ব্যক্তিগত কম্পিউটার

এটি একটি ভালো নিবন্ধ। আরও তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার হচ্ছে সাধারণ উদ্দেশ্যে এককভাবে ব্যবহারের উপযোগী এক প্রকার ছোট কম্পিউটার। ৪ ধরনের কম্পিউটারের মধ্যে যেটি একটি। যার আকার, ক্ষমতা এবং প্রকৃত দাম একজন সাধারণ ব্যক্তির জন্য উপযোগী এবং কোনো ধরনের তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই এটি সরাসরি ব্যবহার করা যায়॥[১] অপরদিকে অংশীদারি মডেল অথবা ক্রমানুসারে প্রক্রিয়াকারী ব্যবস্থার দিক থেকে ঠিক বিপরীত কারণ অংশীদারি মডেল অথবা ক্রমানুসারে প্রক্রিয়াকারী ব্যবস্থায় বড়, দামি মিনি কম্পিউটার এবং মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় যা একই সঙ্গে অনেক মানুষ একসাথে একে ব্যবহার করতে হয়। তার সাথে বিপুল পরিমাণ তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থার পূর্ণ সময়ের একজন পেশাদার পরিচালনাকারীর প্রয়োজন হয়।

বেশিরভাগ ব্যক্তিগত কম্পিউটারেই সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন যেমন ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট, ডাটাবেস, ওয়েব ব্রাউজার এবং ইমেইল ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারগুলো ব্যবহৃত হয়। বলতে গেলে ব্যক্তিগত কম্পিউটারে সফটওয়্যার ব্যবহারের কোন সীমারেখা নেই। এছাড়া ডিজিটাল মাধ্যম চালনা, গেমস, নিজস্ব প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলি ব্যবহার করা যায়। আধুনিক ব্যক্তিগত কম্পিউটারগুলোতে প্রায়শই ইন্টারনেট সুবিধা থাকে যা বিশ্ব বিস্তৃত ওয়েবে (WWW) প্রবেশের সুযোগ থাকে, সাথে আরও অনেক ইন্টারনেটভিত্তিক পরিষেবা ব্যবহারের সুবিধাও থাকে। ব্যক্তিগত কম্পিউটার ল্যান তারযুক্ত বা তার বিহীন সংযোগের মাধ্যমে ল্যানের সাথে যুক্ত হতে পারে। একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার নানা রকমের হতে পারে। যেমন-ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নেটবুক, ট্যাবলেট কম্পিউটার/ট্যাবলেট অথবা পামটপ

আগের পিসি ব্যবহারকারীদের সাধারণত নিজেদেরকেই প্রোগ্রাম লিখতে হতো যাতে করে তা নিজেদের কাজে ব্যবহার করা যায়, অথচ এর জন্যে কোন ধরনের অপারেটিং সিস্টেমও থাকত না। একেবারে আগের মাইক্রোকম্পিউটারগুলোতে ছিল সামনের দিকের প্যানেল, হাতে করা বুটস্ট্র্যাপ প্রোগ্রাম, যা দিতে হত বাহ্যিক স্টোরেজ থেকে (পেপার টেপ, ক্যাসেট, ডিস্কেট)।

বর্তমানের ব্যবহারকারীরা বিশাল সফটওয়্যার ভান্ডার থেকে বাণিজ্যিক সফটওয়্যার, ফ্রী ওয়্যার, ফ্রী এবং মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে। এগুলো সবগুলোই একেবারে তৈরী অবস্থায় পাওয়া যায়। যে কেউ ডাউনলোড করে ব্যবহার করে নিতে পারে সহজেই। এ্যাপ্লিকেশন এবং গেমসগুলো হার্ডওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম প্রস্তুতকারদের থেকে অন্যরা স্বাধীনভাবে তৈরী এবং বণ্টন করে। যেখানে মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য বহনযোগ্য সিস্টেমের সফটওয়্যার সমর্থন এবং বণ্টন করা হয় কেন্দ্রীয় অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র থেকে।[২][৩]

