সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রবাল প্রাচীরের বিশাল জীববৈচিত্র্য সহ জটিল সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান।

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র পৃথিবীর জলজ বাস্তুতন্ত্রের বৃহত্তম। এই বাস্তুতন্ত্রে উচ্চমাত্রায় লবণ থাকায় এটি সাধারণ জলজ বাস্তুতন্ত্র থেকে ভিন্ন। এটি মিঠা পানির বাস্তুসংস্থানের বিপরীত, যার মধ্যে লবণের পরিমাণ কম থাকে। সামুদ্রিক পানি পৃথিবীর পৃষ্ঠের ৭০% এর বেশি জায়গা জুড়ে আবৃত এবং পৃথিবীর পানিচক্রের পানির প্রায় ৯৭% যোগান এখান থেকে আসে।[১][২] আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীতে বাসযোগ্য স্থানের পরিমাণ এই বাস্তুতন্ত্র থেকে ৯০ শতাংশ কম।[৩] সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে রয়েছে লবণাক্ত জলাভূমি, উপহৃদ, সামুদ্রিক ঘাস, ম্যানগ্রোভ, রকি ইন্টারটিডাল সিস্টেম এবং প্রবাল প্রাচীর। এগুলো উপকূল থেকে বাহিরের দিকে প্রসারিত। সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র জীবের জৈবিক সম্প্রদায় দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এগুলো সরাসরি শারীরিকভাবে এই পরিবেশের সাথে যুক্ত।

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র বিশ্ব জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশের জন্য বাস্তুতান্ত্রিক সেবা, খাদ্য ও কাজের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের মানব ব্যবহার ও এর দূষণ এই বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিশীলতার জন্য উল্লেখযোগ্য হুমকি। উপরন্তু, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মাধ্যমে ধারণ করা উষ্ণতার বেশীরভাগই সমুদ্র দ্বারা শোষিত হয়। এর ফলে সমুদ্র অম্লীকরণের মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তিত হচ্ছে যা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। মানব সৃষ্ট হুমকি থেকে সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় "পানির নিচে জীবন"-কে স্লোগান হিসাবে সামনে রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ১৪-এর পরিকল্পনা গ্ৰহণ করেছে। এর লক্ষ্য "টেকসই উন্নয়নের জন্য সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই ভাবে এর ব্যবহার করা"।[৪]

উপকূলীয় বাস্তুসংস্থান[সম্পাদনা]

প্রবাল, ম্যানগ্রোভ, এবং সামুদ্রিক ঘাস বৈচিত্র্যের বৈশ্বিক বন্টন

প্রবালদ্বীপ[সম্পাদনা]

প্রবাল প্রাচীর

প্রবাল প্রাচীরগুলো বিশ্বের অন্যতম প্রসিদ্ধ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র। সবচেয়ে বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর হলো গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। বৃহৎ প্রবালগুলো একসাথে একাধিক প্রজাতির বসবাসের জন্য উপযোগী। চারপাশের জীবের সাথে প্রবালগুলোর একাধিক সিম্বিওটিক সম্পর্ক রয়েছে।[৫]

ম্যানগ্রোভ[সম্পাদনা]

ম্যানগ্ৰোভ বন

ম্যানগ্রোভ হ'ল গাছ বা ঝোপঝাড় যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা উপ-ক্রান্তীয় অক্ষাংশে উপকূলরেখার নিকটে কম অক্সিজেনের মাটিতে জন্ম নেয়।[৬] এগুলি অত্যন্ত উৎপাদনশীল এবং জটিল বাস্তুতন্ত্রের অংশ যা স্থল এবং সমুদ্রকে সংযুক্ত করে। ম্যানগ্রোভগুলি এমন সব প্রজাতি নিয়ে গঠিত যারা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং প্রায়শই বংশগতভাবে মিলের পরিবর্তে তারা ভাগ করে নেওয়া বৈশিষ্ট্যের জন্য গোষ্ঠীভুক্ত হয়।[৭]

