হোমিওপ্যাথি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
৫০ নং লাইন: | ৫০ নং লাইন: | ||
== প্রমাণ এবং ফলপ্রসূতা == |
== প্রমাণ এবং ফলপ্রসূতা == |
||
[[বিকল্প ঔষধ|বিকল্পধারার চিকিৎসক]] সম্প্রদায়ের বাইরে, প্রচলিতধারার চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে হোমিওপ্যাথিকে একটি মিথ্যা <ref name="aaci2">{{cite journal|last1=Caulfield|first1=Timothy|last2=Rachul|first2=Christen|year=2011|title=Supported by science?: What Canadian naturopaths advertise to the public|journal=Allergy, Asthma & Clinical Immunology|volume=7|pages=14|doi=10.1186/1710-1492-7-14|pmc=3182944|pmid=21920039|quote=Within the non-CAM scientific community, homeopathy has long been viewed as a sham|author-link1=Timothy Caulfield}}</ref> বা একটি [[ছদ্মবিজ্ঞান]], এবং তারা এটিকে [[হাতুড়ে চিকিৎসা]] হিসেবে বিবেচনা করে। <ref name="Baran20142" /> এছাড়াও এটিতে থেরাপিউটিক কার্যকারিতার সাফল্যপূর্ণ পরিসংখ্যানগত প্রমাণের অনুপস্থিতি রয়েছে, এবং জৈবিকভাবে প্রশংসনীয় [[ফার্মাকোলজি]]কাল এজেন্ট বা পদ্ধতির অভাব রয়েছে। <ref name="pmid124926032"/> তবে প্রবক্তারা যুক্তি দেন যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি অবশ্যই কিছুর দ্বারা কাজ করে, যা এখনও অনির্ধারিত, একটি [[বায়োফিজিক্যাল মেকানিজম]]। অহোমিওপ্যাথিকগন এটিকে [[প্লাসিবো|উপশমদায়ক]] ছাড়া আলাদা কিছু বলে দেখান না। <ref name="pmid124926032"/> |
|||
=== অনুভূত প্রভাব ব্যাখ্যা === |
|||
অকার্যকর হওয়া সত্ত্বেও হোমিওপ্যাথি কিভাবে রোগ নিরাময় করতে পারে কিংবা লক্ষণ উপশম করতে পারে, তার কারণ হিসেবে বিজ্ঞান যা বলে <ref name=Shelton/>{{rp|155–167|date=November 2012}} |
|||
* [[প্লাসিবো|প্লেসবো প্রভাব]] |
|||
* আলোচনা এর চিকিৎসাগত প্রভাব |
|||
* প্রাকৃতিক নিরাময় |
|||
* অস্বীকৃত চিকিৎসা |
|||
* নন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা |
|||
==হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা ব্যবস্থা== |
==হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা ব্যবস্থা== |
১৭:৫৮, ২ অক্টোবর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বিকল্প ঔষধ | |
---|---|
সদৃশবিধান | |
উচ্চারণ | |
দাবি | "সদৃশ সদৃশকে আরোগ্য করবে", সূক্ষ্ম করলে শক্তি বৃদ্ধি হয়, রোগের কারন হলো মায়াজম। |
সম্পর্কিত ক্ষেত্র | বিকল্প ঔষধ |
প্রস্তাবিত বছর | ১৭৯৬ |
Original proponents | স্যামুয়েল হ্যানিম্যান |
Subsequent proponents | জেমস টাইলার কেন্ট, রয়েল এস. কোপল্যান্ড, জর্জ ভিথোলক্যাস |
হোমিওপ্যাথি হল একটি ছদ্মবৈজ্ঞানিক[১][২][৩][৪] বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি ১৭৯৬ সালে জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান আবিষ্কার করেন। হোমিওপ্যাথ নামে পরিচিত এর চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে পদার্থ সুস্থ মানুষের মধ্যে একটি রোগের উপসর্গ সৃষ্টি করে সেই একই পদার্থ অসুস্থ মানুষের মধ্যে একই ধরনের উপসর্গ নিরাময় করতে পারে; এই মতবাদকে বলা হয় সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার, বা "সদৃশ সদৃশকে আরোগ্য করে"। [৫] হোমিওপ্যাথিক ঔষধকে রেমিডি বলা হয় এবং হোমিওপ্যাথিক ডায়োলেশন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায়, নির্বাচিত পদার্থ বারবার মিশ্রিত করা হয় যতক্ষণ না চূড়ান্ত পণ্যটি রাসায়নিকভাবে দ্রবণীয় থেকে আলাদা হয়। প্রায়শই মূল পদার্থের একটি অণুও পণ্যটিতে থাকার আশা করা যায় না। [৬] প্রতিটি ডায়োলেশনে হোমিওপ্যাথ ঔষধটিকে আঘাত করতে পারে অথবা ঝাঁকি দিতে পারে, এই দাবী করে যে পাতলা পদার্থটি অপসারণের পরে মূল পদার্থটি মনে রাখে। চিকিৎসকরা দাবি করেন যে এই ধরনের প্রস্তুতকৃত ঔষধ, রোগীকে খাওয়ার পরে, রোগের চিকিৎসা বা নিরাময় করতে পারে। [৭]
