পুষ্পক বিমান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পুষ্পক বিমান
পুষ্পকবিমানম্
শ্রীরাম, সীতা, হনুমান ও লক্ষ্মণসহ পুষ্পক রথে বিরাজিত অন্যান্য বানরসেনা
দলপ্রাচীন হিন্দু পুরাণ
উপ দলআকাশযান
পুরাণরামায়ণ
দেশশ্রীলঙ্কা, ভারত
অঞ্চলভারতীয় উপমহাদেশ

হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণে বর্ণিত পুষ্পক বিমান বা পুষ্পকরথটি হলো একপ্রকার আকাশযান৷ লঙ্কার রাজা রাবণ দূরবর্তী স্থানে যাতায়াতের জন্য এটি ব্যবহার করতেন৷ রামায়ণে সীতাহরণকালে রাবণের পুষ্পক বিমান ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে৷ রাম-রাবণের যুদ্ধের পর বিজয়ী রাম; সীতা, লক্ষ্মণ, লঙ্কার নতুন রাজা বিভীষণসহ একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বানরসেনা এই পুষ্পক বিমানেই লঙ্কা থেকে অযোধ্যায় ফেরত আসেন৷ বিমানটি মূলত ধনৈশ্বর্যের দেবতা কুবেরের মালিকানাধীন হলেও রাবণ সুবর্ণমণ্ডিত লঙ্কাপুরীসহ এই বিমানটিও তার বৈমাত্রেয় জ্যেষ্ঠভ্রাতা থেকে ছিনিয়ে নেন৷[১] আবার অন্যান্য একাধিক গ্রন্থ থেকে তথ্য পাওয়া যায় যে, এই পুষ্পক বিমানটির নকশাকর ও সংরক্ষক ছিলেন ঋষি অঙ্গিরা৷[২] আবার এই বিমানের নির্মাতা ও সাজসজ্জা করেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা৷ প্রাচীন ভারতীয় হিন্দু পুরাণ অনুসারে প্রায় দশ হাজার বছর পূর্বেই বিমানের সচিত্র পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ এবং যুদ্ধবিমানের নির্মাণ পদ্ধতির কৌশল বিবৃৃত রয়েছে৷ রাবণের পুষ্পক বিমানটি ছিলো এইক্ষেত্রে বেশ পারদর্শী৷ এছাড়াও অন্যান্য একাধিক পুঁথিতে সৈন্য ধারণক্ষমতাযুক্ত যুদ্ধবিমানের বিবরণ, তার ব্যবহার পদ্ধতি, বিমান সংঘর্ষ, অন্তর্ধান এবং পিশ্চাদ্ধাবনের বিস্তর বর্ণনা পাওয়া যায়৷ প্রাচীন বিমান নির্মানশৈলীর মূলত দুটি ধরন ছিলো, প্রথমটি হলো মনুষ্যবাহী আকাশযান যেটি বর্তমান উড়োজাহাজের মতো পাখাযুক্ত ছিলো এবং মনুষ্যনির্মিত ছিলো৷ আবার অপর প্রকারটি ছিলো অলৌকিক ও মনুষ্য নির্মিত নয় যেগুলি মূলত দৈবিককাজে ব্যবহৃত হত৷[৩]

বিশেষত্ব[সম্পাদনা]

পুষ্পক বিমানের একাধিক গুণাবলী ছিলো যেমন প্রয়োজন মতো এই বিমানের আকার হ্রাস বা বৃদ্ধি করা যেতো৷ কোনো স্থানে দ্রুত ভ্রমণের জন্য এই বিমানের বেগ মাত্রাতিরিক্ত ভাবনাতীতভাবে বাড়ানো যেতো৷ আকাশপথ ছাড়া ভূমিতেও এটি অনায়াসে চলতে পারতো৷ অধীশ্বরের নির্দেশ অনুসারে বিমানটি বেগ বাড়াতো বা কমাতো আবার একসাথে বহুলোকের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা তৈরীর ব্যবস্থাও ছিলো৷[৪] যাত্রী সংখ্যা, বায়ুর বেগ ও গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে এর আকার পরিবর্তন হতো৷ দেবতাদের বিলাসবহুল যাত্রার জন্য বিমানস্বামী কুবের এটি ব্যবহার করতেন৷ রাবণ কুবেরের থেকে স্বর্ণলঙ্কা ও পুষ্পকরথ বলপূর্বক ছিনিয়ে নিলে তিনি বর্তমান তিব্বতের নিকট অলকাপুরীতে নিজের নতুন রাজধানীর স্থাপনা করেন৷[৫] অতঃপর রাম রাবণের যুদ্ধে রাবণঅবধের পর শ্রীরাম একার দায়িত্বে পুষ্পক বিমানটিকে তার আসল অধীশ্বর কুবেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন৷ তিনি তার বানরসৈন্য, পরিবার ও তার শুভাকাঙ্খীদের লঙ্কা থেকে অযোধ্যা নিয়ে আসার সময়ে বিমানটিকে শুধুমাত্র একবার প্রয়োগ করেছিলেন৷[৬]