উপকূলের নৈকট্যের কারণে, এরা সবাই লবণ নিষ্কাশন এবং কম অক্সিজেনের পানিতে বাস করার মত অভিযোজন ক্ষমতার অধিকারী। ম্যানগ্রোভগুলিকে প্রায়শই তাদের শিকড়ের ঘন জঞ্জাল দ্বারা চিহ্নিত করা যায় যেগুলো ঝড়ের তীব্রতা, স্রোত, তরঙ্গ এবং জোয়ারের ক্ষয় হ্রাস করে উপকূল রক্ষায় কাজ করে। ম্যানগ্রোভ বাস্তুতন্ত্রের অনেক প্রজাতির খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং একই সাথে ম্যানগ্রোভ কার্বন স্টোরেজ সহ বিশ্বব্যাপী বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিষ্কাশনে ভূমিকা রাখে।[৭]

সামুদ্রিক ঘাস[সম্পাদনা]

সামুদ্রিক ঘাস

সামুদ্রিক ঘাস পানির নিচে ঘন মাঠ গঠন করে যা বিশ্বের সবচেয়ে উৎপাদনশীল বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে অন্যতম। এগুলো প্রবাল প্রাচীরের তুলনায় সামুদ্রিক জীবন বৈচিত্র্যের বাসস্থান এবং খাদ্য সরবরাহের জন্য অধিক উপযোগী। এর উপর নির্ভরশীল অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে চিংড়ি, কাঁকড়া, কড অন্যানগুলোর মধ্যে ফ্ল্যাটফিশ, সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখি। এগুলো বিপন্ন প্রজাতি যেমন সামুদ্রিক ঘোড়া, কচ্ছপ, এবং ডুলংয়ের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। বাণিজ্যিক মাছ উৎপাদনের বাসস্থান হিসাবে নার্সারিতে এগুলো ব্যবহার করা হয়। সামুদ্রিক ঘাস উপকূলীয় ঝড় থেকে তাদের পাতার মাধ্যমে উপকূলে আঘাত হানার সময় ঢেউ থেকে শক্তি শোষণ করার মাধ্যমে উপকূলকে সুরক্ষা প্রদান করে। এগুলো ব্যাকটেরিয়া থেকে পুষ্টি শোষণ করে উপকূলীয় পানিকে পরিষ্কার রাখে এবং সমুদ্রের মেঝে থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি মন্থর করে।

সামুদ্রিক শৈবাল থেকে সামুদ্রিক ঘাস বিবর্তিত হয়েছিল যা জমি উপনিবেশে স্থাপিত হয়ে স্থল উদ্ভিদে পরিণত হয় এবং তার প্রায় ১০০ মিলিয়ন বছর পর এগুলো আবার সমুদ্রে ফিরে আসে। মানব কার্যকলাপের কারণে যদিও এখন সামুদ্রিক ঘাসের মাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ভূমি থেকে দূষণ, মাছ ধরার নৌকা যা ঘাস উপড়ে ফেলেছে এবং বর্তমানে অতিরিক্ত মাছ ধরা হচ্ছে যা বাস্তুতন্ত্রের জন্য ভারসাম্যহীন। প্রতি ঘন্টায় এখন প্রায় দুটি ফুটবল মাঠের সমান সামুদ্রিক ঘাস ধ্বংস করা হচ্ছে।

কেল্প বন[সম্পাদনা]

কেল্প বন

কেল্প বন নাতিশীতোষ্ণ এবং মেরু উপকূলীয় মহাসাগর জুড়ে সৃষ্টি হয়।[৮] ২০০৭ সালে ইকুয়েডরের কাছাকাছি ক্রান্তীয় পানিতে কেল্প বন আবিষ্কৃত হয়।[৯]

শারীরিকভাবে কেল্প বন বাদামী ম্যাক্রোঅ্যালগি দ্বারা গঠিত, কেল্প বন সামুদ্রিক প্রাণীদের একটি অন্যতম বাসস্থান[১০] এবং এটি অনেক পরিবেশগত প্রক্রিয়া বোঝার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বিশেষ করে ট্রফিক বাস্তুবিদ্যা এবং এই অনন্য বাস্তুতন্ত্রের বাইরের প্রাসঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলি প্রমাণিত করতে বিগত শতাব্দীতে এগুলো ব্যাপক গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে সৃষ্টি হয়েছে। কেল্প বন উপকূলীয় সমুদ্রতাত্ত্বিক প্যাটার্নকে প্রভাবিত করতে পারে[১১] এবং অনেক বাস্তুতান্ত্রিক সেবা প্রদান করতে পারে।[১১][১২]

