হুমায়ূন কবির (রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যাডভোকেট
হুমায়ূন কবির
স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৯৮৭ – ১৯৮৮
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মে ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1952-02-02) ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ (বয়স ৭২)[১]
পৈরতলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পূর্ব পাকিস্তান
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২৭ অক্টোবর ২০১৯(2019-10-27) (বয়স ৬৭)[১]
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীনায়ার কবির
পিতামাতাবজলুর রহমান (পিতা)
উকিলুন্নেচ্ছা (মাতা)

হুমায়ূন কবির (জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ - ২৭ অক্টোবর ২০১৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশী আইনজীবী, সাবেক সাংসদস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদরবিজয়নগর) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে তৃতীয়চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১][২][৩][৪]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

হুমায়ূন কবির ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[১][৫] তার পিতার নাম বজলুর রহমান ও মায়ের নাম উকিলুন্নেচ্ছা। বাবা মার ৮ ছেলে ৪ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

হুমায়ূন কবির আইনজীবীমুক্তিযুদ্ধা। ১৯৭০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদে ভিপি ছিলেন। তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার যুদ্ধে ১৯৭১ সালে সম্মুখযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন তিনি। ৬ মে ১৯৭৪ সালে প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এর পর ১৯৭৭-১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে পৌর মোট তিন মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির।[৬] তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদরবিজয়নগর) আসন থেকে জাতীয় পার্টি থেকে তৃতীয়চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৩][৪] ১৯৮৭ সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।[৫] ১৯৮৮ তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব পান।

২০০১ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং ২০০৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যদিও ১৯৯১১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে ও ২০০১ সালের নির্বাচনের আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন।[৭][৮]

হুমায়ূন কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিক দৈনিক দিনদর্পনের প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন। [৯]

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

হুমায়ূন কবিরের সধর্মিণী নায়ার কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে এলিন কবির যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী।[৬]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

হুমায়ূন কবির ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর মারা যান।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. করেসপন্ডেন্ট, ডিস্ট্রিক্ট (ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯)। "সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ুন কবির আর নেই"। banglanews24। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ুন কবির মারা গেছেন"thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  5. "সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ূন কবির আর নেই"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-৩০ 
  6. "ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী মেয়র নায়ার কবির"brahmanbaria24.com। ২২ মার্চ ২০১৬। ২০১৯-০৯-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  7. "হুমায়ুন কবির"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৯ 
  8. "শহরে ভোট কম, গ্রামে বেশি"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-৩০ 
  9. "সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির আর নেই"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-৩০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]