সুধাময় প্রামাণিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুধাময় প্রামাণিক
সুধাময় প্রামাণিক
জন্ম১১ সেপ্টেম্বর ১৮৮৪
শান্তিপুর, নদীয়া, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান ভারত ভারত)
মৃত্যু২ অক্টোবর ১৯৭৪(1974-10-02) (বয়স ৯০)
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত
শিক্ষাবিএ
মাতৃশিক্ষায়তনপ্রেসিডেন্সি কলেজ
পেশারাজনীতি
পরিচিতির কারণভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
দাম্পত্য সঙ্গীস্বর্ণবালা প্রামাণিক
পিতা-মাতা
  • গোবিন্দ প্রামাণিক (পিতা)
  • রাধারাণী প্রামাণিক (মাতা)

সুধাময় প্রামাণিক (১৮৮৪ - ১৯৭৪) ছিলেন একজন সমাজকর্মী, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের একজন সদস্য এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য সত্যগ্রহ আন্দোলনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত একজন রাজনৈতিক কর্মী। [১] তিনি ছিলেন শান্তিপুর হতে আগত একজন আইনজীবী। তিনি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা তিলি সমাজ-এর আজীবন সেক্রেটারি ছিলেন। তার সময়ে তিনি ছিলেন ভারতের ভাগ্যবান অধ্যক্ষ মহলের মধ্যে অন্যতম একজন; তিনি ভারতের প্রথম প্রেসিডেন্ট রাজেন্দ্র প্রসাদের এক বছরের বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন।

প্রাথমিক জীবন, শিক্ষা এবং পেশা[সম্পাদনা]

সুধাময় ১৮৮৪ সালে শান্তিপুরের প্রামাণিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন দশ ভাই-বোনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শান্তিপুরে শুরু করেন এবং ১৯০০ সালের শুরুর দিকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের জন্য কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি ইউনিভার্সিটি অব কলকাতা হতে আইন বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন করেন এবং রায়গঞ্জ এবং শিয়ালদহ কোর্টে এডভোকেট হিসাবে প্রাকটিস শুরু করেন।

তিনি ছিলেন বিনম্র প্রকৃতির লোক। তিনি সংস্কৃততে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন এবং ভারতের প্রাচীন ভাষার প্রগাঢ় ভালবাসা হেতু তিনি সংস্কৃত সাহিত্যের অনেককিছুই অনুবাদ ও সম্পাদনা করেন।[২][৩] তিলি সমাজ-এর সেক্রেটারি হিসাবে তিনি বঙ্গীয় তিলি সমাজ পত্রিকার মাধ্যমে তখনকার সামাজিক অভিশাপ পণ প্রথা (যৌতুকের) তীব্র প্রতিবাদী ছিলেন।

তার অধ্যক্ষ জীবনে তিনি অনেক দেশপ্রেমিক লোকদের সাহচর্য লাভ করেন । সুধাময় প্রামাণিক কংগ্রেসে যোগ দেন এবং রায়গঞ্জ কোর্টে থাকাকালীন সময়ে তিনি কংগ্রেসের একজন প্রবীণ নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন । ১৯৩০ সালে রায়গঞ্জ ব্রিটিশ রাজত্বের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা দিবস উযযাপন করে- তিনি এবং ঊমেশচন্দ্র ভৌমিক কংগ্রেসের নেতা ছিলেন যারা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির ঐতিহাসিক লাহোর রেজুলেশন উত্থাপন করেন। ১৯৩০ সালের মার্চ মাসে, যখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে, অনেক কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ(নেতাজী সহ- যিনি তখনকার সময়ে বাংলা প্রদেশের কংগ্রেস কমিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন), গ্রেফতার হন। ১৫ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে, সুধাময় আইন অমান্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে রায়গঞ্জ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন । ব্রিটিশদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে , সকল জেলা হতে স্বেচ্ছাসেবক যাদের মধ্যে মহিলারাও ছিলো, রায়গঞ্জে রাস্তাগুলোতে মিছিল করে ।

কয়েক বছর পর তিনি কলকাতা শহরে চলে আসেন । তিনি ও তার বড় সন্তান একত্রে শিয়ালদহ কোর্টে আরও অধিক সময় দেওয়া শুরু করেন- অনেক সমাজকর্মীদের মুক্ত করার জন্য- তার নিজের জীবনকে বিপন্ন করেন । তিনি অনেক গরীব ছা্ত্রদের সাহায্যও করেন ।

প্রামাণিক পরিবার বৃক্ষ[সম্পাদনা]

 
Gobindo Chandra
 
Radharani
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
Sudhamoy Pramanick
 
Swarnabala
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
Diptendu Pramanick
 
Niyoti
 
 
Nabendu
 
Suprabha
 
Subhendu
 
AnitaSabita ...
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
Subrata
 
Gouri
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
Sougata Pramanick
 
Aditi
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
Sharmila
 
Oindrila
 
 
 
 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Sudhamoy Pramanick Profile & Biography"। veethi.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৬ 
  2. Supp. Catalogue of Bengali books in the library of the British Museum; compiled by James Fuller Blumhardt; British Museum. Dept. of Oriental Printed Books and Manuscripts; Longmans & Co. (1910), Pg. 94 & 267 accessed at https://archive.org/stream/bengalisuppcatal00brit#page/n5/mode/2up on 5 August 2016
  3. K Shastri (১৯৩৬)। The Journal of Oriental research, Volumes 10-16। Kuppuswami Sastri Research Institute, Madras। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৬