অ্যাট ল্যান্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যাট ল্যান্ড
অ্যাট ল্যান্ড চলচ্চিত্রের দৃশ্য
মূল শিরোনামAt Land
পরিচালকমায়া ডেরেন
রচয়িতামায়া ডেরেন
শ্রেষ্ঠাংশে
চিত্রগ্রাহক
মুক্তি
  • ১৯৪৪ (1944)
স্থিতিকাল১৫ মিনিট
দেশমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

অ্যাট ল্যান্ড ১৯৪৪ সালের মার্কিন পরীক্ষামূলক নির্বাক সাদাকালো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ১৫ মিনিট স্থিতিকালের চলচ্চিত্রটি রচনা এবং পরিচালনা করেছেন মার্কিন আভা-গার্দ এবং পরাবাস্তববাদী চলচ্চিত্র নির্মাতা মায়া ডেরেন[১] অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণ করেছেন হ্যালা হেইম্যান এবং আলেকজান্ডার হামিদ দম্পতি। এছাড়াও অভিনয়ে ছিলেন মায়া ডেরেন, জন কেজ এবং পার্কার টাইলার[২] সুরকার কেজ এবং কবি ও চলচ্চিত্র সমালোচক টাইলার চলচ্চিত্রটির নির্মাণেও যুক্ত ছিলেন, যেটি চিত্রায়িত হয়েছিল লং আইল্যান্ডের আমাগানসেটে

চলচ্চিত্রে একটি স্বপ্নের মতো আখ্যান রয়েছে যেখানে এক মহিলা (ডেরেন অভিনীত) সৈকতে স্রোতে ভেসে আসে এবং অন্য মানুষ এমনকি নিজের অন্য সংস্করণের মুখোমুখি একটি অদ্ভুত যাত্রায় এগোও। ডেরেনের মতে চলচ্চিত্রটি নিজের ব্যক্তিগত পরিচয় বজায় রাখার লড়াই বিষয়ক।

২০১৯ সালে প্রকাশিত বিবিসির "দ্য হান্ড্রেট গ্রেটেস্ট ফিল্ম ডিরেক্টেড বাই ওমেন" তালিকায় চলচ্চিত্রটি ৮২ তম স্থানে অর্ন্তভূক্ত হয়েছে।[৩]

সংক্ষিপ্তসার[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রে ডেরেন সমুদ্র সৈকতের তীরে স্রোতে ভেসে একটি ভাসমান কাঠের টুকরোর উপরে উঠে আসে এবং সেখান থেকে দৃশ্যটি ঝাড়বাতি প্রজ্জ্বলিত একটি ঘরের দৃশ্যের অবতাড়না করে। যেখানে খাবারের টেবিলে বসা পুরুষ-মহিলাদের ধূমপানের কারণে ঘরটি ধোঁয়াময় থাকে। ডেরেন টেবিলে সংকোচমুক্ত হামাগুড়ি দিতে থাকে, যদিও ঘরের বাকি লোকদের কাছে তাকে অদৃশ্য মনে হয়। টেবিল জুড়ে হামাগুড়ি দিতে বাধা দেওয়ার কারণে ডেরেনের দেহ ঝাঁকুনির মধ্যে দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে আবার নতুন নতুন ফ্রেমে অবিচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে। এরপর পাথরে জল প্রবাহিত হবার দৃশ্যের পর; একটি খামারে একজন লোককে বিছানায় রেখে, একের পর এক দরজা দিয়ে অবশেষে বাইরে চূড়া থেকে পতনের দৃশ্য দেখা যায়। তিনি প্রশস্ত ফ্রেমে সঙ্কুচিত হয়ে ক্যামেরা থেকে আরও দূরে হেঁটে বালির টিলার উপর পৌছান, তারপরে তীর থেকে শিলা সংগ্রহ করেন। দু'জন মহিলাকে বালিতে দাবা খেলতে দেখলেও তার অভিব্যক্তি বিভ্রান্ত বলে মনে হয়। তিনি পূর্বের ধারাবাহিকতায় ফিরে আসেন, এবং জাম্প-কাটগুলির কারণে, মনে হয় যেন তিনি দ্বৈত বা "ডপ্পেলগার", যেখানে তার আগের স্ব-স্ব দৃশ্যের মধ্য দিয়ে তার অন্য স্ব-স্ব চরিত্র দেখছেন। তার কিছু গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা একটি নাটকীয়তা, দক্ষ নর্তকীর মতো, আবার কারও কারও কাছে প্রায় পশুত্বের সংবেদনশীলতা মনে হয়, কারণ তিনি আপাতদৃষ্টিতে বিদেশী পরিবেশের মধ্য দিয়ে হামাগুরি দিতে থাকেন।

অভিনয়ে[সম্পাদনা]

নির্মাণ[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটি ১৬ মিলিমিটার সাদাকালো প্রযুক্তিতে নির্মিত পরীক্ষামূলক নির্বাক চলচ্চিত্র।[১]

আনুসাঙ্গিক[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রের শুরু এবং শেষের দিকে প্রদর্শিত দাবা খেলাটি অ্যান্ডারসেন - কিসরিটজকি প্রচারিত ইমমরটাল গেম-এর দৃশ্য।

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে প্রভাব[সম্পাদনা]

হেরব রিটস পরিচালিত ম্যাডোনার ১৯৮৯ সালের "চেরিশ" একক গানের ভিডিওর উল্লেকযোগ্য ভাবে অ্যাট ল্যান্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত।[৪]

সৈকতে ডেরেনের দৃশ্য এবং দাবা খেলার দৃশ্যগুলি গারবেজ ব্যান্ডের ২০১২ সালের একক হান "ব্লাড ফর পপিজ" ব্যান্ডের সঙ্গীত ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে।[৫]

২০১৫ সালে, ইংরেজ রক সঙ্গীতশিল্পী এবং পিংক ফ্লয়েডের প্রাক্তন সদস্য ডেভিড গিলমোর তার "ফেসেস অব স্টোন" গানের চিত্রায়ণে চলচ্চিত্রটির দৃশ্য (ফুটেজ) ব্যবহার করেছিলেন যেটির পরিচালনা করেছিলেন হিপনোসিসের অব্রে পাওয়েল[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "At Land 1944"film-makerscoop.com। The Film-Makers’ Coop। ১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৯ 
  2. Haslem, Wendy (১২ ডিসেম্বর ২০০২)। "Great Directors: Maya Deren"Senses of Cinema (23)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১১ 
  3. "The 100 greatest films directed by women" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি। ২৬ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২০ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৯ 
  5. "Watch video for Garbage comeback track 'Blood For Poppies'"NME। ২০১২-০৪-০৪। ২০১২-০৬-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২৬ 
  6. Blistein, Jon (২৮ অক্টোবর ২০১৫)। "David Gilmour Mulls Life, Death in Somber 'Faces of Stone' Video"Rolling Stone। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯ 

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

  • পিয়েট্রোপোল, লরা; টেস্টাফেরারি, অদা (১৯৯৫)। ফেমিনিজমস ইন দ্য সিনেমা। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 9780253116239। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৯ 
  • টুরিম, মৌরিন চেরিন টুরিম (২০০১)। "দি এথিক্স অব ফর্ম : স্ট্রাকচার অ্যান্ড জেন্ডার ইন মায়া ডেরেন'স চ্যালেঞ্জ টু দ্য সিনেমা"। মায়া ডেরেন অ্যান্ড দ্য মার্কিন আভা-গার্দ: ৭৭–১০২। ওসিএলসি 51209119 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]