১৯৯০ দশক থেকেই মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম এবং ইন্টেল হার্ডওয়্যার এমএস-ডস এবং উইন্ডোজ দিয়ে বাজার আধিপত্য বজায় রেখেছে। উইন্ডোজের বিকল্প জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম ম্যাক ওএস এবং ফ্রী মুক্ত উৎসের লিনাক্স এবং বিএসডি অপারেটিং সিস্টেম। ইন্টেলের সিপিইউ'র বিকল্প হল এএমডি। সর্বব্যাপিতার কারণে পিসি বলতে বিশেষ করে এক্স৮৬-সামঞ্জস্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার যাতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে তাকে বোঝায় আবার অ্যাপলের পণ্যকে ম্যাক হিসেবে বুঝানো হয়।[৪][৫][৬][৭]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইতালীয় ইঞ্জিনিয়ার পিয়ের জর্জিয়ো পেরোটো একটি ব্যক্তিগত ডেস্কটপ কম্পিউটার আবিষ্কার করেন যার নাম প্রোগ্রাম ১০১ এবং এটিই প্রথম বাণিজ্যিক ব্যক্তিগত ডেস্কটপ কম্পিউটার যা ইতালীয় কোম্পানি অলিভেট্টি উৎপাদন করেন। প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ১৯৬২ সালে। ১৯৬৪ সালে এটি ছাড়া হয় নিউ ইয়র্ক বিশ্ব মেলায়, দাম ছিল $৩২০০ এবং ভলিউম হারে উৎপাদন হয় ১৯৬৫ সালে।[৮] প্রোগ্রামা ১০১ আসার পূর্বে কম্পিউটার ছিল একেকটা ট্রাকের সমান এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অভিজ্ঞরাই ব্যবহার করতো। কিন্তু প্রোগ্রামার আকার ছিলো একটি টাইপরাইটারের সমান যা সবাই ব্যবহার করতে পারতো।

নাসা তাদের হিসাব নিকাষ করার সুবিধার্থে কম করে হলেও দশটি প্রোগ্রামা ১০১ নিয়ে আসে এ্যাপোলো ১১ মিশনে (১৯৬৯) । এবিসি প্রোগ্রামা ১০১ ব্যবহার করেছিলো ১৯৬৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভবিষ্যৎ বানী করতে। এছাড়া আমেরিকান সেনাবাহিনী ভিয়েতনাম যুদ্ধে তাদের কর্মপরিকল্পনার জন্য এটি ব্যবহার করেছিলো। এটি সেসময় স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি অফিসে ব্যবহার করা হতো। বলা চলে, এভাবে এই বিপুল ব্যবহারই ব্যক্তিগত কম্পিউটারের যুগের সূচনা করে।

১৯৬৮ সালে হিউলেট প্যাকার্ডকে বলা হয় $৯০০০,০০০ রয়্যালটি অলিভেট্টি কোম্পানিকে পরিশোধ করতে। কারণ এইচপি'র তৈরি করা ৯১০০এ মডেলটি প্রোগ্রামাতে ব্যবহৃত কিছু প্রযুক্তির (চৌম্বকীয় কার্ড, আর্কিটেকচার এবং অন্যান্য কিছু উপাদান) হুবহু কপি করেছে বলে আদালত রায় দেয়।[৮]

১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ সালের মধ্যে সোভিয়েতের এমআইআর ধারার কম্পিউটার তৈরি করা হয় যার নেতৃত্বে ছিল ভিক্টর গুলসকভ। এটি খুবই ছোট করে নকশা করা হয় যাতে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা যায়। এতে উচ্চ-স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়। এতে নব্যধারা হিসেবে যোগ করা হয় ব্যবহারকারী ইন্টারফেস একটি কিবোর্ড, মনিটর, এবং একটি লাইট পেন যাতে প্রদশর্নীতে লেখা এবং আঁকার কাজ করা যায়।[৯]

প্রকারভেদ[সম্পাদনা]

স্থানান্তর অযোগ্য[সম্পাদনা]

ওয়ার্কস্টেশন[সম্পাদনা]

