মোহাম্মাদ জাকারিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহাম্মাদ জাকারিয়া
হাফেজ জাকারিয়া
জন্ম (2002-09-01) ১ সেপ্টেম্বর ২০০২ (বয়স ২১)
জাতীয়তা বাংলাদেশ
কর্মজীবন২০০৯–বর্তমান
পরিচিতির কারণআন্তর্জাতিক পুরুস্কারপ্রাপ্ত কুরআন মুখস্তকারী
টেলিভিশনবাংলাভিশন
উপাধিপবিত্র কুরআনের আলো প্রতিযোগিতায় বিজয়ী
পিতা-মাতা
  • হাফেজ মাওলানা ফয়জুল্লাহ (পিতা)
  • মোসা. জাহানারা বেগম (মাতা)
পুরস্কারপবিত্র কোরআন পদক, পবিত্র কুরআনের আলো বিজয়ী

মোহাম্মাদ জাকারিয়া আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বারংবার বিজয়ী বাংলাদেশি কুরআন মুখস্তকারী।[১] তিনি ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ সুন্দর কোরআন তেলওয়াতকারী হিসেবে মিশরে আন্তর্জাতিক পবিত্র কোরআন পদক প্রাপ্ত হাফেজ।[২] ২০১৫ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় হিফজে তৃতীয় ও ক্বিরাতে প্রথম স্থান লাভ করেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

মোহাম্মাদ জাকারিয়া ১ সেপ্টেম্বর ২০০২ সালে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে তার নানা বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন, তার দাদা বাড়ী ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়[২] তিনি মাত্র আড়াই বছরে পবিত্র কুরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করতে সক্ষম হন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন], এবং ২০১১ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মাত্র ৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেন।[৩]

শিক্ষা ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মোহাম্মাদ জাকারিয়া বর্তমানে মাদ্রাসায়ে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ী ঢাকা-এ দারুল হাদিস (তাকমিল) বিভাগে অধ্যায়নরত আছেন। মোহাম্মদ জাকারিয়া ২০১৭ সাল থেকে ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে খতমে তারাবি, এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে রমজানের শেষ দশকে ‘কিয়ামুল লাইল’-এর ইমামতি করে আসছেন।[২]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

মোহাম্মাদ জাকারিয়া ২০১১ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান। ২০১৩ সালে জর্দানে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান। ২০১৪ সালে মিশরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান। ২০১৬ সালে কুয়েতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অর্জন করে।[৪] একই বছর বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় হিফজ ও ক্বিরাতে প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০১৭ সালে সুদানে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় হিফজ ও তাফসির বিভাগে ৪র্থ স্থান অর্জন করে।[৫] ২০১৯ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সান্ত্বনা পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন হিফজ ও ক্বিরাত প্রতিযোগীতায় সুনামের সাথে উত্তীর্ণ হন।[৫][৬]২০২৩ সালে ইন্দোনেশিয়া কালিমানতানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায়]] দ্বিতীয় স্থান।[৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "কেরাত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজ জাকারিয়ার বিরল রেকর্ড"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০১৮-০১-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬ 
  2. "বিদেশের কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মুখ হাফেজ জাকারিয়া"Barta24। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬ 
  3. "বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় এবারো প্রথম বাংলাদেশি হাফেজ | Deshebideshe"www.deshebideshe.com। ২০১৮-১২-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬ 
  4. "কুয়েতের কোরআন প্রতিযোগিতায় লড়ছেন বাংলাদেশের কিশোর হাফেজ জাকারিয়া"amarbarta24.com। ২০১৬-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬ 
  5. "সুদান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজ জাকারিয়া"banglanews24.com। ২০১৮-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬ 
  6. "বিশ্ববিজয়ী কুরআনে হাফেজকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা প্রদানের আহ্বান"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬ 
  7. "বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করলেন হাফেজ জাকারিয়া"দেশ টিভি। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