বিষয়বস্তুতে চলুন

জমিদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
সম্প্রসারণ
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Salimullah.jpg|থাম্ব|স্যার [[খাজা সলিমুল্লাহ|নবাব খাজা সলিমুল্লাহ]] [[নবাব]] উপাধিধারী জমিদার ছিলেন। বাংলায় তাঁর পরিবারের জমিজমা ছিল [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] অন্যতম বিশাল।]]
{{উৎসহীন|date=এপ্রিল ২০২৪}}
'''জমিদার''' {{ইএফএন|Alternative spellings: '''zomindar''', '''zomidar''', and '''jamindar'''}} ({{Lang-hi|ज़मींदार|zamīndār}} ; {{Lang-ur|{{nq|زمیندار‎}}|zamīndār}} ) [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশে]] একটি ''জমিদারির'' (সামন্তীয় সম্পত্তি) একটি স্বায়ত্তশাসিত বা [[আধা-স্বায়ত্তশাসিত]] [[ভারতীয় সামন্তবাদ|সামন্ত শাসক]] ছিলেন। শব্দটি নিজেই [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল]], [[মারাঠা সাম্রাজ্য|মারাঠাদের]] শাসনামলে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং পরে [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশরা]] এটিকে "এস্টেট" এর একটি স্থানীয় প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করেছিল। শব্দের অর্থ [[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]] ভাষায় ''[[জমির মালিক]]'' । তারা সাধারণত বংশগত ছিল, এবং সাম্রাজ্যিক আদালতের পক্ষে বা সামরিক উদ্দেশ্যে কর সংগ্রহের অধিকার ছিল।
{{পশ্চিম, মধ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার রাজকীয় ও অভিজাত পদমর্যাদা}}
[[চিত্র:Salimullah.jpg|thumb|227x227পিক্সেল|জমিদার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ]]


[[ব্রিটিশ ভারত|ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের]] সময়কালে অনেক ধনী এবং প্রভাবশালী জমিদারকে ''[[মহারাজা]]'', ''[[রাজা]] / [[রায় (পদবি)|রায়]], [[বাবু]]'', [[মালিক]], [[চৌধুরী]], ''[[নবাব]]'', [[খান]] এবং [[সরদার (পদবি)|সর্দারের]] মতো নৃপতিতুল্য এবং রাজকীয় উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।
'''জমিদার প্রথা''' ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে প্রবর্তিত এক প্রকার ভূমি ব্যবস্থা। এর অধীনে অধিকাংশ এলাকাকে ''জমিদারি''তে ভাগ করে বাৎসরিক খাজনা প্রদানকারী ভূস্বামীদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়। এসব [[ভূস্বামী]]<nowiki/>রা '''জমিদার''' নামে পরিচিত ছিল। জমিদারেরা তাদের প্রজাদের কাছ থেকে ইচ্ছা মত কর আদায় করতে পারতো।


[[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল সাম্রাজ্যের]] সময়, জমিদাররা আভিজাত্যের প্রতী ছিল <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Y5-vzVq8hdkC&pg=PA269|শিরোনাম=Moral conduct and authority: the place of adab in South Asian Islam|শেষাংশ=Metcalf|প্রথমাংশ=Barbara Daly|তারিখ=1984|প্রকাশক=University of California Press|পাতা=269|আইএসবিএন=9780520046603|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20230308154712/https://books.google.com/books?id=Y5-vzVq8hdkC&pg=PA269|আর্কাইভের-তারিখ=8 March 2023|ইউআরএল-অবস্থা=live|সংগ্রহের-তারিখ=15 November 2015}}</ref> এবং শাসক শ্রেণী গঠন করত। সম্রাট [[আকবর]] তাদের [[মনসবদার|মনসব]] প্রদান করেন এবং তাদের পৈতৃক রাজ্যগুলিকে [[জায়গীর|জায়গির]] হিসাবে গণ্য করা হয়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Acharya|প্রথমাংশ=Shreya|তারিখ=30 October 2011|শিরোনাম=Give an account of the Ruling Classes of Mughal Empire|ইউআরএল=http://www.preservearticles.com/2011103016233/give-an-account-of-the-ruling-classes-of-mughal-empire.html|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130521201142/http://www.preservearticles.com/2011103016233/give-an-account-of-the-ruling-classes-of-mughal-empire.html|আর্কাইভের-তারিখ=21 May 2013|ওয়েবসাইট=preservearticles.com}}</ref> [[পাঞ্জাব (অঞ্চল)|পাঞ্জাব]] অঞ্চলে কিছু জমিদার ধর্ম অনুসারে [[হিন্দু]] এবং সাধারণত [[ব্রাহ্মণ (বর্ণ)|ব্রাহ্মণ]], [[ভূমিহর ব্রাহ্মণ|ভূমিহার]], [[কায়স্থ]], [[রাজপুত]] এবং [[জাট সম্প্রদায়|জাট]] ছিল। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=39WgEAAAQBAJ&dq=zamindar+hindus+were+brahmin,+rajputs&pg=PA106|শিরোনাম=Migration, Food Security and Development|শেষাংশ=Choithani|প্রথমাংশ=Chetan|তারিখ=11 May 2023|প্রকাশক=Cambridge University Press|পাতা=106|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-1-108-84037-8}}</ref> <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Khan|প্রথমাংশ=Zahoor Ali|তারিখ=1997|শিরোনাম=ZAMINDARI CASTE CONFIGURATION IN THE PUNJAB, c.1595 — MAPPING THE DATA IN THE "A'IN-I AKBARI"|ইউআরএল=https://www.jstor.org/stable/44143925|পাতাসমূহ=334–341|issn=2249-1937|jstor=44143925}}</ref> ঔপনিবেশিক যুগে, [[চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত]] একত্রিত করে যা ''জমিদারি ব্যবস্থা'' নামে পরিচিত হয়। ব্রিটিশরা সমর্থক জমিদারদের রাজকুমার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কৃত করে। এই অঞ্চলের অনেক [[দেশীয় রাজ্য|রাজ্য]] ছিল প্রাক-ঔপনিবেশিক জমিদারি জমিদারি যা একটি বৃহত্তর প্রটোকলের জন্য উন্নীত হয়েছিল। বৃটিশরা অনেক প্রাক-ঔপনিবেশিক দেশীয় রাজ্যের জমির মালিকানাও কমিয়ে দিয়েছিল, এবং তাদের মর্যাদাকে জমিদারের পদমর্যাদা পূর্বে উচ্চতর পদ থেকে নামিয়ে দিয়েছিল।
ভারত বিভাগের পর ১৯৫০ সাল ও নিকটবর্তী বছরগুলিতে [[ভারত]], [[বাংলাদেশ]] ও [[পাকিস্তান|পাকিস্তানে]] এই [[প্রথা]] রদ করা হয়।