সান ৩/৮০ ওয়ার্কস্টেশন

ওয়ার্কস্টেশন হল উচ্চ মানের পিসি যার নকশা করা হয়েছে বৈজ্ঞানিক, গাণিতিক বা প্রযুক্তিগত প্রায়োগিগ ব্যবহারের জন্য। একই সময়ে একজন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে। এগুলো সাধারণত ল্যান দ্বারা সংযুক্ত থাকে এবং বহু ব্যবহারকারী অপারেটিং সিস্টেম চালানো হয়। এগুলো কম্পিউটার সহায়ক নকশা, মডেলিং তৈরী, খসড়া তৈরী, কম্পিউটার-নিবিড় বৈজ্ঞানিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং হিসাব নিকাশ, চিত্র প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্থাপত্য সংক্রান্ত মডেলিং এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্স অ্যানিমেশন ও বিশেষ আবহদৃশ্য (ভিজুয়্যাল ইফেক্ট) আনতে ব্যবহার করা হয়।

ডেস্কটপ কম্পিউটার[সম্পাদনা]

আইম্যাক এপলের একের মধ্যে সব ডেস্কটপ কম্পিউটার

আজকের দিনে PC শব্দটি সাধারণত নির্দেশ করে বিশেষ ধরনের কম্পিউটার বক্সকে। ডেস্কটপ কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের দেখতে পাওয়া যায় বড় উলম্ব টাওয়ারের মত বক্সে থেকে শুরু করে ছোট মডেলের যেগুলো মনিটরের নিচে রেখে দেওয়া যায়। এই অবস্থা থেকে এগুলোকে ডেস্কটপ বলে ডাকা শুরু হয়। যার মাধ্যমে ডেস্কের উপরের জায়গা বাচানো হত। বেশিরভাগ আধুনিক কম্পিউটারগুলোতে আলাদা প্রদশর্নী (মনিটর), মাউস এবং কিবোর্ড আছে।

গেমিং কম্পিউটার[সম্পাদনা]

গেমিং কম্পিউটারে উচ্চ কর্মক্ষমতাসম্পন্ন হার্ডওয়্যার থাকে যেমন উচ্চ কর্মক্ষমতার ভিডিও কার্ড, প্রসেসর, মেমোরি ইত্যাদি যাতে করে ভিডিও গেম সহজে খেলা যায়। কেননা একেকটি গেম ইন্সটল করতে পর্যাপ্ত মেমোরির প্রয়োজন হয় এবং একজন গেমারের জন্যে আবহ ফুটিয়ে তুলতে এই ধরনের কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। কম্পিউটারে খেলার উপযোগী এই ভিডিও গেমগুলোকে 'পিসি গেম' বলে ডাকা হয়। কয়েকটি কোম্পানি যেমন এ্যলিয়েনওয়্যার গেমিং কম্পিউটার প্রস্তুত করে আর রেজার, লজিটেক গেমের জন্য মাউস, কিবোর্ড এবং হেডসেট প্রভৃতি গেমারদের জন্য প্রস্তুত ও বাজারজাত করে থাকে।

অল ইন ওয়ান পিসি[সম্পাদনা]

এক একক পিসি বা একের-মধ্যে-সব পিসি ডেস্কটপ পিসিরই আরেকটি উপশ্রেণী। যাতে মনিটর, পিসির মূল বক্স একত্র করে লাগানো থাকে। মনিটর প্রায় ক্ষেত্রেই টাচস্ক্রীন বা স্পর্শ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তবে এতে মাউস, কিবোর্ড লাগানোর সুবিধাও আছে। অন্যান্য ভিতরের উপাদানগুলো মনিটরের পিছনের দিকে থাকে যা ল্যাপটপের মতই বানানো হয়।

নেটটপ[সম্পাদনা]

ডেস্কটপের একটি উপশ্রেণী হল নেটটপ। প্রথম ইন্টেল দ্বারা সূচিত হয় ২০০৮ সালে ফেব্রুয়ারিতে এবং এটির ডেস্কটপের মত বৈশিষ্ট্য থাকে কিন্তু কম দামি এবং কম ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। ল্যাপটপের যেমন একটি উপশ্রেণী নেটবুক ঠিক সেইরকম ডেস্কটপের নেটটপ। এই পণ্যে ইন্টেল তাদের এটম প্রসেসর ব্যবহার করে যা কম শক্তি ব্যবহার করে এবং অল্প পরিমাণ জায়গায় ব্যবহার করা যায়।

হোম থিয়েটার পিসি[সম্পাদনা]