যদিও মানুষের কাজকর্মের প্রভাবে কেল্প বনের ধ্বংস অব্যহত রয়েছে। বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে অতিরিক্ত মাছ ধরা যা কাছাকাছি বাস্তুতন্ত্রের পরিবেশ বিনষ্ট করে।[১৩] এর ফলে কেল্প বন দ্রুত প্রাকৃতিকভাবে বন্ধা হয়ে যেতে পারে।[১৪][১৫] ইতোমধ্যে অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মিলিত প্রভাবের কারণে কেল্প বন অনেক জায়গায় বিশেষ করে অরক্ষিত জায়গায় ধ্বংস হয়ে গেছে, যেমন তাসমানিয়ার পূর্ব উপকূল এবং উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূল।[১৬][১৭] সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চলের বাস্তবায়ন এ জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কার্যকর কৌশল কারণ এটি মাছ ধরার প্রভাবকে সীমাবদ্ধ এবং বাস্তুসংস্থাকে অন্যান্য পরিবেশগত চাপের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে পারে।

মোহনা[সম্পাদনা]

মোহনা

মোহনা সাধারণত সেখানে সৃষ্টি হয় যেখানে লবণাক্ত পানি এবং বিশুদ্ধ পানির উৎসের মধ্যে লবণাক্ততার একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন ঘটে। এটি সাধারণত যেখানে নদী সমুদ্রের সাথে মিলিত হয় সেখানে পাওয়া যায়। মোহনার মধ্যে পাওয়া বন্যপ্রাণীগুলো অনন্য কারণ কারণ এই অঞ্চলের প্রাণীরা সমুদ্রের নোনতা এবং নদীর মিঠা পানির মিশ্রণের মধ্যে বসবাস করে।[১৮] সাধারণত সব মোহনাই প্রচলিত ব্র্যাকিশ মোহনার মতো বৈশিষ্ট্যযুক্ত। গ্রেট হ্রদ এর একটি প্রধান উদাহরণ, সেখানে নদীর জল হ্রদের জলের সাথে মিশে এবং মিঠা পানির মোহনা তৈরি করে।[১৮] মোহনাগুলো অত্যন্ত উৎপাদনশীল বাস্তুসংস্থান যার উপর অনেক মানুষ এবং প্রাণীজ প্রজাতি বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের জন্য নির্ভরশীল।[১৯] বিশ্বের ৩২ টি বৃহত্তম শহরের মধ্যে ২২ টি মোহনায় বা এর পাশে অবস্থিত কারণ এগুলো পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিকভাবে ভাবে অনেক সুবিধা প্রদান করে যেমন এটা অনেক প্রজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল এবং বহু উপকূলীয় সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠানের জলের পরিস্রাবণ, আবাসের-সুরক্ষা, ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ, গ্যাস নিয়ন্ত্রণের পুষ্টিকর সাইক্লিংয়ের মতো প্রয়োজনীয় পরিবেশ ব্যবস্থাও সরবরাহ করে এবং এটি মানুষকে শিক্ষা, বিনোদন এবং পর্যটনের সুযোগও দেয়।[২০]

লেগুন মোহনা

উপহ্রদ[সম্পাদনা]

উপহ্রদ হলো স্থলভাগের অভ্যন্তরস্থ একপ্রকার জলাধার বা হ্রদ যা কোনো বৃহৎ জলভূমির থেকে প্রবালপ্রাচীর বা কোনো প্রাচীর দ্বীপের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন বা পৃথকীকৃত৷ দুই ধরনের উপহ্রদ দেখা যায় উপকূলীয় এবং মহাসাগরীয়/এটোল হ্রদ।[২১] উপহ্রদগুলি অগভীর ও মূলত লম্বাকৃতির জলাধার হয়ে থাকে, যা বড়োকোনো জলভুমির খণ্ডের থেকে অনতিদীর্ঘ উন্মুক্ত বালুকাময় তটভূমি বা প্রবালপ্রাচীর অথবা এরূপ কোনো ভূমিরূপ দ্বারা বিচ্ছিন্ন থাকে৷ একটি মহাসাগরীয় উপহ্রদ একটি বৃত্তাকার প্রবাল প্রাচীর বা একাধিক প্রবালছর দ্বীপ যা একটি হৃদকে ঘিরে রয়েছে। মহাসাগরীয় হৃদগুলো প্রায়শই উপকূলীয় লেগুনগুলির থেকে অনেক গভীর থাকে।[২২] বেশিরভাগ হৃদগুলি খুব অগভীর যার অর্থ এগুলো বৃষ্টিপাত, বাষ্পীভবন এবং বাতাসের কারণে পরিবর্তিত হয়ে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। অ্যান্টার্কটিকা ব্যতীত সমগ্র মহাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলে উপহৃদের সন্ধান পাওয়া যায় এবং এটা পাখি, মাছ, কাঁকড়া, প্লাঙ্কটন এবং আরও অনেক প্রজাতির জন্য বিস্তৃত এক আবাসস্থল। উপহৃদগুলো অর্থনীতির পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলো বিভিন্ন প্রজাতির আবাসস্থল ছাড়াও বাস্তুতন্ত্রে বিস্তৃত পরিষেবা সরবরাহ করে। এই পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে মৎস্য, পুষ্টি প্রবাহ, বন্যা থেকে সুরক্ষা এবং পানি পরিশোধন।[২২]