১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ), <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Bangladesh, from a Nation to a State|শেষাংশ=Baxter|প্রথমাংশ=C|তারিখ=1997|প্রকাশক=Westview Press|পাতা=72|আইএসবিএন=0-8133-3632-5}}</ref> ভারত ১৯৫১ সালে <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|প্রকাশক=General Knowledge Today|শিরোনাম=Abolition of Zamindari in India|ইউআরএল=http://www.gktoday.in/blog/abolition-of-zamindari-in-india/|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161130035711/http://www.gktoday.in/blog/abolition-of-zamindari-in-india/|আর্কাইভের-তারিখ=30 November 2016|ওয়েবসাইট=gktoday.in}}</ref> এবং ১৯৫৯ সালে পশ্চিম পাকিস্তানে [[ভূমি সংস্কার|ভূমি সংস্কারের]] সময় এই ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়। <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dawn.com/news/570487|শিরোনাম=Land reforms in Pakistan|তারিখ=11 October 2010|কর্ম=Dawn.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161130024141/http://www.dawn.com/news/570487|আর্কাইভের-তারিখ=30 November 2016|ইউআরএল-অবস্থা=live}}</ref>

জমিদাররা প্রায়ই উপমহাদেশের আঞ্চলিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণগুলির মধ্যে একটি হল [[ভাটি অঞ্চল|ভাটি]] অঞ্চলে [[বারো ভূঁইয়া|বারো-ভুঁইয়াদের]] দ্বারা গঠিত ১৬ শতকের কনফেডারেশন, যা [[জেসুইট]] এবং [[রালফ ফিচ|রাল্ফ ফিচের]] মতে, নৌ যুদ্ধের মাধ্যমে ক্রমাগত মুঘল আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিল। জমিদাররাও শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। [[ঠাকুর পরিবার]] ১৯১৩ সালে সাহিত্যে ভারতের প্রথম নোবেল বিজয়ী, [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] তৈরি করেছিলেন, যিনি প্রায়শই তাঁর এস্টেটে থাকতেন। জমিদাররাও [[নব্য-ধ্রুপদীয় স্থাপত্য|নব্য-ধ্রুপদীয়]] এবং [[ভারতীয়-সারাসেনীয় স্থাপত্যশৈলী|ইন্দো-সারাসেনিক]] স্থাপত্যের প্রচার করেছিলেন।

== মুঘল যুগ ==
[[চিত্র:Mehtab_Chand_of_Burdwan.jpg|ডান|থাম্ব|388x388পিক্সেল|মেহতাব চাঁদ (১৮২০-৭৯) ([[বর্ধমান রাজ|বর্ধমান রাজের]] জমিদার) একজন যুবক হিসাবে, {{আনুমানিক}} ১৮৪০-৪৫ খ্রি.]]

[[বাবর]] যখন উত্তর ভারত জয় করেন, তখন অনেক স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত শাসক ছিলেন যারা স্থানীয়ভাবে রায়, রাজা, রানা, রাও, রাওয়াত, ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিলেন যখন বিভিন্ন পারস্যের ইতিহাসে তাদের জমিদার এবং {{প্রতিবর্ণীকরণ|hi|মারজাবান}} হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা ছিল ভাসাল যারা শাসন করত, বেশিরভাগই বংশগতভাবে, তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের উপর। তারা কেবল সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই নয়, সামরিক শক্তিও নিয়ন্ত্রণ করেছিল। হিন্দুস্তান জয়ের পর, বাবর আমাদের জানান যে, এর মোট রাজস্বের এক-ছয় ভাগই প্রধানদের অঞ্চল থেকে এসেছিল। তিনি লিখেন: "ভিরা থেকে বিহার পর্যন্ত এখন আমার (১৫২৮ খ্রিস্টাব্দ) দেশগুলোর রাজস্ব বাহান্ন কোটি টাকা, যা বিস্তারিত জানা যায়। এর মধ্যে আট বা নয় কোটি টাকা রইসের পরগণা ও রাজারা অতীতে জমা দিয়েছেন ([[দিল্লির সুলতানদের তালিকা|দিল্লির সুলতানদের]] কাছে), ভাতা ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ।" <ref>{{অভিসন্দর্ভ উদ্ধৃতি}}</ref>