হ্যানিম্যান বিশ্বাস করতেন সকল অসুখের মূলে রয়েছে "মিয়াসম" নামক একধরনের প্রতিক্রিয়া এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এই মিয়াসম দূর করার জন্য কার্যকর। সাধারণত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করার জন্য একটি নির্দিষ্ট দ্রব্যকে ক্রমাগত লঘুকরণ করা হয় অ্যালকোহল অথবা পতিত জলে দ্রবীভূত করে। এই লঘুকরণ এতবার করা হয়ে থাকে যে শেষপর্যন্ত এই মিশ্রণে প্রাথমিক দ্রব্যের অণু পরিমাণও অবশিষ্ট থাকে না।[৮]
ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জৈবরসায়ন এবং জীববিজ্ঞান সম্পর্কে যে সকল প্রাসঙ্গিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অর্জিত হয়েছে তা হোমিওপ্যাথির বিপরীত।
ইতিহাস
ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ
হ্যানিম্যান আঠারো শতকের শেষের দিকে মূলধারার ঔষধগুলো অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য হিসাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন [৯] কারণ এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অকার্যকর এবং প্রায়শই ক্ষতিকারক ছিল। [১০] তিনি কম মাত্রায় একক ওষুধের ব্যবহারের পক্ষে ছিলেন এবং জীবিত প্রাণীরা কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে একটি নিরপেক্ষ, প্রাণবন্ত দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করেছিলেন। [১১] চিকিৎসা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের ফলাফলটি মূলধারার ঔষধের চেয়ে সাধারণত হোমিওপ্যাথির শুরু হওয়ার সময় প্রচলিত ছিল।
হ্যানিম্যানের ধারণা
"হোমিওপ্যাথি" শব্দটি হ্যানিম্যান তৈরি করেছিলেন এবং ১৮০৭ সালে প্রথম মুদ্রণে প্রকাশিত হয়েছিল।[১২]
স্কটিশ চিকিৎসক এবং রসায়নবিদ উইলিয়াম কুলেনের জার্মান ভাষায় একটি মেডিকেল গ্রন্থ অনুবাদ করার সময় হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে ধারণা করেছিলেন। ম্যালেরিয়া নিরাময়ের জন্য সিনচোনার ব্যবহার সম্পর্কিত কুলেনের তত্ত্ব সম্পর্কে সন্দেহাতীত হলেন, হ্যানিম্যান কী ঘটবে তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষভাবে কিছু ছাল খেয়েছিলেন। তিনি জ্বর, কাঁপুনি এবং জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করেছেন: ম্যালেরিয়ার মতোই লক্ষণগুলি। এ থেকে হ্যানিম্যান বিশ্বাস করেছিলেন, যে সমস্ত কার্যকর ওষুধগুলি থেকে চিকিৎসা করা হয়, সেগুলোই রোগগুলির মতো সুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে লক্ষণ তৈরি করে, প্রাচীন চিকিৎসকদের প্রস্তাবিত "সাদৃশ্য বিধান" অনুসারে। [১৩] অলিভার ওয়েন্ডেল হোমস দ্বারা চিহ্নিত এবং ১৮৬১ সালে প্রকাশিত সিনচোনার ছাল খাওয়ার প্রভাবগুলির একটি বিবরণ লক্ষণগুলি পুনরুৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়েছিল।[১৪] হ্যানিম্যানের সাদৃশ্য বিধান একটি আইপ্স ডিক্সিট যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি থেকে প্রাপ্ত হয় না।[১৫] এটিকে হোমিওপ্যাথি নাম দিয়েছ যা আসে, গ্রিকঃ ὅμοιος hómoios, "-সাদৃশ্য" and πάθος páthos, "পদ্ধতি" থেকে।
