ব্যবহারকারী:Syeda Rafia Nibras/ডিম ভাজা
অন্যান্য নাম | ডিম ভাজা |
---|---|
প্রকার | প্রা;তরাশ |
প্রধান উপকরণ | ডিম |
অন্যান্য নাম | ডিম ভাজা |
---|---|
প্রকার | প্রাতঃরাশ |
প্রধান উপকরণ | ডিম |
ডিম ভাজা হল একটি রান্না করা খাবার যা এক বা তার বেশি ডিম থেকে তাদের খোসা ছাড়িয়ে একটি কড়াইয়ে রাখা হয় এবং সামান্য় কিছু উপকরণ দিয়ে ভাজা হয়। ভাজা ডিম ঐতিহ্যগতভাবে অনেক দেশে প্রাতঃরাশের জন্য খাওয়া হয় তবে দিনের অন্যান্য সময়েও তা খাওয়া যেতে পারে।
আঞ্চলিক অভিযোজন এবং বিশেষত্ব[সম্পাদনা]
অস্ট্রিয়া, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ড[সম্পাদনা]
ডিম ভাজা ( স্পাইজেলিয়ার , একক স্পাইলেজি স্ট্রেমার ম্যাক্স এর মতো ঐতিহ্যবাহী জার্মান খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ (ডিম একদিকে অবিচ্ছিন্ন কুসুম দিয়ে ভাজা হয়ে থাকে এবং খোলা হ্যাম স্যান্ডউইচের উপরে কুসুম এর দিক উপর দিক করে পরিবেশিত হয়) বা হ্যামবার্গার শ্নিটজেল / হলস্টিনার শ্নিটজেল / ফার্নফাহেরারস্নিটেল ("ট্র্যাকার্স স্কিঞ্জেল") - একইভাবে প্রস্তুত ভাজা ডিম ওয়েইনার শ্নিটজেল এর উপর পরিবেশন করানো হয়।
ডিম ভাজার ওপরে (বা পাশাপাশি) কড়াই-ভাজা আলু হ'ল আরও একটি প্রচলিত খাবার, যা মাঝে মাঝে খাবারের তৃতীয় উপাদান হিসাবে পালং শাকের সাথে পরিবেশন করা হয়। কিছু জার্মান রাঁধুনি কুসুম ভেঙ্গে ফেলে এবং ভাজার সময় ডিমের পুরো সাদা অংশে ছড়িয়ে দেয়
উপরের সবগুলোই সাধারণত প্রাতঃরাশের চেয়ে , দুপুরের খাবার, যদিও ডিম নিজেই ( যেমন সেদ্ধ বা ভুনা ডিম ) একটি জার্মান প্রাতঃরাশের একটি জনপ্রিয় অংশ।
কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনাম[সম্পাদনা]
কম্বোডিয়ায় ডিম ভাজা প্রায়শই একটি পরিচিত খাবারের উপর দেওয়া হয় যাকে লোকলক বলে । এটি পালং শাক এর একটি ডাঁটা দিয়ে তৈরি করা হয়, পেঁয়াজ ভালভাবে মিহি করে, আর টমেটো হয় হরিণের গোস্তের একটি অংশ অথবা গরুর মাংসের ঝোল, ভাজা ডিমের সাথে উপরে থাকে, হয় হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিম।
ভিয়েতনামে, ডিম ভাজা ঝিনুক এর কিছু অংশ অথবা হুইসিন সস উপরে দিয়ে সাদা ভাতের উপর পরিবেশন করা হয়, পূর্ব এশিয়াতেও এটি জনপ্রিয়। ভাজা ডিম কখনও কখনও ভিয়েতনামী প্রাতঃরাশ রোল ও ব্যবহৃত হয়।
চেক প্রজাতন্ত্র[সম্পাদনা]
ডিম ভাজা কুসুম দিক উপরে দিয়ে তৈরি করা চেক রন্ধনপ্রণালিতে "ভলস্কো ওকো " বা " বুলি ওকো " (ষাঁড়ের চোখ) নামে পরিচিত এবং এগুলিকে শুধুই নাস্তার অংশ হিসাবে দেওয়া হয়, অথবা পালং শাক ও সিদ্ধ আলুর সাথে মধ্যাহ্ণভোজ এ পরিবেশন করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মিশর[সম্পাদনা]