[[আকবর|আকবরের]] শাসনামলের একজন সমসাময়িক ইতিহাসবিদ আরিফ কান্ধারীর মতে, প্রায় দুই থেকে তিনশ রাজা বা রইস এবং জমিদার ছিলেন যারা সম্রাটের আধিপত্যের অধীনে শক্তিশালী দুর্গ থেকে তাদের অঞ্চল শাসন করতেন। এই রাজা ও জমিদারদের প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব একটি সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন যা সাধারণত তাদের গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত এবং তাদের সৈন্যের মোট সংখ্যা যেমন [[আবুল ফজল ইবনে মুবারক|আবুল ফজল]] আমাদের বলেছেন, ৪৪ লাখ সৈন্য ছিল যার মধ্যে ৩৮৪,৫৫৮ অশ্বারোহী, ৪,২৭৭,০৫৭ পদাতিক ছিল, তাদের সঙ্গে আরো ছিল ১৮৬৩টি হাতি, ৪২৬০টি বন্দুক এবং ৪৫০০টি নৌকা। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Ain-i-Akbari|শেষাংশ=Fazl|প্রথমাংশ=Abul|পাতা=120|সংস্করণ=1. Saiyid Ahmad Khan, Delhi, 1856}}</ref> মুঘল আমলে রাজ্য ও জমিদারি এস্টেটের মধ্যে কোনো স্পষ্ট পার্থক্য ছিল না। এমনকি রাজ্যের শাসক স্বায়ত্তশাসিত প্রধানদেরও জমিদার বলা হত। মোরল্যান্ড ছিলেন প্রথম ঐতিহাসিকদের একজন যিনি মধ্যযুগীয় ভারতে জমিদারদের গুরুত্বের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তিনি জমিদারদেরকে "ভাসাল প্রধান" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে মুঘলদের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে এমন কিছু এলাকা ছিল যেখানে কোন জমিদার ছিল না এবং তারপরে তাদের রাজ্যের উপর স্বায়ত্তশাসনের অধিকারী ভাসাল প্রধানদের অঞ্চল ছিল, কিন্তু তারা মুঘলদের দ্বারা পরাধীন ছিল এবং মুঘল সম্রাটকে শ্রদ্ধা/নাজরানা প্রদান করতো। তবে ইরফান হাবিব তার মুঘল ভারতের [[কৃষি ব্যবস্থা]] গ্রন্থে জমিদারদের দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। : স্বায়ত্তশাসিত প্রধানরা যারা তাদের অঞ্চলে "সার্বভৌম ক্ষমতা" উপভোগ করতেন এবং সাধারণ জমিদার যারা জমিতে উচ্চতর অধিকার প্রয়োগ করতেন এবং ভূমি রাজস্ব আদায় করতেন এবং বেশিরভাগই মুঘলদের দ্বারা নিযুক্ত ছিলেন। <ref name="Ansari">{{অভিসন্দর্ভ উদ্ধৃতি}}</ref> <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Voyages in World History, Volume 2: Since 1500|শেষাংশ=Hansen|প্রথমাংশ=Valerie|শেষাংশ২=Curtis|প্রথমাংশ২=Kenneth R.|অধ্যায়ের-ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=klcYZE-jE74C&pg=PA461|তারিখ=30 December 2008|প্রকাশক=Cengage Learning|পাতা=461|অধ্যায়=The Politics of Empire in Southern and Eastern Asia|আইএসবিএন=9780618077250}}</ref> এই লোকেরা জমিদার (মধ্যস্থতাকারী) নামে পরিচিত ছিল <ref name="Jaffrelot2000">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Jaffrelot|প্রথমাংশ=Christophe|তারিখ=September–October 2000|শিরোনাম=Sanskritization vs. Ethnicization in India: Changing Indentities and Caste Politics before Mandal|পাতাসমূহ=756–766|doi=10.2307/3021175|jstor=3021175}}</ref> এবং তারা প্রাথমিকভাবে [[রায়ট|রায়টদের]] ([[কৃষক]]) কাছ থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করত। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Agrarian System of Mughal India, 1526-1707|শেষাংশ=Habib|প্রথমাংশ=Irfan|বছর=2000|প্রকাশক=Oxford University Press|আইএসবিএন=0-19-562329-0|সংস্করণ=2nd revised}} For the meanings of ''zamindar'' see pp. 140ff.</ref> ভারতের উত্তরে জমিদারি প্রথা বেশি প্রচলিত ছিল কারণ দক্ষিণে মুঘল প্রভাব কম প্রকট ছিল। <ref name="Jaffrelot2000" />

ঐতিহাসিক [[সৈয়দ নুরুল হাসান|এস. নুরুল হাসান]] জমিদারদের তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছেন: (১) স্বায়ত্তশাসিত রায়/রাজা বা প্রধানগণ, (২) মধ্যস্থ জমিদার এবং (৩) প্রাথমিক জমিদার। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Chieftains in the Mughal Empire: During the Reign of Akbar|শেষাংশ=Khan|প্রথমাংশ=Ahsan Raza|বছর=1977|প্রকাশক=Indian Institute of Advanced Study|পাতা=7|oclc=1045889555}}</ref>

== ব্রিটিশ যুগ ==
[[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]] প্রথমে কলকাতা, সুলতানী ও গোবিন্দপুর তিনটি গ্রামের জমিদার হয়ে ভারতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। পরে তারা ২৪-পরগনা অধিগ্রহণ করে এবং ১৭৬৫ সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Problems of Zamindari and Land Reconstruction in India|শেষাংশ=Nasserwanji Driver|প্রথমাংশ=Peshotan|তারিখ=1949|প্রকাশক=Bombay New Book Company LTD.|পাতাসমূহ=10}}</ref> পরবর্তীতে ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ ক্রাউন সার্বভৌম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

মুঘল আমলে জমিদাররা মালিক ছিল না। তারা যুদ্ধে লিপ্ত থাকত এবং প্রতিবেশী রাজাদের লুণ্ঠন করত। তাই তারা কখনই তাদের জমির উন্নতির দিকে নজর দেয়নি। [[চার্লস কর্নওয়ালিস|লর্ড কর্নওয়ালিসের]] অধীনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, এটি উপলব্ধি করে, ১৭৯৩ সালে জমিদারদের সাথে স্থায়ী বন্দোবস্ত করে এবং একটি নির্দিষ্ট বার্ষিক খাজনার বিনিময়ে তাদের জমির মালিক বানিয়ে দেয় এবং তাদের সম্পত্তির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের স্বাধীন করে দেয়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=29 November 2014|ধরন=User-generated content|শিরোনাম=Provisions of the Permanent Settlement Act of 1793|ইউআরএল=https://www.historydiscussion.net/history-of-india/provisions-of-the-permanent-settlement-act-of-1793/2557|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210923014415/https://www.historydiscussion.net/history-of-india/provisions-of-the-permanent-settlement-act-of-1793/2557|আর্কাইভের-তারিখ=23 September 2021|সংগ্রহের-তারিখ=14 March 2021}}</ref> এই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে নতুন জমিদারি ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল যেমনটি আমরা আজ জানি। ১৮৫৭ সালের পর তাদের নিজ নিজ এস্টেটে পুলিশিং/দিগওয়ারী/কোতোয়ালির জন্য অল্প সংখ্যক বাহিনী বাদে অধিকাংশ জমিদারের সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করা হয়। সূর্যাস্ত পর্যন্ত জমিদাররা খাজনা দিতে না পারলে তাদের সম্পত্তির কিছু অংশ অধিগ্রহণ করে নিলাম করা হতো। এতে সমাজে জমিদারদের একটি নতুন শ্রেণির সৃষ্টি হয়। যেহেতু বাকি ভারত পরবর্তীতে [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির]] নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তাই বিভিন্ন প্রদেশে এই অঞ্চলের শাসক কর্তৃপক্ষকে কোম্পানির কর্তৃত্বে যোগদান করার জন্য বিভিন্ন উপায় প্রয়োগ করা হয়েছিল।

