সিন্ধু সভ্যতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১৪ নং লাইন: ১৪ নং লাইন:


== আবিষ্কার ও খননকার্য ==
== আবিষ্কার ও খননকার্য ==

১৮৪২ সালে [[চার্লস ম্যাসন]] তাঁর ''ন্যারেটিভস অফ ভেরিয়াস জার্নিস ইন বালোচিস্তান, আফগানিস্তান অ্যান্ড দ্য পাঞ্জাব'' গ্রন্থের হরপ্পার ধ্বংসাবশেষের কথা প্রথম উল্লেখ করেন। স্থানীয় অধিবাসীরা তাঁকে "তেরো ক্রোশ" দূরে একটি প্রাচীন নগরীর উপস্থিতির কথা বলেছিল। কিন্তু প্রায় শতাব্দীকাল এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রকার প্রত্নতাত্ত্বিক আগ্রহ দেখাননি।<ref name=masson>{{cite book|last=Masson|first=Charles|year=1842|title=Narrative of Various Journeys in Balochistan, Afghanistan and the Panjab; including a residence in those countries from 1826 to 1838|location=London|publisher=Richard Bentley|chapterurl=http://www.harappa.com/har/masson310.html|chapter=Chapter 2: Haripah|pages=472|quote=A long march preceded our arrival at Haripah, through jangal of the closest description.... When I joined the camp I found it in front of the village and ruinous brick castle. Behind us was a large circular mound, or eminence, and to the west was an irregular rocky height, crowned with the remains of buildings, in fragments of walls, with niches, after the eastern manner.... Tradition affirms the existence here of a city, so considerable that it extended to Chicha Watni, thirteen cosses distant, and that it was destroyed by a particular visitation of Providence, brought down by the lust and crimes of the sovereign.}} Note that the [[Kos (unit)|coss]], a measure of distance used from [[Vedic|Vedic period]] to [[Mughal era|Mughal]] times, is approximately {{convert|2|mi|km}}.</ref>
১৮৪২ সালে [[চার্লস ম্যাসন]] তাঁর ''ন্যারেটিভস অফ ভেরিয়াস জার্নিস ইন বালোচিস্তান, আফগানিস্তান অ্যান্ড দ্য পাঞ্জাব'' গ্রন্থের হরপ্পার ধ্বংসাবশেষের কথা প্রথম উল্লেখ করেন। স্থানীয় অধিবাসীরা তাঁকে "তেরো ক্রোশ" দূরে একটি প্রাচীন নগরীর উপস্থিতির কথা বলেছিল। কিন্তু প্রায় শতাব্দীকাল এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রকার প্রত্নতাত্ত্বিক আগ্রহ দেখাননি।<ref name=masson>{{cite book|last=Masson|first=Charles|year=1842|title=Narrative of Various Journeys in Balochistan, Afghanistan and the Panjab; including a residence in those countries from 1826 to 1838|location=London|publisher=Richard Bentley|chapterurl=http://www.harappa.com/har/masson310.html|chapter=Chapter 2: Haripah|pages=472|quote=A long march preceded our arrival at Haripah, through jangal of the closest description.... When I joined the camp I found it in front of the village and ruinous brick castle. Behind us was a large circular mound, or eminence, and to the west was an irregular rocky height, crowned with the remains of buildings, in fragments of walls, with niches, after the eastern manner.... Tradition affirms the existence here of a city, so considerable that it extended to Chicha Watni, thirteen cosses distant, and that it was destroyed by a particular visitation of Providence, brought down by the lust and crimes of the sovereign.}} Note that the [[Kos (unit)|coss]], a measure of distance used from [[Vedic|Vedic period]] to [[Mughal era|Mughal]] times, is approximately {{convert|2|mi|km}}.</ref>


২৪ নং লাইন: ২৩ নং লাইন:


[[ভারত বিভাগ|ভারত বিভাগের]] পর সিন্ধু সভ্যতার অধিকাংশ প্রত্নস্থল পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্গত হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তান ভূখণ্ডই ছিল এই প্রাচীন সভ্যতার মূল কেন্দ্র। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সরকারের পুরাতাত্ত্বিক উপদেষ্টা স্যার মর্টিমার হুইলার এই সব অঞ্চলে খননকার্য চালান। সিন্ধু সভ্যতার সীমান্তবর্তী প্রত্নস্থলগুলি আবিষ্কৃত হয়েছে পশ্চিমে [[বালোচিস্তান (পাকিস্তান)|বালোচিস্তানের]] [[সুকতাগান ডোর]] এবং উত্তরে আফগানিস্তানের আমুদারিয়া বা [[অক্সাস নদী|অক্সাস নদীর]] তীরে শোর্তুগাই অঞ্চলে।
[[ভারত বিভাগ|ভারত বিভাগের]] পর সিন্ধু সভ্যতার অধিকাংশ প্রত্নস্থল পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্গত হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তান ভূখণ্ডই ছিল এই প্রাচীন সভ্যতার মূল কেন্দ্র। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সরকারের পুরাতাত্ত্বিক উপদেষ্টা স্যার মর্টিমার হুইলার এই সব অঞ্চলে খননকার্য চালান। সিন্ধু সভ্যতার সীমান্তবর্তী প্রত্নস্থলগুলি আবিষ্কৃত হয়েছে পশ্চিমে [[বালোচিস্তান (পাকিস্তান)|বালোচিস্তানের]] [[সুকতাগান ডোর]] এবং উত্তরে আফগানিস্তানের আমুদারিয়া বা [[অক্সাস নদী|অক্সাস নদীর]] তীরে শোর্তুগাই অঞ্চলে।