পরবর্তীতে বৈজ্ঞানিক গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে সিনচোনা ম্যালেরিয়া নিরাময় করে, কারণ এটিতে কুইনাইন রয়েছে যা প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপারাম পরজীবীকে মেরে ফেলে যা এই রোগের কারণ হয়; এটি একটি রাসায়নিক ক্রিয়াযা হ্যানম্যানের ধারণার সাথে সম্পর্কিত নয়। [১৬]
১৯ শতক: জনপ্রিয়তা এবং প্রথম দিকে সমালোচনা বৃদ্ধি
বিশ শতকে পুনর্জাগরণ
একবিংশ শতাব্দি
ভারতীয় উপমহাদেশে
ভারত ও বাংলাদেশে বহুকাল থেকেই এই চিকিৎসা চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভিজ্জ বা সাধারণ রাসায়নিক পদার্থ থেকে কনসেনট্রেট হিসেবে এই ওষুধ তৈরি করা হয় এবং চিকিৎসকরা গাইড বুকের নির্দেশ অনুযায়ী সেগুলি প্রয়োজন মতো লঘুকৃত করেন। বাংলা ভাষায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রচুর বইপত্র আছে এবং এগুলির ভিত্তিতে দেশে এই চিকিৎসা চলছে। ইদানীং দেশের নগর ও শহরে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদানের জন্য কয়েকটি হোমিওপ্যাথি কলেজ[১৭] প্রতিষ্ঠিত হয়েছে [১৮]।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৯ সালে একটি বিবৃতিতে জানায় যে হোমিওপ্যাথি এইচআইভি, টিবি ও ম্যালেরিয়ার জন্য কোনো বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা নয়।[১৯]
প্রমাণ এবং ফলপ্রসূতা
বিকল্পধারার চিকিৎসক সম্প্রদায়ের বাইরে, প্রচলিতধারার চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে হোমিওপ্যাথিকে একটি মিথ্যা [২০] বা একটি ছদ্মবিজ্ঞান, এবং তারা এটিকে হাতুড়ে চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করে। [২১] এছাড়াও এটিতে থেরাপিউটিক কার্যকারিতার সাফল্যপূর্ণ পরিসংখ্যানগত প্রমাণের অনুপস্থিতি রয়েছে, এবং জৈবিকভাবে প্রশংসনীয় ফার্মাকোলজিকাল এজেন্ট বা পদ্ধতির অভাব রয়েছে। [২২] তবে প্রবক্তারা যুক্তি দেন যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি অবশ্যই কিছুর দ্বারা কাজ করে, যা এখনও অনির্ধারিত, একটি বায়োফিজিক্যাল মেকানিজম। অহোমিওপ্যাথিকগন এটিকে উপশমদায়ক ছাড়া আলাদা কিছু বলে দেখান না। [২২]
হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা ব্যবস্থা
বাংলাদেশে
বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সমন্ধে জ্ঞান অর্জনের জন্য সরকারী দুইটি কোর্স প্রচলিত আছে। একটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৫ বছর ৬ মাস (ইন্টার্নি সহ) ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (বিএইচএমএস) মেয়াদী কোর্স এবং অন্যটি হলো বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের অধিভুক্ত ৪ বছর ৬ মাস (ইন্টার্নি সহ) মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্স। বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি শিক্ষার জন্য ১টি সরকারী মেডিকেল কলেজ এবং বোর্ড স্বীকৃত ৬৩টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।
অন্যান্য দেশে
লন্ডন, জার্মানি এবং পার্শ্ববর্তীদেশ ভারত, পাকিস্থান, শ্রীলংকা সহ বিশ্বের নানান দেশে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা অর্জনের জন্য বিভিন্ন স্বীকৃত কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাজ্যে রয়েল লন্ডন হোমিওপ্যাথিক ইউনিভার্সিটি নামে একটি হোমিওপ্যাথিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
সমালোচনা
ক্লিনিকাল ভিত্তিতে যে সকল রোগী সাধারণ চিকিৎসার বদলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নির্বাচন করেছেন, তাদের কিছু সংখ্যকের সময়মত রোগ নির্ণয় এবং ফলপ্রসূ চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় নি, ফলে অবস্থা আরও গুরুতর হয়েছে।[২৩][২৪][২৫][২৬] হোমিওপ্যাথির সমালোচকেরা বলেছেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণকারী ব্যক্তিরা যথাযথ চিকিৎসা নিতে পারেন নি,যা প্রচলিত চিকিৎসায় সম্ভব ছিল, এবং এর ফলে মৃত্যুও হয়েছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দাবি করেন, প্রচলিত চিকিৎসা রোগকে আরও গুরুতর করবে এবং আরও ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি করবে। [২৭][২৮] কিছু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক তাদের রোগীকে উপদেশ দেন ভ্যাক্সিনের পরিবর্তে হোমিওপ্যাথিক nosode ব্যবহার করতে .[২৫][২৯][৩০],যা জৈবিক উপাদান যেমন পুঁজ, রোগাক্রান্ত টিস্যু থেকে তৈরি হয়। যখন হানিম্যান এই পদ্ধতির বিরোধী ছিলেন, কিছু আধুনিক হোমিওপ্যাথিক এটি প্রায়শ ব্যবহার করে থাকেন যদিও এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই।এও জানা যায়,হোমিওপ্যাথরা অ্যান্টি - ম্যালেরিয়াল ওষুধ ব্যবহার করতে নিষেধ করে। এই নিষেধবাণী যারা আক্রান্ত,তাদের বিপদে ফেলেছে, যেহেতু ম্যালেরিয়া পরজীবীর বিরুদ্ধে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ একদম অকার্যকর ।
১৯৭৮ সালে অ্যান্থনি ক্যাম্পবেল , রয়্যাল লন্ডন হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালের একজন কনসাল্ট্যান্ট , জর্জ ভিথলকাস এর বিবৃতির কঠোর সমালোচনা করেন, যিনি তার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে চালু করতে চেয়েছিলেন। ভিথলকাস বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সিফিলিস রোগের চিকিৎসা করলে তা পরবর্তীতে সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি অবস্থায় উন্নীত হতে পারে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র সহ। ক্যাম্পবেল একে দায়িত্বহীন বিবৃতি বলে আখ্যা করে বলেন, এ কথা একজন সচেতনতাবিহীন মানুষকে প্রচলিত ওষুধ গ্রহণে নিবৃত্ত করবে । [৩১]
আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন এ Should We Maintain in Open Mind about Homeopathy শীর্ষক একটি আর্টিকেলে প্রকাশিত , মাইকেল বম এবং এডয়ার্ড আর্ন্সট বলেছেন, "হোমিওপ্যাথি বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা চিকিৎসাপদ্ধতির সবচেয়ে নিকৃষ্ট উদাহরণ। এই যুক্তি বহির্ভূত শুধু বৈজ্ঞানিক মতবাদের সাথে মিলে না, তাই নয়, বরং এটি স্ববিরোধীও বটে। যদি হোমিওপ্যাথি সঠিক হয়, তবে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ফার্মাকোলজির অধিকাংশই বেঠিক।[৩২]
২০১৩ সালে স্যার মার্ক ওয়ালপোর্ট , যুক্তরাজ্যের সরকারি প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হোমিওপ্যাথি সম্বন্ধে বলেন,' বৈজ্ঞানিক ভাবে আমার দৃষ্টিভঙ্গি একদম সুস্পষ্ট; হোমিওপ্যাথি একটি ননসেন্স, অবৈজ্ঞানিক শাখা। সরকারের কাছে আমার উপদেশ, হোমিওপ্যাথিতে কোন বিজ্ঞান নেই। এটির সর্বোচ্চ প্লেসবো এফেক্ট থাকতে পারে। এটি এখন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তারা এর পিছনে খরচ করবে কি না।[৩৩] তার পূর্বসূরি প্রফেসর জন বেডিংটন বলেছেন, ' আমি হোমিওপ্যাথির ব্যাপারে যা ভাবতে পারি, তা হল পাগলামি। এটির কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আসলে, সকল বৈজ্ঞানিক যুক্তি বলে এটি কোন যুক্তিযুক্ত জ্ঞান নয়। কিন্তু হোমিওপ্যাথি এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে।[৩৪]
তথ্যসূত্র
