পাঁচ (চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পাঁচ
পাঁচ ছবির পোস্টার
পরিচালকঅনুরাগ কাশ্যপ
প্রযোজকতুতু শর্মা
রচয়িতাঅনুরাগ কাশ্যপ
শ্রেষ্ঠাংশেকে কে মেনন
আদিত্য শ্রীবাস্তব
বিজয় মৌর্য
জয় ফার্নান্ডেজ
তেজস্বিনী কোলহাপুরি
সুরকারবিশাল ভরদ্বাজ
চিত্রগ্রাহকনটরাজন সুব্রহ্মণ্যম
সম্পাদকআরতি বজাজ
মুক্তিমুক্তি পায়নি
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
নির্মাণব্যয় ২ কোটি (US$ ২,৪৪,৪৬৬)

পাঁচ (হিন্দি: पाँच) হল একটি মুক্তি না পাওয়া ভারতীয় ক্রাইম থ্রিলার চলচ্চিত্র। এই ছবিটির কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার হলেন অনুরাগ কাশ্যপ। এই ছবিতে অভিনয় করেন কে কে মেনন, আদিত্য শ্রীবাস্তব, বিজয় মৌর্য, জয় ফার্নান্ডেজ ও তেজস্বিনী কোলহাপুরি। ছবির কাহিনির ‘আংশিক’ ভিত্তি পুণে শহরে ১৯৭৬-৭৭ সালে সংঘটিত জোশি-অভয়ংকর ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।[১]

ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে বা হোম-ভিডিওর মাধ্যমে মুক্তি পায়নি। কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ছবিতে হিংসার প্রদর্শন, ড্রাগ নেওয়ার চিত্র তুলে ধরা এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহারের জন্য ছবিটি নিয়ে আপত্তি তোলে। ২০০১ সালে কিছু দৃশ্য বাদ দিয়ে এই ছবিটি সেন্সর বোর্ডের সার্টিফিকেট পায়। কিন্তু প্রযোজক কিছু সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় এই ছবিটির মুক্তি পায়নি।[২] ২০১০ সালে এই ছবির একটি প্রিভিউ কপি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।

২০০৫ সালে ওশিয়ান’স সিনেফ্যান ফেস্টিভ্যাল অফ এশিয়ান অ্যান্ড আরব সিনেমার শেষ ছবি হিসেবে এই ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল।[৩]

কাহিনি সারাংশ[সম্পাদনা]

পাঁচ ছবিটি একটি রক ব্যান্ডের পাঁচ সদস্যের কাহিনি। এদের মধ্যে এক জন নারী ও চার জন পুরুষ। এরা ড্রাগ, যৌনতা, ধূমপান ইত্যাদি দোষে দুষ্ট। ব্যান্ডের লিডার এতটাই উন্মত্ত ও নেশাগ্রস্থ যে সে যা চায়, তা-ই যেন-তেন-প্রকারেণ পেতে যায়। ধীরে ধীরে ব্যান্ডের সদস্যরা ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় পড়ে এবং পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। ছবির অবশিষ্টাংশ তাদের পরিণতি নিয়েই।

অভিনেতা -অভিনেত্রী[সম্পাদনা]

নির্মাণের ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাশ্যপ যখন সেন্ট জেভিয়ার্স বয়েজ হোস্টেলে ছিলেন, তখন তিনি ‘গ্রিক’ (পরে ‘প্রলয়’) নামে একটি ব্যান্ডের সদস্য অ্যাডাম আভিল, এডি আভিল, ল্যুক কেনি ও ইউলিসিস ভেয়রার সঙ্গে ঘুরতেন। কাশ্যপ একটি চল্লিশ পাতার ছোটো নোটবইতে তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে নানা কথা লিখে রাখেন। পরে তিনি মির্যা্জ নামে একটি ছবির জন্য “ছোটো ছোটো আকারে” চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন। পরে তিনি এটির নাম দেন পাঁচ। বিক্রম কাপাডিয়ার একটি নাটকে কাশ্যপ ল্যুক কেনিকে দেখেন। তিনি অসম্পূর্ণ চিত্রনাট্যটি নিয়ে তার কাছে যান। কিন্তু কোনো ফল হয় না।[৪] পরে নায়ারের সঙ্গে কাজ করতে করতে তিনি ১৯৭৬ সালে পুণে শহরে সংঘটিত জোশি-অভয়ংকর ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত ফাইলগুলি পড়েন।[৫] পাঁচজন সাধারণ কলেজ ছাত্র নয় জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করছে—এই ধারণা থেকেই ছবিটি নির্মিত হয়। তিনি ফান নামে আরও একটি ছবি দেখেছিলেন। সেখানে দেখা গিয়েছে দুটি মানসিক বিকারগ্রস্থ মেয়ে এক বৃদ্ধা মহিলাকে হত্যা করছে। এই দুই ছবি থেকে কাশ্যপ তার ছবির উপাদান সংগ্রহ করেন।[৬]

সাউন্ডট্র্যাক[সম্পাদনা]

এই ছবির গানগুলির কথা রচনা করেন আব্বাস টায়ারওয়ালা ও সুর দেন বিশাল ভরদ্বাজ। ২০০২ সালের মে মাসে বিএমজি ক্রেসেন্ডো থেকে এই অ্যালবামটি প্রকাশ করা হয়।[৭] এই অ্যালবামের মাধম্যেই উক্ত কোম্পানিটি প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র সংগীতের জগতে প্রবেশ করে।[৮]

নং.শিরোনামদৈর্ঘ্য
১."ম্যায় খুদা" (শিল্পী: কেকে)৬:০৬
২."ইয়ে ক্যায়সা হ্যায় শহর" (শিল্পী: ডোমিনিক)৪:২২
৩."পাকা মৎ" (শিল্পী: হরিহরন ও কেকে)৪:৩৮
৪."পাঁচ থিম" (শিল্পী: ডোমিনিক)২:৪৪৯
৫."আঁখিয়াঁ চিপকি" (শিল্পী: উস্তাদ সুলতান খাঁ)৪:২০
৬."জিস্ম হ্যায়" (শিল্পী: আশা ভোঁসলে)৩:৩১
৭."তমস্‌" (শিল্পী: দেব সেনগুপ্ত)৪:৩১
৮."ম্যায় খুদা" (শিল্পী: সুনিধি চৌহান)৪:৩৬

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Total Recall"। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৬ 
  2. Aniruddha Guha (২০০৯-০২-০১)। "Anurag Kashyap is jinxed no more"DNA 
  3. http://www.thehindu.com/life-and-style/metroplus/article3711912.ece?homepage=true
  4. Audacious, irreverent, yet refreshingly original
  5. "Total Knockout: A Censor Punch For Paanch"। ২০১২-০৪-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-০৬ 
  6. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; pahli-seedi নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  7. "Paanch - music review by Mandeep Bahra - Planet Bollywood"। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৬ 
  8. "BMG Crescendo Makes A Debut In Hindi Film Music"। ৭ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৬ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]