এনটেক ফিউসন ভি২ হোম থিয়েটার পিসি

হোম থিয়েটার পিসি হল একটি সমধর্মী যন্ত্র যাতে পিসি এবং ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারের কার্যাবলি দেখতে পাওয়া যায়। এটি টিভি বা টিভি আকারের কম্পিউটার প্রদর্শনীর সাথে যুক্ত থাকে এবং এতে ডিজিটাল ছবি, সঙ্গীত, ভিডিও চালানো হয়। তাছাড়া একে টিভি গ্রহণকারী এবং ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এগুলোকে সেকারণে কেন্দ্রীয় মিডিয়া ব্যবস্থা বা মিডিয়া সার্ভার হিসেবেও ডাকা হয়। হোম থিয়েটার পিসির সাধারণ ব্যবহারিক উদ্দেশ্য হল একটি হোম থিয়েটারে যে সব উপাদান থাকে তার সব বা কিছু উপাদান একটি মাত্র বক্সে একত্র করা। তাদের পূর্ব-সাজানো অবস্থায় (প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের দিয়ে) পাওয়া যায় অথবা পরবর্তীতে পৃথক পৃথক অংশ জোড়া দেওয়া যায় যেমনটা মিথটিভি, উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টার, জিবি-পিভিআর, সেজটিভি, ফেমুলেন্ট বা লিনাক্সএমসিই'তে করা হয়। সম্প্রতি হোম থিয়েটার পিসিকে সিনেমা বা টিভি অনুষ্ঠান দেখার সেবাতে যুক্ত করার সুবিধা দেখা যায়।

বহনযোগ্য[সম্পাদনা]

আল্ট্রা-মোবাইল পিসি[সম্পাদনা]

স্যামস্যাঙ কিউ১ আল্ট্রা-মোবাইল পিসি

ট্যাবলেট পিসির ছোট মাপ ও ক্ষমতার রূপকে আল্ট্রা-মোবাইল পিসি (ইউএমপিসি) বলে। মাইক্রোসফট, ইন্টেল এবং স্যামস্যাংসহ আরও অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলির সহযোগে এটি তৈরী করা হয়। বর্তমানে এগুলোতে অ্যানড্রোয়েড, উইন্ডোজ ১০ বা লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম দেখা যায়। এগুলোতে নিম্ন-ভোল্টেজের ইন্টেল এটম বা ভিআইএ সি৭-এম প্রসেসরের ব্যবহার দেখা যায়। যেমন, মাইক্রোসফট সার্ফেসবুক।

হার্ডওয়্যার[সম্পাদনা]

একটি আধুনিক ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং পেরিফেরালগুলোর বিশদ দৃশ্য:

শক্তি সরবরাহ অংশ[সম্পাদনা]

কম্পিউটার শক্তি সরবরাহ অংশের উপরিভাগ, ঢাকনা খোলা অবস্থায়

শক্তি সরবরাহ অংশ সাধারণ উদ্দেশ্যের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রবাহকে রূপান্তর করে কম্পিউটারের অন্যান্য উপাদানগুলোতে সরাসরি বিদ্যুত সরবরাহ করে। হিসেব মতো সিস্টেমে যে পরিমাণ শক্তি সরবরাহ প্রয়োজন তার থেকে আউটপুট করা হারের ক্ষমতা প্রায় ৪০ ভাগ বেশি হয়। কারণ এতে সিস্টেমের অন্যান্য উপাদানে হিসেবও যোগ করা হয়। এই হিসেবের ফলে শক্তি সরবরাহকারী এককটি রক্ষা পায় অতিরিক্ত চার্জ/লোড হওয়া থেকে এবং কার্যক্ষমতা হ্রাসকে প্রতিরোধ করে। তবে বৈদ্যুতিক গোলযোগ এড়াতে এর সাথে স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা ভালো।

প্রদর্শক অংশ[সম্পাদনা]

একটি প্রদর্শনী একক বা "কম্পিউটার মনিটর" বা প্রদর্শনী হল একটি বৈদ্যুতিক যন্তু যা সাধারণত আলাদা থাকে কম্পিউটার বক্স থেকে এবং যা দৃশ্যমান চিত্র প্রদর্শন করে। প্রদর্শনী হতে পারে সিআরটি বা ফ্ল্যাট প্যানেল যেম টিএফটি এলসিডি। বহু-মনিটর ব্যবহারও দেখা যায়। মনিটর একটি আউটপুট ডিভাইস।