লবণাক্ত জলাভূমি[সম্পাদনা]

লবণাক্ত জলাভূমি

লবণাক্ত জলাভূমি হচ্ছে এমন সামুদ্রিক ভূমি যেখানে ভূমি এবং লবণাক্ত পানির মিশ্রণ ঘটে।[২৩] এই জলাভূমির মাটি কাদা এবং পিট নামক জৈব পদার্থের একটি স্তর দ্বারা গঠিত। পিটকে জলাবদ্ধ এবং মূল-পূরণে পচে যাওয়া উদ্ভিদের পদার্থ হিসাবে চিহ্নিত করা হয় যা কম স্তরের অক্সিজেনের (হাইপোক্সিয়া) জন্য সৃষ্টি হয়। এই হাইপক্সিক অবস্থার ফলে ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি ঘটে যা লবণের জঞ্জাল সৃষ্টি করে যেগুলো থেকে সালফিউরাসের মতো গন্ধ নির্মিত হয়।[২৪] বিশ্বজুড়ে লবণের এই জলাভূমিগুলো বিদ্যমান। একটি স্বাস্থ্যকর বাস্তুসংস্থান ও স্বাস্থ্যকর অর্থনীতির জন্য এগুলো প্রয়োজন। এগুলো অত্যন্ত উৎপাদনশীল বাস্তুসংস্থান। ৭৫ শতাংশেরও বেশি মৎস্য প্রজাতির জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা এখানে সরবরাহ করা হয় এবং ক্ষয় ও বন্যার হাত থেকে এগুলো তীরকে রক্ষা করে। লবণের জলাগুলি সাধারণত উচ্চ মার্শ, নিম্ন জলাবদ্ধ এবং উজানের সীমানায় ভাগ করা যায়। নিম্ন মার্শ সমুদ্রের কাছাকাছি, কম জোয়ার ছাড়া প্রায় প্রতিটি জোয়ারে এটি প্লাবিত হয়। উচ্চ মার্শ নিম্ন-জলাভূমি ও উজানের সীমানার মধ্যে অবস্থিত এবং এখানে সাধারণ উচ্চ জোয়ারের সময় বন্যা হয়। এই অঞ্চল সাধারণত চরম আবহাওয়ার মধ্যে প্লাবিত হয় এবং জলাশয়ের অন্যান্য এলাকার তুলনায় এখানে অনেক কম পানিবন্দি অবস্থা এবং লবণ চাপ অনুভূত হয়।[২৩]

আন্তঃদেশীয় অঞ্চল[সম্পাদনা]

আন্তঃদেশীয় অঞ্চল

আন্তঃদেশীয় অঞ্চলগুলো হচ্ছে সেই সব এলাকা যা কম জোয়ারের সময় দৃশ্যমান থাকে, বাতাসের সংস্পর্শে আসে এবং উচ্চ জোয়ারের সময় লবণাক্ত পানি দ্বারা আবৃত হয়।[২৫] আন্তঃদেশীয় অঞ্চলের চারটি শারীরিক বিভাজন আছে যার প্রত্যেকেরই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এবং নিজস্ব বন্যপ্রাণী রয়েছে। এই বিভাগগুলি হল স্প্রে অঞ্চল, উচ্চ আন্তঃদেশীয় অঞ্চল, মধ্যম আন্তঃদেশীয় অঞ্চল এবং দুর্বল আন্তঃদেশীয় অঞ্চল। স্প্রে অঞ্চলটি স্যাঁতসেঁতে অঞ্চল যা সাধারণত সমুদ্রের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত এবং উচ্চ জোয়ার বা ঝড়ের সময় সবচেয়ে নিচে ডুবে থাকে। উচ্চ আন্তঃদেশীয় অঞ্চল উচ্চ জোয়ারে নিমজ্জিত হয় কিন্তু উচ্চ জোয়ারের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে শুকনো থাকে। এই অঞ্চলে সম্ভাব্য অবস্থার বৃহত্তর বৈচিত্রের কারণে এখানে স্থিতিস্থাপক বন্যজীবিরা বসবাস করে যারা এই পরিবর্তনগুলি সহ্য করতে পারে। যেমন বার্নকিলস, সামুদ্রিক শামুক, ঝিনুক এবং হারমেট কাঁকড়া। মাঝারি অন্তর্বর্তী অঞ্চলটির উপরে জোয়ার দিনে দু'বার প্রবাহিত হয় এবং এই অঞ্চলে বন্যজীবনের অনেক বিস্তৃতি রয়েছে। নিম্ন আন্তঃদেশীয় অঞ্চলটি সর্বনিম্ন জোয়ারের সময় ব্যতীত প্রায় সমস্ত সময়ই ডুবে থাকে এবং জলের সুরক্ষা থাকার কারণে এখানে জীবের পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।[২৫]

গভীর সমুদ্র এবং সমুদ্র তল[সম্পাদনা]

গভীর সমুদ্রের প্রায় ৯৫% এলাকা জীবিত প্রাণীদের দখলে।[২৬] সমুদ্রতল (বা বেন্থিক অঞ্চল) এর সঙ্গে একত্রীত, এই দুই এলাকা এখনো সম্পূর্ণরূপে অনুসন্ধান করা হয়নি শুধু তাদের জীবগুলোর তালিকা নথিভুক্ত করা হয়েছে।[২৬]

খোলা পেলেজিক সাগর[সম্পাদনা]

সিমেন্টস[সম্পাদনা]

সিপস এবং ভেন্টস[সম্পাদনা]

বাস্তুতান্ত্রিক সেবা[সম্পাদনা]

এপিবেনথিক বাইভালভ প্রবাল প্রাচীর দ্বারা পরিবেশিত বাস্তুতন্ত্রের সেবা

প্রাকৃতিক বিশ্বের অনেক উপকারের পাশাপাশি সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র মানুষকে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং জৈবিক বাস্তুতন্ত্র সেবা প্রদান করে। পেলাজিক সামুদ্রিক ব্যবস্থা বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে, পানি চক্রে অবদান রাখে, জীববৈচিত্র্য বজায় রাখে, খাদ্য ও জ্বালানী সম্পদ প্রদান করে এবং বিনোদন ও পর্যটনের সুযোগ সৃষ্টি করে।[২৭] অর্থনৈতিকভাবে, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ব্যবস্থা বিলিয়ন ডলার মূল্যের মৎস্য, জলজ সংস্কৃতি, অফশোর তেল এবং গ্যাস, এবং বাণিজ্য এবং জাহাজ চলাচলে সহয়তা করে।

বাস্তুতন্ত্রের সেবা কে সহয়তামূলক, রেগুলেশনারি, এবং সাংস্কৃতিক সেবা সহ একাধিক শ্রেণীতে শ্রেণীকরণ করা যায়।[২৮]

হুমকি[সম্পাদনা]

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র পরিবর্তনের বৃত্ত[২৯]

মানব শোষণ ও বিকাশ[সম্পাদনা]

উপকূলীয় সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ পড়েছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০% উপকূলের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে বাস করে।[৩০] মানুষ প্রায়ই উপকূলীয় আবাসস্থলের কাছাকাছি একত্রিত হয়ে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র সেবার সুবিধা নেয়। উদাহরণস্বরূপ, ম্যানগ্রোভ এবং প্রবাল প্রাচীরের আবাসস্থল থেকে বছরে ন্যূনতম ৩৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের উপকূলীয় মৎস্য সম্পদ আরোহণ করা হয়।[৩০] তা সত্ত্বেও, এই বাসস্থানগুলির বেশিরভাগই সামান্য সুরক্ষিত অথবা একেবারেই সুরক্ষিত নয়। ম্যানগ্রোভ এলাকা ১৯৫০ সালের তুলনায় বিশ্বব্যাপী প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে,[৩১] এবং বিশ্বের প্রবাল প্রাচীরের ৬০% এখন তাৎক্ষণিকভাবে বা সরাসরি হুমকির সম্মুখীন রয়েছে।[৩২][৩৩] মানব উন্নয়ন, জলজ সংস্কৃতি, এবং শিল্পায়ন প্রায়শই উপকূলীয় বাসস্থান ধ্বংস, প্রতিস্থাপন বা অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