== কালপঞ্জি ==
{{main|সিন্ধু সভ্যতার পর্ববিভাজন}}
হরপ্পা সভ্যতার পূর্ণবর্ধিত সময়কাল ২৬০০ থেকে ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। সিন্ধু সভ্যতার পূর্বসূরি আদি হরপ্পা সভ্যতা ও উত্তরসূরি পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতার সময়কাল মিলিয়ে এই সভ্যতার পূর্ণ বিস্তারকাল খ্রিষ্টপূর্ব তেত্রিশ শতাব্দী থেকে খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়। সিন্ধু সভ্যতার পর্ববিভাজনের ক্ষেত্রে যে দুটি শব্দ ব্যবহৃত হয় সেগুলি হল ''পর্ব'' ও ''যুগ''।<ref>{{cite journal|last=Kenoyer|first=Jonathan Mark|title=The Indus Valley tradition of Pakistan and Western India|journal=Journal of World Prehistory|year=1991|volume=5|pages=1–64|doi=10.1007/BF00978474}}</ref><ref>{{Harvnb|Shaffer|1992|loc=I:441-464, II:425-446.}}</ref> আদি হরপ্পা সভ্যতা, পূর্ণবর্ধিত হরপ্পা সভ্যতা ও পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতাকে যথাক্রমে আঞ্চলিকীকরণ, সংহতি ও স্থানীয়ভবন যুগও বলা হয়ে থাকে। আঞ্চলিকীকরণ যুগের সূচনা নিওলিথিক [[মেহেরগড়]] ২ সময়কাল থেকে। [[ইসলামাবাদ|ইসলামাবাদের]] [[কায়েদ-এ-আজম বিশ্ববিদ্যালয়|কায়েদ-এ-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[আহমদ হাসান দানি|আহমদ হাসান দানির]] মতে, "মেহেরগড়ের আবিষ্কার সিন্ধু সভ্যতা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ ধারণাটিই পরিবর্তিত করেছে। এর ফলে আমরা একেবারে গ্রামীন জীবনযাপনের সূচনালগ্ন থেকে সমগ্র সভ্যতাটির একটি পূর্ণ চিত্র প্রাপ্ত হয়েছি।"<ref>{{cite journal|last=Chandler|first=Graham|year=1999|month=September/October|url=http://www.saudiaramcoworld.com/issue/199905/traders.of.the.plain.htm|title=Traders of the Plain|journal=Saudi Aramco World|pages=34–42}}</ref>

{|class="wikitable"
|-
|''আনুমানিক তারিখ''
|''পর্ব''
|''যুগ''
|-
|৭০০০ – ৫০০০ খ্রি.পূ.
|[[মেহেরগড়|মেহেরগড় এক]] (অ্যাসেরামিক নিওলিথিক)
!rowspan=1 |আদি খাদ্য উৎপাদন যুগ
|-
|৫৫০০ – ৩৩০০ খ্রি.পূ.
|মেহেরগড় দুই - ছয় (সেরামিক নিওলিথিক)
!rowspan=4 |আঞ্চলিকীকরণ যুগ<br/> ৫৫০০ – ২৬০০ খ্রি.পূ.
|-
!৩৩০০ – ২৬০০ খ্রি.পূ.
!আদি হরপ্পা
|-
|৩৩০০ – ২৮০০ খ্রি.পূ.
|হরপ্পা ১ (ইরাবতী পর্ব)
|-
| ২৮০০ – ২৬০০ খ্রি.পূ.
|হরপ্পা ২ (কোট দিজি পর্ব, নৌশারো এক, মেহেরগড় সাত)
|-
! ২৬০০ – ১৯০০ খ্রি.পূ.
!পূর্ণবর্ধিত হরপ্পা (সিন্ধু সভ্যতা)
!rowspan=4 |সংহতি যুগ
|-
|২৬০০ – ২৪৫০ খ্রি.পূ.
|হরপ্পা ৩-ক (নৌশারো দুই)
|-
|২৪৫০ – ২২০০ খ্রি.পূ.
|হরপ্পা ৩-খ
|-
|২২০০ – ১৯০০ খ্রি.পূ.
|হরপ্পা ৩-গ
|-
!১৯০০ – ১৩০০ খ্রি.পূ.
!পরবর্তী হরপ্পা ([[সমাধিক্ষেত্র ঝ]]); [[হলুদে-বাদামি রঙের মৃৎশিল্প সংস্কৃতি|হলদে-বাদামি রঙের মৃৎশিল্প]]
!rowspan=3 |Localisation Era
|-
| ১৯০০ – ১৭০০ খ্রি.পূ.
| হরপ্পা ৪
|-
| ১৭০০ – ১৩০০ খ্রি.পূ.
| হরপ্পা ৫
|-
| ১৩০০ - ৩০০
|[[চিত্রিত ধূসর বস্তু]], [[উত্তরাঞ্চলীয় কালো পালিশকৃত বস্তু]] (লৌহযুগ)
|[[সিন্ধু-গাঙ্গেয় সভ্যতা]]
|}


== সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ ==
== সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ ==

১৫:৫৩, ২৯ আগস্ট ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সিন্ধু সভ্যতার বিস্তার

সিন্ধু সভ্যতা ছিল একটি ব্রোঞ্জ যুগীয় সভ্যতা (৩৩০০ – ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ; পূর্ণবর্ধিত কাল ২৬০০ – ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ)। এই সভ্যতার কেন্দ্র ছিল মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের[১] পশ্চিমাঞ্চলে[২][৩] অবস্থিত সিন্ধু নদ অববাহিকা।[n ১] প্রথম দিকে এই সভ্যতা পাঞ্জাব অঞ্চলের সিন্ধু অববাহিকায় বিকাশ লাভ করে। পরে তা প্রসারিত হয় ঘগ্গর-ভাকরা নদী উপত্যকা[৭]গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চল পর্যন্ত।[৮][৯] বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমদিকের রাজ্যগুলি, দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তান এবং ইরানের বালোচিস্তান প্রদেশের পূর্ব অংশ এই সভ্যতার অন্তর্গত ছিল।

পূর্ণবর্ধিত সময়কালে এই সভ্যতা হরপ্পা সভ্যতা নামে পরিচিত। হরপ্পা ছিল এই সভ্যতার প্রথম আবিষ্কৃত শহরগুলির অন্যতম। ১৯২০-এর দশকে তদনীন্তন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে এই শহরটি আবিষ্কৃত হয়।[১০] ১৯২০ সাল থেকে সিন্ধু সভ্যতার প্রত্নস্থলগুলিতে খননকার্য চলছে। ১৯৯৯ সালেও এই সভ্যতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নসামগ্রী ও আবিষ্কৃত হয়েছে।[১১] ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান মহেঞ্জোদাড়ো সিন্ধু সভ্যতার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

হরপ্পা ভাষা প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণিত হয়নি এবং এই ভাষার উৎস অজ্ঞাত। যদিও ইরাবতম মহাদেবন, অস্কো পারপোলা, এফ জি বি কুইপারমাইকেল উইটজেল প্রমুখ বিশেষজ্ঞেরা এই ভাষার সঙ্গে প্রোটো-দ্রাবিড়ীয়, এলামো-দ্রাবিড়ীয় বা প্যারা-মুন্ডা সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন।

আবিষ্কার ও খননকার্য

১৮৪২ সালে চার্লস ম্যাসন তাঁর ন্যারেটিভস অফ ভেরিয়াস জার্নিস ইন বালোচিস্তান, আফগানিস্তান অ্যান্ড দ্য পাঞ্জাব গ্রন্থের হরপ্পার ধ্বংসাবশেষের কথা প্রথম উল্লেখ করেন। স্থানীয় অধিবাসীরা তাঁকে "তেরো ক্রোশ" দূরে একটি প্রাচীন নগরীর উপস্থিতির কথা বলেছিল। কিন্তু প্রায় শতাব্দীকাল এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রকার প্রত্নতাত্ত্বিক আগ্রহ দেখাননি।[১২]

