চার্লস কর্নওয়ালিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লর্ড চার্লস কর্নওয়ালিস
The Marquess Cornwallis
Portrait by John Singleton Copley, circa 1795.
Governor-General of the Presidency of Fort William
কাজের মেয়াদ
12 September 1786 – 28 October 1793
সার্বভৌম শাসকGeorge III
পূর্বসূরীSir John Macpherson, Bt
As Acting Governor-General
উত্তরসূরীSir John Shore
কাজের মেয়াদ
30 July 1805 – 5 October 1805
সার্বভৌম শাসকGeorge III
পূর্বসূরীThe Earl of Mornington
উত্তরসূরীSir George Barlow, Bt
As Acting Governor-General
Lord Lieutenant of Ireland
কাজের মেয়াদ
14 June 1798 – 27 April 1801
সার্বভৌম শাসকGeorge III
পূর্বসূরীThe Earl Camden
উত্তরসূরীThe Earl Hardwicke
Wye আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
January 1760 – 23 June 1762
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মCharles Cornwallis
(১৭৩৮-১২-৩১)৩১ ডিসেম্বর ১৭৩৮
Grosvenor Square
Mayfair, London
Great Britain
মৃত্যু৫ অক্টোবর ১৮০৫(1805-10-05) (বয়স ৬৬)
Gauspur, Ghazipur
Kingdom of Kashi
জাতীয়তাBritish
দাম্পত্য সঙ্গীJemima Tullekin Jones
প্রাক্তন শিক্ষার্থীEton College
Clare College, Cambridge
পেশাMilitary officer, Colonial administrator
পুরস্কারKnight Companion of The Most Noble Order of the Garter
স্বাক্ষরSignature of The Marquess Cornwallis
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্যযুক্তরাজ্য Great Britain (1757-1801)
যুক্তরাজ্য United Kingdom (1801-1805)
শাখাBritish Army
কাজের মেয়াদ1757–1805
পদGeneral
যুদ্ধSeven Years' War
American War of Independence
Third Mysore War
Irish Rebellion of 1798
MonarchGeorge II
George III

লর্ড চার্লস কর্নওয়ালিস (৩১ ডিসেম্বর ১৭৩৮ – ৫ অক্টোবর ১৮০৫)[১] একজন ব্রিটিশ সামরিক অধিনায়ক যিনি গভর্নর জেনারেল হিসাবে ব্রিটিশ ভারত শাসন ক'রে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। ১৭৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর নববর্ষের প্রাককালে কর্নওয়ালিসের জন্ম হয় লন্ডনের মেফেয়ারে একটি অভিজাত পরিবারে। আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনকালে একজন ডাকসাইটে ব্রিটিশ জেনারেল হিসেবে তার পরিচিতি ছিল সর্বত্র। ভারত এবং আয়ারল্যান্ডে দায়িত্ব পালনকালে উভয় দেশে তিনি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এবং অ্যাক্ট অব ইউনিয়ন নামে দুটি যুগান্তকারী আইন পাস করেন।

জীবন[সম্পাদনা]

১৭৬২-৯২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা ও ঔপনিবেশিক শাসক। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে সামরিক বাহিনীতে প্রবেশ করেন। ১৭৬২ সালে বাবা চার্লস কর্নওয়ালিসের (পঞ্চম ব্যারন কর্নওয়ালিস) মৃত্যুর পর তিনি আর্লের (ব্রিটেনের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবিশেষ) পদমর্যাদায় হাউস অব লর্ডসে বাবার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকার প্রসিদ্ধ ব্রিটিশ সামরিক অধিনায়ক। তবে ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে সাউথ ক্যারোলাইনাতে ব্যাটল অব ইয়র্কটাউনে মার্কিন ও ফরাসী বাহিনীর হাতে তিনি পর্যুদস্ত হন। ১৭৮৬ খ্রিষ্টাব্দে তাকে নাইট খেতাবে ভূষিত করা হয়। অত:পর তাকেঁ গভর্নর জেনারেল এবং কমান্ডার ইন চিফ নিযুক্ত করে ভারতে প্রেরণ করা হয়। তৃতীয় মহীশূর যুদ্ধে (শ্রীরঙ্গপত্তমের যুদ্ধ) বিশ্বাসঘাতকতার সুযোগে তিনি টিপু সুলতানকে পরাজিত করতে সক্ষম হন। ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি গভর্নর জেনারেল হিসাবে ব্রিটিশ ভারত শাসন করেন।

আমেরিকায় পরাজয়[সম্পাদনা]

বলা হয় তার কারণেই আমরিকা ব্রিটিশদের হাত ছাড়া হয়ে যায়। তিনি আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রাম অবদমনে সাফল্যের সঙ্গে যুদ্ধ করলেও ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে সাউথ ক্যারোলাইনাতে ব্যাটল অব ইয়র্কটাউনে মার্কিন ও ফরাসী বাহিনীর হাতে পর্যুদস্ত হন। ১৭৭৬ খ্রিষ্টাব্দে একজন মেজর জেনারেল হিসাবে তার মার্কিন ভূমিতে আগনম। তবে কয়েক বৎসরের মধ্যেই তিনি দক্ষিণের প্রধান সামরিক অধিনায়কের দায়িত্ব লাভ করেন। অধিকতর ব্রিটিশ সৈন্য আগমনে বিলম্ব হওয়ার কারণে ন্যাথনেল গ্রীনের বাহিনীর কাছে তার পরাজয় হয়।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা[সম্পাদনা]

ভারতের ভূ-মালিকানা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন লর্ড কর্নওয়ালিস। তিনি ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা প্রবর্তন করেন এবং তিনি পরগনা নিরিখ পদ্ধতি বাতিল করেন। পরগনা নিরিখ আইনের কারণে জমিদারা প্রজাদের উপর কোন প্রকার কর্তৃত্ব খাটাতে পারতেন না। পরগনা নিরিখ আইনের মাধ্যমে জমির মালিক ছিলেন সাধারণ প্রজারা। প্রদেশ শাসক এবং সিকদার (পরগনা প্রধান)

পরগনা পরিচালনায় যে কোন আইন প্রয়োগ করতেন বৃটিশরা বাংলার দেওয়ানি দখলের পর, পরগনা নিরিখ পদ্ধতি বৃটিশদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। পরগনা নিরিখ আইনটি বাতিল করে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইনটি পাস করা হয়। । এই প্রথা কার্যত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার জমি মালিকদের (সকল শ্রেণীর জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদারদের) মধ্যে সম্পাদিত একটি যুগান্তকারী চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় জমিদার ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন। জমির স্বত্বাধিকারী হওয়া ছাড়াও জমিদারগণ স্বত্বাধিকারের সুবিধার সাথে চিরস্থায়ীভাবে অপরিবর্তনীয় এক নির্ধারিত হারের রাজস্বে জমিদারিস্বত্ব লাভ করেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

লর্ড কর্নওয়ালিস ১৮০৫ খ্রিষ্টাব্দের ৫ অক্টোবর ভারতের গাজীপুরের গাউসপুরে মারা যান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Charles Cornwallis, 1st Marquess and 2nd Earl Cornwallis | British general and statesman | Britannica"www.britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]