বর্তমানে শ্রীলঙ্কাতে "শ্রীরামায়ণ রিসার্চ সমিতি"-র মতানুসারে রাবণের কিছে তার ভাইয়ের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া পুষ্পক বিমানটি রাখার জন্য চারটি বিমানবন্দর ছিলো৷ এই চারটি বিমানবন্দরের একটির নাম ছিলো উসানগোড়া, কাহিনী অনুসারে লঙ্কাদহন কালে হনুমান এই বিমানবন্দরটিকেই পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছিলেন৷ অপর তিনটি বিমানবন্দর তথা, গুরূলোপোথা, তোতুপোলাকন্দা এবং বারিয়াপোলা এই সময়ে সুরক্ষিত ছিলো৷[৭]

গ্রন্থে উল্লেখ[সম্পাদনা]

গুজরাত রাজ্যের মধেরাতে অবস্থিত সূর্য মন্দিরের স্তম্ভে অঙ্কিত পুষ্পক রথ সহ রাবণের সীতাহরণের চিত্র

বিমান নির্মাণ[সম্পাদনা]

ঋক বেদে একাধিক শ্লোকের মাধ্যমে ২০০র অধিকবার বিমানের উল্লেখ রয়েছে৷ এতে ত্রিতল বিশিষ্ট, ত্রিকোণাকৃতি ও ত্রিচক্রী বিশিষ্ট বিভিন্ন আদি বিমানের উল্লেখ রয়েছে৷ এগুলির প্রাথমিক নির্মাণ করেছিলেন যুগ্মদেবতা অশ্বিনীকুমার, যারা যুগল দেববৈজ্ঞানিক নামেও পরিচিত ছিলেন৷ আদিবিমানগুলিতে তিনজন যাত্রী যেতে পারতেন এবং এগুলির দুদিকে দুটি পাখা যুক্ত থাকতো৷ বিমান তৈরীর উপকরণগুলির মধ্যে মূলত তিনটি ধাতুর ব্যবহার হতো যথা- সোনা, রূপা এবং লোহা৷ বেদে বিমান তৈরীর সময়ে বিভিন্ন আকার দেওয়ার কথারও উল্লেখ রয়েছে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায় অগ্নিহোত্র বিমানে ছিলো দুটি শক্তির উৎস তথা ইঞ্জিন আবার হস্তী বিমানে দুইয়ের অধিক শক্তির উৎস ছিলো৷ যে কোনো বিমানের মৌলিক আকির ছিলো আজকের মাছরাঙ্গা পাখির আকৃৃতির৷ এছাড়া একপ্রকার জলযানেরও উল্লেখ পাওয়া যায় যা জলে এবং আকাশে উভয়স্থানেই বিচরণ করতে পারতো(ঋগ্বেদ - ৬.৫৮.০৩)৷ কারা নামক বিমানটিও জল ও বায়ু উভয়ক্ষেত্রেই সচল ছিলো(ঋগ্বেদ - ৯.১৪.০১)৷ আবার ত্রিতলা নামক বিমানটি নামানুসারে তিনটি তল বিশিষ্ট ছিলো(ঋগ্বেদ - ৩.১৪.০১)৷ ত্রিচক্র নামক তিনটি চাকাযুক্ত বিমানটি আকিশে উড়তে পারতো(ঋগ্বেদ - ৪.৩৬.০১)৷ রথের মতো দেখতে অপর একটি বিমান আকাশপথে বায়ুশক্তি বা বাষ্পের ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে চলতো(ঋগ্বেদ - ৫.৪১.০৬)৷ আবার বিদ্যুৎরথ বা বিদ্যুদ্রথ নামক বিমান বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলতো(ঋগ্বেদ - ৩.১৪.০১)৷