১৮৫৬ সালে ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার জন ও উইলিয়াম ব্রান্টন করাচিলাহোরের মধ্যে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানি লাইন স্থাপনের দায়িত্ব পান। জন লিখেছেন: "রেললাইন স্থাপনের জন্য উপযুক্ত ব্যালাস্ট কোথা থেকে পাওয়া যায়, সেই ভেবে আমি খুবই চিন্তিত ছিলাম।" তাঁদের বলা হয় যে, লাইনের নিকট ব্রাহ্মণাবাদ নামে এক প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। সেই শহরে এসে তাঁরা শক্ত ও ভালভাবে পোড়ানো ইঁটের সন্ধান পান এবং নিশ্চিত এই ভেবে যে "ব্যালাস্টের একটি উপযুক্ত উৎস পাওয়া গেছে।" ব্রাহ্মণাবাদ শহর এই ভাবে ব্যালাস্টে পরিণত হয়।[১৩] কয়েক মাস পরে, আরও উত্তরে জনের ভাই উইলিয়াম ব্রান্টনের কর্মস্থলে "লাইনের অংশে অপর একটি শহরের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। এই ধ্বংসাবশেষের ইঁট নিকটবর্তী হরপ্পা গ্রামের অধিবাসীরাও ব্যবহার করত। এই ইঁটেরই ব্যালাস্টে তৈরি হয় লাহোর থেকে করাচি পর্যন্ত ৯৩ মাইল (১৫০ কিলোমিটার) দৈর্ঘ্যের রেলপথ।"[১৩]

মহেঞ্জোদাড়োয় খননকার্যের ফলে আবিষ্কৃত প্রত্নস্থল, সম্মুখে মহাস্নানাগার

১৮৭২-৭৫ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম প্রথম হরপ্পা সিলমোহর প্রকাশ করেন। তিনি ভুলবশত এটি ব্রাহ্মী লিপি মনে করেছিলেন।[১৪] এর প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে ১৯১২ সালে জে. ফ্লিট আরও কতকগুলি হরপ্পা সিলমোহর আবিষ্কার করেন। এই সিলমোহর দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯২১-২২ সালে স্যার জন মার্শাল এই অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য অভিযান চালান। এই অভিযানের ফলস্রুতিতেই স্যার জন মার্শাল, রায়বাহাদুর দয়ারাম সাহানি ও মাধোস্বরূপ ভাট হরপ্পা এবং রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ই. জে. এইচ. ম্যাককি ও স্যার জন মার্শাল মহেঞ্জোদাড়ো আবিষ্কার করেন। ১৯৩১ সালের মধ্যেই মহেঞ্জোদাড়োর অধিকাংশ প্রত্নস্থল আবিষ্কৃত হয়ে গিয়েছিল। তৎসত্ত্বেও খননকার্য অব্যাহত থাকে। এরপর ১৯৪৪ সালে ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের তদনীন্তন ডিরেক্টর স্যার মর্টিমার হুইলারের নেতৃত্বে অপর একটি দল এই অঞ্চলে খননকার্য চালায়। ১৯৪৭ সালের পূর্বে আহমেদ হাসান দানি, ব্রিজবাসী লাল, ননীগোপাল মজুমদার, স্যার মার্ক অরেল স্টেইন প্রমুখ এই অঞ্চলে খননকার্যে অংশ নিয়েছিলেন।

ভারত বিভাগের পর সিন্ধু সভ্যতার অধিকাংশ প্রত্নস্থল পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্গত হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তান ভূখণ্ডই ছিল এই প্রাচীন সভ্যতার মূল কেন্দ্র। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সরকারের পুরাতাত্ত্বিক উপদেষ্টা স্যার মর্টিমার হুইলার এই সব অঞ্চলে খননকার্য চালান। সিন্ধু সভ্যতার সীমান্তবর্তী প্রত্নস্থলগুলি আবিষ্কৃত হয়েছে পশ্চিমে বালোচিস্তানের সুকতাগান ডোর এবং উত্তরে আফগানিস্তানের আমুদারিয়া বা অক্সাস নদীর তীরে শোর্তুগাই অঞ্চলে।

কালপঞ্জি

হরপ্পা সভ্যতার পূর্ণবর্ধিত সময়কাল ২৬০০ থেকে ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। সিন্ধু সভ্যতার পূর্বসূরি আদি হরপ্পা সভ্যতা ও উত্তরসূরি পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতার সময়কাল মিলিয়ে এই সভ্যতার পূর্ণ বিস্তারকাল খ্রিষ্টপূর্ব তেত্রিশ শতাব্দী থেকে খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়। সিন্ধু সভ্যতার পর্ববিভাজনের ক্ষেত্রে যে দুটি শব্দ ব্যবহৃত হয় সেগুলি হল পর্বযুগ[১৫][১৬] আদি হরপ্পা সভ্যতা, পূর্ণবর্ধিত হরপ্পা সভ্যতা ও পরবর্তী হরপ্পা সভ্যতাকে যথাক্রমে আঞ্চলিকীকরণ, সংহতি ও স্থানীয়ভবন যুগও বলা হয়ে থাকে। আঞ্চলিকীকরণ যুগের সূচনা নিওলিথিক মেহেরগড় ২ সময়কাল থেকে। ইসলামাবাদের কায়েদ-এ-আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহমদ হাসান দানির মতে, "মেহেরগড়ের আবিষ্কার সিন্ধু সভ্যতা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ ধারণাটিই পরিবর্তিত করেছে। এর ফলে আমরা একেবারে গ্রামীন জীবনযাপনের সূচনালগ্ন থেকে সমগ্র সভ্যতাটির একটি পূর্ণ চিত্র প্রাপ্ত হয়েছি।"[১৭]

