তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়

স্থানাঙ্ক: ২৬°৪২′৩″ উত্তর ৯২°৪৯′৪৯″ পূর্ব / ২৬.৭০০৮৩° উত্তর ৯২.৮৩০২৮° পূর্ব / 26.70083; 92.83028
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়
তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় লোগো
নীতিবাক্যविज्ञानं यज्ञं तनुते (সংস্কৃত)
বাংলায় নীতিবাক্য
Specialized Knowledge Promotes Creativity [১]
ধরনসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত১৯৯৪
অধিভুক্তিভারত সরকার
আচার্যজানকি বল্লভ পাটনায়ক
উপাচার্যমিহির কান্তি চৌধুরী
অবস্থান, ,
২৬°৪২′৩″ উত্তর ৯২°৪৯′৪৯″ পূর্ব / ২৬.৭০০৮৩° উত্তর ৯২.৮৩০২৮° পূর্ব / 26.70083; 92.83028
শিক্ষাঙ্গননপাম ২৪২ একর (০.৯৮ বর্গ কি.মি.)
ওয়েবসাইটtezu.ernet.in
মানচিত্র
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন

তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৪ সালে ভারতীয় সংসদের একটি আইন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আসামের পূর্ব-উত্তর রাজ্য তেজপুরে অবস্থিত ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি বিভাগ রয়েছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৫০০ জন। তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য শ্রী মিহির কান্তি চৌধুরী ও বিশেষ উপাচার্য অমরজ্যোতি চৌধুরী।[২] গবেষণা বিভাগের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের অন্যান্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ও সুর অসমের প্রসিদ্ধ কণ্ঠশিল্পী ডঃ ভুপেন হাজরিকা রচনা করেছেন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

তেজপুর শহরের নপাম নামক স্থানে তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। অসম চুক্তির ফলে এই স্থাপন হয়েছিল বলে জানা যায়।[৩]

উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]

শিক্ষাঙ্গন[সম্পাদনা]

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাঙ্গন, নাপাম থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পূর্বে তেজপুরে আসামের সনিতপুর জেলা সদর দপ্তরের পাশে অবস্থিত। নাপাম একটি গ্রামীণ এলাকা, যেখানে বিভিন্ন বর্ণ, ধর্ম এবং ভাষার মানুষ রয়েছে। নাপামের এই শিক্ষাঙ্গণ প্রায় ২৬২ একর (১.০৬ কিমি) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। চারপাশ পাকা দেয়াল দ্বারা বেষ্টিত। এটি নামাপ জাতীয় মহাসড়ক নং ৩৭এ-এর পিডব্লউডি সড়ক সংযুক্ত কালিয়া-ভোমরা সেতু এবং মিশন চারিঅলীর মধ্যবর্তী স্থান। তেজপুরের সঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য সড়ক ও রেলপথে সংযুক্তি রয়েছে।

কলকাতা এবং তেজপুরে আকাশপথে যাতায়াতের জন্যে একটি ত্রি-সাপ্তাহিক ফ্লাইট চালু রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় সবুজ গাছপালা দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং এর কাছেই বিভিন্ন ঐতিহাসিক এ পর্যটন স্থান-স্থাপনা রয়েছে যেমন, অগ্নিগড়, গণেশ ঘাট ইত্যাদি।

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সনে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সময় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হয়েছিল। এই গ্রন্থাগারে বর্তমান ৫০০৮২টি পুস্তক সংগৃহীত করা হয়েছে।

যাতায়ত ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় তেজপুর শহর থেকে প্রায় ১৫ পূর্বে নপাম নামক স্থানে অবস্থিত। অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে এই অঞ্চলের দূরত্ব প্রায় ২১০ কিলোমিটার। স্থলপথের দ্বারা তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছানের সুব্যবস্থা আছে।

তেজপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়: প্রশাসনিক ভবনের একটি সামগ্রিক দৃশ্য
একাডেমীক ভবন

বাসস্থান[সম্পাদনা]

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এখানেও ছাত্র-ছাত্রীর উন্নতির জন্য বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়েছে যেমন: ছাত্র-ছাত্রী আবাস গৃহ, য়াই-ফাই ও লেন সমৃদ্ধ কম্পিউটার কেন্দ্র, গ্রন্থাগার, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শহরের সহিত যাতায়ত সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিয়মীত বাস সেবা, আভ্যন্তরিন ক্রীড়াগৃহ, অত্যাধুনিক ব্যায়ামগার, দিবা-নৈশ খেলার জন্য ‘’ফ্লাড লাইট’’ সুবিধা বিশিষ্ট খেলার মাঠ ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রাবাস রয়েছে (নির্মাণ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত):

কাঞ্চনজংঘা ছাত্রাবাস

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি ছাত্রীনিবাস রয়েছে (নির্মাণ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত):

শিক্ষা[সম্পাদনা]

তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন
  • বিজ্ঞান বিদ্যালয়
  • মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান বিদ্যালয়
  • ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান বিদ্যালয়
  • প্রকৌশল বিদ্যালয়

প্রধান বার্ষিক ঘটনাবলি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Verse from the Taittiriya Upanishad. Is sometimes loosely translated as Vigyana (Science) performs the Yagna (the means to invoke gods and seek their blessings and favors)
  2. "তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়"। তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৬, ২০১৪ 
  3. "Tripartite talks to review the implementation of the Assam Accord held in New Delhi on 31.05.2000"। satp.org। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৬, ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]