সমরাঙ্গণসূত্রধার নামক বাস্তুশাস্ত্রীয় বইটিতে বিমানের বিষয়ে এবং বিমানসম্বন্ধীয় বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক রোমাঞ্চকর তথ্য পাওয়া যায়৷ বইটিতে প্রায় ২২৫টি অনুচ্ছেদে বিমান নির্মাণ, উড্ডয়ন পদ্ধতি, গতি বিষয়ক, অবতরন এবং জরুরীকালীন অবতরন সহ একাধিকবার পক্ষীকুলের সঙ্গে আকস্মিক সংঘাতের ঘটনার উল্লেখও রয়েছে৷

পুষ্পকের উল্লেখ[সম্পাদনা]

প্রাচীন বিভিন্ন পুস্তকে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার নির্মিত একাধিক বিমানের বর্ণনা রয়েছে৷ এমনভাবেই বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে, ব্রহ্মার ব্যবহারের জন্য শিল্পাচার্য বিশ্বকর্মা পুষ্পকরথ নির্মাণ করেন বলে উল্লেখ রয়েছে৷ বিশ্বকর্মার মা ছিলেন সতী যোগসিদ্ধা,[৮] যিনি অষ্টবসুর একবসু তথা প্রভাসের পত্নী ছিলেন৷ মহাভারত অনুসারে বশিষ্ঠ মুনি এই প্রভাসকেই শাপিত করেছিলেন যে তাকে মর্ত্যলোকে দীর্ঘকাল অতিবাহিত করতে হবে৷ তখন তার অনুরোধে গঙ্গা মর্ত্যলোকে তার মা হতে স্বীকার করেন এবং গঙ্গা-শান্তনুর সন্তান হিসাবে ভীষ্ম দেবব্রত নামে তিনি জন্মলাভ করেন৷ এই প্রভাস ও যোগসিদ্ধার পুত্র বিশ্বকর্মাই সমস্ত ধরনের কারিগরি শিল্পে নিযুক্ত থাকতেন৷

চিত্র রামায়ণে চিত্রিত পুষ্পক বিমান

বাল্মীকি পুষ্পক বিমানের যথাসম্ভব বিস্তৃৃত বিবরণ দিয়েছেন,

মেঘের সমান উচ্চতাযুক্ত, সোনার বরণ কান্তিময়, তথা পুষ্পককে ভূমিতে একত্রিত সোনার পিণ্ডের মতো দেখতে৷ অধিক রত্ন বিভূষিত, বিভিন্ন প্রকার ফুলে আচ্ছাদিত ও পুষ্পপরাগে ভরপুর পর্বত শিখরের মতো শোভিত৷ চন্দ্রচ্ছটায় পূজিত, মেঘের মতো রমনীয় ও রত্নজ্যোতিতে দোদীপ্যমান ছিলো বিমানটি৷ আকাশে বিচরণের সময়ে বৃহদায়তন শ্রেষ্ট হাসের দ্বারা চালিত হতো৷ এর নির্মান খুব সৌন্দর্যের সাথে অদ্ভুত শোভাযুক্ত করে করা হয়েছিলো৷ বিমানটি নির্মাণে একাধিক ধাতুর ব্যবহার এমনভাবেই করা হয়েছিলো যেন গ্রহ পর্বত শিখর ও জ্যোৎস্নার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিনন রঙের ছটা বিচ্ছুরিত করছে এমন মনে হতো৷ ইআর ভূমি সংলগ্ন দিকটি স্বর্ণমণ্ডিত ও কৃত্রিম পর্বত শিখরের শ্রেণীর মতো দেখতে ছিলো৷ কৃত্রিম পর্বত শিখরগুলিতে গাছ এবং ফুল থাকতো এবং সাথে প্রজাপতিও অবস্থান করতো৷ বিমানেরভেতর সাদা রঙের একটি অট্টালিকা নির্মিত ছিলো এবং এই অট্টালিকার চারিদিকে অদ্ভুত সুন্দর বন এবং সরোবর তৈরী করা হয়েছিলো৷ বিমানটি রত্নমণ্ডিত ছিলো এবং প্রয়োজন মতো যেখানে খুশি ভ্রমণ করা যেত৷[৯]