- ↑ Tuomela, R (১৯৮৭)। "Chapter 4: Science, Protoscience, and Pseudoscience"। Pitt JC, Marcello P। Rational Changes in Science: Essays on Scientific Reasoning। Boston Studies in the Philosophy of Science। 98। Springer। পৃষ্ঠা 83–101। আইএসবিএন 978-94-010-8181-8। ডিওআই:10.1007/978-94-009-3779-6_4।
- ↑ Smith K (২০১২)। "Homeopathy is Unscientific and Unethical"। Bioethics। 26 (9): 508–12। এসটুসিআইডি 143067523। ডিওআই:10.1111/j.1467-8519.2011.01956.x।
- ↑ Baran GR, Kiana MF, Samuel SP (২০১৪)। "Science, Pseudoscience, and Not Science: How Do They Differ?"। Chapter 2: Science, Pseudoscience, and Not Science: How Do They Differ?। Healthcare and Biomedical Technology in the 21st Century। Springer। পৃষ্ঠা 19–57। আইএসবিএন 978-1-4614-8540-7। ডিওআই:10.1007/978-1-4614-8541-4_2।
within the traditional medical community it is considered to be quackery
- ↑ Ladyman J (২০১৩)। "Chapter 3: Towards a Demarcation of Science from Pseudoscience"। Pigliucci M, Boudry M। Philosophy of Pseudoscience: Reconsidering the Demarcation Problem। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 48–49। আইএসবিএন 978-0-226-05196-3।
Yet homeopathy is a paradigmatic example of pseudoscience. It is neither simply bad science nor science fraud, but rather profoundly departs from scientific method and theories while being described as scientific by some of its adherents (often sincerely).
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Hahnemann
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Homeopathy"। Royal Pharmaceutical Society। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৭।
- ↑ "Homeopathy"। nhs.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১০।
- ↑ "Dynamization and Dilution", Complementary and Alternative Medicine, Creighton University Department of Pharmacology, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-২৪
- ↑ Lasagna L (1970) [1962]. The doctors' dilemmas. New York: Collier Books. p. 33. ISBN 978-0-8369-1669-0.
- ↑ Edzard Ernst; Singh, Simon (2008). Trick or Treatment: The Undeniable Facts about Alternative Medicine. New York: W. W. Norton. ISBN 978-0-393-06661-6.
- ↑ W. Steven Pray (August 1, 2003). a History of Nonprescription Product Regulation https://books.google.com.bd/books?id=uadgq04eLr0C&pg=PA192&redir_esc=y. Psychology Press. p. 192. ISBN 978-0-7890-1538-9. Retrieved January 21, 2013.
- ↑ Dean ME (2001). "Homeopathy and "the progress of science""https://web.archive.org/web/20060101084902/http://www.shpltd.co.uk/dean-homeopathy.pdf(PDF). Hist Sci. 39 (125 Pt 3): 255–83. Bibcode:2001HisSc..39..255E. doi:10.1177/007327530103900301. PMID 11712570. Archived from the original http://www.shpltd.co.uk/dean-homeopathy.pdf(PDF) on January 1, 2006. Retrieved March 31, 2009.
- ↑ Robert W. Ullman; Judyth Reichenberg-Ullman (October 1, 1994). The patient's guide to homeopathic medicine. Picnic Point Press. pp. 1 https://archive.org/details/patientsguidetoh00robe/page/1–2. ISBN 978-0-9640654-2-0. Retrieved January 24, 2013.
