জয়শ্রী বর্মণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জয়শ্রী বর্মণ
জন্ম১৯৬০
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষাকলা ভবন, শান্তিনিকেতন
ভিসুয়াল কলেজ অফ আর্ট, কলকাতা
পরিচিতির কারণঅঙ্কন

জয়শ্রী বর্মণ(ইংরেজি: Jayasri Burman) (জন্ম ১৯৬০)[১] একজন ভারতীয় চিত্রশিল্পী। তিনি পৌরাণিক কাহিনীগুলির উপর ভিত্তি করে চিত্রাংকনের জন্য বিখ্যাত। ১৯৮৫ সালে, ভারত সরকার তাকে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড সম্মান দ্বারা ভূষিত করে।[২]

প্রাথমিক জীবন এবং পটভূমি[সম্পাদনা]

জয়শ্রী বর্মণ জন্মগ্রহণ করেন ভারতের কলকাতায়। অঙ্কনের সঙ্গে জড়িত ছোট বেলা থেকে, প্রথম অঙ্কন প্রতিযোগিতায় নাম দেন যখন তিনি ক্লাস থ্রিতে পরেন। তার প্রিয় বন্ধু ওপুমা, লেখক পূর্ণেন্দু পত্রীর কন্যা, প্রথম পুরস্কার পেয়েছিল। তার জন্য খুশি ছিলেন কিন্তু কেন তিনি ভাল আঁকতে পারলেন না তাই তিনি অসুখী। সে দিন থেকে, তিনি অঙ্কনে মন দেন আর জানতেন যে তিনি বড় হয়ে একজন শিল্পী হবেন তাই তিনি ভিন্নভাবে পোশাক পড়া, ফ্যাব্রিক পেইন্ট দিয়ে তার সাদা ক্যানভাস জুতোতে আঁকা। [৩] তারপর, তিনি কলকাতার ভিসুয়াল কলেজ অব আর্টের পাশাপাশি শান্তিনিকেতনে কলা ভবন থেকে শিল্পে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে,[৪] তিনি ফ্রান্সে গিয়ে শিক্ষক সিজারজির (ইংরেজি: Monsieur Ceizerzi) নিকট চারুকলারও অধ্যয়ন করেন। কিংবদন্তি, ক্ষুদ্রাকৃতি, জাতি রূপ এবং প্রকৃতি থেকে অনুপ্রেরণা তোলার মাধ্যমে তিনি প্রাণবন্ত চিত্রকল্পসমূহ তৈরি করেন যেখানে নদী, পাখি, প্রাণী, ফুল, ফল, দেব-দেবীর আবির্ভাব হয়, প্রতিটি সময় একটি ভিন্ন কেন্দ্রবিন্দু এবং সামান্য পার্থক্যের সাথে।

পরিবার এবং কর্মজীবন[সম্পাদনা]

জয়শ্রী বর্মণের প্রসারিত পরিবারে অনেক বিখ্যাত শিল্পী রয়েছেন: তার স্বামী পরেশ মাইতি তিনি ভারতে এবং অন্য দেশে তার শিল্পের প্রদর্শনী করেছেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারও জিতেছেন। তার কাকা চিত্রশিল্পী শক্তি বর্মণ [৫] ফ্রান্সে বসবাস ও কাজ করেন, বিভিন্ন পুরস্কারও জিতেছেন; এবং তার ভগিনী, মায়া বর্মণ, একজন উল্লেখযোগ্য শিল্পী। ২০০৫ সালে, তিনি তার এই সমস্ত পরিবারের শিল্পীদের কাজ, "দ্যা ফেমিলি” (ইংরেজি: "The Family"), নামক একটি প্রদর্শনী তৈরি করাতে সাহায্য করেন।

দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু এবং ভারতের অন্যান্য শহরগুলিতে বেশ কয়েকটি একাকী ও দলের অনুষ্ঠানগুলিতে জয়শ্রী বর্মণের কাজ প্রদর্শিত হয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও কর্মশালাগুলিতেও অংশগ্রহণ করেছেন যেমন জার্মানিতে ট্রিনিয়েল (ইংরেজি: Triennale) এবং কিছু প্রদর্শনী লন্ডনে। তার কাজ এনজিএমএ (ইংরেজি: NGMA Delhi) দিল্লি সহ সরকারি ও বেসরকারী সংগ্রহ অনুষ্ঠিত হয়।[২]

মাধ্যম এবং চিত্রকলার প্রয়োগকৌশল[সম্পাদনা]

জয়শ্রী বর্মণ, তার চিত্রকলায় ব্যথা, আনন্দ, স্বপ্ন এবং জীবনের ভয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন। তার চিত্রে জল রং, তেল, প্রাকৃতিক রঙ্গক, অনচ্ছ জলরঙের মিশ্রণ এবং রঙের পেন্সিল সহ মিশ্র মাধ্যম ব্যবহার রয়েছে।[২]

পুরস্কার ও সম্মান[সম্পাদনা]

  • ১৯৭৯ সালে, অসাধারণ মেধার জন্য পুরস্কার, বার্ষিক প্রদর্শনীতে কলেজ অফ ভিসুয়াল আর্টস, টেম্পার (ইংরেজি: Tempera)। [২]
  • ১৯৮৫ সালে,ভারত সরকার দ্বারা তার চিত্রকলার জন্য ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।[২]
  • ১৯৮৭ সালে,সার্টিফিকেট অফ মেরিট অল ইন্ডিয়া ইউথ আর্ট এক্সজিবিশান।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Jayasri Burman"www.gallerienvya.com। সংগ্রহের তারিখ ০৪ এপ্রিল ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Honours and Awards"www.saffronart.com। সংগ্রহের তারিখ ০৪ এপ্রিল ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "Earliest memory"www.indiatoday.in। সংগ্রহের তারিখ ০৪ এপ্রিল ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  4. "Summary"www.saffronart.com। সংগ্রহের তারিখ ০৪ এপ্রিল ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  5. "Sakti Burman Profile,Interview and Artworks"[১]. Retrieved ২৮ মার্চ ২০১৮