ব্রিটিশরা সাধারণত দেশের উত্তরে রাজস্ব আদায়ের বিদ্যমান জমিদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারা জমিদারদেরকে মুঘল সরকারের বিরোধিতা করে জমিদার ও স্বত্বাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিত এবং বিনিময়ে তাদের কর আদায় করতে হতো। যদিও কিছু জমিদার দক্ষিণে উপস্থিত ছিল, তবে তারা এত বেশি সংখ্যায় ছিল না এবং ব্রিটিশ প্রশাসকরা [[রায়তওয়ারী]] (চাষি) পদ্ধতি ব্যবহার করত, যার মধ্যে কিছু কৃষককে জমির মালিক হিসাবে বাছাই করা এবং তাদের সরাসরি তাদের কর পরিশোধের প্রয়োজন ছিল। <ref name="Jaffrelot20002">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Jaffrelot|প্রথমাংশ=Christophe|তারিখ=September–October 2000|শিরোনাম=Sanskritization vs. Ethnicization in India: Changing Indentities and Caste Politics before Mandal|পাতাসমূহ=756–766|doi=10.2307/3021175|jstor=3021175}}</ref>

[[বাংলার জমিদার|বাংলার জমিদাররা]] বাংলার উন্নয়নে প্রভাবশালী ছিলেন। [[১৮৫৭ সিপাহি বিদ্রোহ|১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের]] সময় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://pd.cpim.org/2007/0318/03182007_1857.htm|শিরোনাম=Patriotic And Comprador Zamindars In The Great Rebellion Of 1857|শেষাংশ=Patnaik|প্রথমাংশ=Utsa|তারিখ=18 March 2007|কর্ম=People's Democracy|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120505171622/http://pd.cpim.org/2007/0318/03182007_1857.htm|আর্কাইভের-তারিখ=5 May 2012|ইউআরএল-অবস্থা=live}}</ref>

ব্রিটিশরা রাজকীয় এবং মহৎ উভয় উপাধি প্রদানের ঐতিহ্য অব্যাহত রাখে যারা সর্বোপরি অনুগত জমিদারদের জন্য। রাজা, মহারাজা, রায় সাহেব, রায় বাহাদুর, রাও, নবাব, খান বাহাদুর উপাধি বিভিন্ন রাজ্যের শাসক এবং সময়ে সময়ে অনেক জমিদারকে দেওয়া হয়েছিল। ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অফ ইন্ডিয়ার একটি অনুমান অনুসারে, প্রায় ২০০০ জন শাসক প্রধান ছিলেন রাজা এবং মহারাজার রাজকীয় উপাধি ধারণ করেছিলেন যার মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের শাসক এবং বেশ কয়েকটি বড় প্রধান রাজ্য ছিল। এই সংখ্যা দশগুণ বৃদ্ধি পায় যদি অন্যান্য অরাজকীয় কিন্তু মহৎ পদবী সহ জমিদার/জায়গিরদার প্রধানদের গণনা করা হয়।

=== যোগদান ===
স্বায়ত্তশাসিত বা সীমান্ত প্রধানদের বিপরীতে, জমিদার শ্রেণীর বংশগত মর্যাদা মুঘলদের দ্বারা পরিসীমাবদ্ধ ছিল এবং উত্তরাধিকারী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে সার্বভৌমদের খুশির উপর নির্ভর করত। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh|শেষাংশ=Islam|প্রথমাংশ=Sirajul|শেষাংশ২=Akhter|প্রথমাংশ২=Shirin|অধ্যায়ের-ইউআরএল=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Zamindar|বছর=2012|প্রকাশক=[[Asiatic Society of Bangladesh]]|অধ্যায়=Zamindar|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150703120049/http://en.banglapedia.org/index.php?title=Zamindar|আর্কাইভের-তারিখ=3 July 2015|ইউআরএল-অবস্থা=live|সংস্করণ=Second}}</ref> উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করা হয়েছিল বংশানুক্রমে বা ধর্মীয় আইন দ্বারা এমনকি দত্তক নেওয়ার সময়। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=l9KyAAAAIAAJ&pg=PA385|শিরোনাম=The Indian Law Reports: Madras series|তারিখ=1888|প্রকাশক=Controller of Stationery and Print|পাতা=385}}</ref> ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে, জমিদারদের [[মুকুট|ক্রাউনের]] অধীনস্থ হতে হবে এবং বংশগত প্রভু হিসাবে কাজ করতে হবে না, তবে কখনও কখনও পারিবারিক রাজনীতি উত্তরাধিকারী নামকরণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=YH6ijJnUPmcC&pg=PA223|শিরোনাম=Land and Local Kingship in Eighteenth-Century Bengal|শেষাংশ=McLane|প্রথমাংশ=John R.|তারিখ=2002|প্রকাশক=Cambridge University Press|পাতা=223|আইএসবিএন=978-0-521-52654-8}}</ref> কখনও কখনও, একজন চাচাতো ভাইকে উত্তরাধিকারী হিসেবে নামকরণ করা যেতে পারে যেখানে নিকটবর্তী পরিবারের আত্মীয়রা উপস্থিত থাকে; <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Zc8DAAAAQAAJ&pg=PA209|শিরোনাম=Madras High Court Reports: 1870 and 1871|তারিখ=1872|প্রকাশক=J. Higgingbotham|পাতা=209}}</ref> একজন বৈধভাবে বিবাহিত স্ত্রী জমিদারির উত্তরাধিকারী হতে পারে যদি ক্ষমতাসীন জমিদার তাকে উত্তরাধিকারী হিসেবে নামকরণ করেন। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Great Britain. Privy Council. Judicial Committee.|শেষাংশ২=India. Courts.|তারিখ=1908|শিরোনাম=Kashi Prasad ''v.'' Indar Kunwar|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Jc4oAAAAYAAJ&pg=PA596|প্রকাশক=Indian Press|পাতা=596}}</ref> <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=khoaAAAAYAAJ&pg=RA4-PT245|শিরোনাম=A Digest of Indian Law Cases: Containing High Court Reports, 1862-1900, and Privy Council Reports of Appeals from India, 1836-1900, with an Index of Cases|শেষাংশ=Woodman|প্রথমাংশ=Joseph Vere|শেষাংশ২=Monnier|প্রথমাংশ২=Emile Henry|তারিখ=1902|প্রকাশক=Superintendent of Government Printing, India|পাতা=5498}}</ref>