আনুমানিক তারিখ পর্ব যুগ
৭০০০ – ৫০০০ খ্রি.পূ. মেহেরগড় এক (অ্যাসেরামিক নিওলিথিক) আদি খাদ্য উৎপাদন যুগ
৫৫০০ – ৩৩০০ খ্রি.পূ. মেহেরগড় দুই - ছয় (সেরামিক নিওলিথিক) আঞ্চলিকীকরণ যুগ
৫৫০০ – ২৬০০ খ্রি.পূ.
৩৩০০ – ২৬০০ খ্রি.পূ. আদি হরপ্পা
৩৩০০ – ২৮০০ খ্রি.পূ. হরপ্পা ১ (ইরাবতী পর্ব)
২৮০০ – ২৬০০ খ্রি.পূ. হরপ্পা ২ (কোট দিজি পর্ব, নৌশারো এক, মেহেরগড় সাত)
২৬০০ – ১৯০০ খ্রি.পূ. পূর্ণবর্ধিত হরপ্পা (সিন্ধু সভ্যতা) সংহতি যুগ
২৬০০ – ২৪৫০ খ্রি.পূ. হরপ্পা ৩-ক (নৌশারো দুই)
২৪৫০ – ২২০০ খ্রি.পূ. হরপ্পা ৩-খ
২২০০ – ১৯০০ খ্রি.পূ. হরপ্পা ৩-গ
১৯০০ – ১৩০০ খ্রি.পূ. পরবর্তী হরপ্পা (সমাধিক্ষেত্র ঝ); হলদে-বাদামি রঙের মৃৎশিল্প Localisation Era
১৯০০ – ১৭০০ খ্রি.পূ. হরপ্পা ৪
১৭০০ – ১৩০০ খ্রি.পূ. হরপ্পা ৫
১৩০০ - ৩০০ চিত্রিত ধূসর বস্তু, উত্তরাঞ্চলীয় কালো পালিশকৃত বস্তু (লৌহযুগ) সিন্ধু-গাঙ্গেয় সভ্যতা

সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ

পাকিস্তানের পশ্চিম পাঞ্জাবে সাহিওয়াল জেলায় অবস্থিত হরপ্পা দীর্ঘকাল যাবৎ রবি নদীর তীরবর্তী তার বিস্তৃত এলাকার কারণে প্রত্নবিদদের অত্যন্ত পরিচিত ছিলো। কিন্তু ১৯২২ সালে রাখাল দাস ব্যানার্জী সিন্ধের লারখানা জেলায়, সিন্ধু নদের তীরভূমির নিকটে মহেঞ্জোদড়ো আবিষ্কার করার পূর্বে, মহান এক প্রাচীন সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে হরপ্পার প্রকৃত তাৎপর্য সকলের অজ্ঞাত, অস্বীকৃত ছিলো। [১৮] আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার তদানীন্তন প্রধান অধিকর্তা স্যার জন মার্শাল হরপ্পা এবং মহেঞ্জোদড়োর আবিস্কৃত সংস্কৃতির পরিচয়ে সিন্ধু সভ্যতা নামকরণ করেন। দুদিক থেকেই নামটি সুপ্রযুক্ত। কেননা, সিন্ধু নামের মধ্যে এর ভৌগলিক অবস্থান এবং সভ্যতা শব্দটিতে নগর অস্তিত্বের আভাস রয়েছে। স্বাধীনতার পরে, অন্যেরা হরপ্পাকে এর আদর্শ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে, হরপ্পা বা পরিণত হরপ্পা নামে নামকরণ করেন।

চিত্র:Thesignofshindhu.jpg
মহেঞ্জোদড়োর উপরোথিত কূপ (ছবিটি নৃবিজ্ঞানী এম. জানসেনের সৌজন্যে)

হরপ্পা এবং মহেঞ্জোদড়োর কতোগুলো মৌলিক সাংস্কৃতিক চিহ্ন রয়েছে। পরবর্তীকালে অন্যান্য যেসব লোকালয় আবিস্কৃত হয়েছে, তারা ঐ সিন্ধু সভ্যতার অন্তর্গত কিনা, সেটি ঐ চিহ্নের সংকেতে শনাক্ত করা যায়। [১৯] নির্ণায়ক বৈশিস্টহুলি নিচে তালিকাভুক্ত করা হলো