মিশরে ডিম ভাজা প্রাতঃরাশের একটি জনপ্রিয় খাবার। এগুলি চর্বিতে ভাজা হয় যেমন উদ্ভিজ্জ তেল, মাখন বা ঘি এবং সধারণ অথবা অন্যান্য খাবার যেমন টমেটো, পনির, সসেজ বা কিমা মাংসের সাথে পেঁয়াজ এবং মশলা দিয়ে পরিবেশন করা হয়; এগুলিকে ফুল মেডাম (ধীরে রান্না করা ফাভা মটরশুটি ) দিয়েও পরিবেশন করা যেতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ভারত[সম্পাদনা]
ভারতে সাধারণত শুধুই ডিম ভাজা বা রুটির সঙ্গী হিসেবে পরিবেশন করা হয়। মাঝে মাঝে এটি দোসা, পরোটা বা রুটির সাথেও পরেবেশন করা যায়। ভাজার সময় বা তার পরে, এগুলিকে মাঝে মাঝে মরিচ যেমন মরিচ, মরিচ গুঁড়ো, সবুজ মরিচ এবং লবণের দিয়ে হালকাভাবে ছিটানো হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ভারতীয় ইংরেজিতে সাধারণত ডিম ভাজি "ডিম পোচ" হিসাবে পরিচিত। মধ্য ও উত্তর ভারতের ইংরাজীভাষী মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং মাঝারি স্তরের রেস্তোঁরাগুলিতে, "একদিক-ভাজা" কুসুম দিক উপরে দিয়ে বোঝায় ("বুলস আই" নামেও পরিচিত) এবং "ডাবল-ভাজা" খুব শক্ত বোঝায়। স্ট্রিট ফুড কথন "হাফ-ফ্রাই" বেস শব্দ হিসেবে ব্যাবহার করে "হাফ ফ্রাই বিনা পল্টি" (না উলটানো ) এর সাথে যার অর্থ কুসুমদিক উপরে এবং "হাফ ফ্রাই পল্টি মারকে" বা "আলটি পল্টি" (উল্টানো) যার অর্থ নরম / মাঝারি /শক্ত যেখানে গ্রাহকরা উল্টিয়ে তদারকি করে এবং যখন বলে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইন্দোনেশিয়া[সম্পাদনা]
ইন্দোনেশিয়ায় ভাজা ডিমগুলি হয় তেলুর সেপলক বা তেলুর মাতা সপি ("বুলস আই এগ" ইন্দোনেশিয়ান এর জন্য ) হিসাবে পরিবেশন করা হয় যা , কুসুম দিক উপরে ডিমকে তেলুর দাদার ( অমলেট ) হিসাবে বা তেলুর ওরাক-অরিক (ভুনা ডিম) হিসাবে বোঝায়। ভাজা ডিম হয় সেটেঙ্গাহ মাতাঙ্গ যা অর্ধেক রান্না হয় কুসুম বা মাতং দিয়ে যা ভালভাবে সম্পন্ন হয়। ইংরাজী বলার সময় কোনও ইন্দোনেশিয়ান ওয়েটার জিজ্ঞাসা করতে পারে আপনি ডিম ভাজা "একদিক" বা "দুই দিক" চান কিনা। ডিম ভাজা, বিশেষত ষাঁড়ের চোখের ডিম হিসাবে ইন্দোনেশিয়ান ফ্রাইড রাইস ( নাসি গোরেং [১] এবং ফ্রাইড নুডল (মাই গোরেং) এর উপরে দেয়ার জন্য জনপ্রিয় । হয় তাজা প্রস্ততক্রিত নুডুলস বা ঝটপট নুডল ইন্ডোমি মি গোরেনগ থেকে রান্না করা হয়। [২]
ডিম ভাজার কুসুম দিক উপরে দিয়ে সেদ্ধ ভাতের উপরে কেচাপ মেনিস একটি মিষ্টি জাতীয় সয় সস এর সাথে স্ফিত করে একটি সাধারণ খাবার, ইন্দোনেশীয় শিশুদের মধ্যে একটি প্রিয় খাবার। [৩] ভাত দিয়ে পরিবেশন করা ছাড়া ভাজা ডিম সকালের নাস্তায় স্যান্ডউইচ হিসাবে রুটির সাথে পরিবেশন করা হতে পারে। মৌসমী লবণ এবং মরিচ, মিষ্টি সয়া সস, কখনও কখনও গরম এবং মশলাদার সাম্বল মরিচের পেস্ট অন্তর্ভুক্ত করে থাকে।
আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য[সম্পাদনা]
ডিম ভাজা টোস্টে বা স্যান্ডউইচে, বেকন, সসেজ এবং বিভিন্ন ধরণের উপকরণ দিয়ে পরিবেশন করা যেতে পারে। সাধারণত ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে ডিম ভোজন পুরোপুরিভাবে প্রাতঃরাশের অংশ হয়। ডিম ভাজা প্রায়শই জনপ্রিয় পাব খাবার হিসাবে হ্যাম বা গ্যামন স্টেকের সাথে পরিবেশন করা হয়। ডিমটি উচ্চ তাপ এবং গরম চর্বিতে রান্না করা হয়, তেল বা পানি ডিমের উপরে ছিটিয়ে দেওয়া হতে পারে আছড়ানোর জন্য এবং সাদা অংশ রান্না করার জন্য এগুলি সাধারণত না উল্টিয়েই রান্না করা হয়। মাঝে মাঝে ডিমটি উল্টানো হয় সাদা অংশ ভালভাবে রান্না করা হইয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য। ("ওভার ইজি", যদিও এটি বেশি আমেরিকান বাক্যাংশ) , কিন্ত ডিম প্রায় সবসময়ই কাচা কুসুম এর সাথে পরিবেশন করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
লাতিন আমেরিকা, পর্তুগাল এবং স্পেন[সম্পাদনা]
পর্তুগাল এবং ব্রাজিলে তরল ডিম একটা লাঠির উপর উপর দিয়ে সাদা ভাত এবং কালো শিম বিচির সাথে (ব্রাজিলে) অথবা আলু ভাজার সাথে (পরতুগালে) দেয়া হয়, যাকে বাইফ এ কাভাল, প্রক্রতপক্ষে "হরস-রাইডিং স্টিক" বলা হয়।
একইরকম খাবার, স্পেনে বাইফ এ কাবাল নামে , আরজেন্টিনাতেও জনপ্রিয়, এ্যকুয়েডর এবং উরুগুয়ে ( বলা হয় ক্কুরাস্ক) ; শিম বিচি আর ভাতের পরিবর্তে ভাজা আলু এবং সালাদ দেয়া হয়।
চিলি এবং পেরুতে ডিম ভাজা "লম এ ল পব্রে", " করিলানা" , " পাইলা ডে হুভ" এবং আরো অনেক খাবারের সাথে অন্ত্রভুক্ত।
ইকুয়েডরে, "ল্যাপিংচোস" কুসুম দিক উপরে দিয়ে কড়াই-তৈরি পনির মাখানো আলু ভর্তা এবং ভাজা সসেজ এর উপর পরিবেশন করা হয়।
উত্তর মেক্সিকোয়, হুভস মন্টাডস ( রাইডিং এগস) পরিশুদ্ধ মটরশুটি এবং আলু ভাজা ( অথবা আলু চিপস) এর সাত্থে পরিবেশন করা করা হয়। মেক্সিকোয় আরেকটি পরিচিত ডিম পরিবেশন এর প্রক্রিয়া হল হুভস এ লা মেক্সিকানা , যেটা ডিম ভাজা কুচি করা টমেটো, পেঁয়াজ এবং সবুজ মরিচ গুঁড়ার সাথে মেলানো হয়। মরিচ গুঁড়া প্রয়োজনমতো একটু পর পর দেয়া হয়।
মেক্সিকোয় আরো অনেক ডিম এর খাবার রয়েছে যেটা বিভিন্ন উপকরণের সাথে মেলানো হয়ঃ হুভস মটুলেনস ( ইউকাটান এ) এপরিডস ( পরিশুদ্ধ মটরশুটির সাথে মিশ্রিত), এবং হিউভোস রাঞ্চেরোস ( কুসুম উপরে দিয়ে ডিম একটি করন টরটিলা এর উপর পরিবেশনক্রিত, মসলাযুক্ত সালসা দিয়ে ঢাকা)। মেক্সিকোর আরো কিছু অংশেও, ডিম ভাজা তাজা টমেটো, পেয়াজ, এবং কিলান্ট্রো সালসার সাথে পরিবেশন করা হয়। লাল মরিচ ঐচ্ছক, সস এর মিশ্রণ এর মতো।