== বিলুপ্তি ==
[[ভারতীয় সংবিধানের প্রথম সংশোধনী|ভারতের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর]] মাধ্যমে স্বাধীন ভারতে জমিদারি প্রথা বেশিরভাগই বিলুপ্ত হয়ে যায় যা ১৯ এবং ৩১ ধারায় দেখানো [[সম্পত্তির অধিকার|সম্পত্তির অধিকারকে]] সংশোধন করে <ref name="Guha">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=India After Gandhi|শেষাংশ=Guha|প্রথমাংশ=Ramachandra|বছর=2011|প্রকাশক=Ecco|পাতাসমূহ=219–220|আইএসবিএন=978-0-330-54020-9}}</ref> পূর্ব পাকিস্তানে, [[পূর্ববঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০|১৯৫০ সালের ইস্ট বেঙ্গল স্টেট অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন]] প্রথার অবসান ঘটাতে একই রকম প্রভাব ফেলেছিল। <ref><nowiki>{{State Acquisition and Tenancy Act, 1950 [XXVII of 1951, Section 3]}}</nowiki></ref> জমিদারি প্রথার কারণে ক্ষুদ্র কৃষকরা আর্থিকভাবে শক্তিশালী হতে পারেনি। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=1 August 2013|ভাষা=en-US|শিরোনাম=Land Revenue Systems in British India: Zamindari, Ryotwari and Mahalwari|ইউআরএল=https://www.clearias.com/land-revenue-systems-zamindari-ryotwari-mahalwari/|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20220524062244/https://www.clearias.com/land-revenue-systems-zamindari-ryotwari-mahalwari/|আর্কাইভের-তারিখ=24 May 2022|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2022|ওয়েবসাইট=ClearIAS}}</ref> <ref>{{উদ্ধৃতি |last=Alam |first=Muzahpar |title=The Punjab after 1715, the Zamindars and the Problems Facing the Provincial Government |date=2013 |url=https://oxford.universitypressscholarship.com/10.1093/acprof:oso/9780198077411.001.0001/acprof-9780198077411-chapter-6 |work=The Crisis of Empire in Mughal North India |access-date=28 April 2022 |archive-url=https://web.archive.org/web/20230308154714/https://academic.oup.com/pages/op-migration-welcome |url-status=live |edition=2 |place=Delhi |publisher=Oxford University Press |doi=10.1093/acprof:oso/9780198077411.001.0001 |isbn=978-0-19-807741-1 |archive-date=8 March 2023}}</ref>

== বিশ্ব স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ==
সমালোচকরা বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের শৃঙ্খলাকে একটি সামন্ততান্ত্রিক কাঠামোর সাথে তুলনা করেছেন যেখানে উচ্চ-আয়ের দেশগুলির ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে জমিদার হিসাবে কাজ করে, <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|vauthors=Keshri VR, Bhaumik S|তারিখ=September 2022|শিরোনাম=The feudal structure of global health and its implications for decolonisation|পাতাসমূহ=e010603|doi=10.1136/bmjgh-2022-010603|pmc=9516156|pmid=36167407}}</ref> এইভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্যের সাম্রাজ্যিক প্রকৃতি বজায় রাখে। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|vauthors=Kwete X, Tang K, Chen L, Ren R, Chen Q, Wu Z, Cai Y, Li H|তারিখ=January 2022|শিরোনাম=Decolonizing global health: what should be the target of this movement and where does it lead us?|পাতাসমূহ=3|doi=10.1186/s41256-022-00237-3|pmc=8784247|pmid=35067229|doi-access=free}}</ref> <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|vauthors=Rasheed MA|তারিখ=December 2021|শিরোনাম=Navigating the violent process of decolonisation in global health research: a guideline|পাতাসমূহ=e1640–e1641|ভাষা=English|doi=10.1016/S2214-109X(21)00440-X|pmid=34798014|doi-access=free}}</ref> <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|vauthors=Affun-Adegbulu C, Adegbulu O|তারিখ=August 2020|শিরোনাম=Decolonising Global (Public) Health: from Western universalism to Global pluriversalities|পাতাসমূহ=e002947|doi=10.1136/bmjgh-2020-002947|pmc=7443258|pmid=32819916}}</ref>

== আরো দেখুন ==

* [[১৮৫৭ সিপাহি বিদ্রোহ|কলি বিদ্রোহ]]
* [[ভারতীয় সামন্তবাদ]]
* [[ভারতীয় সম্মানিত]]
* [[জায়গীর|জায়গিরদার]]
* [[ঘাটওয়াল ও মুলরায়ত]]
* [[মানকরি]]
* [[মারাঠা উপাধি]]
* [[ঠাকুর (পদবি)|ঠাকুর]]
* [[বিহারের জমিদার]]
* [[ভারতীয় সংবিধানের সংশোধনীসমূহ|ভারতের সংবিধানের সংশোধনীর তালিকা]]

== মন্তব্য ==
{{notelist}}

==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}


[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশে সামন্তবাদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশে সামন্তবাদ]]

১৫:৫৭, ১০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

স্যার নবাব খাজা সলিমুল্লাহ নবাব উপাধিধারী জমিদার ছিলেন। বাংলায় তাঁর পরিবারের জমিজমা ছিল ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম বিশাল।

জমিদার [ক] (হিন্দি: ज़मींदार, প্রতিবর্ণীকৃত: zamīndār ; উর্দু: زمیندار‎‎, প্রতিবর্ণী. zamīndār‎ ) ভারতীয় উপমহাদেশে একটি জমিদারির (সামন্তীয় সম্পত্তি) একটি স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত সামন্ত শাসক ছিলেন। শব্দটি নিজেই মুঘল, মারাঠাদের শাসনামলে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং পরে ব্রিটিশরা এটিকে "এস্টেট" এর একটি স্থানীয় প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করেছিল। শব্দের অর্থ ফার্সি ভাষায় জমির মালিক । তারা সাধারণত বংশগত ছিল, এবং সাম্রাজ্যিক আদালতের পক্ষে বা সামরিক উদ্দেশ্যে কর সংগ্রহের অধিকার ছিল।

ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময়কালে অনেক ধনী এবং প্রভাবশালী জমিদারকে মহারাজা, রাজা / রায়, বাবু, মালিক, চৌধুরী, নবাব, খান এবং সর্দারের মতো নৃপতিতুল্য এবং রাজকীয় উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।

মুঘল সাম্রাজ্যের সময়, জমিদাররা আভিজাত্যের প্রতী ছিল [১] এবং শাসক শ্রেণী গঠন করত। সম্রাট আকবর তাদের মনসব প্রদান করেন এবং তাদের পৈতৃক রাজ্যগুলিকে জায়গির হিসাবে গণ্য করা হয়। [২] পাঞ্জাব অঞ্চলে কিছু জমিদার ধর্ম অনুসারে হিন্দু এবং সাধারণত ব্রাহ্মণ, ভূমিহার, কায়স্থ, রাজপুত এবং জাট ছিল। [৩] [৪] ঔপনিবেশিক যুগে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত একত্রিত করে যা জমিদারি ব্যবস্থা নামে পরিচিত হয়। ব্রিটিশরা সমর্থক জমিদারদের রাজকুমার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কৃত করে। এই অঞ্চলের অনেক রাজ্য ছিল প্রাক-ঔপনিবেশিক জমিদারি জমিদারি যা একটি বৃহত্তর প্রটোকলের জন্য উন্নীত হয়েছিল। বৃটিশরা অনেক প্রাক-ঔপনিবেশিক দেশীয় রাজ্যের জমির মালিকানাও কমিয়ে দিয়েছিল, এবং তাদের মর্যাদাকে জমিদারের পদমর্যাদা পূর্বে উচ্চতর পদ থেকে নামিয়ে দিয়েছিল।

১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ), [৫] ভারত ১৯৫১ সালে [৬] এবং ১৯৫৯ সালে পশ্চিম পাকিস্তানে ভূমি সংস্কারের সময় এই ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়। [৭]

জমিদাররা প্রায়ই উপমহাদেশের আঞ্চলিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণগুলির মধ্যে একটি হল ভাটি অঞ্চলে বারো-ভুঁইয়াদের দ্বারা গঠিত ১৬ শতকের কনফেডারেশন, যা জেসুইট এবং রাল্ফ ফিচের মতে, নৌ যুদ্ধের মাধ্যমে ক্রমাগত মুঘল আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিল। জমিদাররাও শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ঠাকুর পরিবার ১৯১৩ সালে সাহিত্যে ভারতের প্রথম নোবেল বিজয়ী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তৈরি করেছিলেন, যিনি প্রায়শই তাঁর এস্টেটে থাকতেন। জমিদাররাও নব্য-ধ্রুপদীয় এবং ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্যের প্রচার করেছিলেন।

মুঘল যুগ

মেহতাব চাঁদ (১৮২০-৭৯) (বর্ধমান রাজের জমিদার) একজন যুবক হিসাবে, আনু. ১৮৪০-৪৫ খ্রি.

বাবর যখন উত্তর ভারত জয় করেন, তখন অনেক স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত শাসক ছিলেন যারা স্থানীয়ভাবে রায়, রাজা, রানা, রাও, রাওয়াত, ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিলেন যখন বিভিন্ন পারস্যের ইতিহাসে তাদের জমিদার এবং মারজাবান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা ছিল ভাসাল যারা শাসন করত, বেশিরভাগই বংশগতভাবে, তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের উপর। তারা কেবল সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই নয়, সামরিক শক্তিও নিয়ন্ত্রণ করেছিল। হিন্দুস্তান জয়ের পর, বাবর আমাদের জানান যে, এর মোট রাজস্বের এক-ছয় ভাগই প্রধানদের অঞ্চল থেকে এসেছিল। তিনি লিখেন: "ভিরা থেকে বিহার পর্যন্ত এখন আমার (১৫২৮ খ্রিস্টাব্দ) দেশগুলোর রাজস্ব বাহান্ন কোটি টাকা, যা বিস্তারিত জানা যায়। এর মধ্যে আট বা নয় কোটি টাকা রইসের পরগণা ও রাজারা অতীতে জমা দিয়েছেন (দিল্লির সুলতানদের কাছে), ভাতা ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ।" [৮]

আকবরের শাসনামলের একজন সমসাময়িক ইতিহাসবিদ আরিফ কান্ধারীর মতে, প্রায় দুই থেকে তিনশ রাজা বা রইস এবং জমিদার ছিলেন যারা সম্রাটের আধিপত্যের অধীনে শক্তিশালী দুর্গ থেকে তাদের অঞ্চল শাসন করতেন। এই রাজা ও জমিদারদের প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব একটি সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন যা সাধারণত তাদের গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত এবং তাদের সৈন্যের মোট সংখ্যা যেমন আবুল ফজল আমাদের বলেছেন, ৪৪ লাখ সৈন্য ছিল যার মধ্যে ৩৮৪,৫৫৮ অশ্বারোহী, ৪,২৭৭,০৫৭ পদাতিক ছিল, তাদের সঙ্গে আরো ছিল ১৮৬৩টি হাতি, ৪২৬০টি বন্দুক এবং ৪৫০০টি নৌকা। [৯] মুঘল আমলে রাজ্য ও জমিদারি এস্টেটের মধ্যে কোনো স্পষ্ট পার্থক্য ছিল না। এমনকি রাজ্যের শাসক স্বায়ত্তশাসিত প্রধানদেরও জমিদার বলা হত। মোরল্যান্ড ছিলেন প্রথম ঐতিহাসিকদের একজন যিনি মধ্যযুগীয় ভারতে জমিদারদের গুরুত্বের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তিনি জমিদারদেরকে "ভাসাল প্রধান" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে মুঘলদের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে এমন কিছু এলাকা ছিল যেখানে কোন জমিদার ছিল না এবং তারপরে তাদের রাজ্যের উপর স্বায়ত্তশাসনের অধিকারী ভাসাল প্রধানদের অঞ্চল ছিল, কিন্তু তারা মুঘলদের দ্বারা পরাধীন ছিল এবং মুঘল সম্রাটকে শ্রদ্ধা/নাজরানা প্রদান করতো। তবে ইরফান হাবিব তার মুঘল ভারতের কৃষি ব্যবস্থা গ্রন্থে জমিদারদের দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। : স্বায়ত্তশাসিত প্রধানরা যারা তাদের অঞ্চলে "সার্বভৌম ক্ষমতা" উপভোগ করতেন এবং সাধারণ জমিদার যারা জমিতে উচ্চতর অধিকার প্রয়োগ করতেন এবং ভূমি রাজস্ব আদায় করতেন এবং বেশিরভাগই মুঘলদের দ্বারা নিযুক্ত ছিলেন। [১০] [১১] এই লোকেরা জমিদার (মধ্যস্থতাকারী) নামে পরিচিত ছিল [১২] এবং তারা প্রাথমিকভাবে রায়টদের (কৃষক) কাছ থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করত। [১৩] ভারতের উত্তরে জমিদারি প্রথা বেশি প্রচলিত ছিল কারণ দক্ষিণে মুঘল প্রভাব কম প্রকট ছিল। [১২]

ঐতিহাসিক এস. নুরুল হাসান জমিদারদের তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছেন: (১) স্বায়ত্তশাসিত রায়/রাজা বা প্রধানগণ, (২) মধ্যস্থ জমিদার এবং (৩) প্রাথমিক জমিদার। [১৪]

ব্রিটিশ যুগ

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথমে কলকাতা, সুলতানী ও গোবিন্দপুর তিনটি গ্রামের জমিদার হয়ে ভারতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। পরে তারা ২৪-পরগনা অধিগ্রহণ করে এবং ১৭৬৫ সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। [১৫] পরবর্তীতে ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ ক্রাউন সার্বভৌম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

