মোহিনী দেবী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহিনী দেবী
জন্ম১৮৬৩
মৃত্যু২৫ মার্চ ১৯৫৫
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৬৪ সাল পর্যন্ত)
 ভারত
পেশারাজনীতিবিদ, নারী শিক্ষা, নারী স্বাধীনতা, সমাজসংস্কার
কর্মজীবন১৯২১-২২ সাল অসহযোগ আন্দোলন
১৯৩০-৩১ সাল আইন অমান্য আন্দোলন
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
দাম্পত্য সঙ্গীতারকচন্দ্র দাশগুপ্ত
সন্তানপ্রভাবতী দাশগুপ্ত (কন্যা)
পিতা-মাতা
  • রামশঙ্কর সেন (পিতা)
  • উমাসুন্দরী দেবী (মাতা)

মোহিনী দেবী (১৮৬৩—২৫ মার্চ ১৯৫৫) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা। এছাড়া তার পরিবার বাংলাদেশের প্রগতিমুলক শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত ছিল।

জন্ম ও পরিবার[সম্পাদনা]

মোহিনী দেবী ১৮৬৩ সালে ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রামশঙ্কর সেন ও মাতার নাম উমাসুন্দরী দেবী। তারকচন্দ্র দাশগুপ্তের সাথে বিয়ে হয় বার বছর বয়সে। শ্রমিক আন্দোলনের নেত্রী প্রভাবতী দাশগুপ্ত[১]

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

মোহিনী দেবী ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রথম হিন্দু ছাত্রী। রামতনু লাহিড়ী, শিবনাথ শাস্ত্রী প্রমুখের কাছে শিক্ষালাভ। পরে ইউনাইটেড মিশনের শিক্ষিকাদের কাছে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হন।[২]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯২১-২২ সালে তিনি গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে কারাবরণ করেন। ১৯৩০-৩১ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে নেতৃত দেন। এজন্য তাকে ছয় মাসের জেল খাটতে হয়েছিল। 'নিখিল ভারত মহিলা সমিতির' সভানেত্রী হিসেবে তার ভাষন উচ্চ প্রশংসিত হয়। ১৯৪৬ সালের দাঙ্গায় মুসলিম প্রধান অঞ্চল এন্টালি বাগানে নিজের বাড়িতে থেকে হিন্দু মুসলিম ঐক্যের প্রচার চালিয়েছিলেন। সে সময় তার বন্ধু-বান্ধব আত্নীয় পরিজন তাকে তিরস্কার করে কিন্তু তাতে তিনি সংকল্প হারান নি। মোহিনী দেবী একদিকে স্বাধীনতা আন্দোলন এর পক্ষে কাজ করেছিলেন অন্যদিকে নারী শিক্ষা, নারী স্বাধীনতা, সমাজসংস্কারমূলক কাজ[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মোহিনী দেবী ২৫ মার্চ ১৯৫৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ৭১-৭২। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0 
  2. প্রমথ খন্ড (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৪২৮। আইএসবিএন 81-85626-65-0