স্পেনে ভাজা ডিম ( হিউভোস ফ্রিটোস ) একটি জনপ্রিয় খাবার। এগুলো এমনি খাওয়া হয়, মাংস অথবা সসেজ এর সাথে। এই দেশে ডিম ভাজা সেদ্ধ ভাত টমেটো সস দিয়ে ঢাকা, আরোজ এ লা কুবানা স্পেনিশ ভাষায় বলা হয় এবং একই খাবার লাতিন আমেরিকার কিছু অংশে পরিবেশন করানো হয়, ইতালি (অচিও ডি বিউ, অনুবাদঃ গরুর চোখ বলা হয়), পাশাপাশি ফিলিপাইন এবং পরতুগালেও।
কবি নাজিম হিকমত একটি ইন্টারভিউ এ বলেন, তিনি একজন স্পেনিশ বন্ধুর সাথে এক মাস থেকেছেন এবং প্রায় প্রতিদিন ডিম ভাজা খেয়েছেন।
জাপান[সম্পাদনা]
"মেডামা ইয়াকি" (目 玉 焼 き, লিট .: রান্না করা চোখের মণি), ডিম ভাজা সাধারণত কুসুম দিক উপরে দিয়ে বানানো হয়। এগুলো লবণ এবং মরিচ এর সাথে পরিবেশন করা হতে পারে, সয়া সস অথবা জাপানী-স্টাইল ওরচেস্টারশায়ার সস।ডিম ভাজা টুকরো করা পাউরুটি টোস্ট অথবা ভাতের সাথে একটি জনপ্রিয় প্রাঃতরাশ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কোরিয়া[সম্পাদনা]
계란 부침 বলা হয় (গায়রানবুচিম, 'ডিম প্যানকেক') বা আরও সাধারণভাবে বলা হয় 후라이 후라이 (গায়রান হুরাই, 'ডিম ভাজি')। ডিম ভাজা রান্নার তেলে ভাজা হয়, কখনওবা এক চিমটি লবণ দিয়ে। ডিম ভাজা বিবিমবাপ বা কিমচি বক্কিয়াম্বাপ এর উপর দেয়া খুব পরিচিত।মাঝেমাঝে ভাত জাতীয় যেমন বক্কিয়ামবাপ,সাধারণভাবে ডিম ভাজা গরম ভাতের পাতিলের উপরে দিয়ে, চামচভরতি গচুজাং ছিটিয়ে এবং সিসেম তেল দিয়ে বানানো হয়। মাঝে মাঝে লবণ ডিম ভাজার সাথে যোগ করা হয়, এবং বানচান হিসেবে পরিবেশন করা হয়, যেটা ছোট পাতিলের সামান্য খাবার।
মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর[সম্পাদনা]
ঠিক ইন্দোনেশিয়ার মতো, নাসি গরেং, মালয়েশিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রাইড রাইস ডিশ এবং সিঙ্গাপুরে প্রায়ই ডিম ভাজার সাথে পরিবেশন করা হয়।
নেদারল্যান্ড[সম্পাদনা]
নেদারল্যান্ডে ডিম ভাজা (স্পাইগেলেই[৫]) সাধারণত পাউরুটির টুকরার উপর ( সাদা বা ময়দা), প্রায়শয় বেকন দিয়ে ভেজে প্রাতঃরাশ বা মধ্যাহ্ণভোজে দেয়া হয়।
উইটস্মিজটার দুই বা তিনটি ডিম ভাজা কুসুম দিক উপরে দিয়ে এক ধরণের খাবার। এক ধাপ হ্যাম এবং পনির ( উইটস্মিজটার হ্যাম এন কাস), বা বেকন এবং পনির(উইটস্মিজটার স্পেক এন কাস) দিয়ে একসাথে ভাজা হয়।আরেক ধাপ মাখন পাউরুটির উপর রেখে একটি বড় ঠান্ডা মাংসের টুকরোর উপর রাখা হয়, উদাহরণ, রান্না করা গরুর মাংস বা হ্যাম, এবং সাধারণত আচারের ঝোলা দিয়ে সজ্জিত করা হয়। এটি একটি পরিচিত দুপুরের খাবার নেডারল্যান্ড এর বিভিন্ন ক্যাফে, কেন্টিন, এবং লাঞ্চ রুম এ পরিবেশন করা হয়। প্রক্রিতপক্ষে উইটস্মিজটার মানে "আউট থ্রোয়ার", এবং এটি একটি ডাচ শব্দও যার মানে "বাউন্সার "।
