শ্রীজীব ন্যায়তীর্থ
শ্রীজীব ন্যায়তীর্থ (২৬ জানুয়ারি ১৮৯৩ - ২৮ অক্টোবর ১৯৯২) একজন বিশিষ্ট সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত ।
প্রথম জীবন[সম্পাদনা]
শ্রীজীব ন্যায়তীর্থ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের ভাটপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন । তার পিতার নাম পঞ্চানন তর্করত্ন । পিতার চতুষ্পাঠীতে তার পড়াশোনা শুরু হয় । কলকাতার সংস্কৃত কলিজিয়েট স্কুল থেকে দুটি বিষয়ে লেটার নিয়ে প্রবেশিকা, রিপন কলেজ (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) থেকে সংস্কৃত বি.এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এম.এ পাস করে স্বর্ণপদক লাভ করেন । এর আগে বারাণসীতে মহামহোপাধ্যায় রাখালদাস ন্যায়রত্নের কাছে ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়ন করে কাব্য, ব্যকরণ, ন্যায়তীর্থ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন । পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তত্ত্বাবধানে গবেষণা করে ডক্টরেট হন ।
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
পিতার চতুষ্পাঠীতে অধ্যাপনা করে কর্মজীবন শুরু হয় । এরপর তিনি নৈহাটি ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজ (১৯৪০-১৯৬৩), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন । বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেও তার যোগ ছিল । সংস্কৃত ছাড়া বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজিতেও তিনি দক্ষ ছিলেন ।
শতাধিক মৌলিক রচনা ছাড়াও সাতটির বেশি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ তিনি রচনা করেন । ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মহাভারতের নীলকণ্ঠের টীকার হিন্দি অনুবাদের কাজ শেষ করেন । এটি ছিল খুবই দুরূহ একটি কাজ । সারা জীবন ধরে তিনি একটু একটু করে রচনা করেছেন চিত্রালঙ্কার বিষয়ক কাব্য ও চিত্রধর্মী গ্রন্থ সারস্বত শতকম্ । এ ছাড়া সংস্কৃতে অনেকগুলি হাস্যরসাত্মক প্রহসন, নাটক এবং কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন ।
সম্মান এবং পুরস্কার[সম্পাদনা]
তিনি প্রয়াগ বিদ্বৎসমাজ দ্বারা মহামহিমোপাধ্যায়, নবদ্বীপ পণ্ডিতসমাজ দ্বারা ব্যাকরণ শিরোমণি আখ্যা পান । তিনি ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলোশিপ, ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশিকোত্তম এবং ওই বছরই সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহামহোপাধ্যায় উপাধি লাভ করেন ।
রচিত গ্রন্থ[সম্পাদনা]
- পুরুষ রমণীয়ম্
- মহাকবি কালিদাস
- মাধুরী সুন্দরম্
- বিবেকানন্দ চরিতম্
- চণ্ডতাণ্ডবম্ (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবলম্বনে প্রহসন)
- দধি আত্মদানম্
- রামকৃষ্ণ চরিতম্
- ঋতুচক্রমনম্
- পাণ্ডব বিক্রমম্ (১৮ সর্গের মহাকাব্য)
- সোর্স অফ নলেজ
- অ্যান্টিকুইটি অফ ন্যায়শাস্ত্র
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান - দ্বিতীয় খণ্ড - সাহিত্য সংসদ
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |