প্রবেশদ্বার:মিয়ানমার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রবেশদ্বারএশিয়ামিয়ানমার

ကြိုဆိုပါတယ်။ / মিয়ানমার প্রবেশদ্বারে স্বাগতম

মিয়ানমার (বর্মী: မြန်မာ, [mjəmà]), যার দাফতরিক নাম মিয়ানমার সংঘ প্রজাতন্ত্র (বর্মী: ပြည်ထောင်စု သမ္မတ မြန်မာနိုင်ငံတော်‌, [pjìdàuɴzṵ θàɴmədaa̰ mjəmà nàiɴŋàɴdɔ̀]) এবং যা ব্রহ্মদেশ, বর্মা বা বার্মা নামেও পরিচিত, হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মূলভূখণ্ডের বৃহত্তম দেশ এবং ২০১৭ সালের হিসেব মতে এর জনসংখ্যা প্রায় ৫৪ মিলিয়ন। মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমে বাংলাদেশভারত, উত্তর-পূর্বে চীন, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে লাওসথাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে আন্দামান সাগরবঙ্গোপসাগর অবস্থিত। দেশটির রাজধানী নেপিডো এবং বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন

তৎকালীন বার্মার গণতান্ত্রিক সরকারের উৎখাতের পর ১৯৮৯ সালে সেখানকার সামরিক সরকার বার্মার নতুন নামকরণ করে "মিয়ানমার" এবং প্রধান শহর ও তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের নতুন নাম হয় "ইয়াঙ্গুন"। তবে গণতান্ত্রিক দলগুলোর অনেক অনুসারীই এই নামকরণের বিপক্ষে। ২১ অক্টোবর ২০১০ থেকে দেশটির জাতীয় সঙ্গীত ও নতুন জাতীয় পতাকা প্রবর্তন করা হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

সূচীপত্র
নির্দিষ্ট বিষয় দেখতে লিঙ্কে ক্লিক করুন

নির্বাচিত নিবন্ধ - নতুন ভুক্তি দেখুন

বিশ্বের মানচিত্রে প্রধান আফিম বা হেরোইন উৎপাদক দেশগুলি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সোনালী ত্রিভুজ অঞ্চলটিকে (যার মধ্যে মিয়ানমার অন্তর্ভুক্ত) মানচিত্রে আলাদা করে নির্দেশ করা হয়েছে।

মিয়ানমারে আফিম উৎপাদন ঐতিহাসিকভাবে দেশটির স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি প্রধান অংশ। মিয়ানমার আফগানিস্তানের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আফিম উৎপাদনকারী দেশ। এখানে বিশ্বের প্রায় ২৫% আফিম তৈরী হয়। এটি সোনালী ত্রিভুজ নামক অঞ্চলের অংশ। ঔপনিবেশিক শাসনামলে আফিম শিল্প একটি একচেটিয়া কারবার ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা ও বিদ্রোহী যোদ্ধারা বেআইনিভাবে এই আফিম উৎপাদনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যা মূলত হেরোইন শিল্পোৎপাদনের কাঁচামাল সরবরাহে ব্যবহার করা হয়। তবে সাম্প্রতিককালে ২০১৫ সালের পর থেকে বছর গড়ানোর সাথে সাথে মিয়ানমারে আফিম পপি চাষে ভাটা পড়েছে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয়ের সর্বশেষ উপাত্ত অনুযায়ী ২০২০ সালে মিয়ানমারে প্রায় ৪০৫ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদিত হয়, যা ছিল ২০১৩ সালে উৎপাদিক আনুমানিক ৮৭০ মেট্রিক টনের অর্ধেকেরও কম। একই সময় আফিম চাষের জমির আয়তন ২০১৯ সালের ৩৩,১০০ হেক্টর থেকে ১১% কমে ২০২০-এ ২৯,৫০০ হেক্টরে দাঁড়ায়।

মিয়ানমারে আফিম উৎপাদন প্রধানত দেশটি শান ও কাচিন রাজ্যে কেন্দ্রীভূত। দারিদ্র্যের কারণে কৃষকেরা আফিম চাষে আকৃষ্ট হয়, কারণ চালের চেয়ে আফিম বেচে কেজিপ্রতি প্রায় ১৭ গুণ বেশি টাকা উপার্জন করা যায়। যদিও মিয়ানমারে ইদানিং কৃত্রিমভাবে মাদকদ্রব্য উৎপাদনের প্রবণতা বেড়েছে, বিশেষ করে সোনালী ত্রিভুজ অঞ্চলে মেথাঅ্যামফিটামিন উৎপাদন বেড়েছে, তা সত্ত্বেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে হেরোইনের ব্যবসায় নিয়োজিত সুসংগঠিত অপরাধী চক্রগুলি এখনও তাদের ব্যবসা থেকে তাৎপর্যপূর্ণ পরিমাণে মুনাফা অর্জন করে থাকে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মিয়ানমারে দেশের অভ্যন্তরে বছরে ৬ টন হেরোইন সেবন করা হয়, যার মূল্য আনুমানিক ১৫ থেকে ২১ কোটি মার্কিন ডলার। এর পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে প্রতি বছর ৫০ কোটি থেকে ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের হেরোইন পাচার করা হয়। মিয়ানমার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির জন্য (এমনকি অস্ট্রেলিয়ার জন্যও) আফিম ও হেরোইনের প্রধান যোগানদার, যা সেসব দেশে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিজনিত সমস্যার সৃষ্টি করে চলেছে। সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী অঞ্চলটিতে ৩০ লক্ষ হেরোইন সেবক আছে যারা প্রতি বছর ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের মাদকদ্রব্য সেবন করে থাকে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত ভুক্তির তালিকা
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতীক

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ( বর্মী: တပ်မတော်(ကြည်း) , উচ্চারিত: [taʔmədɔ̀ tɕí] ) মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর (তাতমাডো) বৃহত্তম শাখা এবং ভূমি-ভিত্তিক সামরিক অভিযান পরিচালনার প্রাথমিক দায়িত্ব রয়েছে। ভিয়েতনামের পিপলস আর্মির পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম সক্রিয় শক্তি। ২০০৬ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫০,০০০। উঁচুনিচু ভূখণ্ডে বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতার কারণে, সেনাবাহিনী ১৯৪৮ সালে তার সূচনা থেকে জাতিগত এবং রাজনৈতিক বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অবিরাম কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি অপারেশন পরিচালনা করে যথেষ্ট যুদ্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।

বাহিনীটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ( ကာကွယ်ရေးဦးစီးချုပ်(ကြည်း) ), বর্তমানে ভাইস-সিনিয়র জেনারেল সো উইন, একই সাথে প্রতিরক্ষা পরিষেবার উপ-কমান্ডার-ইন-চীফ (ဒုတိယ တပ်မတော်ကာကွယ်ရေးဦးစီးချုပ်), সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং -এর সাথে প্রতিরক্ষা পরিষেবার কমান্ডার-ইন-চিফ ( တပ်မတော်ကာကွယ်ရေးဦးစီးချုပ်)। মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে সর্বোচ্চ পদমর্যাদা হল সিনিয়র জেনারেল, পশ্চিমা সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শালের সমতুল্য এবং বর্তমানে ভাইস-সিনিয়র জেনারেল থেকে পদোন্নতি পাওয়ার পর মিন অং হ্লাইং এর অধীনে রয়েছেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নগর, রাজ্য ও অঞ্চল - নতুন ভুক্তি দেখুন

বার্মায় অবস্থান

প্যকৌক্কু (বর্মী: ပခုက္ကူမြို့, [pəkʰoʊʔkù]) মিয়ানমার বা বার্মার মগওয়ে অঞ্চলের বৃহত্তম শহর। এটি বাগান এর প্রায় ৩০ কিমি উত্তর-পূর্বে ইরাবতী নদীর তীরে অবস্থিত। এটি প্যকৌক্কু শহর, প্যকৌক্কু জেলা এবং গাঙ্গাও জেলা প্রশাসনের অবস্থানস্থল। প্যকৌক্কু সেতু ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কের অংশ এবং এটি মিয়ানমারের দীর্ঘতম সেতু। প্যকৌক্কু বিমানবন্দর এখানেই অবস্থিত।

প্যকৌক্কু শহরে প্যকৌক্কু কম্পিউটার বিশ্ববিদ্যালয়, প্যকৌক্কু শিক্ষা কলেজ, প্যকৌক্কু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্যকৌক্কু বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। প্যকৌক্কুতে অবস্থিত বিখ্যাত প্যাগোডাগুলি হলো থিহো শিন প্যাগোডা (দি লর্ড অব শ্রীলঙ্কা প্যাগোডা), শ্বে কু প্যাগোডা, শ্বে মথ্তাও প্যাগোডা, শ্বে তান্ত তিত, এবং ফাং তাও অও প্যাগোডা। ইরাবতী সেতু (প্যকৌক্কু) মিয়ানমারের দীর্ঘতম সেতু। প্যকৌক্কু ঊর্ধ্ব মিয়ানমারের (বার্মা) বৃহত্তম ধানের বাজার শহরও। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

মিয়ানমারের ইতিহাস - নতুন ভুক্তি দেখুন

১৮২৪ থেকে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বার্মায় ব্রিটিশ শাসন কায়েম ছিল৷ ইঙ্গ-বর্মা যুদ্ধের পর থেকে প্রাথমিকভাবে বর্মার কিছু অংশ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হলেও ধীরে ধীরে বর্মার দেশীয় রাজ্যগুলি ব্রিটিশ ভারতের প্রদেশগুলির একটি হয়ে ওঠে৷ পরে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ বর্মা ব্রিটিশ উপনিবেশভুক্ত হয় এবং ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তা পূর্ণ স্বাধীনতা পায়। ব্রিটিশ শাসনকালে এই অঞ্চলটি "ব্রিটিশ বর্মা" নামে পরিচিত ছিলো। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ইঙ্গ-বর্মা যুদ্ধে জয়লাভ করে বর্মা রাজ্যক্ষেত্রের একাধিক অঞ্চল যেমন, আরাকান রাজ্য (রাখাইন প্রদেশ) এবং টেনাসেরিম বিভাগ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করে নেয়৷ ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-বর্মা যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনী দক্ষিণ বর্মার পেগু বা পেগুইয়োমা এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চল দখল করে এবং সেখানে একটি মুখ্য কমিশনার নিয়োগ করেন৷ ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে " ব্রিটিশ বর্মা"কে "ব্রিটিশ ভারত"-এর অন্তর্ভুক্ত করে একটি অভিন্ন একক হিসাবে শাসন পরিচালনা শুরু হয়৷

১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় ইঙ্গ-বর্মা যুদ্ধ|তৃতীয় ইঙ্গ-বর্মা যুদ্ধে জয়লাভ করে ব্রিটিশ বাহিনী উত্তর বর্মার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের দখল নিলে সমগ্র বর্মাই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে৷ উত্তর বর্মাকেও "ব্রিটিশ ভারতের" অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং "বর্মা প্রদেশ" নামে একটি বৃৃহৎ প্রদেশ গঠন করা হয়৷ ব্রিটিশ শাসনকালে প্রদেশটির গুরুত্ব বৃৃদ্ধি পেলে এবং সুশাসনের লক্ষ্যে প্রদেশটিতে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে একজন প্রশাসনিক লেফ্টেন্যান্ট নিয়োগ করা হয়৷ বর্মা অফিস গঠন করে বর্মাকে "সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইন্ডিয়া অ্যান্ড বর্মা"র অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে বর্মাকে ব্রিটিশ ভারত থেকে পৃৃথক ঘোষণা করা অবধি এই প্রশাসনিক নিয়ম লাগু থাকে৷ পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন একাধিক ব্রিটিশ ঔপনিবেশের সাথে বর্মাতে জাপানের অধিগ্রহণ হলে সেখানে ব্রিটিশ শাসন বিপর্যস্ত হয়৷ পরে তা আবার আবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হলে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা জানুয়ারী বর্মা পূর্ণ স্বাধীনতা পায়৷ (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত জীবনী - নতুন ভুক্তি দেখুন

থিন সিন (বর্মী: သိန်းစိန်; উচ্চারিত: [θéɪɴ sèɪɴ] থেইঁ সেইঁ; জন্ম: ২০ এপ্রিল, ১৯৪৫) কিওনকু এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বার্মার (বর্তমান: মিয়ানমার) বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাবেক সামরিক কমান্ডার। মার্চ, ২০১১ থেকে মিয়ানমারের বর্তমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এরপূর্বে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। সামরিক সরকার পরবর্তী সময়ে কেউ কেউ তাকে আধুনিকপন্থী ও পুণঃগঠনবাদী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।

২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। এরপর ২০১১ সাল থেকে অদ্যাবধি মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন। তার নতুন সরকার রাজনৈতিক পুণঃগঠনে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তন্মধ্যে দেশের গণমাধ্যম থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, রাজনৈতিক কারাবন্দীদের মুক্তি ও বিতর্কিতভাবে স্থগিত হয়ে পড়া দেশের বৃহত্তম চীনাভিত্তিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা অন্যতম। এরফলে ২০১৪ সালে আসিয়ানে মিয়ানমারকে অন্তর্ভূক্তসহ সভাপতির আসনে অধিষ্ঠিত করা হয়। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো, প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র (এনএলডি) পুণঃপ্রতিষ্ঠাসহ ১ এপ্রিল, ২০১২ তারিখে উপ-নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

গৃহবিবাদ ও গণহত্যা - নতুন ভুক্তি দেখুন

রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত ২০১২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের ঘটনাপ্রবাহ। দাঙ্গাটির সূত্রপাত হয় জাতিগত কোন্দলকে কেন্দ্র করে এবং উভয় পক্ষই এতে জড়িত হয়ে পরে। অক্টোবর মাসে এটি সকল নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধের দাঙ্গা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। দাঙ্গার তাৎক্ষণিক কারণ জানা যায় এক রাখাইন তরুণীকে কয়েকজন মুসলিম কর্তৃক ধর্ষণ ও হত্যার এবং এর ফলে রাখাইন বৌদ্ধদের দ্বারা ১০জন মুসলিম রোহিঙ্গাকে আহত করা প্রধান কারণ। দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে, মিয়ানমার সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দাঙ্গা কবলিত এলাকায় কারফিউ জারি করে এবং সৈন্য মোতায়েন করে। ১০জুন রাখাইনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় এবং সামরিক বাহিনীকে ঐ অঞ্চলের প্রশাসনিক দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। চলমান দাঙ্গায় অনেকেই নিহত হয়। ২২শে আগস্ট সরকারিভাবে ৮৮ জনের নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করা হয় – রোহিঙ্গা ৫৬ এবং ৬০ রাখাইন। আনুমানিক ৯০,০০০ লোক বাস্তুচ্যূত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। প্রায় ২,৫২৮টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় যাদের বেশিরভাগই ছিল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। দাঙ্গায় বার্মিজ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বে্র অভিযোগ পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এক তরফাভাবে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক গণ গ্রেফতার এবং ধরপাকড়ের অভিযোগ উঠেছে।

সরকারের প্রাথমিক পদক্ষেপে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন,অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্হাগুলো প্রশংসা করলেও মূলত মিয়ানমার সরকারের কয়েক দশকের পরিকল্পিত বৈষম্যের কারণে রোহিঙ্গারা গণগ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যায়। মিয়ানমারের রাষ্ট্রপ্রধান থেইন সেইনের রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের বাইরে পাঠানোর প্রস্তাব জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এবং কিছু মানবাধিকার সংস্হা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। কিছু সাহায্য প্রদানকারী সংস্হা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে বিচ্ছিন্ন করে, অবমাননাকর আচরণ করে এবং মানবিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্হার কর্মীদের গ্রেফতার করে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সংকট সৃষ্টির জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করেছেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত চিত্র- নতুন চিত্র দেখুন

মিয়ানমার সম্পর্কিত বিভিন্ন নিবন্ধে ব্যবহৃত চিত্র

অন্যান্য প্রবেশদ্বার

বিষয়শ্রেণীসমূহ

বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
উপবিষয়শ্রেণী দেখার জন্য [►] ক্লিক করুন

আপনি যা করতে পারেন

  • মিয়ানমার বিষয়ক নতুন নিবন্ধ তৈরি অথবা অন্য উইকিপ্রকল্প হতে অনুবাদ করতে পারেন।
  • বর্তমান নিবন্ধ অথবা মায়ানমার বিষয়ক বিভিন্ন (নিম্নের) টেমপ্লেট হতে লাল লিঙ্ক থাকা বিষয় নিয়ে নতুন নিবন্ধ রচনা করতে পারেন।
  • বিদ্যমান নিবন্ধসমূহ তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ, সম্প্রসারণ, রচনাশৈলীর উন্নয়ন ও তথ্যছক না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
  • নিবন্ধগুলিতে উইকিমিডিয়া কমন্স হতে দরকারী ও প্রাসঙ্গিক মুক্ত চিত্র যুক্ত করতে পারেন।
  • মিয়ানমার সংক্রান্ত নিবন্ধসমূহে বিষয়শ্রেণী না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
  • নিবন্ধসমূহে তথ্যসূত্রের ঘাটতি থাকলে, পর্যাপ্ত সূত্র যোগ করতে পারেন।
  • মিয়ানমার সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহের শেষে {{প্রবেশদ্বার দণ্ড|মিয়ানমার}} যুক্ত করতে পারেন।

বিষয়

উইকিমিডিয়া


উইকিসংবাদে মিয়ানমার
উন্মুক্ত সংবাদ উৎস


উইকিউক্তিতে মিয়ানমার
উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন


উইকিসংকলনে মিয়ানমার
উন্মুক্ত পাঠাগার


উইকিবইয়ে মিয়ানমার
উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল


উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে মিয়ানমার
উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম


উইকিমিডিয়া কমন্সে মিয়ানমার
মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার


উইকিঅভিধানে মিয়ানমার
অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ


উইকিউপাত্তে মিয়ানমার
উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার


উইকিভ্রমণে মিয়ানমার
উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন