যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
পারমাণবিক অস্ত্র এমন এক ধরনের যন্ত্র যা নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার ফলে প্রাপ্ত প্রচণ্ড শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করে। সে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া ফিসানের ফলে অথবা ফিসান ও ফিউশান উভয়েরই সংমিশ্রনেও সংঘটিত হতে পারে। উভয় বিক্রিয়ার কারণেই খুবই অল্প পরিমাণ পদার্থ থেকে বিশাল পরিমাণে শক্তি নির্গত হয়। আধুনিক এক হাজার কিলোগ্রামের একটি থার্মো-নিউক্লিয়ার অস্ত্রের বিস্ফোরন ক্ষমতা প্রচলিত প্রায় ১ বিলিয়ন কিলোগ্রামের প্রচণ্ড বিস্ফোরক দ্রব্যের চেয়েও বেশি। এভাবেই শুধুমাত্র প্রচলিত বোমার সমান আকারেই একটি পারমাণবিক বোমা দ্বারাই একটি শহরকে ধ্বংস করে দেয়া যায়। পারমাণবিক অস্ত্রকে ধরা হয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের এক বোমা হিসেবে। একারণেই আন্তজার্তিক বিভিন্ন নিয়ম-নীতিমালা প্রণয়নে তাদের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ সবসময়ই একটি আলোকিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।[১]
যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র
পৃথিবীর মাট ৯টি দেশের হাতে এখন ৯ হাজার পরমাণু বোমা আছে - যদিও স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর এ সংখ্যা আগের চেয়ে কমে গেছে।
পরমাণু বোমাগুলো অনেক ক্ষেত্রে বসানো আছে ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায়। তা ছাড়া আছে বিভিন্ন সামরিক বিমান-ঘাঁটিতে বা অস্ত্রের গুদামে। গবেষণা সংস্থাগুলোর মতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে পরমাণু অস্ত্র আছে ৬৮০০। [২] বিশ্বে প্রথম পরমাণু বোমা প্রস্তুতকারক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবং যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা এটা যুদ্ধেও ব্যবহার করেছে৷ এসইপিআরআইয়ের তথ্যমতে দেশটির এখন চার হাজার ৫০০ পরমাণু বোমা আছে। যার মধ্যে এক হাজার ৯০০ বোমা সক্রিয়।[৩][৪]
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব পরমাণু-শক্তিধর দেশই এখন তাদের অস্ত্রগুলোর আধুনিকায়ন করছে, বা করার পরিকল্পনা করছে।
সবচেয়ে বেশি পরমাণু বোমা আছে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার হাতে। এ দুটি দেশের হাতে আছে ১৫ হাজার বোমা - তবে এই হিসেবে এমন বোমাও ধরা হয়েছে যেগুলো এখন 'অবসরে' যাচ্ছে অর্থাৎ এগুলো অচিরেই খুলে ফেলা হবে। স্টকহোমের একটি শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, ১৯৮০ দশকে পারমাণবিক বোমা বা ওয়ারহেডের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ হাজার।
পরমাণু অস্ত্র আছে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ভারত, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার হাতে। ইসরাইলের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে মনে করা হলেও তারা কখনো একথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনটাই করে নি।
ভারত, ইসরায়েল আর পাকিস্তান কখনো পরমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বা এনপিটিতে সই করে নি। উত্তর কোরিয়া সই করেও ২০০৩ সালে এ থেকে বেরিয়ে যায়। এই চুক্তি অনুযায়ী স্বীকৃত পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হচ্ছে মাত্র পাঁচটি স্বাক্ষরকারী দেশ - আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ও চীন।
এই চুক্তিতে অস্বীকৃত দেশগুলোর পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, বেলারুশ, কাজাখস্তান ও ইউক্রেন তাদের পরমাণু কর্মসূচি পরিত্যাগ করেছে।
বলা হয় আমেরিকা রাশিয়া ও ব্রিটেন তাদের পরমাণু অস্ত্রে সংখ্যা কমাচ্ছে।[২]
পরমাণু বোমার পরীক্ষা ও মোতায়েন[সম্পাদনা]
পারমাণবিক অস্ত্র যুদ্ধে দুবার ব্যবহার হয়েছে, উভয়বারই আমেরিকা কর্তৃক এ বোমা ব্যবহার হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে আমেরিকা জাপানের বিরুদ্ধে এ বোমা ব্যবহার করেছে। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ইউরেনিয়াম দিয়ে তৈরি এক পারমাণবিক ফিশন বোমা জাপানের হিরোশিমা শহরে নিক্ষেপ করে। বোমাটির ডাকনাম দেয়া হয়েছিল লিটল বয়। তিন দিন পর আমেরিকান বিমান বাহিনী দ্বিতীয় একটি বোমা নিক্ষেপ করে জাপানি শহর নাগাসাকিতে। এটি ছিল প্লুটোনিয়াম-তৈরি ফিশন বোমা। এর ডাকনাম ছিল ফ্যাটম্যান। দুটি পরমাণু বোমার আঘাতে প্রায় দুলক্ষ সামরিক-অসামরিক মানুষ মারা যায়। পরমাণু বোমার ব্যবহার এবং এর ফলস্বরূপ জাপানের আত্মসমর্পণ--দুটো বিষয় নিয়ে বিতর্ক আজও শেষ হয়নি।[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "পারমাণবিক অস্ত্র - উইকিপিডিয়া"। bn.wikipedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৪।
- ↑ ক খ "কোন দেশের কত পরমাণু অস্ত্র, আর তা কোথায় রাখা আছে?" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৪।
- ↑ "কোন দেশে কত পরমাণু বোমা?"। NTV Online (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৪।
- ↑ "List of All U.S. Nuclear Weapons"। nuclearweaponarchive.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।