বিমানটিতে বিভিন্ন রত্ন ও রং ব্যবহার করে সাপের আকৃৃতি তৈরী করা হয়েছিলো তথা স্বঙ্গযুক্ত অশ্বও ছিলো এটিতে৷ বিমানটিতে কামদেবের সহায়ক সুদৃশ্য মুখ ও ডানাযুক্ত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি অঙ্কিত ছিলো৷ গজগুলি অঙ্গারকমণি, প্রবাল ও স্বর্ণখচিত ছিলো এবং পুষ্পনির্মিত ডানাগুলি শ্রীলক্ষ্মীর আরাধনারত ছিলো৷ গজের সাথে দেবী গজলক্ষ্মীর মূর্তিও প্রতিষ্ঠিত ছিলো, যা প্রতিনিয়ত হাতিগুলির দ্বারা অভিষিক্ত হতো৷ বিভিন্ন প্রকার পতঙ্গযুক্ত পর্তশিখরগূলির বসন্ত ঋতুতে সুগন্ধি গাছে ভরে উঠতো৷ বাল্মীকি রামায়ণে পুষ্পক বিমানের উল্লেখ কিছুটা এভাবে পাওয়া যায় যে,

“ তস্য হ্ম্যর্স্য মধ্যথ্বেশ্ম চান্যত সুনির্মিতম৷ 
বহুনির্যূহ্সংযুক্তং দদর্শ পবনাত্মজঃ৷৷ ”
- বাল্মীকি রামায়ণ[১০]

ভক্ত হনুমানও এই বিমানের সৌন্দর্য দেখে আচম্বিত হয়ে গিয়েছিলেন৷ রাবণের রাজভবনের নিকট রাখা এই বিমানের বিস্তার ছিলো প্রায় একযোজন লম্বা ও অর্ধযোজন চওড়া৷ দেবশিল্পী বিভিন্ন রত্নের প্রয়োগ করে প্রাসাদ স্বরূপ এই বিমানটি ব্রহ্মার জন্য নির্মাণ করেছিলেন, কালান্তরে এটি রাবণের হস্তোগত হয়৷ তখনকার সময়ে সারা বিশ্বে বিমানটি আশ্চর্য বস্তু হিসাবে বিশেষ সমাদৃত হতো৷

পৌরাণিক ঘটনা[সম্পাদনা]

ঋষি ভরদ্বাজের রচিত বৈমানিক শাস্ত্র বইটিতে বিমান নির্মাণ, তার প্রকার ও সঞ্চালন সম্বন্ধীয় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়৷ এটি তার মূলগ্রন্থ যন্ত্রসর্বেশ্বমের একটি অংশ৷ উল্লেখ অনুসারে ঐসময়ে এই বইয়ের জ্ঞান থেকে নির্মিত বিমানব্রহ্মাণ্ডের বিভিন্ন গ্রহে ঘোরাফেরা করতে সক্ষম ছিলো৷ সংস্কৃৃত ভাষাতে রচিত এই বৈমানিক শাস্ত্র গ্রন্থে আটটি অধ্যায়, একশটি অধিকরণ পাঁচশটি সিদ্ধান্তসূত্র এবং তিনসহস্র শ্লোক রয়েছে৷

এই বিমান তৈরীতে কার্যকরী পদ্ধতিটি আধ্যাত্মবিজ্ঞানেরই অংশ৷ প্রাচীন পণ্ডিতদের মধ্যে জড়বস্তুতে চেতনা তৈরীর বিদ্যা জানা ছিলো বলে ধরা হয়,ফলে তারা প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও সচল যন্ত্র নির্মাণ করতে পারতেন৷ রামায়ণ সহ অন্যান্য বিভিন্ন হিন্দু ধার্মিক গ্রন্থে এর উল্লেখ রয়েছে৷ পুষ্পক বিমানের অন্যতম বিশেষত্ব ছিলো যে, এই বিমানটি তারই কথা মেনে চলতো যিনি এই বিমানটি চালানোর জন্য বিমান সঞ্চালন মন্ত্রে সিদ্ধ হতেন৷[১০]

বিমান ও বন্দর[সম্পাদনা]