প্যালাজিক সামুদ্রিক সিস্টেমগুলি অতিরিক্ত মাছ ধরার মাধ্যমে সরাসরি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।[৩৪][৩৫] ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে বিশ্বব্যাপী মৎস্য অবতরণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল যদিও এখন তা কমে যাচ্ছে কিন্তু মাছ ধরার প্রচেষ্টা বাড়ছে।[৩৬] মাছের বায়োমাস এবং মৎস্য অবতরণের গড় ট্রফিক স্তর হ্রাস পাচ্ছে, যার ফলে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে স্থানীয় প্রজাতি, দীর্ঘস্থায়ী ও ধীর বর্ধনশীল প্রজাতি এবং সংকীর্ণ ভৌগোলিক পরিসীমায় ‌বসবাসকারী প্রজাতির পতন ঘটেছে। সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের পতন বাস্তুতন্ত্রের সেবার পতনের সংশ্লিষ্ট কারণ হতে পারে। একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯৬০ থেকে ২০১০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে হাঙ্গরের সংখ্যা ৭৪-৯২% কমে গেছে।[৩৭]

দূষণ[সম্পাদনা]

রাসায়নিক কণা, শিল্প, কৃষি এবং আবাসিক বর্জ্য, আক্রমণাত্মক প্রাণীর বিস্তারের ফলে সামুদ্রিক দূষণ ঘটে। সামুদ্রিক দূষণের আশি শতাংশ ভূমি থেকে আসে। বায়ু দূষণ ছাড়াও লোহা, কার্বনিক এসিড, নাইট্রোজেন, সিলিকন, সালফার, কীটনাশক বা ধূলিকণা পানির মাধ্যমে সামুদ্রিক দূষণ ঘটায়। ভূমি এবং বায়ু দূষণ সামুদ্রিক জীবন ও এর বাসস্থানের জন্য ক্ষতিকর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। দূষণ প্রায়ই অবিন্দু উৎস থেকে আসে যেমন কীটনাশক, বাতাসে উড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ, এবং ধুলো।

আক্রমণকারী প্রজাতি[সম্পাদনা]