১। কুম্ভকারের চাকে প্রস্তুত বিভিন্ন মৃৎপাত্র: লাল পোড়ামাটিতে প্রস্তুত, স্থূল প্রাচীরযুক্ত ভারি, কখনো কখনো লাল রঙের প্রলেপ দেয়া। কয়েকটি পাত্র কালো রঙ করা; মৃৎপাত্রের গায়ে নির্দিষ্ট ধরনের কিছু জনপ্রিয় নকশা: যেমন, পিপুল পাতা, পরস্পরছেদী বৃত্ত এবং ময়ূর। [২০]

২। সিন্ধুলিপি, বিশেষভাবে সীলমোহরে দৃষ্ট, বিশিস্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, স্থানিক ভিন্নতার প্রভাবমুক্ত। [২১]

৩। পোড়ানো ইট, সেইসঙ্গে রোদে পোড়া কাদামাটির ইট, আয়তন, ত্রিমাত্রিক অনুপাত ১:২:৪। [২২]

৪। ১৩.৬৩ গ্রাম এককের ভিত্তিতে আপাতভাবে আদর্শ ভর। [২৩]

৫। শহর ও শহরতলীর জনবসতিতে সোজা পথ তৈরির প্রবণতা (রাস্তাগুলো পরস্পরকে সমকোণে ছেদ করেছে) এবং নিকাশী ব্যবস্থায় বেশি মনোযোগ। এছাড়াও শহর সংলগ্ন এবং পৃথক স্থানে নগরদূর্গ নির্মাণ। [২৪]

স্বাভাবিক ভাবেই উপরের সব কয়টি বৈশিষ্ট্য প্রতিটি জনপদে দেখা যাবে এমন আশা করা যায় না। বিশেষত ক্ষুদ্র জনবসতির ক্ষেত্রে, কিংবা যেখানে কোনো খননকার্য হয়নি সেখানে তো নয়ই। সিন্ধু সভ্যতার অন্তর্গত জনবসতিগুলো পাকিস্তানের সমতলভূমিতে এবং বেলুচিস্তানে, ভারতের অন্তর্গত পাঞ্জাব প্রদেশে, হারিয়ানায়, উত্তর পশ্চিমে উত্তরপ্রদেশে, উত্তর রাজস্থান এবং গুজরাটে আবিস্কৃত হয়েছে। [২৫]

সিন্ধু সভ্যতার বিস্তার এবং জনসংখ্যা

চিত্র:Mapofshindhu.png
সিন্ধু সভ্যতা

আধুনিক আঞ্চলিক সীমারেখার সংজ্ঞায়, সিন্ধু সভ্যতা পাঞ্জাবের অধিকাংশ অঞ্চল (ভারতীয় প্রজাতন্ত্র এবং পাকিস্তান উভয় দেশের), হারিয়ানা, উত্তর রাজস্থান এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশ, সিন্ধু, গুজরাটের অধিকাংশ এবং উত্তর পূর্ব এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের কয়েকটি স্থানে বিস্তৃত ছিলো। বাস্তব অপরিহার্যতায় এটি ছিলো সমতলের সংস্কৃতি। মান্ডা (জম্মু ও কাশ্মীর) এবং রূপার ও চণ্ডীগড়ে (পাঞ্জাব)এর ক্ষেত্র দ্বারা চিহ্নিত নিন্ম হিমালয়ের পাদদেশ রেখা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো, কিন্তু কখনোই ঐ সীমা অতিক্রম করেনি। উত্তর পশ্চিম পাঞ্জাবের লবণাক্ত অঞ্চলে কিংবা সিন্ধু এলাকা অতিক্রম করে উত্তর পশ্চিম সীমান্তবর্তী প্রদেশের সিন্ধু-উত্তর পর্বতমালায়, যেখানে কোটদিজি সংস্কৃতি পুষ্ট এবং বর্ধিত হয়েছে, সেখানে সিন্ধু সভ্যতার কোনো একটি অঞ্চলেরও সন্ধান মেলেনি। উত্তর পূর্ব বেলুচিস্তানে সুলাইমান অঞ্চলের ঝোব উপত্যকায় অবস্থিত পেরিয়ানো ঘুন্দাইকে সীমান্তবর্তী একটি বিছিন্ন স্থান বলে মনে হয়। কিন্তু মালভূমি প্রাচীরের ঠিক উচুতে দাবারকোট সহ বোলান গিরিপথের নিচে বেলুচিস্তানের পাহাড় অতিক্রম করে ইরান- পাকিস্তানের সীমানার নিকটে দাশত নদীর তীরবর্তী সুতকাজেন ডোর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। পরিণত সিন্ধু সভ্যতার স্মৃতিচিহ্নে সমৃদ্ধ ছিলো কচ্ছ্ব; আর গুজরাটের নাগেশ্বর অঞ্চল।[২৬] এ বিশাল অঞ্চলে (প্রায় ৭,০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার) কতো লোক বসবাস করতো, নানাভাবে তার সংখ্যার হিসেব করা হয়েছে আর সেই হিসেব ১০ লক্ষে পৌছেছে। এদের মাঝামাঝি কোনো সংখ্যা ধরে নেয়াটাই ভালো।[২৭] তবে অন্য একটি হিসেবও পাওয়া গেছে। সিন্ধু অঞ্চলের জনসংখ্যা ৪০ লক্ষে পৌছোয়, অর্থাৎ প্রতিবর্গ কিলোমিটারে ছয় জন মানুষ।[২৮]