বিভিন্ন গ্রন্থ অধ্যয়ণ করে বিশ্লেষকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, রাবণের লঙ্কায় পুষ্পক ছাড়াও একাধিক বিমান ছিলো৷ এই বিমানগুলি তিনি রাজ্যের মধ্যে আলাদা আলাদা দিকে অবস্থিত বন্দরগুলি পরিদর্শন এবং রাজ্যের বাইরে ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করতেন৷ বাল্মীকি রাময়ণ অনুসারে রামে লঙ্কাবিজয়ের পরে তিনি লক্ষ্মণকে বলেছিলেন যে, একাধিক বিমানের সমারোহে এই ধরনীতে লঙ্কা উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে, যদি এটি বিষ্ণুর বৈকুণ্ঠধাম হতো তবে তা সাদা মেঘে আচ্ছন্ন থাকতো৷

বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য লঙ্কায় মোট ছয়টি বিমানবন্দর ছিলো৷[১১] এর মধ্যে কিছু বিমান ও বিমানবন্দরের বিবরণ নিম্নরূপ,

  • বেরাগনটোটা - এটি বর্তমানে মধ্য শ্রীলঙ্কার মহীয়াঙ্গনে অবস্থিত৷ সিংহলি ভাষাতে এই নামটির অর্থ বিমান অবতরণের স্থল৷
  • তোটুপোলা কন্দ - তোটুপোলার আক্ষরিক অর্থও বিমান সম্বন্ধীয় তথা যেই স্থান থেকে কেউ যাত্রারম্ভ করে তাই তোটুপোলা৷ কন্দ অর্থ পর্বত৷ সমুদ্রতল থেকে ছয় হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই স্থানটি ছিলো বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের অনুকূল৷
  • দণ্ডুমোনরা বিমান - রাবণ দ্বারা ব্যবহৃত এই বিমানটির স্থানীয় সিংহলি ভাষায় অর্থ, যা ময়ূরের মতো উড়তে পারে৷ স্থানীয় ভাষায় মোনরা শব্দের অর্থ ময়ূর৷
  • বারিয়াপোলা - এটি বর্তমানে শ্রীলঙ্কার মাতালে অঞ্চলে অবস্থিত৷ বা (ওয়া) শব্দের অর্ত বায়ু, রিযা শব্দের অর্থ যান এবং পোলা শব্দের অর্থ স্থান অর্থাৎ আক্ষরিক ভাবে এটি ছিলো আকাশযান অবতরণের একটি স্থান৷[১২]
  • গুরূলোপোথা - সিংহলি ভাষায় এর আক্ষরিক অর্থ পাখিদের দেহাংশ৷ এই বিমানবন্দরটিতে বিমানঘর ঐ বিমান মেরামতিকেন্দ্র ছিলো বলে অনুমান করা হয়৷

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "जानिए रावण के रहस्य उसकी लंका में थे छह एयरपोर्ट"SamacharJagat (hindi ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  2. "रावण की 10 खास बातें जो आपको जानना चाहिए, अवश्य पढ़ें..."hindi.webdunia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  3. "रावण के पास सच में था पुष्पक-विमान, pushpak viman"hindi.speakingtree.in (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  4. "रावण की 10 खास बातें जो आपको जानना चाहिए, अवश्य पढ़ें..."hindi.webdunia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  5. Brahmavadi, Parshuram Thakur (২০১৩-০১-০১)। Vikramshila Ka Itihas (হিন্দি ভাষায়)। Prabhat Prakashan। আইএসবিএন 978-81-7721-218-1 
  6. "अच्छा तो यहां रखता था रावण अपना पुष्पक विमान"Amar Ujala (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  7. https://www.bhaskar.com/news/PUN-JAL-airport-prevailed-in-raavan-regime-4264114-PHO.html?&storyid=8248344&photoID=2072984
  8. "पुष्पक विमान - भारतकोश, ज्ञान का हिन्दी महासागर"m.bharatdiscovery.org। ২০২০-১১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  9. अतुलनीय पुष्पक विमान (हिन्दी)। अभिगमन तिथि: २४ मई, २०१३।
  10. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  11. http://ww1.delhitopnews.com/astro/the-history-of-this-gold-lanka/[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  12. "Sinhala Dictionary Online Translation LEXILOGOS"www.lexilogos.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