কম্পিউটার হতে প্রদত্ত সংকেত প্রদর্শনীর সার্কিটে এলে তা ছবি উৎপাদন করে। কম্পিউটারের মধ্যেই একটি যন্ত্র থাকে যা সিপিইউ হতে প্রাপ্ত সংকেতকে প্রদশর্নী পড়তে পারে এমন সংকেতে রূপান্তর করে। সেটি হতে পারে মাদাবোর্ডের সাথে সমন্বিত কার্ড, সম্প্রসারিত কার্ড যা আসলে একটি ভিডিও কার্ড।

পূর্বে শুধু লেখা ভিত্তিক কম্পিউটার মনিটর ছিল যা পরে চিত্রভিত্তিক ইন্টারফেসে পরিণত হয় এবং সেটিই স্থায়ীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে আজকাল। এর ফলে এখন কম্পিউটার প্রদশর্নী আরও বেশি চিত্র এবং বহুমাধ্যম উপভোগের বস্তু হয়ে উঠছে।

ভিডিও কার্ড[সম্পাদনা]

এটিআই রেডিঅন ভিডিও কার্ড

ভিডিও কার্ড অন্যভাবে যাকে বলে গ্রাফিক্স কার্ড, গ্রাফিক্স অ্যাডাপ্টার বা ভিডিও অ্যাডাপ্টার। এটি হলো এমন একটি যন্ত্রাংশ যা মাদারবোর্ডে সংযুক্ত থেকে গ্রাফিক্স প্রক্রিয়াকরণ করে এবং তা প্রদর্শনীতে স্থানান্তর করে। এটি আধুনিক যুগের বহুমাধ্যমের আবশ্যকীয় অংশ।

পুরনো এবং বর্তমানের কমদামি মডেলগুলোতে গ্রাফিক্স সার্কিটটি মাদারবোর্ডের সাথে সমন্বিত থাকে কিন্তু আধুনিক এবং নমনীয় যন্ত্রগুলোতে গ্রাফিক্স কার্ড পিসিআই, এজিপি বা পিসিআই ইক্সপ্রেস দ্বারা যুক্ত থাকে।

যখন আইবিএম পিসি সূচনা করা হয়েছিল, বেশিরভাগ ব্যবসায়িক ধারার পিসিতে ব্যবহার হত লেখা ভিত্তিক প্রদর্শনী অ্যাডাপ্টার এবং কোন গ্রাফিক্স প্রদর্শন ক্ষমতা ছিলো না। হোম কম্পিউটারগুলোতে গ্রাফিক্স ছিল যা টেলিভিশনের সংকেতের সাথে সামঞ্জস্য ছিল। কিন্তু বর্তমানের তুলনায় তাতে রেজুলেশন কম ছিল। সেগুলো ছিল মাত্র আট বিটের প্রসেসরের এবং সীমিত পরিমাণ মেমোরি সংবলিত।

অন্যান্য উপাদান[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত কম্পিউটারে কাজের সময় সঠিকভাবে উপাদানগুলো বসানো এবং ব্যবহারকারীকে অবশ্যই সঠিক ভঙ্গিমায় বসা উচিৎ, অন্যথায় পুনঃপুন মাংসপেশির খিলজনিত সমস্যা হতে পারে। যা পরে দীর্ঘ সময়ের জন্য অক্ষমতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া ব্যবহারকারীর চোখ থেকে মনিটরের সঠিক দুরত্ব (কমপক্ষে আড়াই ফিট) না হলে দৃষ্টিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। [১০]
কম্পিউটার যোগাযোগ
সাধারণ অ্যাডাপ্টার এবং পেরিফেরালসমূহ

সফটওয়্যার[সম্পাদনা]

লিব্রেঅফিস, একটি ওপেন সোর্স অফিস স্যুট

কম্পিউটার সফটওয়্যার হল এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম, গাণিতিক প্রক্রিয়া অথবা তথ্যের পুনর্বিন্যাস যা কম্পিউটারে নির্দেশিত কাজ করে।[১১] অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার যেমন ওয়ার্ড প্রসেসর যা বিভিন্ন উৎপাদনমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়, সিস্টেম সফটওয়্যার যেমন অপারেটিং সিস্টেম যা ব্যবহারকারী এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, সবই সফটওয়্যারের উপশ্রেণী।

সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে বিভিন্ন কাজ যেমন ওয়ার্ড প্রসেসিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইন্টারনেট ফ্যাক্সিং, ইমেইল এবং অন্যান্য ডিজিটাল বার্তা পদ্ধতি, মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার, কম্পিউটার গেম খেলা এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করার কাজগুলি সম্পন্ন করা যায়। আধুনিক কম্পিউটার ব্যবহারকারীর হয়ত অপারেটিং পরিবেশ এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান নাও থাকতে পারে। কিন্তু তা হয়ত প্রোগ্রামিংয়ের জন্য নয় বা প্রোগ্রাম লেখার জন্যও নয়। সফটওয়্যার যা ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয় বেশিরভাগ সময়ই তা হয় সহজ সরল বা ব্যবহারকারী বান্ধব করে। বিশেষজ্ঞ বা সাধারণ ব্যবহারকারী উভয়ের জন্যই সফটওয়্যার শিল্প প্রচুর পরিমাণ নতুন সফটওয়্যার সরবরাহ করে।

অপারেটিং সিস্টেম[সম্পাদনা]

লিনাক্স[সম্পাদনা]

ম্যাগপাই ওএস বাংলাদেশের ডেভলপার কর্তৃক উন্নয়নকৃত একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন

লিনাক্স বলতে মূলত লিনাক্স কার্নেল-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের একটি পরিবারকে বুঝানো হয়। ফ্রিওপেন সোর্স সফটওয়্যারের আদর্শ উদাহরণ লিনাক্স।[১২] কয়েকটি জনপ্রিয় লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম হলো উবুন্টু, আর্চ লিনাক্স, ম্যাগপাই ওএস ইত্যাদি। অধিকাংশ লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমই মূলত ওপেন সোর্সফ্রি, তবে কিছু বাত্যায়ও রয়েছে, যেমন — রেড হ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ[সম্পাদনা]

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ হল বেশ কিছু অপারেটিং সিস্টেমের সমষ্টির নাম যা মাইক্রোসফট দ্বারা প্রস্তুতকৃত। মাইক্রোসফট প্রথমে ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে কম্পিউটার পরিচালনার পরিবেশ সূচনা করে যার নাম উইন্ডোজ।[১৩] এটি ছিল এমএস-ডসের পাশাপাশি তৈরী করা গ্রাফিক্যাল বা চিত্রভিত্তিক ব্যবহারকারী পরিবেশ যার চাহিদা তখন ধীরে ধীরে বেড়েই চলছিলো[১৪] অ্যাপলের মেকিনটোশের সূচনার ফলে (১৯৮৪)।[১৫] সাম্প্রতিক সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ছাড়া হয় উইন্ডোজ ১০ এবং সার্ভার ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডোজ সার্ভার ২০১২। এই অপারেটিং সিস্টেম পরিবারের আরও সদস্য হল জনপ্রিয় উইন্ডোজ ৭, ৮, ৮.১ ইত্যাদি।

ম্যাক ওএস[সম্পাদনা]

ম্যাক ওএস (পূর্বের ম্যাক ওএস এক্স বা ওএস এক্স) হলো অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক তৈরী, বাজারজাত এবং বিক্রিত অপারেটিং সিস্টেম। ম্যাক ওএস হল ক্লাসিক ম্যাক ওএসের সফল উত্তরসূরী যা ২০০১ সাল থেকে অ্যাপলের ম্যাকিন্টশ কম্পিউটার পরিবারের প্রাথমিক অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ইউনিক্স ভিত্তিক চিত্রসংবলিত অপারেটিং সিস্টেম এবং স্নো লেপার্ড, সিয়েরা, হাই সিয়েরা এবং নতুন মোজেভা হল এর কিছু সংস্করণের নাম। সাম্প্রতিক সংস্করণ হল ম্যাক ওএস ১০.১৪ "মোজেভা"। উল্লেখ্য যে-আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপডে আইওএস নামে যে অপারেটিং সিস্টেম দেখা যায় যা ম্যাক ওএসের উপর ভিত্তি করেই বানানো।

বিষাক্ততা[সম্পাদনা]

কম্পিউটার হার্ডওয়্যারে বিষাক্ত সীসা, পারদ, ক্যাডমিয়াম, প্লাস্টিক (পিভিসি) এবং বেরিয়াম পাওয়া যায়। একটি কম্পিউটারে প্রায় ১৭ ভাগ সীসা, তামা, দস্তা, পারদ এবং ক্যাডমিয়াম; ২৩ ভাগ প্লাস্টিক, ১৪ ভাগ এলুমিনিয়াম এবং ২০ ভাগ লোহা থাকে।

সীসা পাওয়া যায় সিআরটি ডিসপ্লে, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডগুলোতে এবং সম্প্রসারিত কার্ডগুলোতে। পারদ থাকে ডিসপ্লের ভেতর ফ্লুরোসেন্ট বাতিতে, লেজার আলোক উৎপাদনকারী অপটিক্যাল ডিস্ক ড্রাইভে এবং মাদারবোর্ডের গোল রূপালি ব্যাটারিগুলোতে। প্লাস্টিক থাকে কম্পিউটার বক্সে এবং প্রদশর্নীর ধারক হিসেবে।

প্রতিদিন ব্যবহারের সময় এগুলো তেমন কোনো ক্ষতি করে না কিন্তু বিপত্তি হয় তখনই-যখন এগুলোকে পুনঃব্যবহারযোগ্য প্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় হার্ডওয়্যারগুলোকে হাতের সাহায্যে ভাঙতে হয়, যার ফলে সীসা বা পারদ উন্মুক্ত হয়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট মাত্রার সীসা বা পারদ সহজেই মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে অথবা খাবার পানিতে মিশে যেতে পারে। তাই কম্পিউটার পুনঃব্যবহার প্রক্রিয়া বৈদ্যুতিক বর্জ্য শিল্পের দ্বারাই সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা উচিত এবং তা কখনই সাধারণ ময়লা আবর্জনার স্তুপে ফেলা উচিত নয়।

ব্যক্তিগত কম্পিউটার বনাম পিসি[সম্পাদনা]

পিসি ইংরেজি Personal Computer শব্দ থেকে দুটি অদ্যাক্ষর দ্বারা গঠিত (PC). কিন্তু এটা আসলে অন্য বিষয়কে বুঝায় বিশেষ করে এক্স৮৬-সামঞ্জস্য ব্যক্তিগত কম্পিউটারকে যাতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে (মাঝে মাঝে একে উইনটেল নামে ডাকা হয়)। আবার অ্যাপলের পণ্যকে ম্যাক হিসেবে বুঝানো হয়। সেদিক থেকে পিসিকে ম্যাকের সাথে তুলনা করা যায়।[৪][৫][৬][৭]

কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি[সম্পাদনা]

বর্তমান প্রেক্ষিতে কম্পিউটার একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ঘরে-বাইরে সর্বত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ব্যক্তিগত কম্পিউটার যেমন ধরনেরই হোক না কেন, এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন কেননা এর ব্যবহারের প্রভাবে বেশকিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকেই যায়। যেমন-