কৃষি ও জীবিকা

চিত্র:Shinduusage1.jpg
পোড়ামাটির লাঙল, বানাওয়ালি (আর. এস. বিশটের সৌজন্যে)
চিত্র:Shindhucua.jpg
বিশাল স্নানাগারের কূপ, মহেঞ্জোদড়ো। (এম. জানসনের সৌজন্যে)
চিত্র:Shinduusage2.jpg
মহেঞ্জোদড়োর সীলে ষাড় (ইউ. ফ্রাঙ্ক-ভোগতের সৌজন্যে), সীলে উল্টোমুখী ছাপ
চিত্র:Shinduusage3.jpg
শিকারীর হাতে জলহস্তী নিধন: ছাচে ঢালা কাদামাটির ফলক, (জে এম কেনোয়ারের সৌজন্যে)

একথা অনস্বীকার্য যে, নাগরিক বিপ্লবের জন্য কৃষি উৎপাদনের পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রসারণ প্রয়োজন। সিন্ধু উপত্যকায় কোনো বিশেষ কারণ ছিলো, যা এ ধরনের প্রসারে অভূতপূর্ব সহযোগিতা করোছিলো। বলা হয় যে, খ্রিস্টপূর্ব ৫৫১০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২২৩০, এ সময়কালে আজকের তুলনায় অত্যন্ত বেশি বৃষি্টপাত হওয়ায়, সে অঞ্চলে দীর্ঘকাল আর্দ্র পর্ব স্থায়ী হয়েছিলো। পরিবেশের এ সহায়তার কারণে সিন্ধু উপত্যকায় পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ের তুলনায় সে সময়ে অনেক বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছিলো। তবে কৃষিক্ষেত্রে সিন্ধু সভ্যতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটায়, ওই সময়কার কৃষি হাতিয়ার। প্রাচীন সিন্ধু সংস্কৃতির সময়কালে লাঙলের উপস্থিতিই তার একমাত্র প্রমাণ নয়, বরং বানাওয়ালি এবং জাওয়াইওয়ালায় (বাহাওয়ালপুর) কাদামাটির লাঙল আবিষ্কারও একই সূত্রে গৎথা। উত্তরপূর্ব আফগানিস্তানে শোরতুঘাই এর সিন্ধু জনবসতিতে লাঙল-কর্ষিত ভূক্ষেত্র পাওয়া গেছে। লাঙল আসার পরে উৎপাদন ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হলেও, ফসল কাটার জন্য তেমন কোনো যন্ত্রপাতি সেসময়ের ইতিহাস থেকে জানা যায় না।[২৯]

ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে সঞ্চিত ভৌমজলকে যেসব প্রাচীন সভ্যতায় কূপের সাহায্যে সংরক্ষিত করা হতো, তাদের মধ্যে প্রথম যে সভ্যতার সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে, তা হলো সিন্ধু সভ্যতা। গ্রামেও যে কাচা ইদারা খনন করা হতো, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই। আর আল্লাহডিনো (করাচীর নিকটে)তে উচ্চতর ভূমিতে নির্মিত এক পাথরে বাধানো কূপও রয়েছে। সম্ভবত নিচের ভূক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এটি উচুতে স্থাপন করা হয়েছে। তবে সেখানে পুলি ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।

প্রাচীন এবং পরিণত সিন্ধু এলাকাসমূহে খেজুর, বদরী (ber), আঙুর এবং আনারস উৎপাদিত হবার প্রমাণ (বীজের স্বাক্ষ্য) পাওয়া গেছে। প্রথম দুটি মেহরগড়ের প্রাচীনতম বসতিস্তরে পাওয়া গেছে। পরের দুটি হেলমন্দ উপত্যকায় উৎপাদিত হতো। আবিস্কৃত প্রাণী অস্থির মধ্যে "জেবু"র সন্তানসন্ততিদের হাড়ের সংখ্যা অত্যাধিক। বলদ গাড়ি এবং লাঙল টানতো এবং গরু দুধ দিতো, এতেই বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে সিন্ধু এলাকার মানুষজনের জীবনযাত্রার স্বর্ণইতিহাস। এছাড়া সিন্ধু এলাকার জনগণের অন্যতম পেশা ছিলো শিকার। সিন্ধু সীল মোহর দেখে একটি বিষয় বলা যায় যে, বন্য এবং হিংস্র পশুর মোকাবেলা করা তখনকার সময়ের মানুষদের মধ্যে একটি অন্যতম বিষয় হিসেবে প্রতিভাত হয়।

