাসকবর্গ
[সম্পাদনা]১৯১১ খ্রিস্টাব্দে সোহাবল দেশীয় রাজ্যের শাসক "রায়"রা রাজা উপাধিতে ভূষিত হন।[৩]
রায়
[সম্পাদনা]- ১৫৫০ – .... ফতে সিং
- .... – .... ....
- .... – ১৭৫০ পৃথ্বীপাল সিং
- .... – .... .... (চারজন শাসচ)
- ১৮০৯ – ১৮.. লাল আমন সিং (প্রথম বার)
- ১৮.. – ১৮৩০ রঘুনাথ সিং
- ১৮৩০ – ১৮৩৩ পদশূন্য
- ১৮৩৩ – ১৮৪০ লাল আমন সিং (দ্বিতীয়বার)
- ১৮৪০ – ১৮৬৫ শিউ সিং
- ১ নভেম্বর ১৮৬৫ – ১৮৯৯ শের জঙ্গবাহাদুর সিং (১ জানুয়ারি ১৮৭৯ থেকে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে রাজা ব্যবহার)
- ২৩ নভেম্বর ১৮৯৯ – ১৯১১ ভাগবৎ রাজবাহাদুর সিং
রাজা
[সম্পাদনা]- ১৯১১ – ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ ভাগবৎ রাজবাহাদুর সিং
তিনপুত্র-
- ১৯৩০ – ১৫ আগস্ট ১৯৭৪ (১)রাজা জাগেন্দ্র বাহাদুর সিং (সন্তানহীন)
(২)মহারাজ কুমার বুরেন্দ্র বাহাদুর সিং (অবিবাহিত)
(৩)রাজা পুরুষোত্তম সিং - দুই কন্যা -রাজকুমারী সীতা দেবী ও রাজকুমারী গীতা দেবী
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Bagelkhand"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 3 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 200।
- ↑ ক খ Imperial Gazetteer of India, v. 23, p. 70.
- ↑ ক খ Princely States of India K-W