মুহিব-আলীপুরের যুদ্ধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুহিব-আলীপুরের যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: বর্গির হাঙ্গামা এবং বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪৫–১৭৪৯)
তারিখ১৪ নভেম্বর ১৭৪৫[১]
অবস্থান
মুহিব-আলীপুর, বিহার প্রদেশ, বাংলা (বর্তমান মুহিব-আলীপুর, বিহার, ভারত)
ফলাফল বাংলার নবাবের বিজয়[১][২]
বিবাদমান পক্ষ
বাংলা মারাঠা সাম্রাজ্য
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
আলীবর্দী খান প্রথম রঘুজী ভোঁসলে[১]
মীর হাবিব
শক্তি
অজ্ঞাত ১৪,০০০[১]
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
অজ্ঞাত অজ্ঞাত

মুহিব-আলীপুরের যুদ্ধ ১৭৪৫ সালের ১৪ নভেম্বর বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্যের মুহিব-আলীপুর নামক স্থানে বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের সৈন্যবাহিনী এবং প্রথম রঘুজী ভোঁসলেমীর হাবিবের নেতৃত্বাধীন মারাঠা বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়[১]। যুদ্ধে মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়[১]

পটভূমি[সম্পাদনা]

১৭৪৫ সালে নাগপুরের মহারাজা প্রথম রঘুজী ভোঁসলে বাংলায় আফগান বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে বাংলা আক্রমণ করেন[১]। বাংলার নবাব আলীবর্দী খান এসময় আফগান বিদ্রোহ দমনে ব্যস্ত থাকায় তিনি মারাঠাদের প্রতিরোধ করতে পারেন নি[১]। এ সুযোগে রঘুজীর মারাঠা সৈন্যরা একের পর এক উড়িষ্যা, মেদিনীপুর, বর্ধমান এবং বীরভূম দখল করে নেয়[১], এবং বিহার দখল করার জন্য অগ্রসর হয়।

যুদ্ধের ঘটনাবলি[সম্পাদনা]

মারাঠাদের বিহারের দিকে অগ্রসর হওয়ার সংবাদ পেয়ে নবাব আলীবর্দীও তাদের অনুসরণ করে বিহারে আসেন[১]। বিহারের মুহিব-আলীপুর নামক স্থানে আলীবর্দীর বাহিনী মারাঠাদের ধরে ফেলতে সক্ষম হয়। নবাব মারাঠা বাহিনীকে আক্রমণ করেন এবং মারাঠারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়[১]

ফলাফল[সম্পাদনা]

মুহিব-আলীপুরে পরাজয়ের পর মারাঠারা বিহার থেকে পশ্চাৎপসরণ করতে বাধ্য হয়[১][২]। ফলে তাদের বিহার দখলের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। এরপর মীর হাবিবের পরামর্শে রঘুজী মুর্শিদাবাদ আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন[১][২]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম, (বাংলাদেশের ইতিহাস), আলীবর্দী ও মারাঠা আক্রমণ, পৃ. ২৯৩–২৯৯
  2. মোহাম্মদ শাহ (২০১২)। "মারাঠা হামলা"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743