জাকির হোসাইন (গভর্নর)
জাকির হোসাইন | |
---|---|
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬০ – ১৯৬২ | |
রাষ্ট্রপতি | আইয়ুব খান |
পূর্বসূরী | খালিদ মাসুদ শেখ |
উত্তরসূরী | খান হাবিবউল্লাহ খান |
পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৮ – ১৯৬০ | |
রাষ্ট্রপতি | আইয়ুব খান |
পূর্বসূরী | সুলতানউদ্দিন আহমেদ |
উত্তরসূরী | আজম খান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নভেম্বর ২, ১৮৯৮ রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি |
মৃত্যু | ২৪ মে ১৯৭১ খুলশি, চট্টগ্রাম, পূর্ব পাকিস্তান | (বয়স ৭২)
সমাধিস্থল | গরিবুল্লাহ শাহ মাজার কবরস্থান |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারতীয় (১৮৯৮-১৯৪৭) পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭১) |
সন্তান | তিন পুত্র, তিন কন্যা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | সরকারি কর্মকর্তা |
ধর্ম | ইসলাম |
জাকির হোসাইন (উর্দু: ذاکِر حسین) (২ নভেম্বর ১৮৯৮ - ২৪ মে ১৯৭১) ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।[১]
জন্ম
[সম্পাদনা]জাকির হোসাইন ১৮৯৮ সালের ২ নভেম্বর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।[১]
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]১৯১৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে এনট্রান্স পাশ করেন। একই বছরে ফুলার পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেন এবং প্রথম বিভাগে বৃত্তি পান। ১৯১৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে তিনি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯২০ সালে মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ (পরবর্তীতে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে স্নাতক হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি হন।[১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় তিনি ভারতীয় পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। তিনি বাংলার বিভিন্ন জেলায় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ত্রিশের দশকের শুরুতে ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁরই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সহযোগিতায় ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে শ্যামাচরণ রায় রোডে ৪১ শতাংশ জমির উপর মুসলিম ইনস্টিটিউট নামে মুসলমানদের জন্য একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতার শিপিং মাস্টার হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। এরপর প্রেসিডেন্সি রেঞ্জে পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।[১]
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি পূর্ব বাংলা চলে আসেন। এখানে তিনি পুলিশের প্রথম ইন্সপেক্টর জেনারেল হন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। ১৯৫২ সালে তিনি পুলিশ বিভাগ থেকে অবসর নেন।[১]
এরপর সেই বছর তিনি ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। একই বছর তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[১]
পরের বছর ১৯৫৮ সালের ১০ অক্টোবর তাকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৬ অক্টোবর তিনি শপথ নেন। তার আমলে দ্রব্যমূল্য হ্রাস পায় এবং চোরাচালানের উপর নজরদারি করা হয়।[২] তিনি মৌলিক গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেছেন এবং ১৯৬০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটে তিনি আইয়ুব খানের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।[১]
ব্যক্তিজীবন
[সম্পাদনা]জাকির হোসাইন সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন। তিনি কঠোর পরিশ্রমী ও নিয়মানুবর্তী ছিলেন। তার তিন পুত্র ও তিন কন্যা ছিল।[২]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]জাকির হোসাইন ১৯৭১ সালের ২৪ মে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় চট্টগ্রামের খুলশিতে অবস্থিত নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।[১] লালদীঘি ময়দানে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য এসময় চলমান কারফিউ তুলে নেয়া হয়। চট্টগ্রামের গরিবুল্লাহ শাহর মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
স্মরণ ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]জাকির হোসাইন ১৯৪০ সালে ভারতীয় পুলিশ পদক এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর কায়েদে আজম পুলিশ পদক লাভ করেছেন। চট্টগ্রামের জাকির হোসেন রোড তার স্মরণে নামকরণ করা হয়েছে।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সুলতানউদ্দিন আহমেদ |
পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ১৯৫৮-১৯৬০ |
উত্তরসূরী আজম খান |
পূর্বসূরী খালিদ মাসুদ শেখ |
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৬০-১৯৬২ |
উত্তরসূরী খান হাবিবউল্লাহ খান |