- ↑ Oliver Wendell Holmes, Sr. (1842). Homoeopathy and its kindred delusions: Two lectures delivered before the Boston Society for the Diffusion of Useful Knowledge. Boston. as reprinted in Oliver Wendell Holmes, Sr. (1861). Currents and counter-currents in medical science. Ticknor and Fields. pp. 72–188. OCLC 1544161. OL 14731800M.
- ↑ J. D. White; John Hugh McQuillen; George Jacob Ziegler; James William White; Edward Cameron Kirk; Lovick Pierce Anthony, eds. (December 1894). "A wail from the waste-basket" https://quod.lib.umich.edu/d/dencos/acf8385.0036.001/1050:349?didno=ACF8385.0036.001;rgn=full+text;view=image. The Dental Cosmos (editorial). 36 (12): 1030–32.
- ↑ Atwood, Kimball (January 4, 2008). "Homeopathy and evidence-based medicine: back to the future" https://sciencebasedmedicine.org/homeopathy-and-evidence-based-medicine-back-to-the-future-part-i/. Science Based Medicine. Retrieved September 9, 2013.
- ↑ http://www.homeopathybd.com/list-of-homeopathic-medical-colleges-in-bangladesh/
- ↑ দৈনিক সংগ্রাম (শনিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০১০)। "সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ পরিচিতি ও ভর্তিতথ্য, লেখক: মুহম্মদ হামিম উদ্দিন"। ১০ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ http://news.bbc.co.uk/2/hi/health/8211925.stm
- ↑ Caulfield, Timothy; Rachul, Christen (২০১১)। "Supported by science?: What Canadian naturopaths advertise to the public"। Allergy, Asthma & Clinical Immunology। 7: 14। ডিওআই:10.1186/1710-1492-7-14। পিএমআইডি 21920039। পিএমসি 3182944 ।
Within the non-CAM scientific community, homeopathy has long been viewed as a sham
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Baran20142
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;pmid124926032
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;pmid17285788
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Malik, Imtiaz A.; Gopalan, Sethuraman (২০০২), "Use of CAM results in delay in seeking medical advice for breast cancer", European Journal of Epidemiology, 18 (8): 817–22, ডিওআই:10.1023/A:1025343720564, পিএমআইডি 12974558,
CAM use [in the developing countries this study solely considered] was associated with delay in seeking medical advice (OR: 5.6; 95% CI: 2.3, 13.3) and presentation at an advanced stage of disease
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;pmid8554846
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;malaria2
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Case of Baby Gloria, who died in 2002:
- "Homeopath Thomas Sam guilty of daughter Gloria's death", The Daily Telegraph, জুন ৫, ২০০৯
- "Parents guilty of manslaughter over daughter's eczema death", The Canberra Times, জুন ৫, ২০০৯, ২৫ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৪
- ↑ Alastair Neil Hope, State Coroner, Coroner's inquest into the death of Penelope Dingle. Ref No: 17/10
- ↑ Ernst, E. (১৯৯৭), "The attitude against immunisation within some branches of complementary medicine", European Journal of Pediatrics, 156 (7): 513–5, ডিওআই:10.1007/s004310050650, পিএমআইডি 9243229
- ↑ Ernst, E (২০০১), "Rise in popularity of complementary and alternative medicine: reasons and consequences for vaccination", Vaccine, 20: S90–3; discussion S89, ডিওআই:10.1016/S0264-410X(01)00290-0, পিএমআইডি 11587822
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Birnbaum
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Baum, Michael; Ernst, Edzard (২০০৯), "Should We Maintain an Open Mind about Homeopathy?", The American Journal of Medicine, 122 (11): 973–4, ডিওআই:10.1016/j.amjmed.2009.03.038, পিএমআইডি 19854319
- ↑ Nick Collins, Science Correspondent. Homeopathy is nonsense, says new chief scientist. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে The Telegraph, 18 Apr 2013
- ↑ http://www.telegraph.co.uk/health/healthnews/9982234/Homeopathy-on-the-NHS-is-mad-says-outgoing-scientific-adviser.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে Homeopathy on the NHS is 'mad' says outgoing scientific adviser.] The Telegraph, 09 Apr 2013