  • কাজের প্রয়োজনেই হোক কিংবা বিনোদনের প্রয়োজনেই হোক, এখানে চেয়ারে পা স্থির করে অনেকক্ষণ বসে থেকে কাজ করতে হয় বলে অস্থিসন্ধির জড়তা ও দৈহিক স্থুলতা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে একটু হাঁটাহাঁটি অথবা নড়াচড়া করা ভালো তাতে শারীরিক জড়তা কাটবে।
  • মনিটরের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকা চোখের জন্যে ভীষণ ক্ষতিকর, এতে চোখ শুকিয়ে যাওয়া অথবা চোখে ঝাপসা দেখার মতো সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে। তাই মনিটরের ব্রাইটনেস ও কনট্রাস্ট এমনভাবে সেট করে নিতে হবে-ঠিক যতোটুকু চোখের জন্যে সহনীয়। এছাড়া কাজের ফাঁকে ফাঁকে ১৫-২০ সেকেন্ডের জন্যে দূরবর্তী কোনো কিছুর দিকে তাকালে কিংবা চোখে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানির ছিটা দিলে সেটা চোখের জন্যে আরামদায়ক। এছাড়া চোখ থেকে মনিটর কমপক্ষে আড়াই ফিট দুরত্বে রাখলে চোখের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কম।
  • ইদানিং একটি গুরুতর মানসিক সমস্যার কথা শোনা যায়, সেটা হচ্ছে-প্রযুক্তি আসক্তি। এই আসক্তি যেকোনো শ্রেণী-পেশা-বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে। এই প্রযুক্তি আসক্তিকে এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে সাধারণ বিশেষজ্ঞরাও মাদকাসক্তির সাথেই তুলনা করছেন। যার ফল ভয়াবহ। এই প্রযুক্তি আসক্তিই হচ্ছে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্যে অন্যতম একটি ক্ষতিস্বরূপ।
  • কম্পিউটারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে মাউস ও কীবোর্ড। এগুলো ব্যবহারের সময়ে হাতের ভঙ্গিমা ও দুরত্ব সঠিক না হলে হাতের কব্জিতে ব্যথা অনুভূত হওয়াটা বিচিত্র নয়। তাই সঠিক ভঙ্গিমায় ও দুরত্ব ঠিক রেখে এগুলো ব্যবহার করা উচিৎ।
  • কম্পিউটার ব্যবহারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ক্ষতিকর দিক হচ্ছে এর রেডিয়েশন। বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাসগৃহে অথবা কর্মপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্যে ওয়াই-ফাই সংযোগের প্রয়োজন হয়। যেহেতু তারবিহীন বৈদ্যুতিক তরঙ্গের সাহায্যে এটি চালনা করতে হয় তাই এর থেকে সৃষ্ট রেডিয়েশনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে সেটা বরাবরই ক্যান্সার-টিউমার অথবা বন্ধ্যাত্বের মতো গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রশ্ন তোলে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Encyclopaedia Britannica definition
  2. Conlon, Tom (জানুয়ারি ২৯, ২০১০), The iPad’s Closed System: Sometimes I Hate Being Right, Popular Science, এপ্রিল ২০, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-১৪, The iPad is not a personal computer in the sense that we currently understand. 
  3. "Steve Jobs Offers World 'Freedom From Porn'", Gawker, মে ১৫, ২০১০, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-১৪ 
  4. "Mac* vs. PC Debate"intel.comIntel। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৪ 
  5. Finnie, Scot (৮ জুন ২০০৭)। "Mac vs. PC cost analysis: How does it all add up?"Computerworld। Computerworld, Inc। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৪ 
  6. Ackerman, Dan (২২ আগস্ট ২০১৩)। "Don't buy a new PC or Mac before you read this"CNETCBS Interactive। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৪ 
  7. Haslam, Karen (১১ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Mac or PC? Ten reasons why Macs are better than PCs"MacworldIDG। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৪ 
  8. "The incredible story of the first PC, from 1965"। Pingdom। আগস্ট ৩০, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৮, ২০১২ 
  9. Pospelov, Dmitry। "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" ЭВМ серии МИР - первые персональные ЭВМ [MIR series of computers. The first personal computers]। Glushkov Foundation (Russian ভাষায়)। Institute of Applied Informatics। ২৪ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৯, ২০১২ 
  10. Berkeley Lab. Integrated Safety Management: Ergonomics. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ আগস্ট ২০০৯ তারিখে Website. Retrieved July 9, 2008.
  11. "Wordreference.com: WordNet 2.0"। Princeton University, Princeton, NJ। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-১৯ 
  12. "Linux Online ─ About the Linux Operating System"। Linux.org। ২০১০-০৫-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-০৬ 
  13. "A history of Windows: Highlights from the first 25 years"। ১০ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৫ 
  14. "IDC: Consolidation to Windows won't happen"। Linuxworld। ২০০৮-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-১৪ 
  15. "Thirty Years of Mac: 1984 - Macintosh"। Apple। সংগ্রহের তারিখ মে ৮, ২০১৪ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:টাইমের দৃষ্টিতে বছরের সেরা ব্যক্তি ১৯৭৬-২০০০