নাইজেরিয়া[সম্পাদনা]
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে যা "স্ক্যাম্বলড ডিম" নামে পরিচিত নাইজেরিয়াতে তা "ফ্রাইড এগস" নামে ডাকা হয়। এবং যুক্তরাজ্য " হাফ-ফ্রাইড এগস" নামে জানা যাবে। মাই শাই স্টল ভুনা ডিম খুবই মচমচে করে রান্না করে।[৬]
ফিলিপাইন[সম্পাদনা]
ফিলিপাইনে ডিম ভাজা প্রায়ঃশই কুসুম দিকের মতো রান্না করা হয়, কিন্ত কুসুমটি অর্ধেক রান্নাক্রিত- মালাসাডো হিসেবে উল্লেখ করা হয় । ( যার মানে স্প্যানিশ ভাষায় অরধেক রান্নাক্রিত)ভাজার সময় লবণ এবং তেল ছিটিয়ে এটাকে স্বতন্ত্র গোলাপী রঙের ঝিল্লি দেয়া হয়।এটা সকালে আদা ভাত এবং পছন্দশই প্রাঃত্রাশ মাংস যেমন গরুর মাংস টাপা, লংগানযিয়া ,ফ্রাইড মিল্কফিশ, শুকনা মাছ, টকিনো ( কেরামেলাইজড পরক), স্পাম,করন্ড বিফ , যেমন টাপ্সিলগ এবং এর ভিন্ন প্রজাতির সাথে পরিবেশন করা হয়।উপরন্ত, ডিম ভাজা একটি ডিশ এ খাওয়া হয় যাকে বলা হয় আরয আ লা কুবানা, যেটা কিসমিসের সাথে পাকা গরুর মাংস, টমেটোর টুকরা, টমেটো সস এবং জল্পাাইর সাথে সাদা ভাত এবং ভাজা পাকা উদ্ভিজ্য থাকে। ডিম ভাজা নুডুলস, পান্সিট বাটিল পাটং এরও একটি অন্যতম উপাদান, যেখানে ডিম ভাজা সেদ্ধ ভাজা নুডুলস এর উপর দেয়া হয়। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
রাশিয়া[সম্পাদনা]
রাশিয়ায় খুব জনপ্রিয় দুটি ডিম ভাজা হল ইয়াইচনিতসা (রাশিয়ান: яичница ), খাঁটি ডিম ভাজার একটি গোত্রিয়, এবং অমলেট ( রাশিয়ান ;омлет ), সাধারণ ডিম ভাজা থেকে অমলেট এর পার্থক্য হল দুধ অথবা অন্যান্য তরল যোগ করা।।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইয়াছনিস্তা প্রধাণত দুই প্রকার, একটি গ্লাযুন'জা (রাশিয়ান ঃ ল্যাং), সাধারণত কুসুম দিক উপরে বোঝায় কিন্ত সাধারণত ভাঙ্গা কুসুমের সাথে বিকল্প বোঝায়, এবং একটি ভুনা নাম বল্টুনিয়া (রাশিয়ান: ল্যাং), যেটার বিভিন্ন স্তর থাকে যেমন ফ্রাইড বেকন, হেম, সল্ট পরক, বা অন্যান্য কোল্ড কাটস, ফ্রাইড ব্রেড বা পেয়াজ, বা অন্যান্য সবজি যুক্ত। দুটো তৈরিরই একটি পরিচিত প্রক্রিয়া হল অনেকগুলো ডিম একটি কড়াই বা সস প্যান এ ফেটে দিয়ে না উল্টিয়ে রান্না করা। পুরো কড়াই রান্না হয়ে গেলে সাদা অংশগুলো একসাথে ভেসে ওঠে এবং আলাদা অংশগুলো ভাগ হয়ে যায়। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
থাইল্যান্ড[সম্পাদনা]
থাই রান্নায় যখন খাই দাও ( মানে "স্টার এগ") শব্দ কোনো খাবারের পরে আসে তার মানে হল যে একজন ঐ খাবারটি ডিম ভাজার সাথে খেতে চায়। খুবই জনপ্রিয় কাফ্রাও মু রাত খাই দাও তথা, অনুবাদ করে, "বাসিল ফ্রাইড পরক ভাতের উপরে ডিম ভাজার সাথে" । কখনও এটা "টপ এগ" বোঝায়। ফ্রাইড রাইস ও ডিম ভাজার সাথে জনপ্রিয়ভাবে যায়, যেমন খাও ফাট আমেরিকান এবংখাও ফাট, (স্ট্যান্ডার্ড থাই - স্টাইল ফ্রাইড রাইস)। থাইল্যান্ডে ডিম ভাজা খাওয়ার আরেকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হল এটাকে থাই সালাদ এর মূল উপাদান হিসেবে ব্যাবহার করা যাকে বলে ইয়াম খাই দাও।