  • গ্লোবাল অ্যাকোয়ারিয়াম বাণিজ্য
  • বালাস্টের জল পরিবহন
  • জলজ চাষ

জলবায়ু পরিবর্তন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Oceanic Institute"www.oceanicinstitute.org। ২০১৯-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১ 
  2. "Ocean Habitats and Information"। ২০১৭-০১-০৫। ২০২০-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১ 
  3. "Facts and figures on marine biodiversity | United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization"www.unesco.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১ 
  4. United Nations (2017) Resolution adopted by the General Assembly on 6 July 2017, Work of the Statistical Commission pertaining to the 2030 Agenda for Sustainable Development (A/RES/71/313 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে)
  5. "Corals and Coral Reefs"Ocean Portal | Smithsonian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৯-১২। ২০১৪-১০-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৭ 
  6. US Department of Commerce, National Oceanic and Atmospheric Administration। "What is a mangrove forest?"oceanservice.noaa.gov (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২১ 
  7. "Mangroves"Smithsonian Ocean (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২১ 
  8. Mann, K.H. 1973. Seaweeds: their productivity and strategy for growth. Science 182: 975-981.
  9. Graham, M.H., B.P. Kinlan, L.D. Druehl, L.E. Garske, and S. Banks. 2007. Deep-water kelp refugia as potential hotspots of tropical marine diversity and productivity. Proceedings of the National Academy of Sciences 104: 16576-16580.
  10. Christie, H., Jørgensen, N.M., Norderhaug, K.M., Waage-Nielsen, E., 2003. Species distribution and habitat exploitation of fauna associated with kelp (Laminaria hyperborea) along the Norwegian coast. Journal of the Marine Biological Association of the UK 83, 687-699.
  11. Jackson, G.A. and C.D. Winant. 1983. Effect of a kelp forest on coastal currents. Continental Shelf Report 2: 75-80.
  12. Steneck, R.S., M.H. Graham, B.J. Bourque, D. Corbett, J.M. Erlandson, J.A. Estes and M.J. Tegner. 2002. Kelp forest ecosystems: biodiversity, stability, resilience and future. Environmental Conservation 29: 436-459.
  13. Sala, E., C.F. Bourdouresque and M. Harmelin-Vivien. 1998. Fishing, trophic cascades, and the structure of algal assemblages: evaluation of an old but untested paradigm. Oikos 82: 425-439.
  14. Dayton, P.K. 1985a. Ecology of kelp communities. Annual Review of Ecology and Systematics 16: 215-245.
  15. Norderhaug, K.M., Christie, H., 2009. Sea urchin grazing and kelp re-vegetation in the NE Atlantic. Marine Biology Research 5, 515-528
  16. Morton, Adam; Cordell, Marni। "The dead sea: Tasmania's underwater forests disappearing in our lifetime"the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২ 
  17. Steinbauer, James। "What Will It Take to Bring Back the Kelp Forest? - Bay Nature Magazine"Bay Nature (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২২ 
  18. US Department of Commerce, National Oceanic and Atmospheric Administration। "What is an estuary?"oceanservice.noaa.gov (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২২ 
  19. US Department of Commerce, National Oceanic and Atmospheric Administration। "Estuaries, NOS Education Offering"oceanservice.noaa.gov (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২২ 
  20. "Estuaries"www.crd.bc.ca (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১১-১৪। ২০১৯-০৩-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৪ 
  21. US Department of Commerce, National Oceanic and Atmospheric Administration। "What is a lagoon?"oceanservice.noaa.gov (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৪ 
  22. Miththapala, Sriyanie (২০১৩)। "Lagoons and Estuaries" (পিডিএফ)IUCN, International Union for Conservation of Nature। ২৩ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  23. "What is a Salt Marsh?" (পিডিএফ)New Hampshire Department of Environmental Services। ২০০৪। ২১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  24. US Department of Commerce, National Oceanic and Atmospheric Administration। "What is a salt marsh?"oceanservice.noaa.gov (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২০ 
  25. US Department of Commerce, National Oceanic and Atmospheric Administration। "What is the intertidal zone?"oceanservice.noaa.gov (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২১ 
  26. "The Deep Sea"Ocean Portal | Smithsonian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৭-২৪। ২০১৮-০৪-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৭ 
  27. "Millennium Ecosystem Assessment, Marine Systems" (পিডিএফ)। ১৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  28. "Ecosystem Services | Mapping Ocean Wealth"oceanwealth.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৭ 
  29. Österblom, H., Crona, B.I., Folke, C., Nyström, M. and Troell, M. (2017) "Marine ecosystem science on an intertwined planet". Ecosystems, 20(1): 54–61. ডিওআই:10.1007/s10021-016-9998-6
  30. "Millennium Ecosystem Assessment, Coastal Systems" (পিডিএফ)। ১৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  31. Alongi, Daniel M. (সেপ্টেম্বর ২০০২)। "Present state and future of the world's mangrove forests" (ইংরেজি ভাষায়): 331–349। আইএসএসএন 1469-4387ডিওআই:10.1017/S0376892902000231 
  32. "Coral Reefs"Ocean Health Index (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১ 
  33. Burke, Lauretta Marie (২০১১)। Reefs at Risk Revisited | World Resources Institutewww.wri.org (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসবিএন 9781569737620। ২০১৮-১২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১ 
  34. Coll, Marta; Libralato, Simone (২০০৮-১২-১০)। "Ecosystem Overfishing in the Ocean" (ইংরেজি ভাষায়): e3881। আইএসএসএন 1932-6203ডিওআই:10.1371/journal.pone.0003881পিএমআইডি 19066624পিএমসি 2587707অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  35. Urbina, Ian (জুন ১৯, ২০২০)। "The Bane of Unsustainable Fishing"The Safina Center। ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  36. "Millennium Ecosystem Assessment, Marine Systems" (পিডিএফ) 
  37. Mumby, Peter J.; Mark A. Priest (২০১৮-১২-১৩)। "Decline of coastal apex shark populations over the past half century" (ইংরেজি ভাষায়): 223। আইএসএসএন 2399-3642ডিওআই:10.1038/s42003-018-0233-1পিএমআইডি 30564744পিএমসি 6292889অবাধে প্রবেশযোগ্য 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]