মোহাম্মদ খালেদ হোসেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহাম্মদ খালেদ হোসেন
জন্ম১৯৭৯
মৃত্যু২০ মে ২০১৩
জাতীয়তা বাংলাদেশ
অন্যান্য নামসজল খালেদ
পেশাপর্বতারোহী, চলচ্চিত্র পরিচালক
পরিচিতির কারণমাউন্ট এভারেস্ট জয়

মোহাম্মদ খালেদ হোসেন, (জন্ম: ১৯৭৯ - মৃত্যু: ২০ মে ২০১৩) যিনি সজল খালেদ নামে বেশি পরিচিত, এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে মৃত্যুবরণকারী প্রথম বাংলাদেশী৷[১] পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া এভারেস্ট জয় করে নামার পথে ৮,৬০০ মিটার উচ্চতায় ‘অজানা কারণে’ মারা যান তিনি৷[২] এর আগে হিমালয়ের মেরা পিক, চুলু ওয়েস্ট ও লান্সিসারি চূড়া জয় করেছিলেন তিনি।[৩]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ খালেদ হোসেনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের সিংপাড়া হাসারগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মায়ের নাম সখিনা বেগম। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।[৪] তিনি আদমজি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করেন; ১৯৯৩ সালে এসএসসি, ১৯৯৫ সালে এইচএসসি পাস করে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক এবং ফিল্ম স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ খালেদ হোসেনের স্ত্রীর নাম তাহমিনা খান শৈলী। তাদের একমাত্র সন্তানের নাম সুস্মিত হোসেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

পর্বতারোহণ ছাড়াও মোহাম্মদ খালেদ হোসেনের পরিচালনায় ২০১৩ সালে কাজলের দিনরাত্রি নামে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে।[৫] সরকারি অনুদানের এ চলচ্চিত্রটি জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্প অবলম্বনে তৈরি।

পর্বত জয়[সম্পাদনা]

খালেদ, ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয়বারের মত এভারেস্ট অভিযানে বের হয়ে, নেপালের সাউথ ফেস দিয়ে ২০ মে সকাল আনুমানিক ১০টায় এভারেস্ট জয় করেন।[৬] এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে তিব্বতের নর্থ ফেস ধরে এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন খালেদ হোসেন। সেবার তিনি উঠেছিলেন প্রায় ২৩,০০০ ফুট পর্যন্ত। কিন্তু ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ায় নেমে আসতে হয়েছিল।[৭]

এভারেস্টের চূড়ায় মৃত্যু[সম্পাদনা]

এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়া (২৯,০৩৫ ফুট) জয় করে নেমে আসার পথে সাউথ সামিটে (উচ্চতা প্রায় ২৮,৭৫০ ফুট) পৌঁছার পর খালেদ হোসেন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এ কারণে তিনি পা ফেলতে পারছিলেন না। ৮,৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থান কালে পর্বতারোহী খালেদ মারা যান।[৭]

অন্যান্য পর্বত জয়[সম্পাদনা]

খালেদ ২০০৬ সালে সিকিমের ফ্রে পর্বত, ২০০৯ সালে নেপালের মাকালু, ২০১০ সালে হিমালয়ের বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ পিক এবং ২০১১ সালে অন্নপূর্ণা রেঞ্জের সিংগুচুলি পর্বত জয় করেন।[৮]

প্রকাশিত বই[সম্পাদনা]

  • পর্বতারোহণ নিয়ে এডমন্ড ভিস্টর্সেলের লেখা একটি বইও তিনি অনুবাদ করেছেন, যার নাম পর্বতের নেশায় অদম্য প্রাণ

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ঢাকা ট্রিবিউন"। ৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩ 
  2. "পরিবর্তন ডট কম"। ৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩ 
  3. "বিডিনিউজ২৪ ডট কম"। ৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩ 
  4. "বাংলানিউজ২৪ ডট কম"। ৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩ 
  5. দৈনিক কালের কন্ঠ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. দি ডেইলি স্টার
  7. "এভারেস্টে ঝরে গেল বাংলাদেশির প্রাণ"। প্রথম আলো। ২১ মে ২০১৩। ২০১৪-০৪-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩ 
  8. "Everest triumph ends in tragedy"। দি ডেইলি স্টার। ২২ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৩