যুক্তরাষ্ট্র[সম্পাদনা]
আমেরিকানরা ডিম ভাজা রান্নার বিভিন্ন পদ ও প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করার জন্য বিভিন্ন পদ ব্যাবহার করে , উল্লেখ্যঃ
- খুব হাল্কা বা খুব পাতলা
- দু'দিকে রান্না করা, কুসুম তরল থাকে এবং ডিমের সাদা অংশ পুরোপুরি রান্না করা।
- মাঝারি মাধ্যম
- দুদিকেই রান্না করা হয়, যদিও কুসুম রান্না করা হয় কিন্ত নরম ও প্রায় তরল অংশটি মধ্যখানে থাকে। ডিমের সাদা অংশ পুরোপুরিভাবে রান্না করা হয়।
- খুব শক্ত খুব ভাল
- কুসুম পুরোটা রেখে দুদিকেই ভালভাবে রান্না করা হয়।
- কুসুম উপরে রেখে
- ডিমের সাদা অংশ বসা না পর্যন্ত , শুধু একদিকেই রান্না করা হয়, কিন্ত কুসুম তরলই থাকে। এটি প্রায়ই সধারণভাবে এগস আপ নামে পরিচিত। হাল্কাভাবে গরম তেল বা চর্বি কুসুমের দিকে ডিমের যে সাদা অংশ কাচা থাকে, তার উপর ছিটানো হয়। (বাস্টিং) সম্ভবত সাদা অংশ ভালভাবে রান্না করার জন্য দেয়া হয়। রান্না করার সময় কড়াই একটি ঢাকনা দিয়ে ঢাকা ( ঐচ্ছিকভাবে একটি ধাকনা এবং আধা চা চামচ পানি শেষ হওয়ার ঠিক আগে দেয়া হয়) কম তরল ডিম এর জন্য সহায়ক, এবং ডিম রান্নার সহজ পদ্ধতিতে উল্টানোর জন্য একটি বিকল্প উপায়। ( এটিকে মাঝেমধ্যে সানি সাইড ডাউন বা বাস্টেড ডাকা হয়)। কুসুম দিক উপর ডিম ডিপি এগস বা ডিপ এগ নামেও ডাকা হয় যারা পেন্সিল্ভানিয়া ডাচ, সেন্ট্রাল পেন্সিল্ভানিয়া তে বাস করে তাদের দ্বারা, অহিও আর পিটসবারগ এর কিছু অঞ্চলে কুসুমের মাঝে টোস্ট ডুবানোর অনুশিলনের কারণে। এই পদ কানাডায়ও মাঝে মধ্যে ব্যবহ্রত হয়। পূর্ব মেরিল্যান্ড এ এগুলোকে কখনও মুন এগস নামেও ডাকা হয়।
এগ ইন দ্যা বাস্কেট[সম্পাদনা]
এই খাবারটি সাধারণত পাউরুটির একটি গোল অংশ বা অন্য আকৃতিতেও এক টুকরো কেটে প্রায়শই একটি পানির গ্লাসে বা বিস্কুট কাটার ব্যাবহার করে বানানো হয়। একদিকে লাল না হওয়া পর্যন্ত পাউরুটি রান্না করা হয় আর তারপরে উলটানো হয়, এবং ডিম ঠিক মাঝখানে ফাটা হয় এবং সেদ্ধ হয়, সধারণত লবণ আর মরিচ এবং কখনও হারবস দিয়ে। তারপর কড়াই ঢেকে দেয়া হয়, এবং ডিমের সাদা অংশ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করা হয়। পাশাপাশি পাউরুটির কাটা অংশও ভাজা হয়, এবং রান্না করা ডিমের সাথে বা এর উপর দিয়ে পরিবেশন করা হয়।
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
- এগ স্যান্ডুইচ
- গ্রীন এগস এবং হ্যাম
- ডিমের খাবারের তালিকা
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
১। কিভাবে নাসি গরেং বানানো যায়"। অস্ট্রেলিয়ান এগস। পুনরুদ্ধার ১৪ এপ্রিল ২০২০ ২। মি গরেং। অস্ট্রেলিয়ান এগস। পুনরুদ্ধার ১৪ এপ্রিল ২০২০।
৩। " হিডাংগান কেপাট ডান লেজাট ডেঙ্গান টেলুর কেপ্লক মাসাক কেচাপ"- সেমুয়া হালামান-নাকিতা .৪। ভেরা টুলিয়াকভা হিক্মাট। (১৯৮৯)। নাযিম লা সয়লেসি। কেম ইয়ায়নেভি।
৫।ভান লিম্বারগ স্টিরাম, সি। কাউন্টেস (১৯৬২)।
দ্যা আর্ট অব ডাচ কুকিং। লুন্ডনঃ আন্ড্রে ডেটস লিমিটেড। প্রিষ্ঠ.৪৫।
৬। " উইটস্মিটজার" দ্যা ডাচ টেবিল। ৩ এপ্রিল ২০১১। পুনরুদ্ধার ২ সেপ্টেম্বর ২০১২।
৭। কেরগি, ফারুক ( ২৬ জানুয়ারি ২০১৪)। "কিউ এন্ড এ অন দ্যা গ্রামার অব ফুড, ইউজেজ এন্ড নাইজেরিয়ান ইংলিশ"। ডেইলি ট্রাস্ট। দ্যা অরিজিনাল থেকে ধারণক্রিত। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। পুনরুদ্ধার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
৮। "ক্রা পাও মু ( স্টির ফ্রাই পরক উইথ বাসিলসিল)ফর লাঞ্চ। অথোমেইনথাইল্যান্ড,কম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১। দ্যা অরিজিনাল থেকে ধারণক্রিত, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২, পুনরুদ্ধার ২ সেপ্টেম্বর ২০১২।
৯। "খাও ফাট আমেরিকান" অস্টিন বুশ ফটোগ্রাফি। ১৬ মার্চ ২০১১। দ্যা অরিজিনাল থেকে ধারণক্রিত। ১৫ জুন ২০১৩। পুনরুদ্ধার ২ সেপ্টেম্বর ২০১২।
১০। কডি। " অ্যা ফারাংস ট্রেক থ্র অ্যা কালচার অব ফুড এন্ড দ্যা আননউন- থাইল্যান্ড।" কডিকাসেল.ব্লগস্পট. এন,এল. পুনরুদ্ধার ২ সেপ্টেম্বর ২০১২।
১১। " থাই ফ্রাইড এগ সালাদ-ইয়াম খাই দাও । শিমা সিরস। ১ ডিসেম্বর ২০০৯। পুনরুদ্ধার ২ সেপ্টেম্বর ২০১২। [[বিষয়শ্রেণী:ভাজা খাবার]] [[বিষয়শ্রেণী:ডিমের পদ]]
- ↑ "How to make Nasi Goreng: Nasi Goreng with fried eggs recipe"। Australian Eggs (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৪।
- ↑ "Mi Goreng"। Australian Eggs (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৪।
- ↑ "Hidangan Cepat dan Lezat dengan Telur Ceplok Masak Kecap - Semua Halaman - Nakita"। nakita.grid.id (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৪।
- ↑ Vera Tulyakova Hikmet (১৯৮৯)। Nâzımʾla söyleşi। Cem Yayınevi।
- ↑ van Limburg Stirum, C. Countess (১৯৬২)। The Art of Dutch Cooking। Andre Deutsch Limited। পৃষ্ঠা 45।
- ↑ Kperogi, Farooq (২৬ জানুয়ারি ২০১৪)। "Q and A on the grammar of food, usage and Nigerian English"। Daily Trust। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।