মুঘল আমলে জমিদাররা মালিক ছিল না। তারা যুদ্ধে লিপ্ত থাকত এবং প্রতিবেশী রাজাদের লুণ্ঠন করত। তাই তারা কখনই তাদের জমির উন্নতির দিকে নজর দেয়নি। লর্ড কর্নওয়ালিসের অধীনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, এটি উপলব্ধি করে, ১৭৯৩ সালে জমিদারদের সাথে স্থায়ী বন্দোবস্ত করে এবং একটি নির্দিষ্ট বার্ষিক খাজনার বিনিময়ে তাদের জমির মালিক বানিয়ে দেয় এবং তাদের সম্পত্তির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের স্বাধীন করে দেয়। [১৬] এই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে নতুন জমিদারি ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল যেমনটি আমরা আজ জানি। ১৮৫৭ সালের পর তাদের নিজ নিজ এস্টেটে পুলিশিং/দিগওয়ারী/কোতোয়ালির জন্য অল্প সংখ্যক বাহিনী বাদে অধিকাংশ জমিদারের সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করা হয়। সূর্যাস্ত পর্যন্ত জমিদাররা খাজনা দিতে না পারলে তাদের সম্পত্তির কিছু অংশ অধিগ্রহণ করে নিলাম করা হতো। এতে সমাজে জমিদারদের একটি নতুন শ্রেণির সৃষ্টি হয়। যেহেতু বাকি ভারত পরবর্তীতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তাই বিভিন্ন প্রদেশে এই অঞ্চলের শাসক কর্তৃপক্ষকে কোম্পানির কর্তৃত্বে যোগদান করার জন্য বিভিন্ন উপায় প্রয়োগ করা হয়েছিল।

ব্রিটিশরা সাধারণত দেশের উত্তরে রাজস্ব আদায়ের বিদ্যমান জমিদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারা জমিদারদেরকে মুঘল সরকারের বিরোধিতা করে জমিদার ও স্বত্বাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিত এবং বিনিময়ে তাদের কর আদায় করতে হতো। যদিও কিছু জমিদার দক্ষিণে উপস্থিত ছিল, তবে তারা এত বেশি সংখ্যায় ছিল না এবং ব্রিটিশ প্রশাসকরা রায়তওয়ারী (চাষি) পদ্ধতি ব্যবহার করত, যার মধ্যে কিছু কৃষককে জমির মালিক হিসাবে বাছাই করা এবং তাদের সরাসরি তাদের কর পরিশোধের প্রয়োজন ছিল। [১৭]

বাংলার জমিদাররা বাংলার উন্নয়নে প্রভাবশালী ছিলেন। ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের সময় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। [১৮]

ব্রিটিশরা রাজকীয় এবং মহৎ উভয় উপাধি প্রদানের ঐতিহ্য অব্যাহত রাখে যারা সর্বোপরি অনুগত জমিদারদের জন্য। রাজা, মহারাজা, রায় সাহেব, রায় বাহাদুর, রাও, নবাব, খান বাহাদুর উপাধি বিভিন্ন রাজ্যের শাসক এবং সময়ে সময়ে অনেক জমিদারকে দেওয়া হয়েছিল। ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অফ ইন্ডিয়ার একটি অনুমান অনুসারে, প্রায় ২০০০ জন শাসক প্রধান ছিলেন রাজা এবং মহারাজার রাজকীয় উপাধি ধারণ করেছিলেন যার মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের শাসক এবং বেশ কয়েকটি বড় প্রধান রাজ্য ছিল। এই সংখ্যা দশগুণ বৃদ্ধি পায় যদি অন্যান্য অরাজকীয় কিন্তু মহৎ পদবী সহ জমিদার/জায়গিরদার প্রধানদের গণনা করা হয়।

যোগদান

স্বায়ত্তশাসিত বা সীমান্ত প্রধানদের বিপরীতে, জমিদার শ্রেণীর বংশগত মর্যাদা মুঘলদের দ্বারা পরিসীমাবদ্ধ ছিল এবং উত্তরাধিকারী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে সার্বভৌমদের খুশির উপর নির্ভর করত। [১৯] উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করা হয়েছিল বংশানুক্রমে বা ধর্মীয় আইন দ্বারা এমনকি দত্তক নেওয়ার সময়। [২০] ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে, জমিদারদের ক্রাউনের অধীনস্থ হতে হবে এবং বংশগত প্রভু হিসাবে কাজ করতে হবে না, তবে কখনও কখনও পারিবারিক রাজনীতি উত্তরাধিকারী নামকরণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। [২১] কখনও কখনও, একজন চাচাতো ভাইকে উত্তরাধিকারী হিসেবে নামকরণ করা যেতে পারে যেখানে নিকটবর্তী পরিবারের আত্মীয়রা উপস্থিত থাকে; [২২] একজন বৈধভাবে বিবাহিত স্ত্রী জমিদারির উত্তরাধিকারী হতে পারে যদি ক্ষমতাসীন জমিদার তাকে উত্তরাধিকারী হিসেবে নামকরণ করেন। [২৩] [২৪]

বিলুপ্তি

ভারতের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে স্বাধীন ভারতে জমিদারি প্রথা বেশিরভাগই বিলুপ্ত হয়ে যায় যা ১৯ এবং ৩১ ধারায় দেখানো সম্পত্তির অধিকারকে সংশোধন করে [২৫] পূর্ব পাকিস্তানে, ১৯৫০ সালের ইস্ট বেঙ্গল স্টেট অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন প্রথার অবসান ঘটাতে একই রকম প্রভাব ফেলেছিল। [২৬] জমিদারি প্রথার কারণে ক্ষুদ্র কৃষকরা আর্থিকভাবে শক্তিশালী হতে পারেনি। [২৭] [২৮]

বিশ্ব স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে

সমালোচকরা বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের শৃঙ্খলাকে একটি সামন্ততান্ত্রিক কাঠামোর সাথে তুলনা করেছেন যেখানে উচ্চ-আয়ের দেশগুলির ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে জমিদার হিসাবে কাজ করে, [২৯] এইভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্যের সাম্রাজ্যিক প্রকৃতি বজায় রাখে। [৩০] [৩১] [৩২]

আরো দেখুন

মন্তব্য

  1. Alternative spellings: zomindar, zomidar, and jamindar

তথ্যসূত্র

  1. Metcalf, Barbara Daly (১৯৮৪)। Moral conduct and authority: the place of adab in South Asian Islam। University of California Press। পৃষ্ঠা 269। আইএসবিএন 9780520046603। ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৫ 
  2. Acharya, Shreya (৩০ অক্টোবর ২০১১)। "Give an account of the Ruling Classes of Mughal Empire"preservearticles.com। ২১ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. Choithani, Chetan (১১ মে ২০২৩)। Migration, Food Security and Development (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 106। আইএসবিএন 978-1-108-84037-8 
  4. Khan, Zahoor Ali (১৯৯৭)। "ZAMINDARI CASTE CONFIGURATION IN THE PUNJAB, c.1595 — MAPPING THE DATA IN THE "A'IN-I AKBARI"": 334–341। আইএসএসএন 2249-1937জেস্টোর 44143925 
  5. Baxter, C (১৯৯৭)। Bangladesh, from a Nation to a State। Westview Press। পৃষ্ঠা 72। আইএসবিএন 0-8133-3632-5 
  6. "Abolition of Zamindari in India"gktoday.in। General Knowledge Today। ৩০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  7. "Land reforms in Pakistan"Dawn.com। ১১ অক্টোবর ২০১০। ৩০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  8. (গবেষণাপত্র)।  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  9. Fazl, Abul। Ain-i-Akbari (1. Saiyid Ahmad Khan, Delhi, 1856 সংস্করণ)। পৃষ্ঠা 120। 
  10. (গবেষণাপত্র)।  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  11. Hansen, Valerie; Curtis, Kenneth R. (৩০ ডিসেম্বর ২০০৮)। "The Politics of Empire in Southern and Eastern Asia"Voyages in World History, Volume 2: Since 1500। Cengage Learning। পৃষ্ঠা 461। আইএসবিএন 9780618077250 
  12. Jaffrelot, Christophe (সেপ্টেম্বর–অক্টোবর ২০০০)। "Sanskritization vs. Ethnicization in India: Changing Indentities and Caste Politics before Mandal": 756–766। জেস্টোর 3021175ডিওআই:10.2307/3021175 
  13. Habib, Irfan (২০০০)। The Agrarian System of Mughal India, 1526-1707 (2nd revised সংস্করণ)। Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-562329-0  For the meanings of zamindar see pp. 140ff.
  14. Khan, Ahsan Raza (১৯৭৭)। Chieftains in the Mughal Empire: During the Reign of Akbar। Indian Institute of Advanced Study। পৃষ্ঠা 7। ওসিএলসি 1045889555 
  15. Nasserwanji Driver, Peshotan (১৯৪৯)। Problems of Zamindari and Land Reconstruction in India। Bombay New Book Company LTD.। পৃষ্ঠা 10। 
  16. "Provisions of the Permanent Settlement Act of 1793" (User-generated content)। ২৯ নভেম্বর ২০১৪। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২১ 
  17. Jaffrelot, Christophe (সেপ্টেম্বর–অক্টোবর ২০০০)। "Sanskritization vs. Ethnicization in India: Changing Indentities and Caste Politics before Mandal": 756–766। জেস্টোর 3021175ডিওআই:10.2307/3021175 
  18. Patnaik, Utsa (১৮ মার্চ ২০০৭)। "Patriotic And Comprador Zamindars In The Great Rebellion Of 1857"People's Democracy। ৫ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  19. Islam, Sirajul; Akhter, Shirin (২০১২)। "Zamindar"Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh। ৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  20. The Indian Law Reports: Madras series। Controller of Stationery and Print। ১৮৮৮। পৃষ্ঠা 385। 
  21. McLane, John R. (২০০২)। Land and Local Kingship in Eighteenth-Century Bengal। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 223। আইএসবিএন 978-0-521-52654-8 
  22. Madras High Court Reports: 1870 and 1871। J. Higgingbotham। ১৮৭২। পৃষ্ঠা 209। 
  23. Great Britain. Privy Council. Judicial Committee.; India. Courts. (১৯০৮)। "Kashi Prasad v. Indar Kunwar"। Indian Press: 596। 
  24. Woodman, Joseph Vere; Monnier, Emile Henry (১৯০২)। A Digest of Indian Law Cases: Containing High Court Reports, 1862-1900, and Privy Council Reports of Appeals from India, 1836-1900, with an Index of Cases। Superintendent of Government Printing, India। পৃষ্ঠা 5498। 
  25. Guha, Ramachandra (২০১১)। India After Gandhi। Ecco। পৃষ্ঠা 219–220। আইএসবিএন 978-0-330-54020-9 
  26. {{State Acquisition and Tenancy Act, 1950 [XXVII of 1951, Section 3]}}
  27. "Land Revenue Systems in British India: Zamindari, Ryotwari and Mahalwari"ClearIAS (ইংরেজি ভাষায়)। ১ আগস্ট ২০১৩। ২৪ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২২ 
  28. Alam, Muzahpar (২০১৩), "The Punjab after 1715, the Zamindars and the Problems Facing the Provincial Government", The Crisis of Empire in Mughal North India (2 সংস্করণ), Delhi: Oxford University Press, আইএসবিএন 978-0-19-807741-1, ডিওআই:10.1093/acprof:oso/9780198077411.001.0001, ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২২ 
  29. Keshri VR, Bhaumik S (সেপ্টেম্বর ২০২২)। "The feudal structure of global health and its implications for decolonisation": e010603। ডিওআই:10.1136/bmjgh-2022-010603পিএমআইডি 36167407 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)পিএমসি 9516156অবাধে প্রবেশযোগ্য |pmc= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  30. Kwete X, Tang K, Chen L, Ren R, Chen Q, Wu Z, Cai Y, Li H (জানুয়ারি ২০২২)। "Decolonizing global health: what should be the target of this movement and where does it lead us?": 3। ডিওআই:10.1186/s41256-022-00237-3অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 35067229 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)পিএমসি 8784247অবাধে প্রবেশযোগ্য |pmc= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  31. Rasheed MA (ডিসেম্বর ২০২১)। "Navigating the violent process of decolonisation in global health research: a guideline" (English ভাষায়): e1640–e1641। ডিওআই:10.1016/S2214-109X(21)00440-Xঅবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 34798014 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  32. Affun-Adegbulu C, Adegbulu O (আগস্ট ২০২০)। "Decolonising Global (Public) Health: from Western universalism to Global pluriversalities": e002947। ডিওআই:10.1136/bmjgh-2020-002947পিএমআইডি 32819916 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)পিএমসি 7443258অবাধে প্রবেশযোগ্য |pmc= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)