বানৌজা মধুমতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা মধুমতি
নির্মাণাদেশ: ১৯৯৫
নির্মাতা: হুন্দাই, উলসান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র
অভিষেক: ৩১ আগস্ট, ১৯৯৭
কমিশন লাভ: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮
মাতৃ বন্দর: চট্টগ্রাম
অবস্থা: সক্রিয়
টীকা: পি৯১১
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: মধুমতি-শ্রেণীর টহল জাহাজ
ওজন: ৬৩৫ টন
দৈর্ঘ্য: ৬০.৮ মিটার (১৯৯ ফু)
প্রস্থ: ৮ মিটার (২৬ ফু)
গভীরতা: ২.৭ মিটার (৮.৯ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × এসইএমটি-পিয়েলসটিক ১২ পিএ৬ ডিজেল; ৯৬০০ অশ্বশক্তি (৭.০৮ মেগাওয়াট);
  • ২ × শ্যাফট
গতিবেগ: ২৪ নট (৪৪ কিমি/ঘ; ২৮ মা/ঘ)
সীমা: ৬,০০০ নটিক্যাল মাইল (৬,৯০০ মা; ১১,০০০ কিমি), ১৫ নট (২৮ কিমি/ঘ; ১৭ মা/ঘ) গতিতে
লোকবল: ৪৩ জন (৭ জন কর্মকর্তা)
যান্ত্রিক যুদ্ধাস্ত্র
ও ফাঁদ:
  • অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ: অপট্রনিক ডিরেক্টর
  • সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধান: কেলভিন হিউজেস কেএইচ ১০০৭, আই-ব্যান্ড
  • নৌচালন: জিইএম ইলেক্ট্রনিক্স এসপিএন ৭৫৩বি; আই-ব্যান্ড
রণসজ্জা:
  • ১ × বোফোর্স ৫৭ মিমি/৭০ মার্ক-১;
  • ১ × বোফোর্স ৪০ মিমি/৭০;
  • ২ × অরলিকন ২০ মিমি

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) মধুমতি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মধুমতি-শ্রেণীর একটি টহল জাহাজ। এটি নদী, উপকূলবর্তী অঞ্চল ও গভীর সমুদ্রে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বানৌজা মধুমতি জাহাজটি হুন্দাই শিপইয়ার্ড, দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্মিত হয়। জুলাই, ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য জাহাজটির নির্মাণাদেশ দেয়া হয় এবং হস্তান্তর সম্পর্ণ হয় অক্টোবর, ১৯৯৭ সালে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি সাপেক্ষে বানৌজা মধুমতি ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। জাহাজটি দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্ট গার্ড জাহাজের অনুরূপ, তবে জাহাজটিতে আরও উন্নত অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জাম এবং ভোস্পার স্ট্যাবিলাইজার রয়েছে।

২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে মধুমতিকে বঙ্গোপসাগর এর বিরোধপূর্ণ এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সহায়তায় আসা মায়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজের মুখোমুখি মোতায়েন করা হয়। পরবর্তীতে মায়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ পিছু হটে নিজেদের জলসীমায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম যুদ্ধজাহাজ হিসেবে ১৫ মে, ২০১০ সালে বানৌজা মধুমতি অস্থিতিশীল ভূমধ্যসাগরের লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউনিফিল মেরিটাইম টাস্ক ফোর্সের আওতায় নিযুক্ত হয়। দীর্ঘ ৪ বছর দায়িত্ব পালন করে অবশেষে ১১ আগস্ট, ২০১৪ সালে জাহাজটি দেশে প্রত্যাবর্তন করে।[৩][৪]

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বানৌজা মধুমতি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬০.৮ মিটার (১৯৯ ফু), প্রস্থ ৮ মিটার (২৬ ফু) এবং গভীরতা ২.৭ মিটার (৮.৯ ফু)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি এসইএমটি-পিয়েলসটিক ১২ পিএ৬ ডিজেল; ৯৬০০ অশ্বশক্তি (৭.০৮ মেগাওয়াট) এবং ২টি শ্যাফট। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৪ নট (৪৪ কিমি/ঘ; ২৮ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও ১৫ নট (২৮ কিমি/ঘ; ১৭ মা/ঘ) গতিতে ৬,০০০ নটিক্যাল মাইল (৬,৯০০ মা; ১১,০০০ কিমি) সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম।

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

বানৌজা মধুমতি জাহাজটি মূলত একটি বৃহৎ টহল জাহাজ যা নদী, উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং গভীর সমুদ্রে অভিযান পরিচালনায় সক্ষম। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ১টি বোফোর্স ৫৭ মিমি/৭০ মার্ক-১ কামান
  • ১টি বোফোর্স ৪০ মিমি/৭০ কামান
  • ২টি অরলিকন ২০ মিমি কামান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিল (লেবানন) এ অংশ নিতে নৌবাহিনীর ১৩৫ জন নৌ সদস্যের চট্টগ্রাম ত্যাগ"আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০২ 
  2. "Warship building in Bangladesh, problems and prospects: analysis and recommendations"National Defence College E-Journal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০২ 
  3. "Myanmar brings warships to explore Bangladesh waters"The Daily Star। ৩ নভেম্বর ২০০৮। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  4. "লেবাননে লাল-সবুজ পতাকার সুনাম ফেরি করে দেশে ফিরল 'ওসমান' ও 'মধুমতি'"সুপ্রভাত বাংলাদেশ। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৪