তথ্যসূত্র

  1. http://www.harappa.com/har/indus-saraswati.html
  2. http://uk.encarta.msn.com/encyclopedia_761556839/indus_valley_civilization.html
  3. http://www.mohenjodaro.net/mohenjodaroessay.html
  4. Ching, Francis D. K. (২০০৬)। A Global History of Architecture। Hoboken, N.J.: J. Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 28–32। আইএসবিএন 0471268925  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  5. McIntosh 2001, পৃ. 24।
  6. Ratnagar, Shereen (২০০৬)। Trading Encounters: From the Euphrates to the Indus in the Bronze Age। Oxford University Press, India। আইএসবিএন 019568088X 
  7. Possehl, G. L. (১৯৯০)। "Revolution in the Urban Revolution: The Emergence of Indus Urbanization"Annual Review of Anthropology19: 261–282। ডিওআই:10.1146/annurev.an.19.100190.001401। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৫-০৬  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)See map on page 263
  8. Indian Archaeology, A Review. 1958-1959. Excavations at Alamgirpur. Delhi: Archaeol. Surv. India, pp. 51–52.
  9. Leshnik, Lawrence S. (১৯৬৮)। "The Harappan "Port" at Lothal: Another View"American Anthropologist, New Series,70 (5): 911–922। ডিওআই:10.1525/aa.1968.70.5.02a00070। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৫-০৬  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  10. Beck, Roger B. (১৯৯৯)। World History: Patterns of Interaction। Evanston, IL: McDougal Littell। আইএসবিএন 0-395-87274-X  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  11. "'Earliest writing' found"। BBC News। ১৯৯৯-০৫-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-০৫ 
  12. Masson, Charles (১৮৪২)। "Chapter 2: Haripah"Narrative of Various Journeys in Balochistan, Afghanistan and the Panjab; including a residence in those countries from 1826 to 1838। London: Richard Bentley। পৃষ্ঠা 472। A long march preceded our arrival at Haripah, through jangal of the closest description.... When I joined the camp I found it in front of the village and ruinous brick castle. Behind us was a large circular mound, or eminence, and to the west was an irregular rocky height, crowned with the remains of buildings, in fragments of walls, with niches, after the eastern manner.... Tradition affirms the existence here of a city, so considerable that it extended to Chicha Watni, thirteen cosses distant, and that it was destroyed by a particular visitation of Providence, brought down by the lust and crimes of the sovereign.  Note that the coss, a measure of distance used from Vedic period to Mughal times, is approximately ২ মাইল (৩.২ কিমি).
  13. Davreau, Robert (১৯৭৬)। "Indus Valley"। Reader's Digest। World's Last Mysteries 
  14. Cunningham, A., 1875. Archaeological Survey of India, Report for the Year 1872-73, 5: 105-8 and pl. 32-3. Calcutta: Archaeological Survey of India.
  15. Kenoyer, Jonathan Mark (১৯৯১)। "The Indus Valley tradition of Pakistan and Western India"। Journal of World Prehistory5: 1–64। ডিওআই:10.1007/BF00978474 
  16. Shaffer 1992, I:441-464, II:425-446.
  17. Chandler, Graham (১৯৯৯)। "Traders of the Plain"Saudi Aramco World: 34–42।  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  18. John Marshal (ed) Mohenjodaro And The Indus- Valley Civilization, London, 1931, Page: 112
  19. Wallbank and Taylor, Cililization- Past & Present, Page: 118
  20. The Entire Racial History of India Is Obscure, IBID, Page: 85
  21. রামশরণ শর্মা, প্রাচীন ভারত (পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, কোলকাতা, ১৯৮৯), পৃষ্ঠা: ২৬-২৭
  22. R.C.Majumder, History of Ancient Bengal, Calcutta, 1974, Pagr: 17-18
  23. আনিসুজ্জামান, স্বরূপের সন্ধানে (জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী, ঢাকা, ১৯৭৬), পৃষ্ঠা: ২৫
  24. Gordon Child, Man Makes Himself, London, 1936, Chapter: 7
  25. অতুল সুর, বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, কোলকাতা, ১৯৭৭, পৃষ্ঠা: ২৫
  26. অতুল সুর, বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, কোলকাতা, ১৯৭৭, পৃষ্ঠা: ১২৮-১২৯
  27. Posehoole, The Indus Age: The Beginnings, Volume:2, Page: 1001
  28. Martima Huiller, Archaeology From The Earth, Oxford, 1954, Page: 669
  29. Devid R. Harish, The Origins and Spread of Agriculture and Pastoralism in Eurasia, London, 1996, Page: 332-346

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Link FA
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "n" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="n"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি