প্রফুল্লচন্দ্র সেন
প্রফুল্লচন্দ্র সেন | |
---|---|
৩য় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৮ই জুলাই, ১৯৬২ –১৫ মার্চ, ১৯৬৭ | |
পূর্বসূরী | বিধানচন্দ্র রায় |
উত্তরসূরী | অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় |
সংসদীয় এলাকা | আরামবাগ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সেনহাটি,খুলনা বর্তমানে বাংলাদেশ | ১০ এপ্রিল ১৮৯৭
মৃত্যু | ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ | (বয়স ৯৩)
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
ধর্ম | হিন্দু |
প্রফুল্লচন্দ্র সেন (জন্ম ১০ এপ্রিল ১৮৯৭ - ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ ) একজন ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা। তিনি পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তার জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের খুলনা জেলার সেনহাটির এক বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে[১] [২],তার পিতার নাম ছিল গোপালচন্দ্র সেন। পিতার কর্মস্থান বিহারে তার স্কুলজীবন কাটে। দেওঘরের আর কে মিত্র ইন্সটীটিউশন থেকে ম্যাট্রিক ও কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে ১৯১৮ সালে অনার্স নিয়ে বিএসসি পাশ করেন। [৩]
রাজনীতি
[সম্পাদনা]১৯২১ সালে গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি রাজনৈতিক জীবন বেছে নেন। ১৯২২ সালে হুগলির গ্রামে গ্রামে তিনি চরকা ও খদ্দর-প্রচারে তৎপর হন । একসময় হুগলির বিদ্যামন্দিরে শিক্ষকতা করেছেন । দুর্গম এবং ম্যালেরিয়া অধ্যুষিত হুগলির আরামবাগকেই নিজের কর্মকেন্দ্র বেছে নিয়ে দীর্ঘ ষাট বৎসর সেখানেই কাটান। কালক্রমে তিনি "আরামবাগের গান্ধী" নামে পরিচিত হন। কাঁথি ও তমলুকে 'লবণ আইন' অমান্য আন্দোলনে, ১৯৪০ সালে 'সত্যাগ্রহ আন্দোলনে' ও ১৯৪২ সালে 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে কারাদণ্ড ভোগ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৮ সালে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মন্ত্রীসভায় অসামরিক সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রীরূপে যোগ দেন । ডাঃ রায়ের মৃত্যুর পর ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সালে পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৭ সালে আরামবাগে তিনি অজয় মুখোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান। তবে ১৯৭১ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন । কংগ্রেস দ্বিধাবিভক্ত হলে তিনি কংগ্রেসে থেকে যান। ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হলে তিনি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। এক সময় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়ে দলের রাজ্য কমিটির সভাপতি হন। ১৯৭৭ সালে ওই দলের প্রার্থী হিসেবে লোকসভার সদস্যও হন। তিনি সৎ জীবনযাপনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন । কখনো কোনো সরকারি অর্থসাহায্য ও দাক্ষিণ্য গ্রহণ করেননি ।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]অকৃতদার প্রফুল্লচন্দ্র সেন ইংরাজী ১৯৯০ সালের ২৫ শে সেপ্টেম্বর ৯৩ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন ।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "পশ্চিমবঙ্গে যত মুখ্যমন্ত্রী"। www.dainikamadershomoy.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-৩১।
- ↑ Bangla, Jago (২০২২-০৪-১০)। "প্রফুল্লচন্দ্র সেনের জন্মদিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য"। JagoBangla: (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৩।
- ↑ সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র (২০০২)। অঞ্জলি বসু, সম্পাদক। সংসদ বাঙ্গালি চরিতাভিধান। দ্বিতীয় খন্ড (চতুর্থ সংস্করণ সংস্করণ)। কলিকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ১৯০ পৃঃ। আইএসবিএন 8185626650।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী বিধানচন্দ্র রায় |
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ১৯৬২—১৯৬৭ |
উত্তরসূরী অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় |
- ১৮৯৭-এ জন্ম
- ১৯৯০-এ মৃত্যু
- বাঙালি রাজনীতিবিদ
- ভারতীয় রাজনীতিবিদ
- কলকাতার ব্যক্তি
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী
- স্কটিশ চার্চ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ
- হুগলি জেলার ব্যক্তি
- বাঙালি হিন্দু
- ভারতীয় লোকদলের রাজনীতিবিদ
- ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী
- পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা সদস্য
- পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী
- ষষ্ঠ লোকসভার সদস্য
- খুলনার ব্যক্তি
- জনতা পার্টির রাজনীতিবিদ
- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ১৯৫৭-১৯৬২
- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ১৯৬২-১৯৬৭
- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ১৯৬৯-১৯৭১
- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ১৯৭১-১৯৭২
- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ১৯৭২-১৯৭৭