সানাখৎ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সানাখৎ বা হোর-সানাখৎ[২] বা নাখৎ-সা[৩] মিশরের পুরাতন রাজত্বের সময়ের তৃতীয় রাজবংশের একজন ফারাও ছিলেন। তাঁর হোরাসনাম

V18N35
M3

অনুযায়ী তিনি এই নামে চিহ্নিত। কিন্তু পরবর্তী যুগে প্রাপ্ত ফারাওদের জন্মনামের তালিকা থেকে তাঁকে এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তিনি ২৬৯০ - ২৬৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে কোনওসময় রাজত্ব করেন।[৪]

পরিচয় চিহ্নিতকরণ[সম্পাদনা]

ওয়াদি মাঘারায় প্রাপ্ত সানাখৎ'এর সাদা মুকুট পরিহিত চিত্র

ফারাও হিসেবে সানাখৎ'এর হোরাসনাম সংবলিত একাধিক শিলালিপি এখনও পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে প্রথমটি পাওয়া গেছে সিনাই উপদ্বীপের অন্তর্গত ওয়াদি মাঘারাতে ও দ্বিতীয়টি পাওয়া গেছে সাক্কারায় জোসের পিরামিডে। এছাড়াও বেইৎ খলাফের মস্তবা কে২ সমাধিস্থলেও একইধরনের চিত্র সংবলিত শিলালিপি উদ্ধার হয়েছে।[৫] তাছাড়া এলিফ্যান্টাইন থেকেও এই সংক্রান্ত আরও তথ্য প্রমাণাদি পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

ওয়াদি মাঘারায় প্রাপ্ত তাঁর নাম সংবলিত দু'টি শিলালিপির একটিতে দেখা যায় তিনি দক্ষিণ মিশরের অধিপতি হিসেবে সাদা মুকুট (হেদিয়েত) পরে আছেন ও দ্বিতীয়টিতে উত্তরের অধিপতি হিসেবে তাঁর মুকুটের রঙ লাল (দেশরেৎ)। এর মধ্যে দক্ষিণের অধিপতি হিসেবে তাঁর সাদা মুকুট পরিহিত চিত্রটি পাওয়া যায় দেবতা হোরাসের পবিত্র মন্দিরের একেবারে সামনে। সেই হিসেবে এর গুরুত্ব আলাদা, কারণ এর আগে অন্য কোনও রাজার চিত্র ওয়াদি মাঘারার পবিত্র হোরাস মন্দিরের এত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে খোদাই করা হয়নি। তবে এর থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াও যথেষ্টই মুশকিল যে সানাখৎ'এর সম্মানেই ওয়াদি মাঘারায় এই বেদী নির্মাণ করা হয়, কারণ আসলে এই বেদীটি পর্বতাঞ্চলের দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। তাছাড়া অনেকে এর থেকে এই সিদ্ধান্তেও উপনীত হয়ে থাকেন যে, সানাখৎ আসলে দক্ষিণ মিশরে তাঁদের বংশের পবিত্র ধর্মস্থানে গিয়েছিলেন যাতে দেবতাদের আশীর্বাদে তাঁর ওয়াদি মাঘারায় পরিকল্পিত বিজয়াভিযান জয়যুক্ত হয়।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rainer Hannig: Großes Handwörterbuch Ägyptisch-Deutsch : (2800 - 950 v. Chr.). S. 1284.
  2. Rainer Hannig: Großes Handwörterbuch Ägyptisch-Deutsch : (2800 - 950 v. Chr.). David Brown Book Company, 1995. ISBN 9783805317719. S. 1284. (জার্মান)
  3. Dietrich Wildung: Die Rolle ägyptischer Könige im Bewußtsein ihrer Nachwelt. Band 1: Posthume Quellen über die Könige der ersten vier Dynastien (= Münchner ägyptologische Studien). Bd. 17, ZDB-ID 500317-9। Hessling, Berlin 1969 (Zugleich: Diss., Univ. München). (জার্মান)
  4. Thomas Schneider: Lexikon der Pharaonen. Albatros, Düsseldorf 2002, ISBN 3-491-96053-3, S. 167 & 243. (জার্মান)
  5. Kenneth Anderson Kitchen: Ramesside Inscriptions. Vol 5. S. 534–538.
  6. I. Incordino: The third dynasty: A historical hypothesis. In: Jean Claude Goyon, Christine Cardin: Proceedings of the Ninth International Congress of Egyptologists. S. 966